ডিসেম্বর 2020
91 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 568 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 105 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 43 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4764 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3394 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2763 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 52 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁয় কিং সালমান হিউম্যানিটারিয়ান এইড এন্ড রিলিফ সেন্টার কর্তৃক ৫শ দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ত্রান সামগ্রী বিতরন

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ :
নওগাঁয় সৌদি আরবের একটি সংগঠন ৫শ পরিবারের মধ্যে ত্রান সামগ্রী বিতরন করেছে। বৃহষ্পতিবার ( ৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয় কে.ডি. উচ্চ বিদ্যালয়ের “এ টিম” মাঠে এসব ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়। সারাদেশে রোহিঙ্গা শরনার্থীসহ বাংলাদেশের দুঃস্থ ৩০ হাজার পরিবারের মধ্যে সহযোগিতার অংশ হিসেবে নওগাঁয় এই ৫শ পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
স্থানিয় আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সৌদি আরব ভিত্তিক কিং সালমান হিউম্যানিটারিয়ান এইড এন্ড রিলিফ সেন্টারের অর্থায়নে এসব ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়। ত্রানি সামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ১০কেজি চাল, ৭কেজি ডাল, ৩কেজি চিনি, ২কেজি তেল, ১কেজি লবন এবং ২কেজি করে আটা।
ত্রান বিতরন অনুষ্ঠানে প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান মুফতি রাশেদ ইলিয়াস এবং আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নওগাঁ’র চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন বিন জমির উদ্দিনসহ সৌদি আরব থেকে কিং সালমান হিউম্যানিটারিয়ান এইড এন্ড রিলিফ সেন্টারের ৪ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সালমান ফার্সী, (সজল)

নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর উদ্দ্যোগে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের মাঝে গৃহনির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : “আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” এ স্লোগানকে সামনে রেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি প্রতিটি ঘরহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়া। সরকারের কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১এর কর্মকর্তাদের নিজ অর্থায়নে গৃহহীনদের মাঝে ঘর নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার এনামুল হক প্রামাণিক। আজ বৃহস্পতিবার ( ৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের ভবানীগাতি মধ্য পাড়া গ্রামের গৃহহীন আলেমা এবং ফাতেমার জন্য দুই ঘর বিশিষ্ট একটি পাকা গৃহনির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন , নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ হোসেনসহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মাইনুদ্দিন (অবসর প্রাপ্ত) বলেছেন সরকারি উদ্দ্যোগের পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের নিজ আর্থয়ানে জমি আছে ঘর নাই এমন পরিবারে আমরা পাকা গৃহনির্মাণ করে দিতে পারি কিনা। তারই ধারাবাহিকতায় নওগারঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তারা উদ্দ্যোগ নেয়। আমরা নওগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমরা হাপানিয় ইউনিয়নের একটি তালিকা নিয়েছিলাম। আমরা তালিকার প্রায় ৩০টি পরিবারের মধ্য থেকে যাচাই বাচাই করে আমরা ৫ টা পরিবার নির্ধারণ করেছি তার মধ্যে থেকে ভবানীগাতি মধ্য পাড়া গ্রামের গৃহহীন আলেমা এবং ফাতেমার জমি আছে কিন্তু ঘর করার সামর্থ না থাকায় অন্যের বাড়িতে থাকত। এই জন্য আমরা আমাদের নিজ অর্থয়াণে তাদের ঘর বানিয়ে দিচ্ছি এবং তাদের গৃহনির্মাণের জন্য কোনো অর্থের প্রয়োজন নাই। গৃহনির্মাণের প্রাথমিক ব্যায় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ টাকা।
গৃহহীন আলেমা ও ফাতেমা বলেন, আমাদের জমি আছে কিন্তু ঘর করার সামর্থ না থাকায় নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ  সমিতি-১এর কর্মকর্তাগণ নিজ উদ্দ্যোগে যাচাই বাচাই করে তাদের নিজ অর্থয়ানে আমাদের ঘর নির্মান করে দিচ্ছে। এ জন্য আমরা নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের মহতি উদ্দ্যোগে আমরা নিজস্ব একটা আশ্রয় পেলাম। আর আমাদের অন্যের বাড়ি বা বারান্দায় থাকতে হবে না এ জন্য আমরা অনেক খুশি।

নওগাঁর রাণীনগরে সাড়ে ৫ শ’ কেজি ভিজিডির চাল উদ্ধার
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরে দু:স্থ্যদের মাঝে বিতরণের জন্য ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর সাড়ে ৫ শ’ কেজি ভিজিডির চাল উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবারে( ২৯ ডিসেম্বর) উপজেলার ঘোষগ্রাম বাজারে অভিযান চালিয়ে চালগুলো উদ্ধার করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম।

রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল থেকে গোনা ইউনিয়নে দু:স্থ্যদের মাঝে ভিজিডির চাল বিতরণ চলছিল। এ সময় ভবানীপুর গ্রামের মৃত ফাজিল প্রামানিকের ছেলে হামিদুল ইসলাম ও হামিদুলের ছেলে মকলেছুর রহমান ঘোষগ্রাম বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর এসব চাল ক্রয় করে ঘরে মজুদ করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘোষগ্রাম বাজারে অভিযান চালিয়ে হামিদুলের গুদাম ঘর থেকে সাড়ে ৫ শ’ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়। তবে প্রসাশনের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে হামিদুল ও তার ছেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


 
নওগাঁর নিন্মাঞ্চলে বোরো ধান রোপন শুরু
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ :
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় নিম্নঞ্চালে বোরো ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পানি নেমে যাবার সাথে সাথে কোমড় বেধে মাঠে নেমেছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলা   জুড়ে   প্রায়   ১৮   হাজার  ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জমিতে ধান রোপনের জন্য ইতি মধ্যে প্রায় ৯ শত হেক্টর জমিতে বীজতলা   বোপন করা হয়েছে।
সূত্র মতে, বোরো আবাদে ৭৭ হাজার ৮৫০ মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের লক্ষে ৭৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড এবং ১৮ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের ধান রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ১৪৪ হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা হলেও উপজেলার মিরাট, কাশিপুর, গোনা, বড়গাছা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৭৫৪ হেক্টর জমির ধান বন্যার পানিতে ডুবে সম্পন্ন নষ্ট হয়ে যায়।
এতে চরম ক্ষতির মুখে পরেন কৃষকরা। বন্যার পানি নেমে যাবার সাথে সাথে বীজতলা বোপন করেন। গত সপ্তাহ থেকে উপজেলার নিন্মাঞ্চলে   ধান   রোপন   করতে   কোমড়   বেধে   মাঠে নেমেছেন চাষিরা।
মাঠে ধান রোপন কালে হরিশপুর গ্রামের কৃষক সাহাদৎ হোসেন, ইসমাইল হোসেন, ফরিদ উদ্দীনসহ আরো কয়েকজন কৃষকরা জানান, প্রায় প্রতি বছরই বন্যার কারনে আমাদের এলাকার ধান নষ্ট হয়ে যায়। পানি নেমে যাবার সাথে সাথে আমরা বীজতলা বোপন করি।
অন্যান্য এলাকার চাইতে আমাদের এলাকার বীজতলা আগেই বড় হয়ে যায়। ফলেসবার আগে আমরাই ধান রোপন করি। এতে ধানও আগে কাটা-মারাই করতে পারি। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে একটু তারা-হুরো করেই ধান রোপন করে থাকি।
এ ব্যাপারে   উপজেলা   কৃষি   কর্মকর্তা   শহিদুল   ইসলাম   বলেন, উপজেলার মিরাট, কাশিপুর ও গোনা এলাকার বেশ কিছু এলাকায় ধান রোপন শুরু হয়েছে। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে এসব নিম্মঞ্চলে ঘা-ঘীধান রোপন শুরু হবে।
এছাড়া উপজেলার পূর্বাঞ্চলে ১৫-২০ দিনের মধ্যেধান রোপন শুরু হবে। তিনি আরো জানান, আবহাওয়া জনিত কারনে প্রতিবছর বীজতলা কম-বেশি নষ্ট হলেও এবার বীজতলা নষ্টের কোন নজির নেই।

 

তাহিরপুরে লজিক প্রকল্পের উদ্যোগে জলবায়ু শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্টিত

রাহাদ হাসান মুন্না,তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিন বড়দল ইউনিয়ন পরিষদেলোকাল গভর্ণমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেটচেঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপী,ইউনিয়ন পর্যায়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনা,সিআরএফ ও পিবিসিআরজি (জলবায়ু) বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্টিত হয়।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজহার আলীর সভাপতিত্বে ও প্রকল্পের (সিএমএফ) মুকশিদুর রহমানের সঞ্চালনায়,উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফয়সাল অহমদ,প্রকল্পের সুনামগঞ্জ জেলা কর্মকর্তা (ডিজিএমএফ) নুরুল ইসলাম সরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,ইউপি (সচিব) মোঃ লিটন মিয়া,বাদাঘাট ইউনিয়ন (সচিব) মনিরুল ইসলাম,ঢাকা আহসানিয়া মিশনের (এফটি) শফিকুল ইসলাম সবুজ,কাউকান্দি মাদ্রাসার (সুপারেন্টেন্ড) মাওঃ মোঃ জমির হোসাইন,দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের আনসার প্লাটুন কমান্ডার মাহবুব আলম,সাংবাদিক রাহাদ হাসান মুন্না,প্রকল্পের (সিএমএফ) সদস্য সায়িদা  খাতুন প্রমুখ সহ ইউপি সদস্য বৃন্দ। 

 

স্যার’ সম্বোধন না করায় সাংবাদিককে জরিমানা করার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএমএসএফ

রিপোর্ট : ইমাম বিমান : ‘স্যার’ বলে সম্বোধন না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরগঞ্জে এক সাংবাদিককে ভ্রাম্যমান আদালতে আর্থিক ভাবে জরিমানা করার প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন " বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম " বিএমএসএফ।

২৮ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় যৌথ এক বিবৃতিতে সাংবাদিক বান্ধন সংগঠন " বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম " বিএমএসএফ সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর জানান, দেশের চতুর্থ স্তম্ভে থেকেও গনমাধ্যম কর্মী তথা সাংবাদিক আজও অবহেলিত রয়েই গেছে। আর এ অবহেলার কারনেই দেশের সাংবাদিকরা আজ বিভিন্ন স্থানে সত্য প্রকাশ করায় রাজনৈতিক, সরকারি দপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান মামলা, হামলার শিকার হয়, কখনও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তাকে ভাই বলে সম্মোধন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিদিনের সংবাদ-এর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আকিব হৃদয়কে তারা আটক করে। পরে পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে সেখানে একটি রুমে আবদ্ধ করে গালাগালি ও খারাপ আচরণ করা হয়। কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজের সামনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুর রহমান সাহেল, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মাহমুদুল হাসান, মো. ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা জুলহাস হোসেন সৌরভ সাংবাদিক আকিব হৃদয়ের সংবাদ সংগ্রহের জন্য ব্যবহারিত মটর সাইকেলের ইস্যূতে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। যা সংবাদিককে ভয় প্রদর্শনের একটি অন্তরায় বলা যায়। তাই " বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম " বিএমএসএফ সাংবাদিকের সাথে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তার এহনো অশুভ আচরনের তীব্র নিন্দা জানায়।

প্রসংঙ্গত গতকাল ২৮ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজের সামনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় সাংবাদিক আকিব হৃদয় ঐ স্থান থেকে তার ব্যবহারিত মটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় মটরসাইকেল থামানোর জন্য সিগন্যাল দিলে আকিব মটরসাইকেলটি রেখে জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাকে ভাই কেমন আছেন বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়েযান। ঐ কর্মকর্তাকে কেন ভাই বললেন এ জন্য সাংবাদিক আকিব হৃদয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা মটর সাইকেলের উস্যূতে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে বলেন, আপনি সাংবাদিক তাই আপনাকে বেশি করলাম। ভবিষ্যতে আমাদেরকে স্যার বলবেন! এই বলে আকিবের হাতে সড়ক আইন-২০১৮ এর একটি ভাউচার ধরিয়ে দেয়া হয়। শুধু জরিমানাই ঐ কর্মকর্তার ক্ষিপ্ততা না কমলে আকিবকে আটক করে জেলা প্রশাসন কার্যলয়ে নিয়ে সেখানের একটি কক্ষে ঢুকিয়ে গালমন্দ সহ খারাপ আচরন করেন।

এবিষয়ে প্রতিদিনের সংবাদ কার্যালয় থেকে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, তার গাড়ির লাইসেন্স ছিল না, তাই সড়ক আইন-২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শার্শায় তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের ৫দফা দাবীতে মানববন্ধন

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল : বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের শার্শা উপজেলা শাখার আয়োজনে ৫ দফা দাবী পূরণের লক্ষে স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছে। 

সোমবার বেলা ১১ টার সময় শার্শা উপজেলা চত্বরে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

উক্ত স্মারক লিপি ও মানববন্ধন  কর্মসূচীতে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ শার্শা উপজেলা শাখার সকল সদস্য বৃন্দ উপস্থিত থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ৫ দফা দাবী আদায়ের নিমিত্তে স্মারক লিপি তুলে দেন এবং উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।

এসময় দাবী আদায়ের লক্ষে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শার্শা উপজেলা শাখার সভাপতি  মো: শহিদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা ৫ দফা দাবীতে বলেন, ১। ৩য় শ্রেণি কর্মচারীদের নূন্যতম গ্রেড ১১ তম প্রদান করতে হবে এবং শিক্ষার্থী সংখ্যা অনুপাতে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। ২। পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/অফিস সুপার করতে হবে এবং পেশাগত উন্নয়ন কম্পিউটার সহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর ট্রেণিং এর দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত চাকুরীবিধি -২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ৪। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্ততে দ্রুত উচ্চতর পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ৫। সকল এম,পি,ও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। 

জাতির জনকের কণ্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে যুগোপযোগী শিক্ষানীতি উপহার দেয়েছেন। এই শিক্ষানীতির আলোকে দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত চাকুরী বিধিমালা -২০১২ জারি করা হলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটি দাবীও।

বর্ণিত দাবীসমূহ অনতিবিলম্বে মেনে নেওয়ার জন্য জোর দাবী জানান বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের শার্শা উপজেলা শাখার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবরা।

 

নওগাঁয় শীতে ফুটপাতে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতার ভীড়

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁয় সন্ধ্যা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশা আর উত্তর থেকে আসা হিমেল বাতাসে নওগাঁয় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের তীব্রতার কারণে এখন সব শ্রেণীর মানুষ ভিড় করছেন পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে। ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট গুলোতেও গরম কাপড়ের চাহিদা এখন তুঙ্গে। তবে বেশি ভীড় দেখা যায় ফুটপাতের পুরনো শীতবস্ত্রের দোকানে।

ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন নওগাঁর এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম্ন আয়ের মানুষরা ভিড় করছেন ফুটপাতের এসব দোকানে। আর এ পুরনো গরম কাপড়ের দোকান বসছে নওগাঁর শহরের বালুডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায়, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড থেকে শুরু করে তাজের মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুই ধারে, চুড়ি পট্টি ও তরকারি বাজার সড়কে।

কম দামের কারণে পুরাতন কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আগ্রহ অনেক বেশি। এসব ফুটপাতের দোকানে ছেলে মেয়েদের জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, ব্লেজার, লেদার জ্যাকেট, সোয়েটার, হাফ সোয়েটার, মুজা, শীতের টুপি ও ছোট বাচ্চাদেরসহ সবকিছু রয়েছে।

এসব ফুটপাতের প্রতিটি দোকানেই এখন শীতের পোশাকে ঠাসা। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দরের মধ্যে শীতবস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে এই দোকানগুলোতে। পাশে মার্কেট থাকলেও দামে কিছুটা সস্তা হওয়ায় প্রতিদিন ধনী-গরিবসহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার নারী-পুরুষরা ভিড় করছেন দোকানগুলোতে।

নিম্ন আয়ের ক্রেতা মকলেছ জানান, আমরা দিন আনি দিন খাই এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। আমাদের মতো গরিব মানুষ শীতে গরম কাপড় কিনতে পারে না। তাই ছেলেমেয়েদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করতে হয়। ফলে অনেকটা সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই ফুটপাতের দোকান থেকে বাচ্চাদের জন্য কিছু গরম কাপড় ক্রয় করছি।

পুরাতন কাপড় বিক্রেতা মিঠুন জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে এ বছর কয়েক লট মাল আনা হয়েছে। ভালো বিক্রিও হচ্ছে। ক্রেতারা প্রচুর আসছেন। কোনো কোনো লটে অনেক ভালো কাপড় থাকে। সেই ভালো কাপড় খুঁজে নিতে ক্রেতাদের থাকে বাড়তি আগ্রহ।

নওগাঁর বদলগাছীতে বানিজ্যিকভাবে সৌখিন কবুতরের খামার করে সাফল্য অর্জন করেছেন এক যুবক

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা সদরে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবক বানিজ্যিকভাবে সৌখিন কবুতর পালন করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন। সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা এবং অভাবনীয় সাফল্য। তার এই সৌখিন কবুতরের খামার দেখে অনেকেই এমন খামার গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
বদলগাছি উপজেলা সদরের জিয়ল মহল্লার ঐ যুবক আজ থেকে ৪ বছর আগে তার বাড়িতে মাত্র ৫টি সৌখিন কবুতর নিয়ে শুরু করেন কবুতর পালন। এরই মধ্যে সেই কবুতর থেকে এখন তার একটি পূর্নাঙ্গ খামারে রয়েছে ৫শ কবুতর । সিরাজী, লাক্কা, বিউটি, ম্যাকপাই, জার্মানী শীল, লালচিলা, হাউজ প্রিজন, বারামবাগ, ময়নাকাড়ি, কালো বেরিয়ার, হলুদ বার্ক হোমার, বাগদাদ, ককা, আউল, হলুদ সিরাজী, কালো সিরাজী, লাল সিরাজীসহ প্রায় একশ জাতের দামী দামী কবুতর রয়েছে তাঁর এই খামারে। বাড়ির দু’টি ঘরে সারি সারি খাঁচা। মোট একশটি খাঁচায় এসব কবুতর শোভা পাচ্ছে। কবুতরের বিভিন্নরকমের ডাকে মুখরিত হয়ে রয়েছে পুরো বাড়ি। বাড়ির কাছাকাছি গেলেই এসব কবুতরের ডাক শোনা যাবে। কোন খাঁচায় ডিম, কোন খাঁচায় সদ্য প্রস্ফুটিত বাচ্চা আবার কোন খাঁচায় বেড়ে উঠা বাচ্চা দেখা যাচ্ছে। মা কবুতর নিজেদের খাবার পাশাপাশি বাচ্চাদের খাওয়াতে ব্যস্ত। মায়ের মমতায় ভরা এ এক অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। খামারটি এখন বেশ লাভজনক। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন এই খামারী।
খামারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন প্রতিদিন গম, ভুট্টা, হিন্টি, সরিষা, মসুর ইত্যাদি খাবার হিসেবে দেয়া হয় এসব কবুতরকে। আর খাবার দিয়ে নানাভাবে পরিচর্যা করে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে সময় কাটাচ্ছে খামারীর কলেজ পড়–য়া পুত্র। এ কাজে সহযোগিতা দিয়ে আসছেন তার স্ত্রীও।
প্রতিবেশীসহ এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কবুতর প্রেমীরা এই খামার দেখতে আসেন। দেখে খুশি হন। এমন কি এই খামারের লাভের কথা শুনে নিজেরাও খামার গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন অনেকেই।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সৌখিন কবুতর প্রেমীরা এই খামারে কবুতর ক্রয় করতে আসেন। পুলিশ বিভাগের অনেক কর্মকর্তা তাঁর এই কবুতরের খামার থেকে বাচ্চা এবং বড় কবুতর ক্রয় করে থাকেন। এই খামার থেকে  ১০ হাজার থেকে  ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত এক জোড়া কবুতর বিক্রি হয়ে থাকে।  
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মহির উদ্দিন বলেছেন এসব সৌখিন কবুতর পালন অত্যন্ত লাভজনক। কবুতর পালণ করে যে কারও সংসার নির্বাহ করা সম্ভব। তিনি বলেন যারা এসব খামার গড়ে তুলতে আগ্রহী তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত প্রাণীসম্পদ বিভাগ।
হাঁসমুরগীর খামারের মত এসব সৌখিন কবুতরের খামার গড়ে তুলে একদিকে যেমন শখ মেটানো এবং পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া সম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

বিলুপ্তির পথে নওগাঁর ঐতিহ্যবাহি খেজুর পাটি

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর পোরশায় এখন খুব কম দেখা যায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি হাতে তৈরি খেজুর পাটি। কিন্তু এক সময় এ এলাকার মানুষের কাছে খেজুর পাটির ব্যাপক চাহিদা ছিলো। চাহিদা কমায় সময়ের বিবর্তনে তা বিলুপ্তির পথে এই পাটি। আশির দশকে খেজুর পাটি উপজেলার সাধারন মানুষের ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহার হতো।
খেজুর পাটিতে ধান শুকানোর কাজ করতো অনেকে। আদিবাসী নারী-পুরুষরা বৃষ্টি বাদলে ছাতার বদলে খেজুর পাটির তৈরী ঘোমটা বৃষ্টি আটকানো ঢাল হিসাবে ব্যবহার করত। বর্তমান আধুনিকতায় মানুষের জীবন মানের পরিবর্তনের ফলে খেজুর পাটি হারিয়ে গেছে।
মানুষের পারিবারিক ব্যবহার্য্য উপকরন ঐতিহ্যবাহী খেজুর পাটির স্থান দখল করে নিয়েছে আধুনিক শীতলপাটি, নলপাটি, পেপসি পাটি, বিভিন্ন ধরনের চট ও কার্পেট, মোটা পলিথিন সহ নানা রকমের উপকরন। এই উপকরন গুলো সহজেই বাজারে পাওয়া যাওয়ায় মানুষ খেজুর পাটির পরিবর্তে এসব আধুনিক উপকরন ব্যবহারে দিন দিন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে হারিয়ে গেছে খেজুর পাটির কদর। খেজুর পাটির চাহিদা কমে গেলেও উপজেলার আদিবাসী গ্রাম মধুপুর, মঠবাড়ি, কাঠপুকুর, সরাইগাছি সহ বিভিন্ন গ্রামে বসবাসরত
আদিবাসী নারীরা আজও অবসর সময়ে খেজুর পাটি তৈরির কাজে ব্যাস্ত থাকে। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী খেজুর পাটিকে তারা নিজস্ব সংস্কৃতিতে আজও আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। এব্যাপারে কথা হয় সরাইগাছি আদিবাসী পাড়ার সেনচেরি পাহান, আলোমতি পাহান, বিশোমনি, জলেশ্বরী ও জিরুয়া পাহান জানান, আগের মতো আর খেজুর গাছও নেই, খেজুরের পাতাও পাওয়া যায় না। ফলে পাটি তৈরীর প্রধান উপকরন খেজুর পাতার অভাবে খেজুর পাটি বিলুপ্ত হতে চলেছে। এ পাটি তৈরীকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন খেজুর গাছ ও পাতা। সরকারের বন বিভাগ খেজুর গাছ লাগানোর জন্য জনসাধারনকে উদ্বুদ্ধ করলে একদিকে যেমন বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া খেজুর গাছ রক্ষা পাবে।
অপর দিকে পাটি তৈরীর সাথে জড়িত আদিবাসী ও অন্যান্যরা এ পাটি ব্যবহার সহ বিক্রি করে কর্মস্থানের সৃষ্টি করতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

শার্শার বিল থেকে ভারতীয় ফেনসিডিল সহ আটক-১
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল : যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া থেকে ৩৮০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল সহ সোহাগ হোসেন (৩৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ সদস্যরা।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বাগআঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাকে ভারতীয় ফেনসিডিল সহ হাতেনাকে আটক করে। আটক সোহাগ শার্শা থানার ইছাপুর গ্রামের মোঃ কিতাব আলী বিশ্বাসের ছেলে।

বাগআঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে বিপুল পরিমান ফেনসিডিল এনে ইছাপুর বিলের (মাঠের) মধ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩৮০ বোতল ফেনসিডিল সহ সোহাগকে আটক করা হয়। আটকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হবে।

 

তাহিরপুর সীমান্তে লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চাল আটক

রাহাদ হাসান মুন্না,তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে ভারতীয় আতব (চাল) আটক করেছে,সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি সুত্রে জানাগেছে, শুক্রবার (২৫ শে ডিসেম্বর) গভীর রাতে সীমান্তের বালিয়াঘাটা বিওপির নিয়মিত একটি টহল দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে,তাহিরপুর উপজেলার (উত্তর) শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট এলাকা থেকে ২ হাজার,১শত কেজি ভারতীয় আতব (চাল) আটক করেছে (বিজিবি) জোয়ানেরা।

আটককৃত চাউলের আনুমানিক সিজার মূল্য ১লক্ষ,২৬ হাজার টাকা।

সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়ন (বিজিবি)র অধিনায়ক লে-কর্ণেল মোঃ মাকসুদুল আলম চাউল আটকের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন,আটকের পর এসব চাল জেলা কাস্টমসে জামা রাখা হয়েছে। 

 

 
নওগাঁয় ফ্ল্যাট থেকে রাতে অভিনব কায়দায় সাংবাদিক রাসেল এর ল্যাপটপ চুরি
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁয় ফ্ল্যাট থেকে রাতে চুরি হল সাংবাদিকের ল্যাপটপ। দৈনিক জাতীয় আলোকিত সকাল, দৈনিক তরুন কণ্ঠ ও The Daily Tribunal জাতীয় পত্রীকার জেলা প্রতিনিধি আবু রায়হান রাসেল এর ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। রবিবার(২৭ ডিসেম্বর) রাতে অভিনব কায়দায় থাই জানালার লক খুলে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক রাসেল ও তার পরিবার জানায়, আমার নিজ ঘরে ব্যাক্তিগত কাজ শেষে আমার ল্যাপটপ সোফায় রেখে দিয়ে আনুমানিক রাত ২টার দিকে ঘুমিয়ে যাই। এবং ঘুমানোর পর কে যেন আমার ল্যাপটপ থাই জানালার লক খুলে চুরি করে। ঘুম থেকে ওঠে দেখতে পাই আমার ল্যাপটপ নেই এবং থাই জানালা খোলা। তিনি আরো বলেন আমার বাড়ির আশপাশের কোনো একটি চক্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
নওগাঁ সদর থানার তদন্ত (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, আমরা সাংবাদিক মো: আবু রায়হান রাসেল এর ল্যাপটপ চুরি হওয়ার অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget