জুন 2021
91 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 568 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 105 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 43 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4764 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3394 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2763 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 52 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 

করোনা মোকাবিলায় কেবিনেটের নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনে মাঠ প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে

তৌফিক তাপস নওগাঁ : করোনা মোকাবিলায় কেবিনেটের নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনে মাঠ প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। জনসাধারণ যেন এ সময়ে ঘরে থাকে এবং মাস্ক পরিধান করে তা নিশ্চিত করার  আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলা প্রশাসন আয়োজিত 'করোনা মোকাবেলা এবং লকডাউনে হাসপাতাল ও রোগী ব্যবস্থাপনায় করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে- ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। ভলান্টিয়ারগণ ও দলের নেতাকর্মীরা জনগণকে বুঝিয়ে করোনা সচেতন করবেন। লক্ষণ ছাড়াও অনেকে ভাইরাস বহন করছেন সে কারনে জনসাধারনের ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, সংগঠিতভাবে করোনা মোকাবিলা করতে হবে । সর্বস্তরের জনসাধারনের সহযোগিতা নিয়ে এ কঠিন সময় অতিক্রম করতে হবে। মানবতার সেবায় আমাদের  উত্তীর্ণ হতে হবে। এসময় তিনি মানুষের সেবার জন্য প্রশাসন ও দলের নেতাকর্মীদের আত্মনিয়োগের আহবান জানান।

জেলা প্রশাসক মো: হারুন অর রশীদ এর সভাপতিত্বে  স্বাস্থ্য বিষয়ে দেশের বিশিষ্টজনেরা অনুষ্ঠানে অভিমত ও পরামর্শ ব্যক্ত করেন।

করোনা প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, সকলকে ভ্যাকসিন দেয়ার আগ পর্যন্ত মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই সবচেয়ে সঠিক পন্থা। গ্রামের মানুষ মাস্ক পরতে চায় না। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো ও মাস্ক পরানো চ্যালেঞ্জিং হলেও সকলের প্রচেষ্টায় এটা বাস্তবায়ন দরকার।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, করোনা মোকাবিলায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই। জনপ্রতিনিধি ও মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

স্বাধীনতা চিকৎসক পরিষদের নওগাঁ জেলা সভাপতি প্রফেসর ডা. আসেক হোসেন বলেন, করোনা এখন কমিউনিটি সংক্রমণ পর্যায়ে রয়েছে। রোগীর করোনা সনাক্ত হলে তার দ্রুত চিকৎসা শুরু করতে হবে। বাজার ও মসজিদে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, মো: ছলিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,জেলা পরিষদের প্রশাসক, জেলা বনিক সমিতির সভাপতি, প্রেসক্লাবের সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ বক্তৃতা করেন। 

বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভলান্টিয়ারগণ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলার সিভিল সার্জন জানান এ পর্যন্ত জেলায় ৪ হাজার ৩শত পঞ্চাশ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৬ জন। শুধু জুন মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ২০৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের।

রাজশাহীর বাগমারায় আবারো মাছ চাষকে কেন্দ্র করে বাড়িঘরে হামলায়,গ্রেপ্তার-৫


মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা, রাজশাহী : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার  নরদাশ ইউনিয়নেের জোঁকা বিলে মৎস্য চাষকে কেন্দ্র করে আবারও বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙ্গচুর চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ  মামলায় ৫ আসামীকে গ্রেফতার করেছেন বাগমারা থানা পুলিশ।

জোকা বিলের সাধারন সম্পাদক আয়নাল হক বাদী হয়ে ৩০শে জুন বুধবার-১৪৩,৩৪১,৪৪৭,৪৪৮,৩২৩,৪২৭,৩৭৯ ও ১১৪ ধারায় বাগমারা থানায় মামলা করেন, যাহা মামলা নং ৩৯।


মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় ২৯শে জুন  মঙ্গলবার মন্দিয়াল গ্রামের বুদাই গাইনের ছেলে জাবের আলী(৪৮),পানিয়া গ্রামের মৃত জলু’র ছেলে জোনাব আলী(৪৫),মৃত আঃ সামাদের ছেলে আহসান হাবিব(৫৫)এদের হুকুমে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ জোঁকাবিলের মৎস্য চাষের উপকরণ জাল, দড়ি, বানা কর্তন করা হয়।  ,এতে করে জোকা  বিলের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।

বাগমারা থানার মামলা সূূত্রে জানা যায়, নরদাশ ইউনিয়নের


হাটমাধনগর গ্রামের আজিবার রহমান,বুরহান উদ্দিন, কাজল, সাইফুল ইসলাম,বাবু,আনিছার রহমান,পানিয়া গ্রামের মোঃ মনির উদ্দিন,কাষ্টনাংলা গ্রামের,এছাহাক,এজলাস,আঃরাজ্জাক,আক্কা, মুক্তারসহ আসামীরা এ বিলের চারিপাশের প্রায় ২০-৩০টি বাড়িঘর,দোকানপাট, মুরগীর খামার ও পানবরজে হামলা চালিয়ে প্রায়  ১৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছেন।


এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতংঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


মৎস্যচাষ প্রকল্পের আতৎকের আরেক নাম জোক বিল মৎস্যচাষ প্রকল্প। অনেকেই জানেন জোঁকা বিলে মৎস্যচাষ নিয়ে বিগত ২০১৮ সালের ১৮ই এপ্রিল প্রকল্পের কোষাধ্যক্ষ আনিছুর রহমানকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মামলাটি এখনো আদালতে  চলমান রয়েছে। কোষাধ্যক্ষ আনিছুর হত্যা মামলার আসামীরা আবারও এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। সরেজমিনে গিয়ে   স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলাপরিষদ সদস্য এবং নরদাশ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মাস্টার আব্দুর রশিদ,তিনি অত্র বিলের চারপাশের জমির মালিক ও মৎস্যজীবীদের সমন্বয়ে সুষ্ঠ ভাবে গত তিন বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছেন। তার নেতৃত্বে বিলটি সুষ্ঠুভাবে চাষ হলে অপর পক্ষের কিছু লোকের স্বার্থসিদ্ধ হচ্ছে না, তাই তারা সফল ও সার্থক বিলচাষী জেলা পরিষদের সদস্য  রশিদ চেয়ারম্যানকে বিল থেকে তাড়ানোর জন্য প্রতি পক্ষরা মরিয়া হয়ে উঠেছে।               


মামলা সুত্রে আরো জানা যায় যে জাবের,জোনাব ও আহসানের তারা

উদ্যেশ্য প্রণ্যাদিত এবং পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এধরনের হামলা পরিচালনা করেন।


হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ইনচার্জ মোঃ   রফিকুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় ৫ জন আসামীকে গ্রপ্তার করা হয়েছে,অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।


বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ বলেন ৫জন আসামীকে আটক করে তাদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং  সেখানকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



ঝালকাঠিতে একটি স্ট্যাটাসে দুটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দান


ইমাম বিমান ঝালকাঠি : সমগ্র দেশে করোনার প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে আর এই দেশের ছোট্ট একটি জেলা ঝালকাঠি।

বাংলাদেশের সাথে ভারতের সকল সীমান্তবর্তী জেলা গুলোর মতই ঝালকাঠিতেও বাড়ছে করোনা সংক্রামন।সেই সাথে দিন যতই যাচ্ছে দেশে ততই যেন প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বর্তমান সময়ে করোনা পরীক্ষায় অর্ধেকেরও বেশি মানুষের পজিটিভ রিপোর্ট আসছে যা ঝালকাঠি জেলার জন্য অশনিসংকেত। কাছের মানুষ হারানোর পূর্ব পর্যন্ত শত শত মানুষের মৃত্যু কেবলই একটি সংখ্যা মাত্র। 


করোনার শুরু থেকেই ঝালকাঠিতে মানবসেবি খ্যাত সাগর হালদার অসুস্থ অসহায় মানুষের পাশে থেকে মানুষদেরকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে আসছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় গত দুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার ব্যক্তিগত প্রফাইলে


 " একবার ভেবে দেখুনতো আপনার চোখের সামনে আপনার মা অক্সিজেনের জন্য ছটফট করে মরে যাবে তা দেখার মত সাহস কি আপনার আছে "


ঝালকাঠিতে একটি স্ট্যাটাসে দুটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দান
লিখে একটি পোষ্ট করেন। আর সেই পোষ্টটি মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠির সাবিহা কেমিকেলের মালিকানা অংশিদার (উত্তরাধিকার সূত্রে) রাজিবুল হক রাজীব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পেয়ে পোস্টদাতা মানবসেবী সাগরের কাছে ছুটে আসেন এবং সাগরের নিকট দুটি অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার জন্য আর্থিক ভাবে সহযোগীতা করেন।  তার সেই সহযোগীতার অর্থ দিয়ে মানসেবী সাগর দুটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ব্যবহারের সরঞ্জাম কিনে আনেন।


এ বিষয় মানবসেবী সাগরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, যখন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তার বিপরিতেও বাড়ছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের চাহিদা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চোখের সামনে শ্বাস কষ্টে কাছের কাউকে হারালে বুঝা যায় এক একটি লাশের ওজন কত! এমন বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রেখে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টের রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করতে দুটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দান করেছেন ঝালকাঠির সাবিহা কেমিকেলের মালিকানা অংশিদার (উত্তরাধিকার সূত্রে) রাজিবুল হক রাজীব।


এছাড়াও শহরের বিভিন্ন জনে ভ্রাম্যমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবসার শুরু করেছেন। মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরাম’র পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন ৫শটাকা মূল্যে এ অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করতে সংগঠনের সদস্যরা। সদস্য শাকিল হাওলাদার রনি জানান, প্রতিদিন ৫শ টাকা মূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। তবে আর্থিকভাবে কেউ অসামার্থ্য থাকলে তাকে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।

নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকের অসমাপ্ত কাজটি সম্পন্ন করা উচিত  সাঈদুর রহমান রিমন

আহমেদ আবু জাফর ঢাকা : বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈদুর রহমান রিমন বলেছেন, পেশার স্বার্থে নির্যাতন কিংবা মামলা-হামলার শিকার সাংবাদিকদের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করা উচিত। হুমকি ধমকি সাংবাদিকদের জন্য আগাম সতর্কতা। ভয়ের কিছু নেই বরং এথেকে সাংবাদিকদের সতর্ক হওয়া উচিত। বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার একটি হোটেলে বিএমএসএফ ঢাকা জেলা উত্তর শাখা কমিটির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেছেন। 


সংগঠনের সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেনের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমএসএফ ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আলাউদ্দিন, ঢাকা দক্ষিনের সহ-সভাপতি সেহলী পাররভীন।


অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা উত্তর জেলা সহ-সভাপতি শাহজালাল উজ্জল, যুগ্ম-সম্পাদক আনিস লিমন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমূখ। 


প্রধান অতিথি আয়োজক নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ঢাকার সাংগঠনিক সম্মেলনসহ কাউন্সিলে ঢাকা উত্তরের আংশিক কমিটি ঘোষণার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করে আপনারা যে সক্ষমতার পরিচয় দিলেন তা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে আপনাদের এই তড়িৎ কর্মতৎপরতা আমাদেরকে তথা বিএমএসএফ’কে আশান্বীত করেছে। এজন্য বিএমএসএফ এর কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক, সংগঠনের প্রাণপুরুষ আহমেদ আবু জাফরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকেও আপনাদেরকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে।


তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সর্বজনবিদিত সাংবাদিক সমাজ সবচেয়ে বিপদাপন্ন সময় পার করে চলছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সকল স্তরে নিরীহ এ পেশাজীবী সাংবাদিকদের অঘোষিত শত্রু হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে, রাজনৈতিক সংগঠনসহ অন্যান্য পর্যায়েও সীমাহীন বৈরীতার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। বাংলাদেশ অভ্যূদয়ের পর সাংবাদিক বিরোধী এমন জিঘাংসামূলক আচরণ, হিংসাত্মক মামলা হামলার আধিক্যতা অতীতে কখনই দেখা যায়নি। এমনকি স্বৈরাচার সরকার কিংবা সামরিক শাসনামলেও সাংবাদিকরা এতোটা নিগৃহিত হননি। ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ মহল ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরই সাংবাদিক বান্ধব হওয়া সত্তেও এমন নির্মমতা, বর্বরতার ধারাবাহিক ঘটনা কেন ঘটছে=সেসব খুঁজে বের করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

সাংবাদিকদের জন্য সৃষ্ট বৈরী পরিবেশে মধ্যেও সাংবাদিকদের স্বার্থ সুরক্ষাসহ সকল প্রকার নীপিড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ভূমিকা রাখার মতো একটা মাত্র সংগঠনই অবিরাম কাজ করে চলছে=তা হচ্ছে বিএমএসএফ। সারাদেশে সাড়ে তিন শতাধিক পূর্ণাঙ্গ শাখার কর্মতৎপরতায় হাজারো সংবাদকর্মিদের সৌহার্দের বন্ধন গড়ে উঠেছে। একই পরিবারের মতো ভালবাসা, মমতায় বাধা ঐক্যবদ্ধতার শক্তির সামনে ক্ষমতাধারী অনেক জুলুমবাজ অপশক্তিও নতি স্বীকারে বাধ্য হচ্ছে। যেখানেই সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সেখানেই বিএমএসএফ প্রতিবাদী ভূমিকায় হাজির হয়েছে, নিরাপদ করেছে আক্রান্ত সাংবাদিকদের। এরইমধ্যে বিএমএসএফ সারাদেশের প্রতিটি শাখায় আইন উপদেষ্টা সংযুক্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানিমূলক মামলাগুলো পরিচালনা করারও উদ্যোগ নিয়েছে, কেন্দ্রীয়ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে জার্নালিস্ট শেল্টার হোম। বিএমএসএফ ঢাকা উত্তর সাংগঠনিক কর্মতৎপরতার শুরুতেই অভিনন্দিত বিএমএসএফ ঢাকা উত্তর কমিটির প্রতি আমরা আস্থা রেখে বলতে চাই, সাংবাদিক বান্ধব যাবতীয় কর্মকান্ডকে আরো বেগমান করে অচিরেই ‘মডেল কমিটি’তে উন্নিত হন। আপনাদের অনুসরণ করে গড়ে উঠুক ইতিবাচক কর্মতৎপরতা, আপনাদের কর্মসূচি দেখে দেখেই প্রতিবাদ, আন্দোলন, স্লোগান ধ্বণি ছড়িয়ে পড়ুক সারাদেশের সাংবাদিকদের কন্ঠে। এ কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সদস্যরা সততার সাহসে বলিয়ান হয়ে উঠুন। সামাজিক দায়বদ্ধতার সাংবাদিকতা উপহার দিয়ে সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য সম্পর্ক গড়ে তুলুন। মনে রাখতে হবে রাষ্ট্রের অসম ক্ষমতার দুর্নীতিবাজ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কৌশলগত ভাবেই সমন্বিত শক্তির প্রয়োজন হয়। আপনারা জানেন যে, বৃহত্তর উত্তরা, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে ভূয়া সাংবাদিক চক্র দাপিয়ে বেড়ায়। তাদের নানা অপসাংবাদিকতার কারণে পেশার সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি বৃহত্তর সমাজে সাংবাদিকদের সম্পর্কে খুবই নিচু টাইপের বাজে ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করার মাধ্যমে আদর্শ সাংবাদিক হয়ে সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ভূমিকা রাখতেই হবে। বিএমএসএফ এর ঢাকা উত্তরে সদস্য গ্রহণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। বিতর্কিত ব্যক্তি, চিহ্নিত অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ি, ঘোষিত চাঁদাবাজ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স খ্যাত অপরাধীদের মতো যাকে তাকে সদস্য বানিয়ে অসংখ্য জনবলের শাখা গঠনের কোনো প্রয়োজন নেই। সংখ্যায় কম হলেও প্রকৃত ও সৎ সাংবাদিকদের নিয়ে শাখা গঠন হলেও ক্ষতি নেই, বরং মর্যাদাবানও হবেন, অনেক শক্তিও থাকবে আপনাদের পেছনে। সবাই মিলে সাংবাদিকদের ১৪ দফা দাবি আদায়ের মাধ্যমে আগামি সাংবাদিকতার মানসম্পন্ন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলি।

সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৬ বছর

তৌফিক তাপস : আজ ৩০জুন ২০২০ পালিত হবে ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৬ বছর।অতীতকাল থেকেই সাঁওতালরা অবিভক্ত ভারতের আদি বাসিন্দা হিসেবে খ্যাত।বাংলাদেশের রাজশাহী, দিনাজপুর রংপুরসহ অন্যান্য অঞ্চলে সাঁওতালরা বসবাস করে।সাঁওতালদের গায়ের রং কালো,নাক চ্যাপ্টা,ঠোঁট মোটা,চুল কোঁকড়ানো এবং দেহের উচ্চতা মাঝারি ধরনের।

বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট:

১৮৩৮ সালে ব্রিটিশ সরকার অনগ্রসর সাঁওতালদের পৃথকভাবে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য একটা নির্দিষ্ট জায়গা দেয়,যা তৎকালে "দামিন--কোহ" (দুমকা)নামে পরিচিত ছিল।পরবর্তীতে এটি "সাঁওতাল পরগনা" নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে।তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার সাঁওতালদের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।সেই প্রতিশ্রুতিতে সাঁওতাল আদিবাসীরা বন-জঙ্গল কেটে বসবাসের উপযোগী আবাদযোগ্য করে তোলে।নিজেদের উৎপাদিত ফসলে তাদের জীবন-জীবিকা ভালোই কাটছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত কালাকানুন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দুরাবস্থার জন্য হিন্দু মহাজন ব্যবসায়ীদের চক্রবৃদ্ধি সুদ,দাদন ইত্যাদি ব্যবসায়ের ফলে সরল প্রকৃতির সাঁওতালরা এর খপ্পরে পরে সর্বস্বান্ত হতে থাকে।নিম্ন আয়ের সাঁওতালগণ দৈনিক পরিশ্রম করে যা পেতো,তা মহাজনের ঋণের খাতায় জমা হতো।কিন্তু মহাজনের চক্রান্তে ঋণ কখনোই শেষ হতো না।ঋণের দায় মেটাতে শেষ পর্যন্ত সাঁওতালদের ক্রীতদাসের জীবন বেছে নিতে বাধ্য করা হয়।এ ধরনের অমানবিক নিষ্পেষণের ফলে সাঁওতালরা বিদ্রোহী হয়ে উঠতে থাকে।

সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৬ বছর
সাঁওতাল বিদ্রোহ:

৩০জুন ১৮৫৫ সিধু-কানু-চাঁদ-ভৈরব এবং তাদের দুই বোন ফুলো মুর্মু ঝানু মুর্মুর আহ্বানে ৪০০ গ্রামের ১০,০০০ সাঁওতাল নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করে,যা ইতিহাসে "সাঁওতাল বিদ্রোহ " নামে খ্যাত।ব্রিটিশ জমিদারদের বিরুদ্ধে সাঁওতালদের বিদ্রোহ দমনের জন্য ব্রিটিশ সরকার এক বিরাট বাহিনী নামায়।এতে বহু সাঁওতাল মারা যায়। প্রায় দেড় বছর যুদ্ধ শেষে সাঁওতালরা পরাজিত হয়।সাঁওতালদের ভাষায় বিদ্রোহকে বলা হয় "হুল" যার অর্থ স্বাধীনতা যুদ্ধ। মূলত এটি ছিল আধুনিক অস্ত্র বনাম তীর-ধনুকের যুদ্ধ। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ,১৮৯৯-১৯০০ সালের মুন্ডা বিদ্রোহ,তেভাগা আন্দোলন, নানকার বিদ্রোহ,১৮৫৯-১৮৬২ নীল চাষিদের বিদ্রোহ,১৮৭২ সালের রায়ত অভ্যুল্থান,১৮৭৫

-৭৬ সালের দাক্ষিণাত্যের মারাঠা কৃষকদের অভ্যুল্থানসহ ইতিহাসের অনেক কৃষক আন্দোলন সাঁওতাল বিদ্রোহ থেকে প্রেরণা পেয়েছে।

তেমন কর্মসূচি নেই-

দিনটি ঘিরে প্রতিবছর সিধু, কানু, চাঁদ ও ভাইরবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি, শোভাযাত্রা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ও বরেন্দ্র অঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ, দেশের বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সাঁওতাল বিদ্রোহে আত্মদানকারীদের। উদযাপন করে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। এ ছাড়া জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, আদিবাসী সাংস্কৃতিক পরিষদ, আদিবাসী নারী পরিষদ, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম, আদিবাসী মুক্তি মোর্চা, নাচোল আদিবাসী একাডেমি, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), নওগাঁ জেলা শাখা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাটের বিভিন্ন স্থানে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন করে থাকে। তবে এ বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তেমন কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।

 

তৌফিক আহম্মেদ তাপস

এমএসএস (অর্থনীতি)

 

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget