সেপ্টেম্বর 2019
91 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 568 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 105 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 43 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4764 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3394 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2763 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 52 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ভারত থকেে পঁেয়াজ রপ্তানি বন্ধ বাংলাদশেে পঁেয়াজরে দাম এক লাফে দ্বগিুন

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: কদিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেবে। আজ হঠাৎ করে পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।যদিও আজ পেঁয়াজ আমদানীর শেষ দিনে বেনাপোল বন্দরে খুলনার এক আমদানীকারকের ৮০ মেঃটন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে। বিকাল থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হবার খবর ছরিয়ে পড়াই বেনাপোলসহ যশোরের সব গুলো পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।

বেনাপোলের একজন পেঁয়াজ আমদানীকারক জানান, বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার নির্ভর করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী উপর। ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের মুল্য বেড়ে যাবে এবং এর দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের উপর। পেঁয়াজ আমদানী বন্ধের খবর পেয়ে বেনাপোল সহ যশোরে সর্বত্র ৫০ টাকার পেঁয়াজ আজ সন্ধ্যায় ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দোকানীরা জানান, আগামীকাল থেকে পেঁয়াজের বাজার মুল্য আরো বেড়ে যাবে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানীর বন্ধ হওয়ায় আগামীকাল থেকে ১শ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পাওয়া যাবে না।

বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বলেন, ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে দেবে খবরটি আমদানীকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এর কাছ থেকে আগেই জেনেছিলাম। বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে পেঁয়াজের একটি বড় আমদানীকারক।ভোক্তাদের চাহিদা একটি বড় অংশ ভারত থেকে আমদানী করা হয়। বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় একশত মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানী হয়। সেই হিসেবে গত ১ মাসে প্রায় আড়াই হাজার মেঃটন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে। বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার ভারতের উপর নির্ভরশীল। পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ হওয়ার কারনে বাজারে মুল্য বেড়ে যাবে এবং ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম এক লাফে দ্বিগুন

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: কদিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেবে। আজ হঠাৎ করে পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।যদিও আজ পেঁয়াজ আমদানীর শেষ দিনে বেনাপোল বন্দরে খুলনার এক আমদানীকারকের ৮০ মেঃটন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে। বিকাল থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হবার খবর ছরিয়ে পড়াই বেনাপোলসহ যশোরের সব গুলো পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।

বেনাপোলের একজন পেঁয়াজ আমদানীকারক জানান, বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার নির্ভর করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী উপর। ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের মুল্য বেড়ে যাবে এবং এর দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের উপর। পেঁয়াজ আমদানী বন্ধের খবর পেয়ে বেনাপোল সহ যশোরে সর্বত্র ৫০ টাকার পেঁয়াজ আজ সন্ধ্যায় ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দোকানীরা জানান, আগামীকাল থেকে পেঁয়াজের বাজার মুল্য আরো বেড়ে যাবে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানীর বন্ধ হওয়ায় আগামীকাল থেকে ১শ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পাওয়া যাবে না।

বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বলেন, ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে দেবে খবরটি আমদানীকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এর কাছ থেকে আগেই জেনেছিলাম। বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে পেঁয়াজের একটি বড় আমদানীকারক।ভোক্তাদের চাহিদা একটি বড় অংশ ভারত থেকে আমদানী করা হয়। বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় একশত মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানী হয়। সেই হিসেবে গত ১ মাসে প্রায় আড়াই হাজার মেঃটন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে। বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার ভারতের উপর নির্ভরশীল। পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ হওয়ার কারনে বাজারে মুল্য বেড়ে যাবে এবং ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সহ দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

রিপোর্ট : ইমাম বিমান:: ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ও তার  পরকিয়া প্রেমিকাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

ঝালকাঠি জেলার কাঠাঁলিয়া উপজেলাধীন দক্ষিণ চেচরী গ্রামের আলম খান (৪৫) ওরফে আলো খান ও তার পরকিয়া প্রেমিকা একই এলাকার প্রতিবেশী লাল মিয়ার স্ত্রীর পাখি বেগমকে আলমের স্ত্রী বিউটি বেগমকে হত্যার দায়ে তাদের উভয়কেই যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ পাখি বেগমকে আর্থিক ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ গাজী রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
 
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঠাঁলিয়া উপজেলার দক্ষিণ চেচরী গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রীর পাখি বেগমের সাথে তিন বছর যাবৎ পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই এলাকার প্রতিবেশী আলো খানের। পরকিয়া প্রেমের জেরধরে ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক-বির্তক শুরু হয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে স্বামী আলো খান তার স্ত্রী বিউটি বেগমকে (৪০) গলাটিপে হত্যা করে বাড়ির পাশের একটি কচুক্ষেতে  স্ত্রীর লাশ ফেলে দেন। ঘটনায় নিহত বিউটি বেগমের ভাই ফোরকান বাদী হয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি আলো খান ও তার পরকিয়া প্রেমিক পাখি বেগমকে আসামী করে কাঠাঁলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ সাত মাস তদন্ত শেষে ঐ বছরের ১০ অক্টোবর পুলিশ পরিদর্শক মো. ইউনুস মিয়া অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও ১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে মামলায় অভিযুক্ত আসামীদ্বয়ের দোষ প্রমানীত হওয়ায়  আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসমীদের উপস্থিতিতে আসামী আলো খানকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন ও পাখি বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল এবং আসমী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খায়রুল আলম সরফরাজ।

নওগাঁয় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার উদ্যোগে সাংগঠনিক মাসের সমাপনী ও আলোচনা সভা

রায়হান আলম, নওগাঁ : নওগাঁয় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার উদ্যোগে সাংগঠনিক মাসের সমাপনী ও পেশাজীবিদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে প্যারিমোহন লাইব্রেরী মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় অন্যেন্যার মধ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি জহুরা বেগম, সাধারন সম্পাদিকা নূর জাহান বেগম, সহ-সভাপতি সিদ্দিকা খাতুন, লিগ্যাল এইড সম্পাদিকা মমতাজ বেগম, সদস্য শম্পা ও উপমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, সমাজে মেয়েরা এখন আর অবহেলিত নয়। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরা এখন গুরুত্বপূর্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করে থাকে। মেয়েদেরকে ছাড়া এ দেশ কখনো কোন কাজে উন্নতি করতে পারবে না। তাই মেয়েদেরকে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে শিশু নির্য়াতন, নারী নির্যাতনসহ সকল বিষয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান বক্তরা। এসময় প্রায় শতাধিক নারীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা ভূমি অফিসের আয়োজনে মান্দায় বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত সার্ভেয়ারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ: দেশে প্রথমবারের মতো উপজেলা ভূমি অফিস মান্দা, নওগাঁ ও উপজেলা আমিন সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো প্রশাসন, পুলিশ, সাব-রেজিস্টার এবং দলিল লেখকদের সাথে বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত সার্ভেয়ার দের মতবিনিময় সভা ও দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা। সোমবারে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার পাশাপাশি দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
 
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম হাবিবুল হাসানের আমন্ত্রণে এবং মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায়।
 
বিশেষ অতিথি ছিলেন  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স.ম জসিম উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম কুমার মহন্ত, মাহবুবা সিদ্দিকা রুমা, সাব-রেজিষ্টার শংকর চন্দ্র বর্মন, নওগাঁ জেলা আমিন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান হাদী, মান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড মির্জা মাহবুব বাচ্চু।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মান্দা উপজেলা সার্ভেয়ার/আমিন সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব নূর মোহাম্মাদ, সহ- সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রানা, নূর-মোহাম্মদ, নাদের আলী, খয়বর আলী, লুৎফর রহমান, সাধারন সম্পাদক কাজী কামরুজ্জামান বাবুল, সদস্য বাচ্চু, আখতার হোসেন, মামুন, মকছেদ আলীসহ সকল সদস্য।
 
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মান্দা উপজেলার বে-সরকারী পর্যায়ে কর্মরত সকল সার্ভেয়ার/আমিন, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
 
উল্লেখ্য, মতবিনিময় সভা এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মান্দা, এস এম হাবিবুল হাসান জানান মূলত: মাঠ পর্যায়ে যে সকল আমিন/সার্ভেয়ার কাজ করেন তাদের ছোট্ট একটি ভূলের খেসারত দিতে একটি পরিবারকে অনেক সময় বছরের পর পর মামলায় ঝুলতে হচ্ছে। তাদের এই ছোট্ট ভূলগুলোকে এড্রেস করাই এই মতবিনিময় সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার মূল লক্ষ্য।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের পরিচালক ডা: রওশন আরা খানম এর বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

অন্তর আহম্মেদ, নওগাঁ : "কতোটা দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি জানি না, তবে শ্রম ও বৃদ্ধিসত্যাকে পুঁজি করে চেষ্টা করেছি দায়িত্ব পালনে। রুগীদের সঠিক সেবা  প্রদান এর অনুরোধ ও বর্তমান নওগাঁ সদর হাসপাতালে সফলতার প্রত্যাশায় বিদায় নিচ্ছি "
নওগাঁ সদর হাসপাতালের পরিচালক ডা: রওশন আরা খানম এর বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
এমন বক্তব্যকে শাক্ষী করে বিদায় নিলেন নওগাঁ সদর হাসপাতালের পরিচালক "ডা: রওশন আরা খানম"
তিনি গত দু'বছর ধরে 'নওগাঁ আধুনিক সদর হাসপাতাল' এর পরিচালক হিসাবে ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, তার পদক্ষেপ এর প্রায় সব গুলোই ছিলো স্যাফলের মূল মন্ত্র।

উধাহরন স্বরূপ - নওগাঁ সদর হাসপাতালে ১৫০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যাতে উন্নিত করনসহ রুগীদের সঠিক সেবা প্রদানে তার বিশেষ ভুমিকা ছিলো লক্ষণীয়।

এছাড়াও নওগাঁ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বাস্তবায়নে তার প্রচেষ্টা ছিলো অকল্পনীয়।

গত রবিবার ২৯/০৯/২০১৯ইং বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বি.এম.এ এর সন্মানিত সভাপতি ডা: মো. হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ডা: মো. রেজাউল মামুদ, এছারাও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিশোধ এর সভাপতি ডা: মো. আশেক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডা: মো. মাহাবুব আলম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন হাসপাতালটির কর্মকর্তা বৃন্দসহ সাংবাদিক বৃন্দ।

উক্ত অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন, ডা: মো. মুক্তার হোসেন। পুরো অনুষ্ঠানটি নওগাঁ সদর হাসপাতালের অডেটিরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

ডা: রওশন আরা খানম এর বিদায় উপলক্ষে অতিথি বৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অংশগ্রহণ করেন, এবং বক্তব্যের চুড়ান্ত পর্যায়ে  ঠায় পায় ড়া: রওশন আরা খানম এর সাফল্য।

অনুষ্ঠানটিতে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সদর হাসপাতালের বিদায়ী এই পরিচালক ড়া: রওশন আরা খানম।

বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে দুদকের সাবেক ডিডি আহসান আলীর বিরুদ্ধে বেনাপোলে ৭টি সংগঠনের মানববন্ধন

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ সিএন্ডএফ এজেন্টকে জড়িয়ে বেনাপোল কাস্টমস্ কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর অভিযোগে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে স্থবিরতায় দুদকের সাবেক (ডিডি) উপ-পরিচালক আহসান আলীকে আটকের দাবীতে বন্দর ব্যবহারকারী ৭টি সংগঠনের মানব বন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।

রবিবার (২৯/৯/২০১৯ ইং) তারিখ বেলা ১১ টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।বেনাপোল স্থল বন্দর এর ব্যবসায়িক সংগঠন সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বন্দরের ৭ টি সংগঠনের সমন্বয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে দুদকের সাবেক ডিডি আহসান আলীর বিরুদ্ধে বেনাপোলে ৭টি সংগঠনের মানববন্ধন

মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ- সভাপতি ও পদ্মা ট্রেডিং এর সত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, সহ-সভাপতি, খায়রুজ্জামান মধু ও কামাল উদ্দিন শিমুল,সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা,
যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক,আলহাজ্ব মহাসিন মিলন ও আলহাজ্ব জামাল হোসেন, কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক, নাসির উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুল,বন্দর বিষয়ক সম্পাদক ,শাহাবুদ্দিনসহ বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন আমদানী -রপ্তানি কারক ব্যবসায়ী ও সাধারন নাগরিকবৃন্দ।

মানব বন্ধনে কর্মসুচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে একাত্তত্ত্বা ঘোষনা করে  মানব বন্ধনে অংশ নেয় বেনাপোলের বন্দর ব্যবহারকারী সাতটি সংগঠন। এদের মধ্যে রয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ,সি এন্ড এফ ষ্টাফ এসোসিয়েশন, বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক সংগঠন ৯২৫ ও ৮২১,বোনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি, ট্রাক মালিক সমিতি, বেনাপোল শার্শা, নাভারন,ট্রাংলরি শ্রমিক সমিতি। পরে কাস্টমস কর্মকর্তারা একাত্মতা ঘোষণা করে মানববন্ধনে যোগ দেয়।

কেবল উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি প্রায় ২০০০ হাজার কোটি মূল্যের অধিক ৬৭ মন(২৭০০কেজি)ভায়াগ্রা পাউডার বেনাপোল কাষ্টমস হাউজ থেকে ছাড়পত্র না পাওয়াই দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের সাবেক উপরিচালক (ডিডি) উপ-পরিচালক আহসান আলী বেনাপোল কাষ্টমস কমিশনার এবং সি এন্ড এফ এজেন্টদের বিরুদ্ধে একটি সংঘবদ্ধ চক্রে সহায়তায় দুদক কার্যালয় ঢাকা এবং কয়েকটি পত্র পত্রিকায় বির্ভান্ত মুলক কিছু কথাবার্তা তুলে প্রচার প্রচারনা চালায়। কেবল মাত্র হয়রানি শত্রুতামূলক প্রতিহিংসা চরিতার্থের জন্যে ডিডি আহসান আলী দুদকের মত প্রতিষ্ঠানের নাম পদবী ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছেন। সাবেক দুদক কর্মকর্তার এহনো কার্যকলাপের কারণে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে।যার ফলে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট সহ বন্দর ব্যবহারকারী সাতটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতারক উপ-পরিচালক আহসান আলীকে আটকের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আজকের এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

ঝালকাঠিতে জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত

রিপোর্ট : ইমাম বিমান:: ঝালকাঠিতে জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে আগষ্ট ২০১৯ মাসের অপরাধ সম্পর্কিত সকল তথ্য, জেলার সকল থানার মামলা অগ্রগিত, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সেই সাথে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন উপস্থিত জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের মাঝে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উক্ত অপরাধ সভায় মাহমুদ হাসান (পিপিএম)বার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল ঝালকাঠি, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, সহকারি পুলিশ সুপার রাজাপুর সর্কেল সহ জেলার সকল থানা ও তদন্তকেন্দ্রের অফিসার ইন-চার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।


নওগাঁয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন পালিত

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে র‌্যালী আলোচনা সভা ও কেক কেটে জন্মদিন পালিত। গত শনিবারে নওগাঁ জেলা যুবলীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয় থেকে এক আনন্দ র‌্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এসময় নওগাঁ জেলা যুবলীগের সভাপতি এ্যাড. খোদাদাদ খান পিটু, সাধারন সম্পাদক বিমান কুমার রায়, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠিনক সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার গোপাল, নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, নওগাঁ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পারভিন আখতার, সহ-সভাপতি সোমা মজুমদার, নওগাঁ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মামুনুজ্জামান মামুন, নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান শিউল, নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রোমান হাসানসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা যুবলীগসহ বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও কেক কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন পালন করেন।
নওগাঁয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন পালিত

নওগাঁর মান্দায় বাড়ির উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইন॥ চরম ঝুঁকি নিয়ে কয়েকটি অসহায় পরিবারের বসবাস!

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ : নওগাঁর মান্দায় বাড়ির উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইন, যেনো দেখার কেউ নেই! চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েকটি অসহায় পরিবার। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা। ভূক্তভোগীরা  নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় হতাশার মধ্যে দিনানিপাত করছে। ভূক্তভোগীদের পক্ষে অভিযোগকারী উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউ'পির দক্ষিণ নুরুল্যাবাদ গ্রামের (গোয়ালমান্দা সুইচ গেট) মৃত তরিকুল্লা মন্ডলের ছেলে আকবর আলী মন্ডল।

উল্লেখ্য, মান্দা  উপজেলার একাধিক  গ্রামের বিভিন্ন স্থানে পল্লী  বিদ্যুতের তার গাছের ওপর ঝুলে পড়েছে। আবার কোথাও কোথাও স্থানীয় প্রভাবশালীদদের ইন্ধনে  বসত বাড়ির উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর সংযোগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী,অভিযোগসূত্রে এবং স্থানীয় ভূক্তভোগীদের মাধ্যমে জানা যায়, তারের সংস্পর্শে এসব গাছের ডালে প্রায়ই আগুন ধরে যায়। অনেক বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে, বাঁশের খুঁটি ও গাছের ডালে তার বেঁধে। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চললেও সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাটির রাস্তার পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কংক্রিটের খুঁটি বসিয়ে মূল বিদ্যুৎ-সংযোগ উপজেলার দক্ষিন নুরুল্যাবাদ (গোয়ালমান্দা সুইচ গেট)  পশ্চিমপাড়া থেকে একই গ্রামের পূর্ব পাড়ায় (করাতি পাড়া) ঢুকেছে।
 প্রয়োজনের তুলনায় খুঁটি কম বসানোয় বিদ্যুৎ-সংযোগের তার বিভিন্ন স্থানে গাছের উপর এবং বসত বাড়ির উপর ঝুলে পড়েছে। তারে কোনো আচ্ছাদন নেই। তারের আশপাশের অনেক গাছের ডাল পুড়ে গেছে। অনেক স্থানে তার বাঁশের খুঁটি দিয়ে উঁচু করে রাখা রয়েছে। রাস্তা থেকে ১০০-২০০ গজ দূরের বাড়িগুলোতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে তার বাঁশের খুঁটি ও গাছে ডালের সঙ্গে বেঁধে।

গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ  গ্রামে প্রায় ২ বছর পূর্বে  বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দূর্ঘটনা  এড়াতে কিছুদিন পরপর অন্তত তারের আশপাশে থাকা গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার কথা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের। বিভিন্ন সময়ে তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেও অনেক জায়গায় আজ পর্যন্ত ডালপালা ছাঁটা হয়নি। ফলে প্রায়ই তারের সংস্পর্শে গিয়ে গাছের ডালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে ও আগুন ধরে যায়। এ ছাড়া ঘরের চালের খুব কাছ দিয়ে ও গাছের ডালে তার ঝুলিয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করতে হচ্ছে।

দক্ষিণ নুরুল্যাবাদ (গোয়ালমান্দা সুইচ গেট) গ্রামের কুয়েত প্রবাসী গুলবর রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম  বলেন, কোনো নিয়ম না করেই আমাদের বসত বাড়ির উপর দিয়ে পল্লী  বিদ্যুতের মেইন লাইনের সংযোগ দিয়েছে পল্লী  বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তারের কাছে থাকা গাছের ডাল এবং বাঁশ দীর্ঘদিন কাটা হয়নি। ফলে একটু বাতাস হলেই ডালে আগুন ধরে যায়। তারগুলো খুব নিচে ঝুলে থাকায় গ্রামবাসী আতঙ্কে থাকে।

দক্ষিণ নুরুল্যাবাদ গ্রামের মৃত তরিকুল্লা মন্ডলের ছেলে গুলবর রহমান বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে  আমাদের বাড়ির টিনের উপর দিয়ে যে লাইনটি টানা হয়েছে, সে  বিদ্যুতের তারের কাছে থাকা বাঁশঝাড়ের বাঁশে বিকট শব্দ করে আগুন ধরে যায় এবং আমাদের বাড়ির টিনসহ পুরা বাড়ি আর্থিং হয়ে যায়। আমাদের বসতবাড়ি ভিটার জায়গা জমি কম, কোনমতে কষ্ট করে পরিবার পরিজন নিয়ে   বসবাস করতে হয়। আমরা খুব বিপদে আছি। খুব টেনশনে বাড়িতে অবস্থান করতে হয়। কখন যে কি হয়,বলা মুশকিল। এতোটুকু জায়গার উপর বাড়িঘর। তারমধ্যে আবার পল্লী বিদ্যুৎ এর মেইন লাইন। এটা কি মেনে নেওয়ার মতো? কিন্তু উপায় নেই। আমরা দূর্বল,অসহায় মানুষ আমাদের কোন ক্ষমতা নেই। এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা জোর পূর্বক কাজটি করেছে। আর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস তাদের কথায় শায় দিয়ে আমাদের কোন বাধা নিষেধ না শুনে এমনটি করেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। আমাদের দাবি সরেজমিন তদন্তপূর্বক জনস্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যতিক লাইনটি স্থানান্তর করা হোক।

এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। প্রতিবারই অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়াতো দূরের কথা, আজ পর্যন্ত কেউ পরিদর্শনেও আসেনা । আর বিশেষ করে জরুরি মুহুর্তে পল্লী বিদ্যৎ অফিসে ফোন করেও কোন রেসপন্স পাওয়া যায় না। তাদের বদ অভ্যাস হচ্ছে যে, তারা সহজে কোন পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকের ফোন রিসিভ করতে চাননা।


সৌদি বাদশাহর দেহরক্ষীকে গুলি করে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক   সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরেই নিহত হয়েছেন এই দেহরক্ষী। শনিবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মক্কা পুলিশের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন।

ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন বাদশাহর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মেজর জেনারেল আবদুল আজিজ বিন বাদাহ আল ফাঘাম। সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

মামদুহ আল আলি নামের এক বন্ধুর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আবদুল আজিজ। সে সময় আল আলি বাড়ির ভেতরে গিয়ে অস্ত্র নিয়ে ফিরে আসেন। তিনি বেড়িয়ে এসেই আবদুল আজিজকে গুলি করেন। সে সময় আরও দু'জন গুলিবিদ্ধ হয়।

আল আলি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পরে আবদুল আজিজের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আল আলিও নিহত হয়েছেন। এই ঘটনা তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ।a

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাবে ইলিশের প্রথম চালান

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: দুর্গাপূজা উপলক্ষে  ভারতে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রথম চালানে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানি হবে। প্রতিকেজি ইলিশ ৬ ডলার মূল্যে রফতানি করা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশি টাকা প্রতিকেজির দাম পড়বে ৫০০ টাকা করে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছাড় করা হবে ইলিশের এ চালান।
 বিষয়টি জানিয়েছেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স এমি এন্টারপ্রাইজ। এ প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি  মহিদুল হক জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পূজা উপলক্ষে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির নির্দেশনা রয়েছে। সেজন্য রবিবার দুপুরে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতে রফতানি হবে।
ইলিশের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার গাজীপুরের একুয়াটিক রিসোর্ট লিমিটেড। আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ হচ্ছে ভারতের কলকাতার নাজ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেড।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো সুপার আজিজুল রহমান নিশ্চিত করে জানান,সিএন্ডএফ এজেন্টর কাগজ পত্র আসলে তাদের কাজ দুরত্ব করে দেওয়া হবে। 
প্রসঙ্গত,  ভারতের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সুসম্পর্ক বাড়াতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। যদিও ২০১২ সালের আগ পর্যন্ত ভারতে ইলিশ রফতানি করা হতো। তবে দেশে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পরে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় সরকার। সাত বছর পর পূজা উপলক্ষে ফের ইলিশ রফতানি করা হলো।

 
ক্যাসিনো মামলার আসামিদের জন্য বেনাপোলে সতর্কতা
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: সম্প্রতি আলোচিত ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে যারা আসামি হয়েছেন তারা যাতে কোনোভাবেই দেশ ত্যাগ করতে না পারেন তার জন্য বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সীমান্তেও সতর্ক রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সতর্কতার বিষয়টি বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত পথে বিভিন্ন কৌশলে ভারতে যাওয়ার সুযোগ থাকে বেশি। তাই এ সীমান্ত পথে তাদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়না। এ জন্য কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে এ সীমান্তে সতর্কতা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত এলাকা ঘুরে পুলিশ ও বিজিবি’র এ নজরদারি ও সতর্কতা চোখে পড়ে। ইমিগ্রেশনে ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নাম, ঠিকানা যাচাই ও পাসপোর্টের সঙ্গে তাদের ছবি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া একাধিক বা জাল পাসপোর্ট যাতে ব্যবহার করতে না পারেন কেউ তার জন্য হাতের ছাপও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।

সীমান্তে দেখা যায়, বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছেন। কোনো ভাবেই যাতে অবৈধভাবে কেউ সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারেন সে জন্য তারা সতর্কতা আগের থেকে বৃদ্ধি করেছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন খান পাঠান জানান, ঢাকা পুলিশের এসবি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) থেকে তাদের কাছে একটি নির্দেশনা এসেছে। যুবলীগের ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট ও ৯ নেপালের নাগরিক যাতে কোনোভাবেই দেশ ত্যাগ করতে না পারেন তার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন নতুন নতুন আরও নামের তালিকা আসছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা ও ২১ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় ঘোষিত অপরাধীরা যাতে কোনো ভাবে সীমান্ত পথে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য তাদের সৈনিকরা সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঝালকাঠিতে দলীয় অভ্যন্তরীন গণতন্ত্র চর্চা বিষয় জেলা বিএনপি'র প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রিপোর্ট : ইমাম বিমান:: ঝালকাঠিতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা বিষয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল সংগঠনের সহযোগীতায় আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপি'র আয়োজিত গণতন্ত্র চর্চা বিষয়ক এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর। 

নলছিটি উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি এনায়েত করিম মিশুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক অ্যডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন ও নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম গাজী, জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের রাজনৈতিক ফেলো সফিকুল ইসলাম জুয়েল ও অ্যাডভোকেট সাকিনা আলম লিজা প্রমুখ।

উক্ত কর্মশালায় নলছিটি উপজেলা বিএনপি তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২৫ জন নেতাকর্মী অংশ নেয়। কর্মশালা পরিচালনা করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী দ্বীপু হাফিজুর রহমান।

দীপ্ত জীবন উপাখ্যানের একটি বৃহৎ আলেখ্য নজরুল ইসলাম তোফা

''ভোর হলো দোর খোল খুকু মনি উঠোরে'' এভাবেই যেন ডেকে তাঁর বাবা খুব ভোরে কোলে নিয়ে আদর, সোহাগ করতেন। সে ডাকে নাকি 'নজরুল ইসলাম তোফা' সাড়া দিয়ে বাবার সাথে আধো আধো অস্পষ্ট কথায় যেন মগ্ন হয়ে থাকতেন। ছেলের ছোট্ট চোখে স্বপ্নও দেখতো তাঁর 'বাবা', তাকে ধরে রাখার তখন কোনো ক্যামেরা পান নি, ছোট্টবেলার সেই প্রতিটি মুহূর্ত ও প্রতিটি দিন, অতীতের বহু স্বপ্ন গুলো স্মৃতিরপটে তাকে ধরে রাখা বা না রাখাই যেন একেকটা ছবি বা চিত্র, মহামূল্যবান কাব্যতেই যেন রূপ নিত। তাঁর বুকের ভেতরের শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্রটাও যেন সারাপৃথিবীর সর্বোচ্চ বড় গুদাম, তাই তো সেখানে সুরকে বেঁধে রাখা কোনো এক পণ্যের বস্তার মতোই যে। আরো তো আছে ছেলে বেলার সেই সু-মধুর সময় নিয়ে কথা। তাঁর বাবার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর অনেক ভক্ত ছিলেন, তাই তাঁর নামও হয়ে গেল নজরুল ইসলাম তোফা। কাজী নজরুলের-তোফা না কি তিনিই। সেই জাতীয় কবি-নজরুলের রেখে যাওয়া এমন তোফা কিংবা উপহারই যেন তিনি। তাঁর বাবার এ ধারণা নিয়েই সন্তানের ভবিষ্যৎ ও মঙ্গল কামনা করতেন। তাঁর চোখে মুখে শৈশব থেকেই দেখতে পেলেন যেন শিল্প সংস্কৃতির ছোঁয়া। তিনি দিনেদিনে বড় হচ্ছেন, বুঝতে বা জানতেও পারছেন বহুকিছু। তাঁর শুরু হয়ে যায় গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে ভাবুক মনে একাকিত্বে হাঁটাহাঁটি। অনেক সকালেই সূর্য-উদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে যেন পথে-ঘাটে পড়ে থাকা ''ময়লা কাগজ'' পড়া শুরু করেন। পড়ে থাকা সেই ময়লা যুক্ত কাগজের ছড়া বা কবিতা পছন্দ হলেই যেন তা কাটিংকরে ঘরে এনে আবৃত্তির পাশাপাশি সেগুলোর ভাব ধারায় অনেক কবিতা ও ছড়া খেলা লেখি করতেন এবং নিজের সে লেখাগুলোতে মনের মাধুরী দিয়ে নানা ধরনের ইলাসট্রেশন, ক্যালিগ্রাফি করা আরম্ভ করতেন। তাছাড়াও বইয়ের মলাটে প্রচ্ছদ অংঙ্কন সহ ছড়া কিংবা কবিতা লিখে নিজস্ব প্রতিভার আলোয় মনের অজান্তে ছুটে চলতেন। এইগুলো দেখে তাঁর বাবা আনন্দ পেতেন এবং তাঁর নিজের গ্রাম 'পাঁজর ভাঙ্গা' বাজার থেকে ক্রয় করে দিতেন কাজী নজরুল ইসলামের ছড়া ও কবিতার বই। সেই সময় বাবা মনে করেছিল, তরুণ জীবনে এমন শিল্প জ্ঞানহীন ছেলের প্রতিভার বিকাশ অমন্দ নয়, এক দিন তাকে শিল্পের মাস্টার তৈরি করবো। আজ তা সত্য হয়েই গেছে, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা বিভাগ থেকেই এমএফএ করেছেন। এখন তিনি কর্মরত আছেন কর্মরত রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয় অর্থাৎ চারুকলার এক জন মাস্টার বা চিত্রশিল্পী।
 
'শুনেছো- ঠিকই শুনেছো। তাঁর কেনো সুনাম থাকবে না, কেন বলো? কতকাল ধরে কৃতিত্বের সঙ্গে এ কাজ করে আসছি’ শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নাটক সংগ্রহ' গ্রন্থের ‘স্বর্গে কিছুক্ষণ’ নাটকের সংলাপ এটি। এমন এ সংলাপ তাঁর অনেক ভালো লাগে। তাই মাঝেমধ্যেই এমন গ্রন্থটি বের করে তিনি পড়েন। কথা গুলো তিনি এক নাগাড়েই যেন বললেন। গ্রন্থ-প্রেমী, নাট্যকার এবং নাট্যাভিনেতা- নজরুল ইসলাম তোফা বলা যায় যে, তিনি সরল মনের মানুষ। তাঁর অভিনয়ে অবাধ বিচরণ ছিল গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে বহমান আত্রাই নদী'র তীর। নওগাঁ জেলার ১৩ নং কশব ইউনিয়নেই স্থায়ী ঠিকানা। তাঁর পিতার হলেন, মোঃ কমর উদ্দীন শাহানা। তাঁর দ্বিতীয় সন্তান- নজরুল ইসলাম তোফা। তিনি পড়া শোনা করেন, গ্রামের স্কুলেই ৫ম শ্রেণী আর চকউলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এস এস সি'র পরপরই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগে ভর্তি হন। তারপরে প্রচণ্ড স্বপ্নবাজ এমন গ্রন্থ-প্রেমী সাদা মনের মানুষটি নাট্যাঙ্গনের প্রতি মনোযোগী হয়েছেন। এ ভাবে দিনেদিনে নানা ধরনের নাটক নির্মাণ করার সহিত নানান নাটকের চরিত্রে অভিনয়ে মগ্ন থেকেছেন তিনি।
 
নজরুল ইসলাম তোফার জন্ম ০৫ জুলাই ১৯৭৫ সালে। তিনি এখন থাকেন রাজশাহীর বর্নালীর মোড়েই, হেতেম খাঁতেই অবস্থিত- "গ্রীন গার্ডেন টেকনিক্যাল এন্ড বি.এম কলেজের পার্শ্বে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা বিভাগ থেকে পড়া শোনা শেষ করে রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশিই অভিনয় করেন। গ্রন্থপ্রেমী নাট্যসমগ্র সংগ্রহে নেশা পূর্ণভাবে শুরু করেন। নান্দনিক দৃষ্টিতে ঘরে অসংখ্য পুস্তকের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। বই গুলো শুধু সংস্কৃতিমনা মানুষদের ভালো লাগবে মনে করি। শুধু বই ক্রয় করে সেলফে রাখেননি, কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রতিদিনই যেন একটি হলেও নাট্য পান্ডু লিপি পড়েন। জানা গেল, তাঁর মনের ক্ষুধা অনেক বড়। সেই ক্ষুধা মেটানোর জন্য তিনি যখনই সুযোগ পান তখনই বই পড়েন। শৈশবে নজরুল ইসলাম তোফা স্কুল ও পূঁজা-পার্বণেও যাত্রা করেছেন। তাঁর নিজ গ্রামে গ্রামে ঘুরে অভিনয় ও কৌতুক করে মানুষ হাঁসাতেন। সে যাত্রা কিংবা কৌতুক পরিবেশনের পাণ্ডু লিপি যেন তিনি কপি করতেন নিজ হাতে লিখে। আর তাঁর সঙ্গে যারা কৌতুক বা অভিনয় করতেন তাঁদের 'প্রম্পট ও অভিনয়' শিখিয়ে দিতেন। এইভাবেই তাঁকে বই পড়ার নেশাটি পেয়ে বসে। পরে ভিডিও নাটকে অভিনয় শুরু তাঁর। এইভাবেই বৃহৎ পরিসরে প্রতিশ্রুতিশীল ও প্রতিভাবান এই নাট্যাভিনেতা আলোচিত ব্যক্তি হয়ে উঠেন। এলাকাজুড়ে সমালোচিত হতেও শুরু করেন, কারণটি হলো এই তাঁর নিজ গ্রামের বাড়ির পাশে আত্রাই নদীর পাড় এবং সেখানেই স্কুলমাঠ আর সে মাঠে বিরাট কড়ই গাছ। গাছের গোড়ায় বসেই ঘন্টা পর ঘন্টা উচ্চস্বরে ও হেলে দুলে অভিনয় চর্চা আর মাঝে মাঝে বিরতি নিয়েই 'ক্রিয়েটিভ চিত্রকর্ম' চর্চা করে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বলা যায় যে, সবই ছিল তাঁর পাগলের মতো। তারই ফলশ্রুতিতে প্রায়  চার হাজার মতোই নাট্য সমগ্র গ্রন্থ তাঁর সংগ্রহে রয়েছে। যে কারণেই কোনো প্রহসন নয়, অনুপ্রেরণার গল্পই বলা চলে।
 
কোনো দুর্লভ এবং ব্যতিক্রমধর্মী নাট্য সমগ্র পুস্তকসমূহ  সংগ্রহের প্রয়োজন পড়ে, সবার আগেই তিনি মনে করে রাজশাহীর বুক পয়েন্টের মালিক চন্দন দার কথা। তিনি কলকাতা ও ঢাকা গিয়ে তাঁকে মনের খোরাক মেটানোর জন্য নাট্য সমগ্র এনে দিতেন। নিজস্ব বুদ্ধিদ্বীপ্ত চেতনায় বই পাগল নাট্যপ্রেমী মানুষ বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলে নাটক করছেন এবং আগামীতেও দক্ষতার সহিত করে যাবেন। তাঁর নাট্য গুরু শিমুল সরকারের অবদান তিনি কখনোই অস্বীকার করতে পারেন না। কারণ- তাঁর গুরু 'অনুপ্রেরণা বা সুযোগ' না দিলে জীবনের অনেক অর্জন অপূর্ণ থেকেই যেত। গ্রন্থ-প্রেমী 'নজরুল ইসলাম তোফা' নিজের শৈল্পিক চিন্তায় বইয়ের মলাট করে রাখেন তুলি কলম দিয়ে পূর্নাঙ্গভাবেই প্রচ্ছদ অংকন করে। শুধু তাই নয়, সেই গ্রন্থ গুলোকে ক্রমিক নম্বরের আওতায় এনেই তা ডায়রিতে ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী লিপিবন্ধ করেছেন।আর তিনি এমন রুচিশীল ব্যক্তি হবেনা কেন? তিনি তো চিত্রশিল্পী, চারুকলা কলেজের শিক্ষক। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে গ্রন্থ খুঁজে পেতে চমৎকার লেখাটি মনোযোগ আকর্ষণ করবে। নাট্যগ্রন্থ প্রেমী নজরুল ইসলাম তোফা দেশি-বিদেশের লেখকদের লেখা নাটকের সমগ্র সংগ্রহ করেন। বর্তমানে তার সংগ্রহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, উৎপল দত্ত, বাদল সরকার, বুদ্ধদেব দাশ গুপ্ত, বুদ্ধদেব বসু,শরবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোজ মিত্র, অলোক রায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, শুম্ভ মিত্র, নভেন্দু সেন, চন্দন সেন, লোকনাথ ভট্টাচার্য, ধনঞ্জয় বৈরাগী, ব্রাত্যরাইসু, সেলিম আল দীন, আব্দুল্লাহ আল- মামুন, মান্নান হীরা, মামুনুর রশীদ,হুমায়ূন আহমেদ,মমতাজউদ্দীন আহমদ, রামেন্দ্র মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, আলী যাকের,আহম্মেদ ছফা, আবুল হোসেন, সিকান্দার আবু জাফর, প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক সহ দেশি-বিদেশি খ্যাতিমান সব লেখকদের বাংলা ভাষায় লেখা নাটকের অনেক রুচিশীল নাটকসমগ্র। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া শোনা চলাকালীন থেকেই বহু ধরণের বই সংগ্রহের নেশায় মগ্ন ছিলেন। তাঁর সংগ্রহ শালাতে আজও রয়েছে ১ম শ্রেণী থেকেই আরম্ভ করে শিক্ষা জীবনের কেনা যত গুলি বই- সবগুলোই।
 
তবে তাঁর নাটকের সমগ্র সংগ্রহের নেশা তৈরি হয়েছিল- ১৯৯২ সালের দিকেই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগে ভর্তি হবার পরে। নাটকের গ্রন্থ সংগ্রহের বিষয়ে বলতে গিয়েই তিনি বলেছেন ২০১০ সালের দিকে আমি ধারাবাহিক 'চোরকাব্য' নাটকে কাজ করেছিলাম। তখন শ্যুটিং এর জন্যে ঢাকায় ছিলাম। সেইজন্য ‘টিভি নাটক সমগ্র’ গ্রন্থটি সংগ্রহ করার জন্যেই গিয়ে ছিলাম ঢাকার নীলক্ষেতে। আর সেখানে গিয়ে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। আমার পরনের শার্টটি ছিঁড়ে যায় দ্রুত চলমান রিকশায় বেঁধে। সেই ছিঁড়া টিশার্ট পরেই মার্কেটের ভিতরে ঘুরতে থাকি। নতুন শার্ট কেনার জন্যে না, পছন্দের সেই গ্রন্থটি কেনার জন্যে। মনটা খারাপ হলেও টি-শার্ট কেনার জন্য কোনও আগ্রহ ছিল না। কারণ হলো শার্টের চেয়ে গ্রন্থটি বেশি প্রয়োজন ছিল তখন। আবেগ জড়িত কন্ঠেই তিনি আরো বলেন, আর একটা বিষয় হলো সেসময় চাইলেই হয়তো টি-শার্ট কিনে নিতেই পারতাম, তবে শার্ট কিনলে গ্রন্থটি কেনার টাকা হতো না। 'ঢাকা থেকে বাড়ি' ফিরতে বই কেনা টাকা ব্যতিত পকেটে ছিলো মাত্র ৫ শত টাকা। যাক অনেক কথাই তাঁর স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠে, তাঁর বাবা হঠাৎ একদিন বলেই বসেছেন, এতো পুস্তক সংগ্রহ করছো কি হবে- এতো? উত্তরে তিনি বলেন, বই আমার অপূর্ণতাকে কাটিয়ে উঠার সহায়ক হচ্ছে, তা ছাড়া তুমি তো একদিন থাকবে না। তখন আমার ছেলেকে বলবো, আমার বাবা আমাকে এমন এ লাইব্রেরি করে দিয়েছে। তুমিও তোমার সন্তানদেরকে বলবে। আসলেই নজরুল ইসলাম তোফার বাবা সেইসময় কান্না জড়িত কন্ঠে তাঁর দিকে চেয়ে বলেন, তোমার চিন্তা-চেতনার জায়গা আমি বুঝি রে বাপ। তারপরে তাঁর বাবা বই সংগ্রহ নিয়ে কোন কথা বলেননি। এটি ছিলো তোফার পুস্তক সংগ্রহের বড় শক্তি।

গ্রন্থ সংগ্রহ করতে করতে বর্তমানে তার সংগ্রহে শুধুমাত্র নাটকের সমগ্র গ্রন্থ প্রায় ৪ হাজারের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের গ্রন্থও প্রয়োজনের তাগিদে কিনে থাকেন। তাঁর সংগৃহীত বইয়ের মধ্যে যেন আছে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান লেখককের শুধু বাংলা ভাষায় লেখা নাট্য সমগ্র বা অনুবাদ করা নাট্যগ্রন্থ। সেই গ্রন্থগুলো দিয়েই নিজের বাড়িতে তৈরি করেছেন একটা সংগ্রহশালা। কেন তিনি এতো গুলো নাট্য সমগ্র সংগ্রহ করেছেন কিংবা এখনো তা সংগ্রহ করেই যাচ্ছেন এবং সেই গুলোকে সযত্নে সংরক্ষণ করেন জানতে চাইলেও নজরুল ইসলাম তোফা বলেছেন,- ‘'ছোট বেলা থেকেই নাটকে অভিনয় করি আর 'নাটকের বই' পড়ার দরকার পড়ে, সে চেতনা থেকেই নাটকের বই কিনি এবং পড়তে ভালোবাসি। স্কুলে পড়া কালে মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়েই শুরু হয় নাটক বা অভিনয় করা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরেই নাট্যগুরু পরিচালক শিমুল সরকারের সঙ্গে থিয়েটারে যুক্ত হই। এই ভাবে নাটক করতে করতে এক সময় টিভি নাটকে কাজের সুযোগ আসে। সুতরাং- সেখানে গিয়ে কাজ করার সময়, নিজের ভিতরেই কিছু অপূর্ণতা আছে তা মনের মধ্যেই যেন জাগ্রত হওয়া শুরু করলো। অপূর্ণতাকে কাটিয়ে উঠতে, আর নাটক কিংবা অভিনয় সম্পর্কে আরো বেশি জ্ঞানার্জনের লক্ষ্যেই যেন বিভিন্ন খ্যাতিমান নাট্যকার ও লেখকদের লেখা নাট্যগ্রন্থ সংগ্রহ করে পড়তে শুরু করি। এভাবেই আমার সংগ্রহে জমা হতে থাকে একের পর এক নাট্যগ্রন্থ।

পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষের জীবন ভাবনা থাকে আর থাকে স্বপ্ন। কিছু মানুষ আছে যাদের মধ্যে স্বপ্নের জগৎ অনেক বড়। নজরুল ইসলাম তোফাও যেন সে ভবিষ্যত স্বপ্ন পরিকল্পনায় স্বপ্ন বাজদের দলেই। তিনি পথ নাটক, মঞ্চ নাটক এবং টেলিভিশনে শতাধিক নাটকে অভিনয় করে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তারমধ্যেই যেন টিভিতে তাঁর  প্রচারিত নাটক- প্রায় তিরিশটার মতো। বর্তমানে একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। নাট্যকার ও পরিচালক শিমুল সরকারের সেই টেলিফিল্মের নাম- "গুপ্তধন এবং একজন বৃদ্ধ''। অভিনয়ের পাশাপাশি কয়েকটি নাটকও লিখেছেন। আগামীতেই একটি স্ক্রিপ্ট পরিচালক শিমুল সরকার পছন্দ করেছেন। সুতরাং- নাট্যগ্রন্থ সংগ্রহ তাঁর দিনে দিনেই কাজে দিচ্ছে। এই নাট্যগ্রন্হ নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু করার পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চাইলেও তিনি বলেন, ‘এসব কাগজের গ্রন্থ তো বেশি দিন অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করা সম্ভব না। সেই জন্যে এসব দেশ বিদেশের 'মূল্যবান গ্রন্থ গুলো' অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করার জন্য ই-বুকে রুপান্তরিত করে একটি 'ই-লাইব্রেরি বা অনলাইন আর্কাইভ' তৈরির পরিকল্পনা আছে। যাতে সযত্নে নিজের সংগ্রহে রাখার পাশাপাশি গ্রন্থগুলো দ্বারা অন্যদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়তাও করতে পারেন।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ৪৫টাকা চার্জ আদায় করছে কিন্তু ট্রলি সুবিধা নেই

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: বেনাপোল চেকপোষ্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এর চার্জ বাবদ ৪২.৭৫ টাকা নিলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারনে যাত্রীর ল্যাগেজ আনা নেওয়ার জন্য  ট্রলি চালু হচ্ছে না। পাসপোর্ট যাত্রীদের রোদ বৃষ্টিতে না ভেজা, বিশ্রাম নেওয়া, পানি ও টয়লেট সুবিধা, আধুনিক মানের হোটেল রেস্তোরা, যাত্রীর ল্যাগেজ নেওয়ার জন্য ট্রলি সুবিধা সহ নানান ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ৪৫টাকা চার্জ আদায় করছে কিন্তু ট্রলি সুবিধা নেই

স্থানীয়রা জানায়  গত ২০১৭ সালের জুন মাসে এ টার্মিনালটি দুর দুরান্ত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের সুবিধার্থে চালু করে স্থল বন্দর বেনাপোল কর্তৃপক্ষ। তখন  থেকে এই টার্মিনাল এর অজুহাত দেখিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীর নিকট থেকে এট্রি ফি , ওয়েটিং র্ফি, িিসর্ভস চার্জ ও টার্মিনাল চার্জ বাবদ ৩৮টাকা ৭৬  পয়সা নিত বন্দর কর্তুপক্ষ। এর ৬ মাস যেতে না যেতে কোন সুযোগ সুবিধা না বাড়িয়ে যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করছে কাগজে কলমে ৪২.৭৫ টাকা। তবে বাস্তবে নিচ্ছে তারা ৪৫ টাকা। পাসপোর্ট যাত্রীদের নিকট থেকে এই ৪৫ টাকা নিয়ে ২০ জন যাত্রীকে বসার কোন সুযোগ সুবিধা না দেওয়ায় জনমনে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এছাড়া প্রথমে পুরো টার্মিনাল ভবনের নীচতলা যাত্রীদের জন্য রাখলেও এখন তার অর্ধেকের বেশী আটকিয়ে দিয়ে কাস্টমসের স্কানিং মেশিন বসানো হয়েছে।

ঢাকার পাসপোর্ট যাত্রী হেনা বেগম বলেন আমাদের নিকট থেকে এই টার্মিনাল থেকে ৪৫ টাকা চার্জ নিচ্ছে । অথচ আমাদের ল্যাগেজ বহন করতে হচ্ছে পয়সা দিয়ে । এবং অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ল্যাগেজ বহন করতে হচ্ছে। খুলনার আজিম শেখ বলেন, আমাদের নিকট থেকে ৪৫ টাকা চার্জ নিলেও এখানে কোন সুযোগ সুবিধা নেই। যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। ভিতরে বসার কোন জায়গা নেই। নেই পরিস্কার পরিচ্ছনতা।

এব্যাপারে বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, আমরা ট্রলি চালু করেছি। কিন্তু যাত্রীরা বুঝতে পারছে না ট্রলির ব্যবহার। তবে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের পাশে কয়েকটি ট্রলি অলস পড়ে রয়েছে কেউ ব্যবহার করছে না। যেখানে যাত্রী যাতায়াত হয় প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ হাজার পর্যন্ত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরের এক কর্মচারী বলেন, লোক না থাকায় ট্রলি ব্যবহার হচ্ছে না। কারন এই ট্রলি নোম্যান্সল্যান্ডে গেলে হারিয়ে যেতে পারে। এর জন্য জনবল প্রয়োজন।

উল্লেখ্য গত ৭ জুলাই বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ট্রলি চালুর শুভ উদ্বোধন করেন এনবিয়ার চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুুইয়া। সেই উদ্বোধনের পর থেকে এখনো কোন ট্রলি চালু হয়নি।একমাত্র বন্দর কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্য।

নওগাঁয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করা হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে শনিবার সকাল ১০ টায়  যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হাই দুলালের সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র ৭৩ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলদার হোসেন।
 
এ সময় সময় উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক সরকার, মাহফুজার রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, দপ্তর সম্পাদক আবু ইউসুফ মর্তুজা রহমান, শ্রমিকলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, মহিলালীগ সভানেত্রী আঞ্জুয়ারা, মহিলালীগ নেত্রী  শাহিনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নেতাকর্মীবৃন্দ জন্মদিনে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভ্যাকসিন হিরো’ উপাধি লাভ করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget