এপ্রিল 2019
91 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 568 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 105 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 43 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4764 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3394 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2763 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 52 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf


 নওগাঁর সাপাহারে রিক কর্তৃক অতিদরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অতিদরিদ্র সদস্যের সন্তানদের উন্নত কারিগরী প্রশিক্ষন শেষে কর্মক্ষেত্রে সফলতা অর্জনকারী ও সেরা কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের মাঝে বিনামুল্যে বই সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরন করা হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় নওগাঁ-১ এরিয়া কার্যালয়ে রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর উদ্যোগে ও ইউপিপি- উজ্জীবিত কম্পোনেন্টের আওতায় উপজেলার ১০ জন বৈদ্যুতিক হাউজ ওয়ারিং কাজে প্রশিক্ষিতদেরকে সকল প্রকার যন্ত্রপাতি,১১জন সেলাই মেশিন প্রশিক্ষিত অসহায় নারীকে পুঁজি হিসেবে কাপড় ও ৬টি কিশোরী ক্লাবে বিভিন্ন প্রকার বই, সেল্ফ, কেরাম বোর্ড সহ খেলনা সামগ্রী বিতরণ করেন প্রধান অতিথি নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান। রিক-নওগাঁ জোনের জোনাল ম্যানেজার মুহাম্মদ আব্দুল আলীম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন, পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত) নাজমুল হামিদ রেজা,এসিল্যান্ড সহরাব হোসেন, নওগাঁ-১ এর এরিয়া ম্যানেজার মুঞ্জুরুল করিম রিকের শাখা ব্যবস্থাপক রানা আহম্মেদ, পিও স্যোসাল মিজানুর রহমান,শহিদুল ইসলাম,ইউসুফ ্আলী প্রমূখ। 

নওগাঁয় জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে ইমাম ও শিক্ষকদের সাথে জেলা পুলিশের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে ইমাম ও শিক্ষকদের সাথে নওগাঁ জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাইনস ড্রিল সেডে পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক ও ফারজানা হোসেন, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল হাই, ডিআইও ওয়ান মোসলেম উদ্দীন, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নবির উদ্দীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশানের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তাফা, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গন শিক্ষা কার্যক্রমের জেলা সভাপতি ক্বারী মাওলানা মো. রমজান আলী, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুল ওয়াহেদ আল কাদরী, পুৃলিশ লাইন্স জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা সমাজ থেকে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সভায় জেলার ইমাম মোয়াজ্জিম, শিক্ষার্থী এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁর সাপাহারে জবই বিল খননকালে মানব কঙ্কাল উদ্ধার

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিলের দোহারা খাড়ী খনন কালে জবই বিলের চ্যালাঘাটি নামক স্থান হতে মানব দেহের মাথার খুলি বুকের হাড়সহ প্রায় ১২ খন্ড হাড় গোড় উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খনন কাজ চলার সময় মাটির সাথে এ হাড় গোড়গুলি উঠে আসলে লোকজন তা উদ্ধার করে।
 
স্থানীয় লোকজন সুত্রে জানাগেছে, পানিউন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এ্যাসকেভেটর মেশিন দ্বারা জবই বিলের ওই অংশে খনন কাজ পরিচালনা করার সময় মাটির ৬-৭ ফিট নিচ থেকে এই মাথার খুলিসহ হাড় গোড়গুলো মেশিনের ফলায় ওঠে আসে। সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত উৎসুক জনতা হাড় গোড়গুলি একনজর দেখতে বিল এলাকায় ভিড় জমায়। বহু পুরনো এই হাড় গোড়গুলো দেখে অনেক বয়স্ক মানুষ মন্তব্য করে বলেছেন যে, ১৯৭১সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সাপাহার উপজেলার জবই গ্রামটি পাকবাহিনীর দোসর রাজাকার আলবদরদের গ্রাম ছিল, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ওই গ্রামটিকে দ্বিতীয় পাকিস্তান হিসেবে লোকজন চিনত। সে সময় হয়ত রাজাকার ও পাকবাহিনীরা নিরহ কোন বাঙালী মানুষকে ধরে হত্যা করে লাশ ওই এলাকায় পুতে রাখতে পারে। আবার অনেকের মতে হাড় গোড়গুলি অতীতে কোন নৌকা ডুবির শিকার মানুষেরও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। হাড় গোড়গুলি বের হওয়া বিষয়ে খনন কাজের দেখা শুনার দায়িত্বে থাকা বাবু নামের একজনের সাথে কথা হলে প্রথমে তিনি বিষয়টি এড়িয়েযান পরে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে, বিষয়টি আমি গত রবিবারে শুনেছি এবং সোমবার দেখে তা  আমার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এব্যাপারে সাপাহার  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ জানান, আমিও বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি এবং বহুকাল পূর্বে বিলের ওই অংশে হিন্দু সম্প্রদায়ের শশ্মান ঘাট ছিল যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে হাড় গোড়গুলো শশ্মান ঘাটের হতে পারে। তবে কয়েকদিন যাবত মানুষের কঙ্কাল বা হাড়গোড় বিল এলাকায় পড়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষই এখন পর্যন্ত সে হাড়গোড়গুলো সেখান থেকে উদ্ধার করেনি বিষয়টি নিয়ে উপজেলার অভিজ্ঞ মহলে সমালোচনার সৃষ্ঠি হয়েছে।

নওগাঁর সাপাহার সদর ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধি, সাপাহার: নওগাঁর সাপাহার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৯-২০ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী’র সভাপতিত্বে বাজেট পেশ করেন ইউপি সচিব মহিদুল ইসলাম লিপু।
এতে আয় ধরা হয়েছে (রাজস্ব) ৫০ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৯২, (উন্নয়ন) আয় ২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা। ব্যয় (রাজস্ব)  ধরা হয়েছে ৪০ লক্ষ ৭ হাজার ৬৯২ টাকা এবং (উন্নয়ন) ব্যায় ৩ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। উদ্বৃত্ত ৭ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮০৩ টাকা।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল আলম সহ সকল ইউপি সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ।

কয়েকদিনের তীব্র ভ্যাপসা গরমে নওগাঁয় নানা রোগে আক্রান্ত শিশু-বয়স্করা : হাসপাতালে রোগীর ঢল

আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ: গত কয়েকদিনের তীব্র ভ্যাপসা গরমের কারনে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়া শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ঢল নেমেছে। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে কর্তব্যরত নার্স ও আয়ারা। বিশেষ করে ডায়েরিয়া, আমাশয় ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্তর সংখ্যা বেশি। আর চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন; শিশুদের নিরাপদ রাখা, বিশুদ্ধ টাটকা, বেশি বেশি পানি ও তরল খাবার খাওয়ানোর।
কয়েকদিনের তীব্র ভ্যাপসা গরমে নওগাঁয় নানা রোগে আক্রান্ত শিশু-বয়স্করা : হাসপাতালে রোগীর ঢল

দীর্ঘ লাইন। এটি নওগাঁ সদর হাসপাতালের চিত্র। গত কয়েকদিন ধরে চলছে তীব্র ভ্যাপসা গরম। হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্করা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে ভীড় করছে হাসপাতালে। ডায়েরিয়া আমাশয় ও পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্তর সংখ্যায় বেশি। এদিকে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় কর্তব্যরতদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বেড সংকটে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। যেন পা ফেলার জায়গা নেই। এছাড়া অনেক বয়স্ক রোগী ভর্তি হয়েছে শ্বাসকষ্টো আর পেটের ব্যাথা বেড়ে গেছে গরমে। তাই নওগাঁ সদর হাসপাতালের গেটে দেখা যায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর লম্বা লাইন। আবহাওয়াজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের দিকে আসছে রোগীরা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারনে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এ কারনে হাসপাতালে বেডের সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হচ্ছেন মেঝেতে থাকতে। হঠাৎই গরমের কারনে শিশুদের পাতলা পায়খানা হয়। এরপর বমি। অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে এসেছেন তারা।
কয়েকদিনের তীব্র ভ্যাপসা গরমে নওগাঁয় নানা রোগে আক্রান্ত শিশু-বয়স্করা : হাসপাতালে রোগীর ঢল

হাসপাতালের সেবিকা মোছা: নাছরিন আক্তার বলেন হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা হিমশিম খাচ্ছি। সময়ের বেশি সময় এখন হাসপাতালে সেবা দিতে হচ্ছে। তবে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবা দেবার। আবহাওয়া একটু কমলেই রোগীদের চাপ অনেকটা কমে যাবে।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা: মুনির আলী আকন্দ বলেন প্রতিদিনই বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের সংখ্যা। রোগীর চাপে হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। তবে আমরা রোগীদের এই গরমে করনীয় সম্পর্কে সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করছি। আমরা দিনরাত রোগীদের সেবা প্রদান করছি। এরপরও আমরা আমাদের সাধ্য মতো রোগীদের সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক), ডা: রওশন আরা খানম বলেন কয়েকদিনের তীব্র ভ্যাপসা গরমে রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুন। তবে কোন সমস্যা নাই। এই গরমে শিশুদের সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, নিরাপদে রাখা এবং তরল খাবারসহ বেশি বেশি পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
 
২৫০ শয্যার নওগাঁ সদর হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন দেড় হাজারের বেশি রোগী আসে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে। তাই আরো বেশি জনবল বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

আলোড়ন সৃষ্টি করেছে নওগাঁয় ৯বছরের শিশুর পানি পড়া, অভিনব কায়দায় আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা

আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ: নওগাঁয় নয় বছরের এক শিশু কবিরাজি পানি পড়া চিকিৎসা দিচ্ছে। আর এ পানি পড়া খেয়ে নিঃসন্তান দম্পতিরা অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছেন। এমন গুজব সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে একটি সন্তান জন্মদানের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে শত শত দম্পতিরা ছুটে আসছেন সেই শিশুর কাছে।
আলোড়ন সৃষ্টি করেছে নওগাঁয় ৯বছরের শিশুর পানি পড়া, অভিনব কায়দায় আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা

ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছেন পানি পড়া নেয়ার জন্য। আর এমন ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটী ইউনিয়নের সরিষপুর গ্রামের হাজী পাড়ায়। কবিরাজের নাম দিপু। বাবার নাম জানা যায়নি। তবে মায়ের নাম দেলেয়ারা বেগম। আর এ পানি পড়াকে কেন্দ্র করে সেখানে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমান দোকান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ শহর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার পশ্চিমে সরিষপুর গ্রাম। গ্রামে প্রবেশ পথে রাস্তার দু’ধারে মাইক্রোবাস, অটোচার্জার ও ভ্যান গাড়ি সারি সারি করে রাখা আছে। রাস্তা থেকে দিপু কবিরাজের বাড়ি প্রায় এক কিলোমিটার দুরে। রাস্তা থেকে কবিরাজের বাড়ি পর্যন্ত মানুষ লাইন ধরে যাওয়া-আসা করেছেন। হাজী পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় একটি আম বাগানের মধ্যে টিনের বেড়া দিয়ে তৈরী একটি ঘর ও বারান্দা। আর এ বারান্দায় বসে পানি পড়া দিচ্ছে শিশু কবিরাজ দিপু। কবিরাজের সামনে একটি দান বাক্স মসজিদের জন্য এবং ঘরের বাহিরে আরেকটি দানবাক্স মন্দিরের জন্য রাখা আছে। যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা বাক্সে নিজেদের ইচ্ছেমত দান করছেন।

আর এ ঘরের আশপাশে অন্তত দেড় হাজার মহিলা প্রত্যেকের হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে লাইন হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ব্যাগের মধ্যে আছে একটি করে পানির বোতল। মহিলাদের সাথে এসেছেন আত্মীয়স্বজন ও স্বামী। আর আম বাগানের মধ্যেই চটি (মাদুর) পেতেই অনেকে শুয়ে-বসে আছেন। আবার অনেকেই রান্নার জন্য খাসি, মুরগি জবাই করছেন। আবার অনেকে সেই রান্না জোগান দিতে পিয়াজ-রসুন বাছাই করছেন।

দিপু কবিরাজের কাছে পানি পড়া নেবার জন্য রাত থেকে এ হাজী পাড়ার আম বাগানে অনেকে অবস্থান নিয়েছেন। তার বাড়ির দরজা থেকে শুরু হয়েছে লাইন। ফজরের নামাজ পর শুরু হয় পানি পড়া দেয়া। আর এ দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে অনেক মহিলা ক্লান্ত হয়ে লাইনের পাশে বসে পড়েছেন। কবিরাজের দরজায় আলম নামে এক যুবক পাহারা দিচ্ছেন। মহিলারা একে একে কবিরাজের কাছে যাচ্ছেন আর ২/৩ মিনিট পর পানি পড়া নিয়ে বেরিয়ে আসছেন। আলমের মতো এখানে ১৫/২০ জন যুবক বাহির থেকে আসা মানুষদের নিয়ন্ত্রন করছেন। আর পানি পড়া দিতে গিয়ে কিছু সময় পর পর তার আসন ছেড়ে বাহিরে গিয়ে খেলাধুলা ও দোকান থেকে জিনিস কিনে খেতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, দুই সন্তান নিয়ে অন্যের জমিতে টিনের কুঠির ঘর তৈরি করে বসবাস করে আছেন দেলেয়ারা বেগম। স্বামী তাদের ছেড়ে অনেক আগে চলে গেছেন। বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতেন। এখন আর কাজ করতে হয় না। গ্রামের সমসের আলী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে কবিরাজ দিপু। তবে কুরআন পড়া এখনো শুরু হয়নি। দিপুর বয়স ৯ বছর হলেও ৬ বছর বয়স থেকে পানি পড়া দিয়ে আসছে। প্রতিবেশী জহুরুল ইসলামের বউয়ের দীর্ঘদিন থেকে কোন বাচ্চা হয়নি। তিন বছর আগে তার বউকে পানি পড়া দেয়া হলে গর্ভধারন করে এবং বাচ্চাটি নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবারও একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়। গত তিন দিন বছর থেকে এ কবিরাজি চিকিৎসা দিয়ে আসছে। তখন তেমন ভীড় ছিলনা। এ বিষয়ে তেমন কোন প্রচার-প্রচারনা করা হয়নি। যাদের বাচ্চা হয়েছে এবং উপকৃত হয়েছেন তারাই মূলত এ প্রচার প্রচারনা করেছেন।

তবে গত তিনমাস থেকে কবিরাজ দিপুর কাছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বগুড়া ও জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত নারী-পুরুষ আসছেন পানি পড়া নিতে। পড়া পানি একনজ নারী দিনে দুবার খেতে হয় এবং একজন পুরুষ পড়া মধু দিনে দুবার খেতে হয়। এছাড়া পড়া তেল একজন পুরুষ দিন দুবার শরীরে মাখতে হয়। একজন নারীকে ৩/৫ সপ্তাহ চিকিৎসা নিতে হয়। এরমধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়। অন্তঃসত্ত্বা হলে ডাক্তার দিয়ে কোন চিকিৎসা বা আল্ট্রাসোনো করানো যাবে না বলেও নিষেধ করা হয়। প্রতি শুক্রবার করে পানি পড়া দেয়া হয়ে থাকে। কবিরাজি চিকিৎসা নিতে খরচ হয় তাবিজ ১৩০ টাকা এবং কবিরাজি ফি ১০ টাকা। যাদের মনোবাসনা পূরন হয় তারা কবিরাজের বাড়িতে এসে খাসি জবাই করে উপস্থিত সবার মাঝে বিতরণ করেন। গত শুক্রবার ২৮টি খাসি জবাই করা হয়েছে বলেও জানা যায়।

নওগাঁ সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের গত ২৩ বছরে তাদের দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান নাই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কবিরাজের বাড়িতে এসে স্ত্রী শাহিদা বেগম লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ডাক্তার ও কবিরাজের কাছে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চিকিৎসা নিয়েও কোন কাজ হয়নি। কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সংবাদ পেয়ে এখানে এসেছি পানি পড়া নিতে। শুক্রবার বেলা ১০ টা পর্যন্ত তার স্ত্রী সামনে আরো ৩০ জন মহিলা দাঁড়িয়ে ছিল।

রাজশাহীর পুটিয়া থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষিকা বলেন, বৃহস্পতিবার তার মাকে কবিরাজের বাড়িতে পাঠিছেন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনি কবিরাজের বাড়িতে এসে প্রায় দেড়শ জনের পিছনে জায়গা পেয়েছেন। দাম্পত্য জীবনে গত ১০ বছর হলো কোন সন্তান হয়নি। পানি পড়ার বিষয়টি জানতে পেরে মনের বিশ্বাস নিয়ে এসেছেন।

জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামের ইমন হোসেন বলেন, সংসার জীবনে ৭ বছরে কোন সন্তান হয়নি। এখানে ৬ সপ্তাহ পানি পড়া খেয়ে তার স্ত্রী সন্তানসম্ভাবা হয়েছে। তাই পরিবার সহ এখানে এসে খাসি জবাই করে মানত পূরন করলাম।

কবিরাজ দিপুর মা দেলেয়ারা বেগম বলেন, দিপু যখন পেটে তখন থেকেই অনেক কিছু উপলদ্ধি করতাম। জন্মের আড়াই মাস বয়সে এক রাতে বাচ্চা সাপের রুপ ধারন করে। এরপর অনেক ডাক্তার ও কবিরাজ দেখানো হয়। কবিরাজ বাচ্চার গায়ে হাত দিলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। আমাদের অসহায়ত্ব দেখেই নাকী বাচ্চার উপর জ্বীনের আছর পড়েছে। তখন কবিরাজরাই বলেন বাচ্চাটিকে আমাদের কিছুই করার নাই। যখন বাচ্চা শরীরে জ্বীনের ভর করে তখন কোন নিঃসন্তান দম্পতি থাকলে তাকে বাচ্চা জন্ম ধারনের ক্ষমতা দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। এছাড়া কেউ যদি কাউকে কুফরি করে সেটাও ভাল করা যাবে। এরপর ৬ বছর বয়স থেকে পানি পড়া দিয়ে আসছে। রোগী দেখতে দেখতে বাচ্চা যখন অস্বস্থি বোধ করে তখন একটু দেরী করে বাহির থেকে ঘুরে এসে আবার দেখা শুরু করে। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলের গায়ে যখন ভর করে (জ্বীন হাজির হয়) কুরআনের সবকিছু বলতে পারে।

দুবলহাটী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, মানুষ কতটুকু উপকৃত হচ্ছে তা জানি না। তবে এটা ভূয়া ও মানুষের সাথে প্রত্যারনা। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুরদুরান্ত থেকে লোকজন আসছে। এটা নিয়ে এলাকায় একটা পক্ষ (গ্রুপিং) তৈরী হয়েছে। যে কোন সময় সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে। প্রশাসনকে এ বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, ছদ্দবেশে ঘটনাস্থলে (বৃহস্পতিবার) পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ রকম চিকিৎসা বন্ধ করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা: মুমিনুল হক বলেন,     মেডিকেল সাইন্সে বন্ধা কোন নারী পানি পড়া খেয়ে পেটে বাচ্চা আসে এরকম কোন নিয়ম নাই। এছাড়া সাইনটিফিক (বৈজ্ঞানিক) এরকম কোন বিধানও নেই। যেখানে পানি, মধু পড়া এবং তেল পড়া ব্যবহার করলে পেটে বাচ্চা আসে। যদি এরকম কোন ঘটনা হয়ে থাকে আমরা সরজমিনে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নওগাঁয় অভিনব কায়দায় ১কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

আতাউর শাহ্, নওগাঁ : নওগাঁয় ডিবি ক্রেতা সেজে অভিনব কায়দায় নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের পাঁচ বাড়িয়া গ্রামের নিজ বসত বাড়ি হইতে এক কেজি গাঁজাসহ কুক্ষাত মাদক ব্যাবসায়ী হারুনঅর রশিদ (৪০) কে আটক করেছেন নওগাঁ গোয়েন্দা শাখা ডিবি। যাহার আনুমানিক ১ কেজি গাঁজার এর মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।

জেলা হোক মাদক মুক্ত এমন প্রত্যাশায় নিয়মিত এমন অভিযানে বিশেষ ভুমিকা রেখেছেন ইকবাল হোসেন পুলিশ সুপার নওগাঁ। সেই সাথে একই ভুমিকা পালন করার লক্ষে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.এম সামছুদ্দিন। নওগাঁ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই। একই ভুমিকা পালন করছেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার এস.আই (নিঃ) মিজানুর রহমান মিজান।

গতকাল রাত্রী ১০ ঘটিকার সময় অভিযান পরিচালনা করেন, গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.এম সামছুদ্দিন এর সহযোগীতায় নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি, এস.আই (নিঃ) মিজানুর রহমান মিজান, ও তার সহযোগী এ.এস.আই বাশির, এ.আস.আই সোহেল ক্রেতা সেজে অভিনব কায়দায় ১ কেজি গাঁজাসহ কুক্ষাত মাদক ব্যাবসায়ী হারুনঅর রশিদ (৪০) কে আটক করেছেন নওগাঁ গোয়েন্দা শাখা ডিবি। ডিবি সুত্রে যানা যায় দৃর্ঘদিন যাবৎ পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজ বাসবরত হতে মাদক ব্যবসা করে আসছেন।
জানাগেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

নওগাঁয় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ “বঙ্গুবন্ধুর সোনার বাংলা শেখ হাসিনার অবদান, বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইনি সেবাদান” এই প্রতপিাদ্য নিয়ে ফেষ্টুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়ানো, বর্নাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লিগ্যাল এইড মেলা, দিন ব্যাপী রক্তদান, ফ্রি চক্ষু শিবির ও হেলথ ক্যাম্প কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে নওগাঁয় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা ও দায়রা জজ এ,কে,এম শহীদুল ইলামের সভাপতিতে রবিবার সকালে জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। 

নওগাঁয় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত
পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা ও দায়রা জজ এ,কে,এম শহীদুল ইলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যেন্যার মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইবুন্যাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারক শহীদুল ইসলাম আজামী, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএম, চীফ জুডিশীয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী, সদর হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডাঃ রওশন আরা খানম, পিপি আব্দুল খালেক, জিপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিরোজ, এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরদার সালাউদ্দিন মিন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় র‌্যালী ও আলোচনা সভায় আইন বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিকেলে গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, গম্ভীরা, আদিবাসী শিল্পীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন হয়। সন্ধ্যায় লিগ্যাল এইড সংশ্লিষ্ট ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, নাটিকা ও আধুনিক সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।

নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের হাবিলদার নিহত

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের হাবিলদার মাহবুব হাসান নিহত হয়েছে। গত শনিবার রাতে নওগাঁ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে নওগাঁ-বগুড়া মহসড়ক পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তয় পড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। নিহত মাহবুব হাসানের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খঞ্জনপুর গ্রামে।
 
নওগাঁ ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক এ,কে,এম মোরশেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে নওগাঁর পার-নওগাঁয় ভাড়া থাকতেন। শনিবার রাতে সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য নওগাঁ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে যাচ্ছিলেন। এসময় স্টেশনের সামনে নওগাঁ-বগুড়া রাস্তা পারাপারের সময় একটি দ্রুতগামী মটর সাইকেল ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তয় পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। রবিবার সকালে নওগাঁয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্টেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এরপর তার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ যোহর জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় খঞ্জনপুর তার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে তিনি জানান।

নুসরাত জাহান রাফির হত্যার বিচারের দাবীতে নওগাঁয় মানববন্ধন

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির হত্যার বিচারের দাবীতে নওগাঁয় মানব বন্ধন কর্মসৃচি পালন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখা। রবিবার সকালে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের প্রধান সড়কে ঘন্টাকাল ব্যাপী এ মানব বন্ধন কর্মসুচী পালন করে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নওগাঁ জেলার শাখার সভাপতি জহুরা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধন চলাকালে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক নুরজাহান বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আকতার, লিগ্যাল এইড সম্পাদক মমতাজ বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন বাংলাদেশে এমন হত্যাকান্ড যেন আর না হয় তাই দ্রুত রাফির হত্যকারীদের দৃষ্টান্ত মুলক সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। তাহলে এই শাস্তি দেখে আর কোন মানুষ এরকম ঘটনা ঘটাতে সাহস পাবে না।

নওগাঁয় নানা আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রমে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০১৯

আতাউর শাহ্, নওগাঁ : "খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবুন" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণ্যাঢ্য র‌্যালীর মাধ্যমে শুরু হয় সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা: মো. মুমিনুল হক, স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: জাহিদ নজরুল চৌধুরী, এমডিসি ডা: আশীষ কুমার সরকার, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাংবাদিকবৃন্দ, প্রমূখ।

পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন/জেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়, সুসজ্জিত গাড়ীর মাধ্যমে মাইকে শহরের বিভিন্ন স্থানে পুষ্টিকথা প্রচারসহ জেলা উপজেলায় পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়ে পুষ্টি বিষয়ক আলোচনা সভা করে।

বউ শ্বাশুড়িদের বিভিন্ন রান্না প্রতিযোগিতা এবং শাকসবজি ও খাবারের পুষ্টিমান যাচাই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শিশুদের নিয়ে চিত্রাংকন এবং অটিজম বিষয়ক আলোচনা ও বয়স্কদের সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা এবং প্রচারের ব্যবস্থা করেন সিভিল সার্জন ডা: মুমিনুল হক।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মুমিনুল হক এর নির্দেশনায়, জেলার সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে ও চলছে পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা আয়োজনে পুষ্টি সেবা সপ্তাহ-২০১৯। নওগাঁ সদর উপজেলা চন্ডিপুর ইউনিয়নের ইলসাবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেখা যায় মা ও শিশুদের ভিড় জমানো ছিল চোখে পড়ার মতো। উক্ত ক্লিনিকে দেখা যায় পুষ্টি সম্পর্কে স্বাস্থ্য বার্তা পৌছে দিতে গ্রামবাসীদের গ্রামপুলিশ দ্বারা ডেকে এ আয়োজন করে। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন উক্ত ক্লিনিকের সভাপতি/ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান, সিএইচসিপি ফেরদৌসী পারভীন, স্বাস্থ্য সহকারী উম্মে ছালমা, এফডাবলুএ আঞ্জুমান আরা ও আগত মা ও শিশুদেরা, প্রমূখ।

নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো. মুমিনুল হক বলেন সুস্বাস্থ্য রক্ষায় শুধু খাবার গ্রহন করলেই চলবে না, সেই খাবারে পরিমিত পুষ্টি আছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। একারণে পুষ্টি সপ্তাহে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ প্রত্যেক মানুষের মাঝে পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলস্ প্রসেষ্টা করে যাচ্ছে।

লোহাগাড়ায় পাহাড়কাটা সন্ত্রাসি কর্তৃক সাংবাদিককে হুমকির ঘটনায় বিএমএসএফ’র প্রতিবাদ

ঢাকা ২৮ এপ্রিল ২০১৯ইং: চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পেশাগত দায়িত্ব পালনে সিপ্লাস টিভির প্রতিনিধি এরশাদ হোসেনকে হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। রোববার রাতে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর এ ঘটনার সাথে জড়িত পাহাড়কাটা শাহ আলমকে গ্রেফতারের দাবি করা হয়।

শাহ আলম উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের বিবিরবিলা এলাকায় মৃত আকরাম উল্লাহর পুত্র ও বিবিএম ইটভাটার মালিক।

বিএমএসএফ’র স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে ২৭ এপ্রিল (শনিবার) দুপুরে চরম্বা এলাকায় পাহাড়-টিলা কাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় এরশাদ। শাহা আলমের বক্তব্য নিতে গেলে পাহাড়-টিলা কাটার কথা স্বীকার করে গত বছর এপ্রিলের ২৬ তারিখ সিপ্লাসে তার বিরোধে অবৈধ পাহাড় কাটার নিউজ করায় তার ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রতিবেদকের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তিনি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এরশাদ।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকের সাথে এমন আচরণে ফুঁসে উঠেছে লোহাগাড়ার কর্মরত সাংবাদিকেরা। অবিলম্বে হুমকিদাতা শাহ আলমকে হুমকি প্রদানের অভিযোগে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে।

নওগাঁয় ৫৫ লাক্ষ টাকা ব্যায়ে অত্যাধুনিক মানের নব নির্মিত  সুইমিংপুলের শুভ উদ্বোধন

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশীপ পিপিপি’র মাধ্যমে জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় ২৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি তাঁদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৫৫ লাক্ষ টাকা ব্যায়ে অত্যাধুনিক মানের নব নির্মিত সুইমিংপুলের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসাবে ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে সুইমিংপুলের শুভ উদ্বোধন করেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় নওগাঁ টেনিস ক্লাবে এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যেন্যার মধ্যে, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএম, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সুইমিংপুলটি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
নওগাঁয় ৫৫ লাক্ষ টাকা ব্যায়ে অত্যাধুনিক মানের নব নির্মিত  সুইমিংপুলের শুভ উদ্বোধন

পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান বদলগাছি উপজেলার বালুভরা আর বি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে শষী ভুষন চক্রবর্ত্তী মেধা ছাত্রবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।  স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুকমল কর্মকারের সভাপতিত্বে
 
অন্যেন্যার মধ্যে স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্র পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএম, বদলগাছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম আলী বেগ সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শরিফুল ইসলাম খান, রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের  শিক্ষক তারিকুল ইসলাম, বালুভরা আর বি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোত্তালেব হোসেন, সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, নওগাঁর সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি এ্যাড. ডি এম আব্দুল বারী, ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র আবুল হোসেন হাশেম এবং আব্দুল গফুর বক্তব্য রাখেন।
 
পরে প্রধান অতিথি ঐ স্কুলের ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ও মেধা ভিত্তিক মোট ৩২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি বিতরন করা হয়।

নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে বাংলাদেশী যুবকের আঙ্গুলের উপরের অংশ উপরে ও শারিরীকভাবে নির্যাতন চালিয়েছে বিএসএফ

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে আজিম উদ্দীন নামে এক বাংলাদেশী যুবকের উপর অমানবিক ও নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শনিবার ভোর রাতে উপজেলার পাতাড়ী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের রাঙ্গামাটি ৬০ বিএসএফ জোয়ানরা এ নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে।
 
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে একদল গরু ব্যাবসায়ীর সাথে উপজেলার দক্ষিন পাতাড়ী (তুলশীডাঙ্গা) গ্রামের কাবির উদ্দীন এর ছেলে আজিম উদ্দীন (২০) রাখাল হিসেবে ভারতের অভ্যন্তরে গরু আনতে যায়। গরু নিয়ে তারা শনিবার ভোরে সীমান্তের ২৪২ পিলার এলাকা দিয়ে দেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতের বামনগোলা থানার রাঙ্গামাটি ক্যাম্পের ৬০ বিএসএফের টহলরত জোয়ানরা তাদের পিছু ধাওয়া করে। এ সময় অন্যান্যরা গরু রেখে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আজিম উদ্দীন বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। পরে তারা তাকে ক্যাম্প এলাকায় নিয়ে গিয়ে জীবন্ত অবস্থায় দু’হাতের প্রত্যেকটি আঙ্গুলের উপরের অংশ (খোশা বা কুনি) উপড়ে ফেলে এবং শারিরীক নির্যাতন করে। এ সময় আজিম উদ্দীন বিএসএফের অমানুষিক নির্যাতনে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অচেতন অবস্থায় তারা তাকে সীমান্তবর্তী পুর্নভবা নদীর জিরো পয়েন্টে ফেলে রেখে চলে যায়। ভোর ৫টার দিকে আদাতলা ১৬ বিজিবি’র একটি টহল দল ওই এলাকায় গেলে তারা নদীর কিনারে ওই যুবককে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। এরপর সকাল ১০টার দিকে আদাতলা বিজিবি সদ্যসরা আহত যুবককে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্রে ভর্তি করায়। বিএসএফের নির্যাতনের শিকার আহত আজিম উদ্দীন এখন সাপাহার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
 
এ ব্যাপারে নওগাঁস্থ ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে: কর্ণেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

কালভার্ট ভেঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ ॥ দুর্ভোগে কয়েক গ্রামের মানুষ

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পার্শ্ববর্তি বগুড়া জেলার শেষ প্রান্ত আদমদীঘি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার অবহেলিত একটি গ্রাম দড়িয়াপুর। এই গ্রামে প্রায় ৫শতাধিক মানুষের বসবাস। এই গ্রামের রাস্তার মাঝে বিবিতলা নামক স্থানে ছিলো একটি জরাজীর্ন জনগুরুত্বপূর্ণ কালভার্ট।
 
শনিবার কালভার্ট দিয়ে ইট বোঝাই ভটভটি যাওয়ার সময় কালভার্টটি ভেঙ্গে গেছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে দড়িয়াপুরগ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। চলাচলের জন্য অতিদ্রুত বিকল্প একটি ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

দড়িয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফ রিপন, হাছেন আলী, শাহরিয়ার টুটুলসহ আরো অনেকেই বলেন এই গ্রামের মানুষ আমরা চরম অবহেলিত। আমাদের দিকে কারো সুদৃষ্টি কখনো পড়ে না। এই গ্রামের মাঝ দিয়ে চলাচলের জন্য একটি মাটির রাস্তা আছে। এই রাস্তার মাঝে বাছুর মরা নামক ডারার উপর বিবিতলা নামক স্থানে ৮০ দশকে নির্মাণ করা হয় একটি কালভার্ট। এই কালভার্টটি দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছিলো। কালভার্টটির নিচের অংশ থেকে সিমেন্ট ও ইটের খোয়া ভেঙ্গে পড়ে কালভার্টটির মাঝের অংশ ছিদ্র হয়ে গিয়েছিলো। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামবাসীসহ পথচারীরা প্রতিনিয়ত চলাচল করতো। আমাদের গ্রামের এই রাস্তা দিয়ে পার্শ্ববর্তি চকউজির, চকবুলাকী, প্রান্নাথপুরসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচল করে। আমাদের সন্তানরা এই কালভার্টের উপর দিয়ে পাশ্ববর্তি রাণীনগরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে যাওয়া-আসা করে। একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও কোন লাভ হয়নি। এখন গ্রামবাসীসহ পথচারীরা কেমন করে চলাচল করবে। নিকটবর্তি রাণীনগর বাজারে যাওয়ার জন্য এখন কয়েক কিলোমিটার অতিরিক্ত রাস্তা পাড়ি দিতে হবে পথচারীদের। আমরা অতিদ্রুত এখানে এখানে একটি মানসম্মত ব্রিজ চাই।

সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু বলেন এই গ্রামটি অত্যন্ত অবহেলিত। তবে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক উন্নয়ন করেছি। জনগুরুত্বপূর্ন এই কালভার্টটি অতিদ্রুত নির্মাণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করবো। আর আমার পক্ষ থেকে আপাতত পথচারীদের চলাচলের জন্য অতিদ্রুত বিকল্প একটি ব্যবস্থা করে দিবো।

আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন বিষয়টি আমি জেনেছি। অতিদ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছি।

নওগাঁর পত্নীতলা মাদক ব্যবসায়ী আটক ২জন

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর পতœীতলায় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে, পত্নীতলা থানা পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার নজিপুর ঘোষপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদে এই অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন ,উপজেলার নজিপুর মাষ্টারপাড়ার গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে বেলাল হোসেন(৫৫) ও তার স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম, মুখপুরি (৪৫)। এ বিষয়ে পতœীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল কুমার চক্রবর্তী সূত্রে জানা গেছে। পতœীতলা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করেন। সকালে বেলাল হোসেন এর বাড়ীতে স্বামী ও স্ত্রী দুই জনকে পুলিশ তল্লাশী করে তাদের কাছে ১শত পিচ ইয়াবা টাবলেট পাওয়া যায়। পরে ত স্বামী ও স্ত্রীকে পত্নীতলা থানাতে মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে একটি মামলা দায়ের করে তাদের কারাগারে পাঠান থানা পুলিশ ।

নওগাঁয় ব্যতিক্রম উদ্যোগে চালু হলো প্রত্যন্ত অজোপাড়া মশিদপুর গ্রামে আলোকিত বইয়ের পাঠাগার

আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ : ঝরে পড়া রোধ করতে বর্তমান সরকার শিক্ষার মান-উন্নয়নে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সরকারে সেই উন্নয়নের সাথে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো যে যার অবস্থান থেকে নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষা বিস্তারে ঠিক তেমনই ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খন্দকার মুশফিকুর রহমান। সম্প্রতি উপজেলার অজোপাড়া মশিদপুর গ্রামে ‘মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি’ নামে একটি পাঠাগার চালু করেছেন।
নওগাঁয় ব্যতিক্রম উদ্যোগে চালু হলো প্রত্যন্ত অজোপাড়া মশিদপুর গ্রামে আলোকিত বইয়ের পাঠাগার

জেলার মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অজোপাড়া গ্রাম মশিদপুর। যে গ্রামের অধিকাংশ মানুষই জেলে সম্প্রদায়ের। এই গ্রামের মানুষরা মাছ ধরে জীবন-যাপন করে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত প্রত্যন্ত এ গ্রাম। ‘শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো’- স্লোগান নিয়ে এ গ্রামে সচেতন ব্যক্তি ও শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে গড়ে তোলা হয় ‘মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি’ নামে একটি সেবামুলক অরাজনৈতিক সংগঠন। শিক্ষা বিস্তারে ২০০১ সালে এ সংগঠনটি গড়ে উঠলেও অর্থাভাবে তা মুখ থুবড়ে পড়ে ছিলো দীর্ঘদিন যাবত।

মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি সাধারন সম্পাদক ও রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের একক প্রচেষ্টায় পথচলা শুরু করে এই সমিতি। পরবর্তিতে আরো কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সহায়তায় সমিতি তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এই সমিতির মাধ্যমে মশিদপুরগ্রামসহ আশেপাশের গ্রামের গরীব-অসহায় পরিবারের যে সব সন্তানরা স্কুলে যেতে পারে না তাদের খুজে বের করে এই সমিতির সার্বিক সহযোগিতায় সেই সব সন্তানদের স্কুলে পাঠানোসহ পড়ালেখা বাবদ যাবতীয় খরচ দিয়ে আসছে। বর্তমানে সমিতির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রয়েছেন ২৯জন। কোন শিক্ষার্থী যেন ঝরে না পড়ে এ জন্য বছরের ফেব্রুয়ারীতে বই মেলায় চাহিদা অনুযায়ী তাদেরকে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরন দেয়া হয়। ওই দিন আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী বই মেলা। অজোপাড়া গ্রামে এই রকম বই মেলা যা দেশের মধ্যে প্রথম। এই রকম ব্যতিক্রমী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এই সমিতি। এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের দাবী ছিলো এই পাঠাগার যে পাঠাগারে বসে অবসর সময়ে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো বই পড়তে পারবে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্বিক সহযোগীতায় পাঠাগার চালু করা হয়েছে। আলোকিত দেশ ও জাতি গড়তে প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও শিক্ষার্থীদের সামনের দিকে এগিয়ে নিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জ্ঞানের বৃদ্ধি ও প্রসার ঘটাতে প্রত্যান্ত এলাকার ছেলে-মেয়েরা এ পাঠাগার থেকে সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি সাধারন সম্পাদক ও রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন আমাদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পূরন হলো। আমিও এই গ্রামের একটি গরীব পরিবার থেকে অনেক কষ্ট করে উঠে এসেছি। আমি দেখতাম অনেক পরিবার অর্থের অভাবে তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারতো না। তাই আমি আমার কিছু ভালো বন্ধু ও এলাকার শিক্ষানুরাগীদের সার্বিক সহযোগিতায় এই সমিতি চালু করি। বর্তমানে এই সমিতির সহযোগিতায় এলাকার অনেক গরীব পরিবারের সন্তানরা দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে।  এটাই এই সমিতির সফলতা। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে উদ্যোগ ও সমিতির সার্বিক সহযোগিতায় এ প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে ওই সংগঠনের নামে নতুন একটি পাঠাগারের পথচলা শুরু হলো। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর অজানা অধ্যায়, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, আমার বন্ধু রাশেদ, সূর্যদীঘল বাড়ি, মহানবী (সা:) এর শ্রেষ্ঠ বাণী, নাগরিকদের জানা ভাল, সোনামনীদের পরিচর্চা, ছোট গল্প, বিজ্ঞান ভিত্তিক বই সহ বিভিন্ন লেখকের প্রায় ৮০ টি বই দিয়ে এ পাঠাগারটি চালু করা হলো।

আর এ পাঠাগার থেকে অত্র এলাকার মশিদপুর, হোসেনপুর, চুয়াপুর, আইওরপাড়া, কবুলপুর, চৌবাড়িয়া, চাকদহ, দূর্গাপুর ও জোনাকীসহ প্রায় ১২/১৫টি গ্রামের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষিত যুবকরা উপকৃত হবেন। অবসর সময়ে তারা এ পাঠাগারে এসে জ্ঞান চর্চা করবেন। এমন মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শুধু এ গ্রামে নয়-শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এমন পাঠাগার স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন সচেতনরা।

মশিদপুর ফাজিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র উজ্জল হোসেন ও শিরিনা আক্তার, মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী সম্পা আক্তার, রুপালী বর্মন ও দশম শ্রেণীর ছাত্র নিলয় কুমার টনি বলেন, পাঠাগার বা গ্রন্থাগার হচ্ছে বইয়ের ভান্ডার। যেখানে প্রচুর বই সংরক্ষণে থাকে। বই পড়ার আগ্রহ থাকলেও আমাদের পক্ষে বই কিনে পড়া সম্ভব ছিল না। ইতিপূর্বে আমাদের এলাকায় কোন পাঠাগার ছিলনা। পাঠাগার হওয়াতে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। যেখানে অবসর সময়ে আমরা পাঠাগারে বসে বিভিন্ন বই পড়ে জ্ঞান অজর্ন করতে পারব।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খন্দকার মুশফিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার মান-উন্নয়নে এবং ঝরে পড়া রোধ করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে একটি কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। আর এরই অংশ হিসেবে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠাগার চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে প্রত্যান্ত এলাকাগুলোর উন্নয়ন হলে একটি উপজেলার উন্নয়ন সম্ভব। পাঠাগারের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে পড়ার আগ্রহ বাড়বে। শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রতিভা ফিরে আসবে। উপজেলার প্রত্যান্ত এলাকায় ১০টি পাঠাগার চালু করা হবে।

এই পাঠাগারে বই পড়ে আলোকিত হবে এলাকার অনেক মেধাবী মুখ। তারা বই পড়ে জানতে পারবে দেশের সঠিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বই মানুষকে সঠিক পথে পরিচালনা করে। আর বইয়ের দেখানো সঠিক আলোকিত পথে চলে এই অজোপাড়াগ্রামের সন্তানরা নিজেদেরকে বিকশিত করবে এবং উজ্জ্বল করবে এই মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতিসহ দেশের নাম। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে পাঠাগারের মাধ্যমে আবারও ফিরে আসুক জ্ঞান চর্চার সোনালী দিন এমন প্রত্যাশা সকলের।

বিএসএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রতিনিধি, সাপাহার: নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের বিরুদ্ধে একজন বাংলাদেশি যুবকের দুই হাতের ১০টি আঙ্গুলের নখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার ভোরে গরু নিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশের ফেরার পথে সাপাহার উপজেলার পাতাড়ী সীমান্ত এলাকার ২৪২ নম্বর পিলারের কাছে বিএসএফের কাছে আটক হন ওই যুবক। আটক যুবককে বিএসএফ-৬০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা রাঙামাটি ক্যাম্পে নিয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন চালায়। পরে তাঁকে অচেতন অবস্থায় সীমান্তবর্তী পুনর্ভবা নদীর ধারে শূন্য রেখা এলাকায় ফেলে যায়। আহত যুবকের নাম আজিম উদ্দীন (২৮)। তিনি সাপাহার উপজেলার দক্ষিণ পতাড়ী গ্রামের কাবির উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে কোম্পানি ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছে বিজিবি। এদিকে আহত ওই যুবকের বিরুদ্ধে গরু চোরাচালানকারী সন্দেহে সাপাহার থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ১৬ ব্যাটালিয়ন বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতের কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী ও রাখালের সঙ্গে আজিম উদ্দীন পাতাড়ী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁরা ভারত থেকে গরু নিয়ে সীমান্তের ২৪২ নম্বর প্রধান পিলারের কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ফিরছিল। এ সময় ভারতের মালদহ জেলার বামনগোলা থানার বিএসএফ ৬০ ব্যাটালিয়নের রাঙামাটি ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদেরকে তাড়া করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে সক্ষম হলেও আজিম বিএসএফ সদস্যদের হাতে আটক হন। পরে তাঁকে ক্যাম্পে নিয়ে লাঠি ও রাইফেলের বাট দিয়ে বেধড়ক পেটায় বিএসএফ সদস্যরা। তাঁর দুই হাতের ১০টি আঙ্গুলের সব কটি নখ উপড়ে ফেলা হয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে আজিম জ্ঞান হারিয়ে ফেললে বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে সীমান্তবর্তী পুনর্ভবা নদীর ধারে শূন্য রেখায় ফেলে যায়। গতকাল সকাল ৮টার দিকে ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আদাতলা ক্যাম্পের একটি টহল দল নদীর ধারে ওই যুবককে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে সাপাহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান রাসেল জানান, আজিম উদ্দীনকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। দুই হাতের আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলা ছাড়াও তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।   
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে একদল গরু ব্যাবসায়ীর সাথে উপজেলার দক্ষিন পাতাড়ী (তুলশী ডাঙ্গা) গ্রামের কাবির উদ্দীন এর ছেলে আজিম উদ্দীন (২৮) রাখাল হিসেবে ভারত অভ্যন্তরে গরু আনতে যায়। গরু নিয়ে তারা শনিবার ভোরে সীমান্তের ২৪২ আর এস পিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতের বামন গোলা থানার, রাঙ্গামাটি ক্যাম্পের ৬০বিএসএফ’র টহলরত জোয়ানরা তাদের পিছু ধাওয়া করে। এসময় অন্যান্যরা গরু রেখে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আজিম উদ্দীন বিএসএফ’র হাতে ধরা পড়ে। পরে তারা তাকে ভারতীয় বিএসএফ ক্যাম্প এলাকায় নিয়ে গিয়ে জীবন্ত অবস্থায় দু’হাতের প্রত্যেকটি আঙ্গুলের উপরের অংশ  (নখ) উপড়ে ফেলে এবং শারিরীক নির্যাতন করে। এসময় আজিম উদ্দীন বিএসএফ’র অমানুষিক নির্যাতনে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অচেতন অবস্থায় তারা তাকে সীমান্তবর্তী পুর্ণভবা নদীর জিরো পয়েন্টে ফেলে রেখে চলে যায়।
সকাল ৬টার দিকে আদাতলা ১৬বিজিবি’র একটি টহল দল ওই এলাকায় গেলে তারা নদীর কিনারে ওই যুবককে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। এর পর সকাল ১০টার দিকে আদাতলা বিজিবি সদ্যসরা আহত যুবককে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্্ের ভর্তি করায়। বিএসএফ’র নির্যাতনের শিকার আহত আজিম উদ্দীন এখন সাপাহার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদাতলা বিজিবির পক্ষথেকে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছিল। এ ব্যাপারে সকাল থেকে আদাতলা বিজিবি ক্যম্পের কমান্ডার সুবেদার হাবিব এর সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি তবে ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে: কর্ণেল তুহিন মোহাম্মাদ মাসুদ এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। শেষে বিজিবির পক্ষ থেকে সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget