আগস্ট 2020
91 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 568 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 105 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 43 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4764 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3394 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2763 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 52 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বিয়ে পাগল মেম্বার, ৭০ বছর বয়সে নবম বিয়ে


রবিউল হাসান,লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ওরফে হবি (৭০) এ পর্যন্ত নয়টি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে নিজের ছেলের বান্ধবীকেও বিয়ে করেছেন তিনি।

সাবেক এই মেম্বারের দাবি, শখের বসে নয় বরং ঝগড়া আর বউয়ের অসুস্থতায় বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। একের পর এক বিয়ে করায় বিয়ে পাগল হবি মেম্বার নামে পেয়েছেন পরিচিত।

জানা গেছে, আটজন স্ত্রীর মধ্যে জমি-জমা বিক্রি করে ইতোমধ্যে তিনজনকে ডিভোর্স দিয়েছেন হবি মেম্বার। একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে আরেক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বাধ্য হয়ে বিয়ে ঠেকাতে পাটগ্রাম থানা ও লালমনিরহাট পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রথম স্ত্রী রহিমা বেগম।

রহিমা বেগম বলেন, ৪০ বছর আগে আমাকে বিয়ে করেছেন হবি। এরপর আমার মতের বিরুদ্ধে একের পর এক আটটি বিয়ে করেছেন। তিনি একজন লম্পট, নারীকে ভাগিয়ে এনে অন্যের সংসার নষ্ট করে মজা পায়। বর্তমানে আমার ছেলে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে, নাতি-নাতনি রয়েছে। এ অবস্থায় অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে আবার বিয়ে করতে চাচ্ছেন হবি মেম্বার। তার জন্য গ্রামে মুখ দেখাতে পারি না।

হাবিবুর রহমানের ছেলে ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা বিয়ে পাগল। তিনি আমার বান্ধবীকে পর্যন্ত বিয়ে করেছেন। তিনি বুড়ো বয়সেও বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছেন। তার কারণে আমাদের মেয়ে, ভাতিজি ও ভাগ্নিদের বিয়ের প্রস্তাব আসলে খারাপ মন্তব্য করে মানুষ।

স্থানীয় আমের আলী বলেন, বিয়ে পাগল হাবিবুর রহমান হবি এলাকার মেয়েদের দেখলে বিয়ের জন্য পাগল হয়ে যান। বিয়ে করতে না চাইলে তাকে ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা কুমুর উদ্দিনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, তিনি কাউকে তোয়াক্কা না করে এলাকায় একের পর এক অপকর্ম করছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বললে মামলায় জড়িয়ে বিপদে ফেলেন।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরষিদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তোবারক হোসেন বলেন, বৃদ্ধ বয়সেও বিভিন্ন নারীর দিকে খারাপ নজর দেন হাবিবুর রহমান হবি। এতে সমাজে অনেকে তাকে ও তার পরিবারের লোকজনদের আর মেনে নিচ্ছেন না। সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাত বলেন, হাবিবুর রহমান হবি একজন নারীলোভী ব্যক্তি। শেষ বয়সেও তিনি একের পর অপকর্ম করছেন। তার বর্তমানে পাঁচ স্ত্রী থাকার পরও অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান হবি বলেন, আমি নবম বিয়ে অনেক আগেই করেছি। ছেলেরা আমার সম্পদ দখল করতে আমার প্রতি অন্যায়-অত্যাচার করছে। আমি এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেছি।

পাটগ্রাম থানা পুলিশের ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে এমন অভিযোগ বহু বিবাহের আদালতে করতে হবে।
 

বাগমারা গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নে ছাত্রলীগের উদ্যোগে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত


 মোঃ সাইফুল ইসলাম,বাগমারা(রাজশাহী) :  রাজশাহী বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নে ছাত্রলীগের উদ্যোগে জাতির জনকের শোক দিবস ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলামিন , পরিচালনা করেন অত্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগমারা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আল মামুন প্রামানিক, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম বাবু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক তারুণ্যের অহংকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব মোহাম্মদ কছিম উদ্দিন সরদার ,সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক সহ-সভাপতি মোকসেদ যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, সহ দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আব্দুল জলিল দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন সাধারণ সম্পাদক এ বি সিদ্দিক 4 নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আল মামুন প্রামানিক প্রধান আলোচক আশরাফুল ইসলাম বাবু ও বিশেষ অতিথি জনাব মোহাম্মদ কছিম উদ্দিন সরদার উভয়ে বলেন জাতির জনকের পরিবারের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস লুণ্ঠিত করা হয়েছে, বাঙালি জাতিকে বিশ্বদরবারে ছোট করা হয়েছে, তাই আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি এবং বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ এনামুল হক এমপি সাহেবের হাতকে শক্তিশালী করি এবং স্বাধীনতার চেতনায় আগামীদিনের সোনার বাংলা গড়ার প্রতিজ্ঞা করি।




 

 

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে দিনব্যাপী ১০ বীর ১১ পদাতিক ডিভিশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয়োজনে নওগাঁর পত্নীতলার উপজেলার নজিপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের চত্ত্বরে প্রত্যন্ত এলাকার শতাধিক দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে সেনাবাহিনী।

শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের শুভ উদ্বোধন

 

“শেখ হাসিনার উদ্দ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নওগাঁয় মান্দা, ধামইরহাট ও সাপাহার উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

“নদী ভাঙ্গন ও মাটির ক্ষয়রোধ করার জন্য বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে”-সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার

নওগাঁ অফিস: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার বলেছেন নদী ভাঙ্গন ও মাটির ক্ষয়রোধ করার জন্য বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকী “মুজিব বর্ষ” উদযাপন উপলক্ষ্যে সারা দেশে ১কোটি গাছ লাগানোর ইচ্ছে পোষন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পদাঙ্কন করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারা দেশের ১৭হাজার কিলোমিটার বাঁধের উপর দিয়ে ১০লাখ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই রোপনকৃত বৃক্ষগুলো বড় হলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাসহ কার্বন ডাই অক্সাসাইডের দূষণ থেকে দেশ ও পৃথিবীকে রক্ষা করবে। পাখিদের জন্য খাবার সরবরাহ করাসহ আবাস স্থল সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা পালন করবে। তাই সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও ফাঁকা জায়গাগুলেতে সাধ্যমতো বৃক্ষ রোপন করা উচিত।

নওগাঁয় স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী “মুজিব বর্ষ” উদযাপন উপলক্ষ্যে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে এই কথাগুলো বলেন। গত শুক্রবার বিকেলে জেলা সদরের শটিকালীতলার লস্করপুর নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর বাঁধের উপর নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচির আয়োজন করে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সচিব পতœী তৌফিকা আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজশাহী বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী একেএম শফিকুল ইসলাম, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মকলেছুর রহমান, নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ, নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খাঁন, সদর নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল, নওগাঁ বাপাউবোর শ্রমীকলীগের (রেজি: বি-১৮৮৭) সভাপতি লিয়াকত আলী, সম্পাদক মিঠুন কুমার ভ’ষণ, নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। বছরব্যাপী জেলার বিভিন্ন বেড়িবাঁধ ও খালের পাড়ের উপর মোট ৩হাজার ৫শত ফলদ, ভেষজ ও বনজ গাছ রোপন করা হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খাঁন। পরে একই দিন সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি জেলার মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর বাঁধেও বৃক্ষ রোপন করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

নওগাঁয় ৩টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের শুভ উদ্বোধন


সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : “শেখ হাসিনার উদ্দ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নওগাঁয় মান্দা, ধামইরহাট ও সাপাহার উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সকালে(২৭ আগস্ট) সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ৩১টি উপজেলার সাথে নওগাঁর এই তিনটি উপজেলাকেও শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের শুভ উদ্বোধন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীন পক্ষে ফলক উন্মোচন করে  শুভ উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, সহ-সভাপতি নিমৃল কৃষ্ণ সাহাসহ সরকারি কর্মকর্তা, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

বদলে যাবে স্কুল-কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতি


বড় ক্লাসের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নেয়া হবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি গাইডলাইন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। পরীক্ষার ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন বাড়ানো হতে পারে। মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে নতুন গাইডলাইন অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে মাউশি থেকে নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

মাউশি সূত্র বলছে, করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সকল নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও কলেজগুলোতে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনায় একটি স্বাস্থ্যবিধি নীতিমালা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক আগের মতো আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে না।

সূত্র বলছে, ক্লাসে দূরত্ব রেখে শিক্ষার্থীদের বসানো হবে। প্রতিদিন একসঙ্গে সকল শ্রেণির ক্লাস নেয়া হবে না। কর্মঘণ্টাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন স্তরে ক্লাস নেয়া হবে। এক্ষেত্রে মৌলিক বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। সপ্তাহে একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দুই অথবা তিনদিন ক্লাস নেয়া হবে। তবে সপ্তম ও দ্বাদশ শ্রেণিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। পরীক্ষা কমাতে শ্রেণি শিক্ষকদের মাধ্যমে ক্লাস মূল্যায়ন বাড়ানো হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই করোনার ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। সেজন্য স্কুল-কলেজ খুললে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। পরীক্ষা কমাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন করে বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর দেয়া হবে। ক্লাসে মৌলিক বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গাইডলাইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর স্বাস্থ্যবিধি-সংক্রান্ত সকল ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য নির্দেশনাগুলো স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে নির্বাচন করা হবে। গাইডলাইন তৈরি হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে নাগাদ খুলে দেয়া হতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশি মহাপরিচালক বলেন, ‘এখনো স্কুল-কলেজ খোলার মতো পরিবেশে তৈরি হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। তবে আজ বৃহস্পতিবার এ- সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।’

‘স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে নানাভাবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করে তোলা হবে। এগুলো একটি বই আকারে তৈরি করে তা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। সেখানে প্রতিষ্ঠান খোলার আগে কী করণীয় এবং পরে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা গেলে কী করণীয় সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।’

অন্যদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য স্বাস্থ্যবিধি গাইডলাইন তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নীতিমালাটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এটি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মতো আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হবে না। বিদ্যালয় খোলার ১৫ দিন আগে থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রস্তুতি শুরু করা হবে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করণীয় ও প্রতিদিন কীভাবে ক্লাস পরিচালনা করা হবে সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত খসড়া নির্দেশনায় দেখা গেছে, বিদ্যালয় খোলার সরকারি নির্দেশনা আসার পর ন্যূনতম ১৫ দিন আগে শিক্ষক, কর্মচারী এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সদস্যদের উপস্থিতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ক্লাস উপযোগী করে বিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন করে তুলতে হবে। বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুলের গেটে বা প্রবেশের স্থানে হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ করবে। থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানো হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান পরিচালনা করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সিডিসি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলো মেনে করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আমরা দিকনির্দেশনা তৈরি করেছি। সবাইকে সেগুলো মেনে চলতে হবে।’

পাঠ্যক্রম পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, আগের মতো ক্লাসে এক বেঞ্চে তিন-চারজন বসতে পারবে না, দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদান করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এক বেঞ্চে দুজন শিক্ষার্থীকে বসাতে হবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আগের মতো আর সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস হবে না। একটি স্তরে সপ্তাহে দুই বা তিন দিন অথবা প্রতিদিন দু-তিনটি ক্লাস নেয়া হবে। তবে ক্লাস নেয়ার ক্ষেত্রে চতুর্থ শ্রেণিকে অধিক গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যক্রম নির্বাচন করে কোন দিন কোন বিষয়ের ক্লাস নেয়া হবে তা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও এসএমসির সদস্যদের নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

বিদ্যালয় চলাকালীন করণীয় হিসেবে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে আসতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক মুখে মাস্ক পরে আসতে হবে। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে উপচেপড়া ভিড় করে খেলাধুলা, আড্ডা-গল্প করতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব রেখে হাঁটাচলা করতে হবে। নোটিশ বোর্ডে বিদ্যালয় শিক্ষক, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যোগাযোগ নম্বর লিখে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাকে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে।

স্পেনে করোনা আক্রান্ত ২ শতাধিক বাংলাদেশি, আশঙ্কাজনক ১০


মিরন নাজমুল , স্পেন : স্পেনে দুই শতাধিক বাংলাদেশি নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে ৬ জন এবং বার্সেলোনায় ৪ জন।

মাদ্রিদের মানবাধিকার সংস্থা ভলিয়ান্তে বাংলার দেয়া তথ্য অনুসারে, মাদ্রিদে বর্তমানে বাংলাদেশি আক্রান্তের সংখ্যা ১১৩ জন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। পর্যটন শহর বার্সেলোনায় বাংলাদেশিদের মধ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধশতকের ওপরে।

করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশি আটটি পরিবার লকডাউনে আছেন। যাদের প্রায় সবাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের বেশির ভাগই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া করোনা সংক্রমিত হয়েছেন এমন আশঙ্কায় পরীক্ষা করিয়েছেন প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি। যাদের শতকরা প্রায় আট শতাংশ কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।

ইউরোপের মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত দেশের তালিকায় বর্তমানে স্পেন প্রথমে আছে। আর বৈশ্বিক পরিসংখ্যানে ৬ নম্বরে। এর মধ্যে স্পেনে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার স্পর্শ করেছে। আক্রান্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার লাখ।

রাষ্ট্রীয় সতর্কতা উঠিয়ে নেয়ার পর বর্তমানে স্পেনে দ্বিতীয় ধাপে কোভিড মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫৯৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছে ৪৭ জন। আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকই রাজধানী মাদ্রিদে (১৫১৩ জন)।

এদিকে অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা কিনবে বলে ঘোষণা দিয়েছে স্পেন। ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদর ইয়া। তিনি বলেন, সব ঠিক থাকলে দুই ডোজ করে টিকা প্রয়োগের হিসাব করে ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে টিকা দেয়া শুরু করা হবে।


এছাড়া সম্প্রতি সর্বোচ্চ আক্রান্ত প্রদেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কাতালোনিয়ায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ অতিক্রম করেছে। গত ১৭ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ছয় হাজার ৬৪৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন কাতালোনিয়ায়। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ৯০০ জন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এছাড়া কাতালোনিয়ায় বর্তমানে ১৩৬ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি আছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৬২ জন। কাতালোনিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। এর মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে ৫৫%, বৃদ্ধদের আবাসস্থলে ৩২%।

বেসরকারি ঋণ বাড়র বদলে উল্টো কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কমানো হয়েছে ঋণের সুদহার। দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও। পাশাপাশি রয়েছে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দিতে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণের চাপ। এতে করে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ বাড়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, ভিন্ন কথা। বাড়েনি বেসরকারি খাতের ঋণ, উল্টো কমেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দা। নতুন করে বিনিয়োগে আসছেন না উদ্যোক্তারা। সংকটজনক পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে বিদ্যমান ব্যবসা সংকুচিত করছেন অনেকেই। এছাড়া ব্যাংকগুলোতে যে হারে ঋণ পরিশোধ হয়েছে সেই হারে ঋণ বিতরণ হয়নি। সবমিলিয়ে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাই শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ২০১ কোটি টাকা। এই অঙ্ক গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।

তবে পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুনের তুলনায় জুলাইয়ে বেসরকারি ঋণ না বেড়ে উল্টো কমে গেছে। গত জুন মাসে ঋণস্থিতি ছিল ১০ লাখ ৯৭ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। জুলাইতে তা নেমে এসেছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ২০১ কোটি টাকায়। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ঋণ কমেছে ২ হাজার ৯৯ কোটি টাকা বা দশমিক ১৯ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মহামারির কারণে রফতানি কমে গেছে। স্থানীয় বাজারে পণ্যের চাহিদাও কম। সবমিলিয়ে চলমান পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে আসছেন না। অনেকে সংকটে টিকে থাকতে বিদ্যমান ব্যবসা সংকুচিত করছেন। এসব কারণে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ কমেছে। যা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। কারণ ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ার মানে, কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে। এটি প্রবৃদ্ধি, উৎপাদন ও সেবা খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে বেসরকারি ঋণ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। তাই যেকোনো প্রক্রিয়ায় ঋণ বাড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে রফতানি, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প ও উৎপাদনমুখী খাতকে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে।’ পাশাপাশি সরকারের ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানো ও বিদেশি উৎস থেকে কম সুদে ঋণ আনার পরামর্শ দেন সাবেক এ গভর্নর।

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সরকারের নির্ধারিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে চলতি অর্থবছরের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আগের বছরের মতো অপরিবর্তিত রেখে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুদ্রানীতিতে বেসরকারি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে লিখিত বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সরকার থেকে নির্ধারিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন বিনিয়োগ জোরদারে বেসরকারি খাতে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি পর্যাপ্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশের বেসরকারি খাতে ২০১০-১১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২০১১-১২ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি কমে হয় ১৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর পরের ২০১২-১৩ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি ব্যাপকহারে কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশে। এরপর টানা তিন অর্থবছর প্রবৃদ্ধি বাড়ে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয় ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ; ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেড়ে হয় ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ; আর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হয় ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সেটি আবার বেড়ে হয় ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এরপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনক হারে কমে ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ দাঁড়ায়।

২০১৯-২০ অর্থবছরের ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। কিন্তু তা অর্জন হয় মাত্র ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।

 

খালেদা জিয়াও অপরাধী : তথ্যমন্ত্রী




নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ায় জিয়ার মতো বেগম জিয়াও অপরাধী’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রগতিশীল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব খন্দকার মোশতাক, তার প্রধান সহযোগী হচ্ছে জিয়াউর রহমান। তাই আজকে দাবি উঠেছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, কুশীলবদের তো বিচার হয়নি। জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পটভূমি রচনা করেছেন, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার আর কুশীলবদের মধ্যে যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দরকার। ইতিহাসের স্বার্থেই তা প্রয়োজন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার জন্য জিয়াউর রহমান যেমন অপরাধী বেগম খালেদা জিয়াও সেই অপরাধে অপরাধী।’

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাতানো নির্বাচন করার পর বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল রশীদকে বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়ে তার গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে দিয়েছিলেন, মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। এত বছর পরে বলা নেই কওয়া নেই বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ করে ১৯৯৫ সালে ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করলেন, তারপর থেকে কেক কাটা শুরু করলেন। এগুলো ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধে বেগম খালেদা জিয়াও অপরাধী। কমিশন করে যেমন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচন প্রয়োজন এবং হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করে ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন করার অপরাধে বেগম খালেদা জিয়ারও বিচার হওয়া প্রয়োজন। এটি সময়ের দাবি।’

ন্যাপ-ভাসানী দলকে শোক দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রগতিশীলদের মধ্যে যখনই অনৈক্য তৈরি হয়, তখনই প্রতিক্রিয়াশীলরা সুযোগ করে নেয়। ১৯৭৫ সালে এভাবেই প্রতিক্রিয়াশীলরা সুযোগ করে নিয়েছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে প্রগতিশীলদের অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়াশীলরা ক্ষমতা দখল করেছে, ছোবল মেরেছে। আজকে আস্ফালনকারী প্রতিক্রিয়াশীলদের দমন করতে সব স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি প্রগতিশীলদের ঐক্য প্রয়োজন।’

প্রগতিশীল ন্যাপ (ভাসানী) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও প্রধান সমন্বয়কারী মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর দৌহিত্র পরশ ভাসানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ, মনিরুল হাসান মনির, মোহাম্মদ আলী, কিশমত, মৌসুমী দেওয়ান প্রমুখ।

বক্তব্যের শুরুতেই তথ্যমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ জাতির পিতা, তার পরিবারের সদস্যদের এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে গভীর শ্রদ্ধা করতেন উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় মওলানা ভাসানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী


নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১২ ভাদ্র)। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে গমন, পুষ্পার্ঘ অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে আলোচনা সভা।

বাংলা একাডেমি কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করেছে। সকালে একাডেমির পক্ষ থেকে জাতীয় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। বেলা ১১টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে স্বাগত বক্তৃতা করবেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। একক বক্তব্য দিবেন এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। এতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে নজরুলের কবিতা থেকে আবৃত্তি এবং নজরুলগীতি পরিবেশনা।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীতজগৎকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন এবং ধানমন্ডিতে কবিকে একটি বাড়ি দেন।

যশোরের শার্শায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে দায়ে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা


মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল : যশোরের শার্শা উপজেলার ১১ নং নিজামপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করী শাহিন হোসেন (৪০)কে ২লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বালি উত্তোলনের ব্যাবহৃত যন্ত্রপাতি আগুনে জ্বলিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ আগস্ট) বিকালে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথি এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। শাহিন বসন্তপুর গ্রামের মৃত: রবিউল ইসলামের ছেলে।

নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) রাসনা শারমিন মিথি জানান, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে এ জরিমানা করা হয় এবং বালি উত্তোলনের ব্যাবহৃত যন্ত্রপাতি আগুনে জ্বলিয়ে ধ্বংস করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।এসময় ঘটনাস্থলে গোড়পাড়া ফাঁড়ি পুলিশ উপস্থিত ছিলো।

আত্রাইয়ে বিলের পানিতে যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার


নাজমুল হক নাহিদ, নওগাঁ : নওগাঁর আত্রাইয়ে বিল থেকে সোহেল রানা (২০) নামে এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের উত্তরবিল দরগাপাড়া বিল থেকে তার ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সোহেল রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার উরুবাড়া মহিপুর গ্রামের জাকারিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহেল রানা নওগাঁর মান্দা থানার তুরুকবাড়িয়া গ্রামে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গত মঙ্গলবার নদীতে গোসল করার সময়  নিখোঁজ হয়। পরে তার আত্মীয়স্বজন অনেক খুঁজাখুঁজি ও মাইকিং করেও তার সন্ধান পায় না। পরে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আত্রাই উপজেলার উত্তরবিল দরগাপাড়া বিলের পানিতে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
 
এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেম উদ্দিন বলেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয়রা মৃতদেহটি বিলের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং বুধবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নওগাঁয় সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান


সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁয় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে দিনব্যাপী ১০ বীর ১১ পদাতিক ডিভিশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয়োজনে নওগাঁর পত্নীতলার উপজেলার নজিপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের চত্ত্বরে প্রত্যন্ত এলাকার শতাধিক দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে সেনাবাহিনী। চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রমরে উদ্বোধন করেন বগুড়া সেনাবাহিনীর ১০ বীর এর মেজর এম.কে হাবিব। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সেনাবাহিনীর ২১ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স এর মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন আবিদ হাসান। উক্ত চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে প্রায় শতাধিক দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ঔষুধ দেওয়া হয়। এসময় ১০ বীর এর ক্যাপ্টেন আসিফুর রহমান সহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মাল্টা চাষ করে লাভবান হয়েছেন : তাঁর সফলতায় এগিয়ে এসেছেন অনেক কৃষক ও যুবক


সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর পোরশা উপজেলায় বরেন্দ্র ভুমিতে মাল্টা চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন ওবায়দুল্লাহ শাহ নামের একজন সৌখিন কৃষক। প্রতি বছর তাঁর উৎপাদিত মাল্টা থেকে আর্থিক আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিক লাভজনক হওয়ায় তাঁকে অনুসরন করে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন মাল্টা চাষে। 
নওগাঁর বরেন্দ্র ভুমি অধ্যুষিত পোরশা উপজেলা। উঁচু নিচু ষ্টেডিয়ামের গ্যালারী সাদৃশ্য জমিতে পানি ধরে রাখা খুবই কঠিন। তাই ধান চাষে উপর্যপরি লোকশানের মধ্যে পড়ে এই অঞ্চলের কৃষকরা লাভজনক বিকল্প ফসলের দিকে আগ্রহী হওয়ায় জেলার পোরশা , সাপাহার, নিয়ামতপুর ও পতœীতলা উপজেলায় প্রচুর পরিমাণ আম বাগান গড়ে উঠছে। এই এলাকায় যে দিকে চোখ যায় শুধু আম আমের বাগান।
এরই পাশাপাশি কেউ কেউ লাভজনক ভিন্ন ফসল উৎপাদনের নজির সৃষ্টি করেছেন। তাঁদেরই একজন পোরশা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের সৌখিন চাষী ওবায়দুল্লাহ শাহ। তিনি  তাঁর নিজস্ব ৫৫ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন মাল্টা, বিভিন্ন প্রজাতির আম এবং পেয়ারা বাগান। এর মধ্যে প্রায় ১৮ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন মাল্টা বাগান। এই বাগান গড়ে তুলতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। তাঁর উৎপাদিত মাল্টা বাগানের মধ্যে ৮ বিঘা জমির বাগানে বিগত ৩ বছর ধরে মাল্টা ধরছে আর ১০ বিঘা নতুন বাগান। এই ৮ বিঘায় রয়েছে মোট এক হাজার মাল্টা গাছ। প্রথম বছর প্রতি গাছে ৭ থেকে ৮ কেজি করে মাল্টা উৎপাদিত হয়েছে। এতে এ বছর মোট মাল্টা উৎপাদিত হয়েছে ৭ হাজার কেজি থেকে ৮ হাজার কেজি। প্রতি কেজি পাইকারী ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকায়। দ্বিতীয় বছর প্রতি গাছে কমপক্ষে ২০ কেজি করে মাল্টা উৎপাদিত হয়েছে যার বিক্রি মুল্য ছিল প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।  আর এ বছর তৃতীয় বারের মত প্রতি গাছে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ কেজি করে মাল্টা ধরেছে।  এতে এ বছর এই বাগানে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার কেজি মাল্টা উৎপাদিত হবে। তাঁর মাল্টা বিক্রির প্রধান বাজার নাটোর।  নাটোর-এর ব্যবসায়ীদের নিকট তাঁর বাগানের মাল্টা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি আগের মতই ১০০ টাকা দরে। সেই হিসেবে এ বছর তাঁর জমির মাল্টা বিক্রি হবে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। তাই এখন তিনি আর্থিকভাবে খুবই লাভবান।
এ ছাড়াও তিনি তাঁর মোট ৫৫ বিঘা জমির সমন্বিত বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির আম এবং পেয়ারাও চাষ করেছেন। এ বছর কেবলমাত্র পেয়ারা বিক্রি করেছেন প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার। এ ছাড়াও  কিছু জমিতে আম, পেয়ারা এবং মাল্টার চারা তৈরী করেছেন। এ বছর কেবলমাত্র আম, মাল্টা ও পেয়ারা চারা বিক্রি করেছেন ১০ লক্ষ টাকার।
ওবায়দুল্লাহ শাহ’র মাল্টা চাষে সফলতা এবং আর্থিক লাভবান হওয়া প্রত্যক্ষ করে এলাকার অনেক চাষী তাঁদের জমিতে মাল্টা চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আবার অনেকে ছোট আকারে মাল্টা চাষ শুরু করেছেন। তাঁরা নিয়মিত এই মাল্টা বাগানে এসে তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করছেন।
তাঁর এই মাল্টা বাগানে এলাকার প্রায় ১৫/২০ জন পুরুষ এবং নারী শ্রমিক নিয়মিত পরিচর্যার কাজ করছেন। একদিকে যেমন তাদের কাজের স্থায়ী নিশ্চয়তা হয়েছে অন্যদিকে প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে মজুরী পেয়ে তাদের সংসার পরিচালনার আর্থিক সংগতি হয়েছে।
পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজ আলম জানান, বরেন্দ্র অধ্যুষিত এসব উঁচু জমিতে মাল্টা চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। তার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থ্পান করেছেন উপজেলার তেঁতুলিয় গ্রামের ওবায়দুল্লাহ শাহ। তিনি একটি বড় মাল্টা বাগান গড়ে তুলে অনেক লাভবান হয়েছেন। তাঁকে অনুসরন করে এলাকার অনেকেই এখন মাল্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকার মাল্টা চাষীদের সার্বক্ষনিক সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। 

 

সীমান্তবর্তী যাদুকাটা নদী থেকে  ভারতীয় কয়লা সহ নৌকা আটক

রাহাদ হাসান মুন্না,তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় কয়লা সহ একটি বারকী নৌকা আটক করেছে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যটালিয়ন বর্ডারগার্বাংলাদেশ (বিজিবি)’ টহল দল

বিজিবি সুত্রে জানা গেছে,লাউরগড় বিওপির টহলদল রবিবার (২৩ আগস্ট) সীমান্ত পিলার ১২০৩/২-এস এর নিকটতম স্থান হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে,তাহিরপুর উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদী থেকে  ,৫০০ কেজি ভারতীয় কয়লা আটক করেছে  যার আনুমানিক মূল্য ১,১০,৫০০ টাকা।

অপরদিকে,একই দিনে  টেকেরঘাট বিওপির টহলদল সীমান্ত পিলার ১১৯৯/২-এস এর নিকট হতে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে,উপজেলার  উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের যাদুকাটা নদী থেকে  ,৩০০ কেজি ভারতীয় কয়লা সহ একটি বারকি নৌকা আটক করেছে (বিজিবি) জোয়ানেরা যার আনুমানিক সিজার মূল্য ৬৬,৯০০ টাকা।

 

সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যটালিয়ন অধিনায়ক মোঃ মাক্সুদুল আলম এই তথ্য গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করে   জানান,আটককৃত ভারতীয় কয়লা ও  বারকী নৌকা নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে জমা রাখা হয়েছে।

 

 

নওগাঁর সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন


নওগাঁ অফিস: নওগাঁর আত্রাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও জয়যাত্রা টেলিভিশনের প্রতিনিধি সরদার মাহমুদুল হক (উত্তাল) এর উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবীতে নওগাঁয় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নওগাঁ জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আয়োজনে আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে আত্রাই উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি একেএম কামাল উদ্দীন টগর এর সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি আবু বক্কর সিদ্দীক, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও মোহনাটিভির জেলা প্রতিনিধি মাহমুদুন নবী বেলাল, ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি একে সাজু, বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংবাদিক ফোরাম এর নওগাঁ জেলার সভাপতি সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিব ও জয়যাত্রা টেলিভিশনের নওগাঁ প্রতিনিধি ফারমান আলী প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তরা সকল সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধসহ অবিলম্বে উত্তাল মাহমুদের উপর ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী কর্তৃক অতর্কিত হামলা ও মারপিরটের ঘটনার তিব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানান।
উল্লেখ্য, আত্রাই উপজেলার বান্দাইখাড়া দারগা পাড়ায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তলনের খবর পেয়ে পেশাগত দ্বায়ীত্ব পালনে গিয়ে সাংবাদিক উত্তাল মাহমুদ ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী আব্দুল খালেক বিশা ও তার বাহিনী কর্তৃক অতর্কিত হামলা ও মারপিটের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভালো দামের আশায় নওগাঁয় আগাম শীতকালীন কপি চাষ

তমাল ভৌমিক, নওগাঁ : নবান্নে বাজার ধরতে নওগাঁয় আগাম কপি চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। নবান্নের আগে প্রতিটি কপি গড়ে প্রতি কেজিতে ১শ’ টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। ইত্যে মধ্যে নওগাঁয় প্রায় ১শ’ হেক্টর জমিতে শীতকালীন ফুলকপি ও বাঁধাকপি লাগানো হয়েছে। জেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কপি চাষ করা হবে বলে আশা ব্যক্ত করছেন সংশ্লিষ্টরা।
 

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চলতি মৌসুমে ১১শ’ হেক্টর জমিতে শীতকালীন কপি চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ফুলকপি ৬শ’ হেক্টর ও ৭শ’ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি। তবে বর্তমানে সবধরণের সবজির ভালো দাম পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে কপি চাষ হওয়ার সম্ভবনা হয়েছে। আগাম উৎপাদিত কপি নবান্নের বাজারে ভালোদামে কেনা-বেচা হয়ে থাকে। ফলে কৃষকরা বেশি লাভবান হন।
 

কপি শীতকালীন ফসল হওয়ায় সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত চাষ করা হয়ে থাকে। এই সময় লাগানো কপি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বাজারে কেনা-বেচা হয়। সে সময় সব কৃষকের কপি এক সাথে বাজারে আসায় দাম কিছুটা কম পেয়ে থাকে।    
 

কৃষকরা বলছেন, আগাম কপি আবাদ করতে এক বিঘা জমিতে চাষ, সেচ, সার, শ্রমিক, বীজ, কিটনাশকসহ অন্যান্যে খচরবাবদ ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। ভালো ফলন হলে ১ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব হয়।
 

নওগাঁ সদর উপজেলার গবিন্দপুর গ্রামের কপি চাষি সাদ্দাম হোসেন জানান, তার নিজেস্ব ১৫ কাঠা জমিতে প্রতি বছরের মতো মিষ্টিকুমোর ঘরে তোলারপর ওই জমিতে চাষ করে শীতকালীন ফুলকপি আগাম চাষ করেছেন। এই পরিমাণ জমিতে কিটনাশন বেশি খরচ না হলে ১৭/১৮ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। আগাম কপি চাষ করার মূল লক্ষ্য নবান্নের বাজার বিক্রি করতে পারা। সে সময় প্রতি কেজি কপি গড়ে প্রতি কেজিতে ১শ’ টাকা বিক্রি হয়ে থাকে। ফলে তাদের বেশি লাভবান হয়ে থাকে। তার মতো আগাম কপি চাষি একই মাঠে কাশেম সদরদার, ইউসুফ হাসানসহ অনেকেই একই কথা বললেন। তারা আরো বললেন, পরে যে কৃষকরা কপি চাষ করেন সেই কপিগুলো এক সাথে বাজারে কেনা-বেচা শুরু হওয়ায় দাম পাওয়া যায় না।
 

চকআতিথা গ্রামের খবির উদ্দিন জানালেন, তার ১২ কাঠা জমিতে লাগানো মরিচ টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মরিচ গাছ মরে গেছে। আগাম কপি বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়া যায় এই আশায় সেই জমি দ্রুত চাষ করে পাতাকপি লাগিয়েছেন। চকআতিতা, হাজিপুর, কীত্তিপুর ও বর্ষাইল তার মতো অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য মরিচ চাষি জানালেন, আবহাওয়া ভালো হওয়ায় শীতকালীন ফুলকপি ও বাঁধাকপি আগাম চাষ করেছেন।
 

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তারের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ জানান, কৃষকদের আগামজাতের সবজি আবাদ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। আগাম জাতের সবজি বিক্রি করেও বেশি দাম পেয়ে থাকেন কৃষকরা। ইত্যে মধ্যে জেলায় প্রায় ১শ’ হেক্টর জমিতে কপি চাষ করা হয়েছে। এই কপিগুলো নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ নবান্নের আগেই বাজারে কেনা-বেচা শুরু হবে। নতুন সবজি কপির দামও ভালো পান কৃষকরা। বর্তমানে সবধরণের সবজির ভালো দাম পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে কপি চাষ হওয়ার সম্ভবনা হয়েছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget