Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ঝালকাঠিতে জন্মাষ্টমী উৎসব ও আলোচনাসভা

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু,ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে জন্মাষ্টমী উৎসব ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১১টায় ঝালকাঠি ফায়ার মোড়স্থ শ্রী শ্রী মদন মোহন ঠাকুরের আখড়ায় অধ্যাপক অসীম কুমার সাহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথিী ছিলেন ঝালকাঠি- ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ সভাপতি আলহাজ্ব সরদার মো: শাহ আলম, জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র আলহাজ্ব লিয়াকত আলী তালুকদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এড. অমল চন্দ্র দাস প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঝালকাঠির পৌর কাউন্সিলর তরুন কুমার কর্মকার। আলোচনা শেষে উপস্থিত  সুধীজনের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

ময়মনসিংহে ১ মাসে ৪০৭ প্রাণহানি-আক্রান্ত প্রায় ২১ হাজার

তাপস কর,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ গত ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মারা গেছেন ৪০৭ জন। এর আগে গত জুলাই মাসে ৪৮২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। 

করোনায় আক্রান্তদের চেয়ে উপসর্গেই প্রাণ যাচ্ছে তুলনামূলক অনেক বেশি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২১০টি সাধারণ শয্যা ও ১০টি আইসিইউ শয্যা নিয়ে ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়। রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শয্যা সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ৪০০টি শয্যা রয়েছে।আইসিইউর সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২২টি। 

বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয়টি জেলাসহ সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও গাজীপুর জেলার করোনায় আক্রান্ত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার ভরসাস্থল এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের সাধারণ ওয়ার্ডে কোভিড ও নন–কোভিড মিলে ১৭৫ জন ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ১২ জন। এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় দুজন এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। 

গেল ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ময়মনসিংহের ৪ জন, নেত্রকোনার ২ জন ও জামালপুরের ১ জন আছেন। সোমবার সকালে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান মুন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এদিকে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৫৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ২০ হাজার ৯১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৯১ জন।


মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা চাই-মসিক মেয়র

তাপস কর,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, সম্মিলতভাবে কাজ করার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে উন্নয়নের চেষ্টা করছি। যে স্বপ্ন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন উপহার দিয়েছেন সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে ময়মনসিং সিটি কর্পোরেশনকে যেন মানুষের কাজে লাগাতে পারি সেজন্য সকলের সহযোগিতা চাই।

রবিবার (২৯ আগস্ট) শহীদ শাহাবুদ্দীন মিলনায়তনে MGSP প্রকল্পের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মেয়র ইকরামুল হক টিটু। 

মেয়র আরো বলেন, MGSP প্রকল্পের মাধ্যমে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের বহুমুখী উন্নয়ন সম্ভব হবে। 

মেয়র সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়, আয়বর্ধক কার্যক্রম গ্রহণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে  MGSP প্রকল্পের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, আয়বর্ধক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনকে স্বাবলম্বী করতে হবে। এর মাধ্যমেই নাগরিকবৃন্দের উপর আরোপিত ট্যাক্স আরো সহনীয় করা সম্ভব। এছাড়া ল্যান্ডফিল স্টেশন আধুনিকায়ন এবং নতুন একটি ল্যান্ড ফিল স্টেশন নির্মাণ সম্ভব হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন সাধন হবে। নতুন অর্ন্তভুক্ত ওয়ার্ডসমূহে অবকাঠামো উন্নয়নেও অনেক কাজ করতে হবে।

এ সময় মেয়র জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট নিরসন ও সড়ক প্রশস্তকরণ, বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবায় মাতৃসদন নির্মাণ এবং সিটি কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধিতে আগামীতে বাস্তবায়নের অপেক্ষায় থাকা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে তুলে ধরেন।

সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ MGSP প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়নযোগ্য গুরত্বপূর্ণ  বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। মতবিনিময় সভার পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। 

সভায় প্যানেল মেয়র ০১ আসিফ হোসেন ডন সহ অন্যান্য প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ, MGSP পরামর্শক প্রকৌশলী এসএম মহিবুল্লাহ, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিঞা সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা নাগরিক আন্দলোনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন কালাম, বিএমএ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এইচ এ গোলন্দাজ তারা, ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি শংকর সাহা, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন  পেশাজীবী, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

একই তেলে বারবার রান্না করা খাবার কতটা ক্ষতিকর

অনলাইন ডেস্ক : পুরি-সিঙ্গারা ভাজার পর থেকে যাওয়া তেলে আবার তরকারি রান্না বা অন্য কিছু ভাজা হয়। সেখান থেকেও তেল থেকে গেলে তা আবারও ব্যবহার করা হয়। আধুনিক এই সময়ে অধিকাংশ বাসা-বাড়িই এমনটা করা হয়। বাইরের বেশ কিছু দোকানেও এভাবেই তৈরি করা হয় মুখরোচক খাবার। একই তেলে বারবার খাবার রান্না করে খেলে তা শরীরের জন্য ভালো নয়। এবার তাহলে একই তেলে বারবার রান্নার বিষয়ে জেনে নেয়া যাক-

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, এই অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বারবার একই তেল গরম করার ফলে তাতে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়। ফলে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এ থেকে শরীরে কঠিন অসুখও হতে পারে।

‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’ (এফএসএসএআই) জানিয়েছে, কোনো তেল তিন বারের বেশি গরম করা ঠিক নয়। এমনটা করা হলে ট্রান্স-ফ্যাট তৈরির সম্ভাবনা থাকে। একই তেল বারবার গরম করার ফলে বিদ্যমান ফ্যাটের কণা ভেঙে যায়। আর এ থেকে কিছু বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়। পদার্থগুলো শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতি করতে পারে। বারবার ফোটানো তেল ব্যবহার করার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে রক্তচাপের পরিমাণও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

হাসপাতালেই থাকতে চান নুসরাত

বিনোদন ডেস্ক : কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান মা হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন এই নায়িকা। মা এবং ছেলে দুজনেই সুস্থ রয়েছে।

সন্তান প্রসবের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, রোববার (২৯ আগস্ট) বাসায় ফিরে যেতে পারবেন নুসরাত। সে হিসেবে আজ বাসায় ফেরার কথা। কিন্তু ফিরছেন না নুসরাত। তিনি আরও দুই দিন হাসপাতালে থাকতে চান। সে হিসেবে আগামী মঙ্গলবার বাড়ি ফিরবেন নায়িকা।

নুসরাতের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাক্তার রাজীব আগারওয়াল বলেছেন, ‘তারা দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। কিন্তু যেহেতু নুসরাত একা হাতেই ছেলেকে দেখভাল করছেন, তাই তিনি আরও এক-দুদিন সময় চেয়েছেন। হাসপাতালে থেকে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে বাচ্চার দেখভালের খুঁটিনাটি শিখে নিতে চান। আগামী মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারেন নুসরাত।’

যদিও এখনো নুসরাতের সন্তানের বাবার পরিচয় মেলেনি। তবে নায়িকার অনাগত সন্তানের বাবা যশ, এমন গুঞ্জনও রয়েছে। সন্তান জন্ম নেয়ার সময় নুসরাতের ইচ্ছে অনুসারে যশ ছিলেন তার সঙ্গে। এখনো হাসপাতালে তার সঙ্গে রয়েছেন এই অভিনেতা। অবশ্য নুসরাতের মা হওয়ার পুরো সময়েই যশ তার সঙ্গী ছিলেন।

প্রসঙ্গত, স্বামী নিখিল জৈনকে ছেড়েছেন আগেই। তারপর নায়ক যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে তার মেলামেশা সবার নজরে আসে। দুজনের প্রেমের গুঞ্জনের মাঝেই প্রকাশ্যে আসে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর। অনেকেই ধারণা করছেন প্রেমিক যশের সঙ্গে লিভ টুগেদারের ফল এই ছেলে।

নুসরাতের সন্তান জন্মের পর শিশুটিকে তুলনা করা হচ্ছে বলিউডের তারকা দম্পতি সাইফ আলী খান এবং কারিনা কাপুর খানের বড় ছেলে তৈমুরের সঙ্গে। কারণ তৈমুরের মতোই নুসরাতের ছেলেকে নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই ভক্তদের।

 

নওগাঁয় ড্রাগন চাষ লাভজনক বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে বাগান


তৌফিক তাপস, নওগাঁ : কম পরিশ্রমে বেশি লাভজনক হওয়ায় নওগাঁয় দিনদিন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ড্রাগন ফল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৭ বছরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মধ্যে ড্রাগন চারা সরবরাহ ও পরামর্শ দেওয়ায় প্রায় ২শ’ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন বাগান গড়ে উঠেছে। নওগাঁর চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামিতে ড্রাগন ফল চাষ ও কৃষি পরামর্শ অব্যাহত থাকলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির আশা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। 

জানা গেছে, বিদেশী ফল ড্রাগন। ২০০৭ সালে দেশে প্রথম ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়। পরের বছর সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতায় নওগাঁয় কৃষকদের উদ্বুত্ত করণসহ ড্রাগন চাষ শুরু করা হয়। প্রথমে দু’একজন কৃষক ড্রাগন চাষ শুরু করলেও ২০১৩ সাল থেকে জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ ও চারা সরবরাহ করায় ২০১৭ সাল থেকে ব্যাপক পরিসরে ড্রাগন চাষ শুরু হয়েছে। বর্তমানে নওগাঁয় বছরে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিকটন ড্রাগন উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি কেজি বড় আকারের ফল ৪শ’ টাকা, মাঝারি ৩শ’ টাকা ও ছোট ২শ’ টাকা থেকে আড়াইশ’ টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। এই ফল নগদ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। জেলায় নতুন নতুন ড্রাগন ফল বাগান গড়ে উঠায় অনেকের কর্মসংস্থাণ হয়েছে। বাগানের পরিচর্চা করে অনেক বেকার নারী-পুরুষের পরিবারের খরচের চাহিদা মিটছে। 

বদলগাছী হর্টিকালচার সেন্টারের জ্যেষ্ঠ উদ্যান তত্ত্ববিধ আ. ন. ম আনোয়ারুল হাসান জানান, সরকারের নির্দেশ রয়েছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ড্রাগন ফল বেশি করে চাষ করতে। কম শ্রমে অর্থকরি ফসল ড্রগন চাষের লক্ষ্যে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে প্রতি অর্থ বছরে প্রায় দুই হাজার ড্রাগন চারা উৎপাদন করে এই সেন্টার থেকে বিক্রি করা হয়। পাশাপাশি কৃষি উদ্যোক্তার মধ্যে ড্রাগন প্রদর্শণী খেত তৈরী করা হয়েছে। অনেক কৃষক ড্রাগন চাষে এগিয়ে আসেন সেই লক্ষ্যে সরকার চলতি অর্থ বছরে প্রতি ড্রাগন চারার দাম ১০ টাকা কমিয়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে। 

নওগাঁয় ড্রাগন চাষ লাভজনক বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে বাগান

নওগাঁর পোরশা উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের উদ্যোক্তা আব্দুর রহমান শাহ্ চৌধুরী জানান, উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কাটপুকুর এলাকায় ৫০ হাজার ড্রাগন চারা সমন্বয়ে ২৪ বিঘা জমিতে ২ বছর আগে ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে তোলা হয়। ওই বাগান গড়ে তুলতে ৪০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা খরচ হলেও বছর ঘুরতেই ফল উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে সপ্তাহে ১ লাখ টাকা আয় হয়। নওগাঁসহ রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। 

পোরশা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, আব্দুর রহমান শাহ্ চৌধুরী এই ড্রগন বাগানটি তৈরী করতে কৃষি বিভাগ থেকে সকল ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়। উপজেলায় অরো অনেক কৃষি উদ্যোক্তা বেশ কিছু ছোট-বড় ড্রাগন বাগান তৈরী করেছেন। তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে পোরশায় বেশি করে এই অর্থকরি ফল চাষে কৃষকরা এগিয়ে আসেন। 

পোরশা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, কম পানি চাহিদা সম্পন্ন ড্রাগন গাছ থেকে বছরে ৭ মাস অর্থাৎ মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ফল সংগ্রহ করা যায়। রোগবালাই ও পোকার কম আক্রমণ হওয়ায় সঠিক পরিচর্যার করলে একটি গাছ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা সম্ভব।

নওগাঁ সদর উপজেলার শিক্ষক ও সফল কৃষি উদ্যোক্তা মাহবুবুর রহমান জানান, গত ৮ বছর আগে থেকে ড্রাগন চাষ করেন। তিনি জেলাসহ নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাটে অনেক ড্রাগন বাগান গড়ে তুলতে পরামর্শ দিয়েছেন। এক বিঘায় ২শ’ পিলার স্থাপন করলে আড়াইশ’ পিলার ৮শ’ থেকে ৯শ’ গাছ লাগানো যেতো। বছরে সেখানে ৩ হাজার কেজি থেকে ৫ হাজার কেজি ফল উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। এখন সেই পুরাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে নতুন পদ্ধিতে এক বিঘায় প্রায় ৩ হাজার গাছ লাগানো যাবে। এই পদ্ধতিতে এক বিঘা জমি থেকে প্রায় ৯ হাজার কেজি ফল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। অর্থাৎ আগের চেয়ে নতুন চাষ পদ্ধিতে ৩ গুণ ড্রাগন ফল উৎপাদন হয়।

সাপাহার গোডাউন পাড়ায় বসবাসরত সফল কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা জানান, এই ফলটি আমদানি নির্ভর। তবে দেশে অনেক কৃষক ড্রগন চাষে ঝুঁকে পরেছে। আগামীতে এটি অব্যাহত থাকলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আগামিতে বিদেশে রপ্তানি সম্ভব। 

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুল ওয়াদুদ জানান, চলতি বছরে নওগাঁয় প্রায় ২শ’ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করা হয়েছে। ড্রাগন ফল বাগান থেকেই বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি করে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।  



যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget