Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

আজ ৫০ তম জন্মদিন সজীব ওয়াজেদ জয়ের
আজ সোমবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লব। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে (২৭ জুলাই) জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন জয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।

সজীব ওয়াজেদ জয় প্রসঙ্গে রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার রোল মডেল। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অর্জিত হয়েছে অসামান্য সাফল্য, বেড়েছে সক্ষমতা। করোনা মহামারির এই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামাজিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখা তারই প্রমাণ। দেশের লাখ লাখ তরুণ এখন ঘরে বসে আয় করছে। প্রতিযোগিতা করছে গোটা বিশ্বের সাথে। এসব তরুণের মাঝে স্বপ্ন বুনে দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। মেধাবী এই তারুণ্যের হাত ধরেই বাংলাদেশ সমৃদ্ধির সোনালী সোপানে পৌঁছাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে তিনি ভারতে চলে যান। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে।

বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন তিনি। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।
লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।

বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়। বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থানরত সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। ইতোমধ্যে ‌‌‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি’ হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশ গঠনে তরুণদের মতামত, পরামর্শ শুনতে জয়ের ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ দুটি প্রোগ্রাম ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এছাড়া তিনি তরুণ উদ্যোক্তা ও তরুণ নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে তরুণদের বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলার’ সূচনা করেন।


ইসরাফিল আজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ইসরাফিল আলম আজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, সোমবার (২৭ জুলাই) সকাল সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ইসরাফিল আলম।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেশকিছু দিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করছিলেন সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে করোনা নেগেটিভ রিপোর্টও আসে তার। তবে শারীরিক অসুস্থতা বাড়ায় গত ৬ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষ কিছুটা সুস্থ হয়ে গত ১২ জুলাই তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। বাসায় আনার পরে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা বেড়ে গেলে ১৭ জুলাই আবারও স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ইসরাফিল আলমকে।

রাজশাহীর বাগমারায় পাউবোর বাঁধ ভেঙে দুটি বিলের ফসল হুমকির মুখে

 মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা, রাজশাহীঃ
  রাজশাহীর বাগমারায় গত এক সপ্তাহ ধরে কয়েক দফা ভারি বর্ষণ, বন্যার পানি বৃদ্ধি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে হাজার হাজার বিঘা জমির আমন-আউশ ধান, মরিচ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েক দিন আগে মান্দায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাগমারার বারানই ও ফর্কিন্নী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বাড়তিতে ফসলি জমির ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
    এদিকে উজানের পানির তোড়ে বাগমারা থানার সন্নিকটে সোনাবিলা পাউবো’র বাধেঁর স্লুইস গেটের পুরাতন ফলা ভেঙে ২টি বিলের ফসল হুমকির মুখে। শনিবার দিনভর এলাকার শত শত মানুষ ভাঙা গেটে বস্তা ফেলে পানি আটকাতে চেষ্টা করে ফল মিলেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ পাউবো’র অবহেলা ও উদাসীনতায় কোটি টাকা ব্যয়ের স্লুইজ গেটের দুরবস্থায় তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ভরে যায় উপজেলার সব নদী-নালা ও খাল-বিল। সেই সাথে কয়েক দিন আগে মান্দায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাগমারার বারানই ও ফর্কিন্নী নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় বাগমারার ৫টি ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা জমির আমন-আউশ ধান, মরিচ ও পানবরজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত অব্যাহত। এদিকে থানার নিকটে শনিবার সকাল হতে পাউবো’র বাধেঁর স্লুইস গেটের পুরাতন ফলা ভেঙে ২টি বিলে পানি ফসল হুমকির মুখে। শনিবার দিনভর এলাকার শত শত মানুষ ভাঙা গেটে বস্তা ফেলে পানি আটকাতে চেষ্টা করে ফল মিলেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ পাউবো’র অবহেলা ও উদাসীনতায় কোটি টাকা ব্যয়ের স্লুইজ গেটের দুরবস্থায় তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। বিলের ধারের বালানগর, মোহম্মাদপুর, বাগমারা, একডালা, শ্যামপুর, মাঝিগ্রাম, পোড়াকয়া গ্রামের অধিকাংশ লোকের বিলের ধারে দামি আবাদ পানবরজ রয়েছে। বিরের মধ্যে যে ভাবে পানি প্রবেশ করছে তাতে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। বালানগর গ্রামের আলতাফ হোসেন, দুলাল উদ্দিন, মজিবর রহমান, জালাল উদ্দিন, আব্দুল মতিনসহ অনেকে জানান, স্লুইস গেটের মুখ দিয়ে প্রবল বেগে বন্যার পানি প্রবেশ করায় সোনা বিলা ও  মোহম্মাদপুর-একডালা বিলের প্রায় দুই হাজার বিঘা জমির রোপা, আমন ও আউশ ধান, পাট, পটল, করলা এবং বেগুনসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হবার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বিলের ধারের পুকুরের চাষকৃত মাছও ভেসে যাবে বলে জানান তারা। এতে এলাকার কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
    গণিপুর ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের স্কুলশিক্ষক মোজাম্মের হক, কৃষক সামসুল হক, একডালা গ্রামের হাসান আলী জানান, অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে যখন উপজেলার সব নদী-নালা ও খাল-বিল পানিতে ভরে যায় ঠিক সেই মুহূর্তে পুরাতন স্লুইস গেটের ভাঙা ফলা মুখ খুলে যায়। এতে ওই মুখ দিয়ে প্রবল বেগে পানি নামায় সোনাবিলাসহ মোহম্মাদপুর-একডালা বিলে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। বালানগর গ্রামের আব্দুল মান্নান, সিদ্দুকুর রহমান, হেলাল উদ্দিনসহ অনেকে বলেন, একদিনে পানি প্রবেশ করে তাদেরসহ এলাকার বহু লোকের ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি বাড়তিতে বিলের ধারের অনেক ফসলের ক্ষতি হবে বলে তারা জানান। একইভাবে গ্রামের সাহেব আলী, ইসমাইল হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, অনাকাঙ্খিত বন্যার পানি প্রবেশে তার পানবরজে পানি ছুঁইছুঁই। এতে পানবরজে পানি প্রবেশ করলে তার ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।

ঝালকাঠির লেবু বিক্রি করে কোটিপতি ২২ গ্রামের চাষিরা
মো. আতিকুর রহমান, ঝালকাঠি : ভিটামিন-সিযুক্ত রসালো লেবুর ঘ্রাণে মাতোয়ারা ঝালকাঠির ২২টি গ্রাম। চলতি মৌসুমে জমে উঠেছে ঝালকাঠির ভিমরুলীর ভাসমান লেবুর হাট। প্রতিদিন এখানে লাখ লাখ লেবু বেচা-কেনা হচ্ছে। পাইকাররা নৌকা থেকে লেবু কিনে গাড়িতে করে বরিশাল আড়তে নিয়ে বিক্রি করছেন। অনেকে মালবাহী ট্রলার বা ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। ফরমালিন ও কেমিক্যালমুক্ত রসালো কাগজি লেবু সবার কাছেই প্রিয়।

ঝালকাঠির বাউকাঠি, শতদলকাঠি, ভিমরুলী, কাফুরকাঠি, আটঘর, গাভারামচন্দ্রপুর, পোষন্ডা, ডুমুরিয়া, খেজুরা, কির্ত্তীপাশা, মিরাকাঠিসহ ২২টি গ্রাম এখন লেবুর ঘ্রাণে মাতোয়ারা। প্রতিদিন এসব গ্রামের কৃষকরা গাছ থেকে লেবু সংগ্রহ করে নৌকায় ভিমরুলী বাজারে নিয়ে আসে। অপেক্ষমান পাইকাররা ট্রলারে বসেই লেবু কিনে রাখে।

চাষিরা জানান, গতবছর ১ পোন (৮০টি) লেবু ছিল আড়াইশ’ টাকা। এবার তা ৪শ’ টাকা। গ্রামের চাষিরা কাঁদি কেটে লেবু চাষ করছেন। একেকটি কাঁদি ১শ’ থেকে ১১০ হাত লম্বা এবং ৭-৮ হাত চওড়া হয়। প্রতিটি কাঁদিতে ২২টি গাছ লাগানো যায়। এরকম ১ বিঘার কাঁদিতে লেবু চাষ করতে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। ফল ধরার পরে লেবু বিক্রি করে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা পাওয়া যায়। সে হিসেবে লেবু বিক্রি করে প্রতিবছর কৃষকরা আয় করছে দেড় থেকে ৩ কোটি টাকা।

লেবু ব্যবসায়ী আ. রহমান জানান, পটুয়াখালী থেকে মালবাহী ট্রলার এলে সেই ট্রলারে পটুয়াখালী মোকামে পাঠানো হয়। সেখানের কাচামাল বিক্রেতাদের সাথে আগেই চুক্তি করা থাকে। কেনা দামের ওপর লাভ রেখে বিক্রি করা হয়।

চাচার সঙ্গে বাজারে গেল চা খেতে, বাড়ি ফিরল ভাতিজার লাশ

আকরামুল ইসলাম, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার হাজরাকাটি বাজারে অটোভ্যানের ধাক্কায় সিয়াম হোসেন (৩) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। রোববার (২৬ জুলাই) সকালে তালা উপজেলার হাজরাকাটি বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সিয়াম হোসেন হাজরাহাটি গ্রামের শাহাবুদ্দিন মোড়লের ছেলে।

হাজরাকাটি বাজারের দোকানদার রবিন জানান, চা খেতে চাচার সঙ্গে বাজারে এসেছিল শিশু সিয়াম। খলিলনগরের দিক থেকে আসা একটি অটোভ্যান বাজারের হানেফের চায়ের দোকানের সামনে শিশুটিকে ধাক্কা দেয়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় শিশুটি।

নিহতের চাচাতো ভাই শাওন বলেন, চাচা সোহরাব মোড়লের সঙ্গে সকাল ৭টার দিকে চা খেতে বাজারে যায় সিয়াম। এরপর দুর্ঘটনা ঘটে। ভ্যানটি আটক করে রাখা হয়েছে। চালকের বাড়ি খলিলনগর ইউনিয়নে। তার পরিচয় জানা যায়নি।

তালা থানা পুলিশের ওসি মেহেদী রাসেল বলেন, চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেয়ার পথে সকাল ১০টার দিকে দুর্ঘটনায় আহত শিশু সিয়াম মারা যায়। অটোভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে। শিশু সিয়ামের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চাঁদপুর রক্ষার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন

চাঁদপুরকে রক্ষার জন্য অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধসহ কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম। রোববার (২৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন করে এ দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের নেতারা।

সংগঠনের সভাপতি মিজান মালিক বলেন, চাঁদপুর আমাদের প্রাণের শহর। আমাদের শেকড় চাঁদপুরে। সেই শহর অব্যাহত নদীভাঙনে আজ বিলীনের পথে। এটি আমাদের পীড়িত করে। নৈতিক দায়িত্ব থেকে আমরা চাঁদপুর রক্ষার দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। আশা করছি, চাঁদপুরকে নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার।

সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাগোনিউজ২৪.কম-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার বলেন, চাঁদপুরকে কার্যকরভাবে রক্ষা করতে হলে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। চাঁদপুরকে রক্ষার জন্য এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চাঁদপুরকে রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ওই সময়ের পত্রপত্রিকায় এ খবর সাক্ষী হয়ে রয়েছে। সাংবাদিকদের কাজ আন্দোলন করা নয়। কিন্তু বাধ্য হয়েই নিজ জেলাকে রক্ষার জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল হক মান্না বলেন, চাঁদপুরের অনেক ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে। চাঁদপুরকে রক্ষা করতে না পারলে আমরা সেসব ঐতিহ্য হারাব। দ্রুত চাঁদপুরকে রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ সময় সংগঠনের বেশকিছু সদস্য এবং ঢাকায় বসবাসরত চাঁদপুরের বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। চাঁদপুরকে রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ দ্রুত সময়ের মধ্যে না নিলে আরও কঠিন আন্দোলনের কর্মসূচি দেবেন বলে ঘোষণা দেন সংগঠনের সদস্যরা।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget