Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁর পত্নীতলায় বিরল প্রজাতির ভারতীয় নীল গাই উদ্ধার
নয়ন বাবু, সাপাহার প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নিরমইল ইউনিয়নের কানুপাড়া গ্রামের একটি আম বাগান থেকে বিরল প্রজাতির ভারতীয় নীল গাই (গরু) উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে নীল গাই টি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, ভারতীয় নীল গাইটি কানুপাড়া গ্রামের একটি আম বাগানে ছিল। ভোরে স্থানীয়রা নীল গাইটি দেখতে পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ কে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আমবাগান থেকে নীল গাইটি উদ্বার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে সেখানে ধীরে ধীরে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে এক পলক নীল গাইটি দেখার জন্য।
 নওগাঁর হাটশাওলী সীমান্ত এলাকা থেকে নীলগাই উদ্ধার

নিরমইল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানানো হয়েছে। তিনি রাজশাহী বিভাগীয় ফরেষ্ট ও বন্যাপ্রাণী কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এটিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে বলেও চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান।

রাণীনগরে আবাদপুকুর দাখিল মাদ্রাসায় ঝুঁকিপূর্ন কক্ষে পাঠদান
আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বর্তমান সময়ে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত পূর্বা অঞ্চল আবাদপুকুর । এক সময় এই অঞ্চলটি ছিলো দুর্গম ও চরম অবহেলিত। এই অঞ্চলের গরীব ও ঝড়েপড়া সন্তানদের ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত করার লক্ষ্যে ২০০৪সালে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয় আবাদপুকুর দাখিল মাদ্রাসা। এরপর মাদ্রাসাটি ২০১১সালে শুধুমাত্র একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাদ্রাসাটিতে অবকাঠামোগত উন্নয়সহ কোন কিছুরই ছোঁয়া লাগেনি।
ইসলাম শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

প্রতিষ্ঠার একদশকের বেশি সময় পার হলেও এখনো মাদ্রাসাটিতে আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই স্পর্শ করেনি। সরকার যেখানে অবহেলিত (মাদ্রাসা শিক্ষা) ইসলামী শিক্ষার প্রসার ঘটানো ও ইসলাম শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করার লক্ষ্যে দেশের ইসলামী প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসাগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে সার্বিক উন্নয়নের জন্য নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তাবায়ন করে যাচ্ছেন অথচ মফস্বল এলাকার এই ইসলামী বিদ্যাপিঠটি এখনো অবহেলিত ও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। মাদ্রাসাটিতে কক্ষ সংকটের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত একাধিক ঝুঁকিপূর্ন কক্ষে গাদাগাদি করে পাঠগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও কোন নিরাপত্তা প্রাচীর না থাকায় মাদ্রাসার সব কিছুই থাকে নিরাপত্তাহীনতায়। একাধিকবার চুরি হয়ে গেছে পানি তোলার মেশিন। গাছের নীচে ইটের পুরাতন কক্ষের প্রাচীর কোথাও ভেঙ্গে গেছে আবার টিনের ছাউনির কোথাও টিন উড়ে ফাঁকা হয়ে গেছে আর দীর্ঘদিনের পুরাতন টিনগুলোতে রয়েছে অসংখ্য ফুটো। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে টিনের ছাউনির কক্ষগুলোতে পাঠদান করানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। টিনের ফুটো দিয়ে কক্ষগুলোতে বৃষ্টির পানি পড়ে জমা হয় হাটু পানি। বর্ষা মৌসুমের অধিকাংশ সময় ঝুঁকিপূর্ণ বারান্দায় কিংবা গাছের নিচে অথবা মাদ্রাসাটি ছুটি দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ।

পরিত্যক্ত এই ভবনগুলো যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। পর্যাপ্ত শ্রেণি কক্ষ না থাকার কারণে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত কক্ষেই পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বার বার অবগত করেও কোন কাজ হয়নি বলে জানান শিক্ষক ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি।

মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল বারী জানান, সরকারের নীতিমালা অনুসারে দেশের প্রতিটি উপজেলায় ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান থাকার কথা রয়েছে ১৮টি করে অথচ আমাদের উপজেলায় রয়েছে মাত্র ৬টি দাখিল মাদ্রাসা। তারপরও আমাদের এই ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো মিলেনি সরকারি ভাবে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া। বেহাল দশায় পড়ে আছে এই ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। কারো নজর নেই মাদ্রাসাটির দিকে। আমাদের ভাগ্যে মিলেনি আধুনিক মানের কোন সরকারি ভবন ও সুযোগ-সুবিধার। এই মাদ্রাসার বর্তমান যা রয়েছে তা সবই দাতা ব্যক্তি ও আমাদের দ্বারা সৃষ্টি। মাদ্রাসাটি স্থাপনের সময় দাতা ব্যক্তি ও শিক্ষকদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয় ৮টি কক্ষ ও দুই বছর আগে সেকায়েপ থেকে প্রদানকৃত অর্থ দিয়ে তৈরি করা হয় আরোও ২টি কক্ষ। কিন্তু ৮টি কক্ষের টিনগুলো দীর্ঘদিনের পুরাতন হওয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে একাধিকবার উড়ে যাওয়ায় ও মরিচা ধরে ফুটো হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে কক্ষের ভিতরে পাঠদান করানো সম্ভব হয় না। মাদ্রাসায় আমরা ইসলামী বিভাগের ১ম শ্রেণি হতে দাখিল (এসএসসি) পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছি। মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে এলাকার অসহায়, গরীব ও খেটে-খাওয়া পরিবারের প্রায় ৩শতাধিক ছেলে-মেয়েরা ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ করছে। মাদ্রাসাটি অনেকটা স্বেচ্ছাশ্রম ভিত্তিক ইসলাম শিক্ষা ছড়িয়ে দিয়ে আসছে এই অঞ্চলের সন্তানদের মাঝে। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ফলাফলে শতভাগ পাশ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে আসছে।

তিনি আরো বলেন অবহেলিত এই অঞ্চলে অনেক বছর যাবত ইসলাম শিক্ষার জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসলেও এখনোও এই ইসলামী বিদ্যাপিঠটিতে আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। বর্তমানে এই বিদ্যাপিঠ নানা সমস্যায় জর্জড়িত। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে কক্ষ সংকট। কক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত কক্ষে ও কক্ষের বারান্দায় গাদাগাদি করে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক ও সাধারন শিক্ষকদের জন্য নেই আলাদা কক্ষ। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাদ্রাসার ঝুঁকিপূর্ন কক্ষে পাঠগ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়াও ঝড়ের মৌসুমে আমরা থাকি চরম নিরাপত্তাহীনতায়। কারণ কখন ঝড় এসে কক্ষের টিনের ছাউনি উড়ে নিয়ে যাবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। ঝড়ে কক্ষের টিনগুলো উড়ে যাওয়ায় বার বার বিপাকে পড়তে হয়। মাদ্রাসার এহেন অবস্থা দেখে অনেক পরিবারই তার সন্তানকে মাদ্রাসায় আসতে দেয় না। আমরা শিক্ষকরা রয়েছি চরম বিপাকে। 

মাদ্রাসার শিক্ষার্থী খাদেমুল ইসলাম, নাজমিন আক্তারসহ অনেকেই জানায়, আমরা এই মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা গরীব, অসহায় ও খেটেখাওয়া পরিবারের সন্তান। অনেক টাকা খরচ করে নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর মতো সামর্থ আমাদের পরিবারের নেই। তাই আমরা এই মাদ্রাসায় ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করছি। আমরা কক্ষের অভাবে পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ন কক্ষেই গাদাগাদি করে পাঠ গ্রহণ করছি। এছাড়াও মাদ্রাসার নিরাপত্তা প্রাচীর নেই, মেয়েদের জন্য নেই কমন ও ওয়াশ রুম, আধুনিক মানসম্মত বহুতল ভবন, নেই শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব ও গ্রন্থাগার। যার কারণে আমরা গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই যুগোপযুগি ইসলামী শিক্ষার অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে পাঠ গ্রহণ করতে পারছি না।

মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও দাতাসদস্য রুহুল আমীন বলেন, আমার মায়ের ইচ্ছে পূরণের লক্ষ্যেই প্রায় ৯৮শতাংশ জমির উপর এই অঞ্চলের ঝড়েপড়া গরীব, অসহায়, খেটেখাওয়া পরিবারের  সন্তানদের মাঝে ইসলাম শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই এখন পর্যন্ত মাদ্রাসাটিতে লাগেনি। অনেকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর বিভিন্ন সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জানিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি। যদি এই ঝুঁকিপূর্ন ভবনগুলো ভেঙ্গে সম্প্রসারণ করে আধুনিক মানের ভবন নির্মাণ করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সকল সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে একটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষার্থীরা ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। ফলে এই প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার মানুষের মাঝে সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠানোর প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং ঝড়ে পড়া অনেক কমে যাবে। এছাড়াও মাদ্রাসাটিতে যাবার একমাত্র মাটির রাস্তাটিতে বর্ষা মৌসুমে হাটু কাঁদার সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় যেতে চায় না। অনেক অফিসের দুয়ারে ধর্না দিয়েও রাস্তাটিতে এখনো ইট বিছাতে পারিনি।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন বর্তমানে ওই মাদ্রাসাটির খুবই করুন অবস্থা। আমি মাদ্রাসাটি সম্পর্কে সবকিছুই জানি। উপজেলা প্রশাসন ইচ্ছে করলে মাদ্রাসাটিতে যে কোন উপায়ে সহায়তা করতে পারেন। আমি উর্দ্ধতন সকল বিভাগকে মাদ্রাসাটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত করেছি তাদের মর্জি অনুযায়ী ছোঁয়া লাগবে বিদ্যাপিঠটিতে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল মামুন বলেন, ওই মাদ্রাসার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পালাম।  সমস্যা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানাবো। আশা রাখি এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কিছু করার সুযোগ থাকলে তা আলোচনা করে প্রদান করার চেষ্টা করবো।

নওগাঁয় বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন, ফায়ার সার্ভিসের ৪ জন সদস্য আহত
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁ শহরের আটাপট্টি এলাকায় একটি চার তলায় অগ্নিকান্ডেরর ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার আড়াই টার দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে। ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রনে। এতে  ফায়ার সার্ভিসের ৪ জন সদস্য আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারন করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
 
নওগাঁয় বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন, ফায়ার সার্ভিসের ৪ জন সদস্য আহত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের আটাপট্টি এলাকায় আরএফএল প্লাষ্টিকের ডিলার মজনু নামের এক ব্যক্তির ‘বার্ণিজ্যালয়’ নামে পঞ্চম তলা ভবনের চার ও তিনতলা আবাশিক। এছাড়া প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম তলা আরএফএল প্লাষ্টিকের গোডাউন। আগুনের সূত্রপাত হয় ভবনের পূর্ব দিকের চার তলা থেকে। এরপর ওই তলার সবদিকে আগুনে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কি কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা কেউ বলতে পারছেন না।
আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে নওগাঁ ও মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে ছুটে আসে। আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রনে এসেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পৌরসভা মেয়র নাজমুল হক সনি।

নওগাঁ বি এম সি মহিলা কলেজের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় সরকারী বি,এম,সি মহিলা কলেজে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। গত শনিবার বিকেলে নওগাঁ সরকারী বি,এম,সি মহিলা কলেজ মাঠে বার্ষিক সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া কমিটির আহবায়ক আবুল কামাল আজাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যোর মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা, নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোজাম্মেল হক প্রামাণিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান অতিথি বিজয়ী ও বিজিতদের পুরষ্কার বিতরন করেন। পরে এক মনোঞ্জ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
নওগাঁ বি এম সি মহিলা কলেজের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

নওগাঁ বাজার কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি আরমান শেখ ও সম্পাদক আনছার আলী
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ বাজার কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে নির্বাচিতরা হলেন: সভাপতি আরমান শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী এবং সহ-সভাপতি সাজেদুর রহমান, পরিচালক পদে নুর ইসলাম, সুপদ সরকার, সামছুর রহমান শাহ্, আশরাফ আলী, কামরুজ্জামান (জামান), মকলেছুর রহমান, কোরবান আলী, সিরাজুল ইসলাম ও আবুল হোসেন। গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ১১৪০ জন ভোটারের মধ্যে ১০৫৯ জন ভোটধিকার প্রয়োগ করেন। শনিবার রাত ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিটির আহবায়ক রেজাউল করিম, সহকারী নির্বাচন কমিশনার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কামাল আজাদ ও ওসমান আলী খান নির্বাচনের এ ফলাফল ঘোষনা করেন।

শিশু নিপার সু-চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরনে ৫দফা দাবীতে শার্শার সাংবাদিকদের আল্টিমেটাম
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারানো শিশু মিফতাহুল জান্নাত নিপার সু- চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরনসহ ৫ দফা দাবীতে অনশনের আল্টিমেটাম দিয়েছে শার্শা-বেনাপোলের সকল সাংবাদিকবৃন্দ।

শনিবার সকাল সকাল সাড়ে ১১টায় শার্শা উপজেলা পরিষদ চত্তরে এক আলোচনা সভায় আগামী ৭ তারিখে এ অনশনের ঘোষনা দেওয়া হয়। আগামী ৭তারিখের আগে প্রশাসনের দেওয়া প্রতিশ্রতি পূরণ করতে ব্যার্থ হলে শার্শা-বেনাপোলের সকল সাংবাদিক ৭এপ্রিল রবিবার সকালে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে উক্ত ৫দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করবে।

যশোরের শার্শার নাভারনে জিপের চাপায় পা হারানো মেধাবী স্কুল ছাত্রী নিপাকে প্রশাসন থেকে উল্লেখ্যযোগ্য সহযোগিতা করা হচ্ছে না।প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার চিকিৎসা খরচসহ সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও ভুক্তভোগী পরিবারটিকে উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে কোন আর্থিক সহযোগিতা করা হচ্ছে না। আর চালকেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ আটক করতে পারেনি। দূর্ঘটনায় পা হারানো নিপা একজন সাংবাদিক পরিবারের সন্তান।

আশ্বাস মিললেও চিকিৎসা খরচসহ প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা পাচ্ছে না নিপা। ঘটনার দিন জেলা প্রশাসক নিজে ও নাভারনে শিক্ষার্থীদের এক মানববন্ধনে শার্শা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল চিকিৎসাসহ ও আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। কিন্তু ঘটনার ১০দিন পার হলেও তারা সেই অর্থে আর্থিক সহযোগিতা পাননি। জেলা প্রশাসন থেকে মাত্র দশ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে দেড় ১ লাখ টাকা। কৃত্রিম পা লাগিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (২০ মার্চ) জিপ গাড়ির চাপায় নাভারণ বুরুজ বাগান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী মিফতাহুল জান্নাত নিপার শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় তার সাথে থাকা স্মৃতি ও রিপা নামে আরো দুই স্কুল ছাত্রী আহত হয়।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget