Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf


এবার শেয়ারবাজারে বিক্রেতা সংকটে
ক্রেতা সংকটের কারণে কিছু দিন আগেই ভয়াবহ দরপতনের কবলে পড়ে শেয়ারবাজার। দফায় দফায় দাম কমিয়েও অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করতে পারছিলেন না বিনিয়োগকারীরা। এখন সেই সব কোম্পানির শেয়ার দফায় দফায় দাম বাড়িয়েও কেনা যাচ্ছে না।

সম্প্রতি শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নামায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে নিজ কার্যালয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজার উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়।

ধসের কবল থেকে শেয়ারবাজার টেনে তুলতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছিলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আর বিশ্লেষকরা বলছিলেন-বাজারে যে দরপতন হচ্ছে তা যুক্তিসংগত নয়। মূলত বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটের কারণে বাজারে দরপতন হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে শেয়ারবাজারের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গ বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজারের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আস্থা ফিরেছে। বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন সরকার শেয়ারবাজার ভালো করতে চায়। তারই প্রতিফল দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিএসইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, শেয়ারবাজার উন্নয়নে সরকার অত্যান্ত আন্তরিক। শেয়ারবাজারের উন্নয়নে যে ধরনের সাহায্য প্রয়োজন সরকার ধারাবাহিকভাবে তা করে যাবে। সভায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ অচিরেই কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে- শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পর্যালোচনা, আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাজারে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাজারে মানসম্পন্ন আইপিও বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুজাতিক ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এমন ঘোষণার পর রোববার (১৯ জানুয়ারি) ছিল শেয়ারবাজারের প্রথম কার্যদিবস। এদিন লেনদেনের শুরুতেই সূচকের বড় উত্থান ঘটে। মাত্র দুই মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গ সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের উত্থান প্রবণতা। ১০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল সূচক বাড়ে ১৩৫ পয়েন্ট। আর প্রথম এক ঘণ্টার লেনদেনে সূচক বাড়ে ২০৪ পয়েন্ট।

সূচক এমন হু হু করে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। এতে দফায় দফায় দাম বাড়িয়েও অনেক কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায় দুটি কোম্পানি। পাশাপাশি আরও ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি রয়েছে।

বকি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক শতাংশের ওপরে দাম বেড়ছে ৩০১টির। ২৮০টির দাম বেড়েছে ২ শতাংশের ওপরে। ৪ শতাংশের ওপরে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ১৮০টি। ৫ শতাংশের ওপরে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ১৩০টি। ১০০টির ওপরে প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ছে ৬ শতাংশের ওপরে।

এমন দাম বাড়িয়েও অনেক বিনিয়োগকারী কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে পারছে না। যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আছে তারা বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। অথচ কিছুদিন আগেই এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ৮-৯ শতাংশ দাম কমিয়েও বিক্রি করা যাচ্ছিল না। এতে ভয়াবহ ধস নামে শেয়ারবাজারে। ফলে ৫-১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। এ সময়ে লেনদেন হওয়া ৮ কার্যদিবসের মধ্যে ৭ কার্যদিবসেই বড় পতন হয়। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ৪২৩ পয়েন্ট কমে যায়। এর প্রেক্ষিতেই শেয়ারবাজারের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নেয়া উদ্যোগের বিষয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী জাগো নিউজকে বলেন, যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এর ফলে আশা করা যায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। আর আস্থা বাড়লে বাজারে অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া অনেক ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম এখন লোভনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বাজার যখন ভালো হয় তখন একটা গ্রুপ সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে, বিনিয়োগকারীদের উচিত এ বিষয়ে সতর্ক থাকা। বিনিয়োগকারীদের উচিত ভালো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে বলন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শেয়ারবাজারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছিলাম। এখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশাকরি এখন বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে এবং বাজার ভালো হবে।

ইভিএম নিয়ে ফের শঙ্কা প্রকাশ করলেন ফখরুলের

ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) নিয়ে ফের শঙ্কা প্রকাশ করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ শঙ্কার কথা প্রকাশ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতে ডাকাতি করে নিয়েছে। এই সিটি নির্বাচনেও একটি দলই প্রাধান্য পাচ্ছে। এখানে একটি অযোগ্য নির্বাচন কমিশন রয়েছে। তারা কোনো রকম ব্যবস্থা নিতে সক্ষম নয়। তাদের সেই যোগ্যতা নেই।

তিনি বলেন, তারা যে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে সেটি একটি অপকৌশল, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়ার। এতে জনগণের রায়ে কখনও ইভিএমের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের সমস্ত পরিসরগুলোকে সংকুচিত করে ফেলছে। স্পেসগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন যে ব্যর্থ, অযোগ্য, তারা যে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা রাখেন না তার প্রমাণ হলো তারা এমন একটা দিনে নির্বাচন তারিখ নির্ধারণ করেছে যেদিন হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় পূজা ছিল। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যেখানে এই পূজাগুলো হয়, ঠিক সেখানেই নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো। ফলে সেখানে অবশ্য একটা সমস্যা তৈরি হয়। এটা নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ইভিএম ব্যবস্থাটি হচ্ছে একটি ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা। পুরনো যে ব্যালটে ব্যবস্থা এতে মোটামুটি জনগণের ফলাফল আশা করা যায়, যদি চুরিটা না হয়।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে আমরা এখানে শপথ নিয়েছি, যেকোনো ত্যাগের বিনিময়ে হলেও আমরা দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী তার ১৯ দফাকে বাস্তবায়িত করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ও জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, দক্ষিণ সিটির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু

টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু হয়েছে। হেদায়েতি বয়ানের পর দুপুর ১২টার দিকে মোনাজাত শুরু হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করছেন দিল্লির মাওলানা জমশেদ।

এর আগে রোববার (১৯ জানুয়ারি) বাদ ফজর থেকে হেদায়েতি বয়ান শুরু হয়। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জড়ো হতে থাকে।

চার দিন বিরতির পর গত ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) ফজর নামাজের পর আম বয়ানের মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। রোববার (১৯ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা। বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাতে অংশ নিতে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান টঙ্গীর তুরাগ তীরে অবস্থান করছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতও বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে আখেরি মোনাজাতের দিন ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে ১৬টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়া বিআরটিসির শতাধিক বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

ধর্ষণ থেকে বাঁচতে নারীরা খুঁজছে আত্মহত্যার ফতোয়া।

যুদ্ধ ও দখলদারিত্বের অভিশাপে জর্জরিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া। চলছে যুদ্ধ। জীবনযুদ্ধের নাজুক পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছে দেশটির নারীরাও। ধর্ষণ আর শ্লীলতাহানির অভিশাপে তাদের জীবন অতিষ্ঠ। ধর্ষণ থেকে বাঁচতে তারা খুঁজছে আত্মহত্যার ফতোয়া।

যুদ্ধ আর অত্যাচার নির্যাতনের নির্মমতার অভিশাপ থেকে বাঁচতে অনেক মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। পরিবারের সঙ্গে দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে পাঁচ বছরের নিষ্পাপ শিশু আয়লান কুর্দীও বাঁচতে পারেনি। নদীতে ডুবে মারা গেছে শিশু। সমুদ্রের তীরে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা আয়লানের নিথর দেহ বিশ্ব বিবেককে কাঁদিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধে পুরো সিরিয়া বিধ্বস্ত। যুদ্ধ ও নির্যাতনের ভয়াবহতা এত বেশি যে বাইরে থেকে তা কল্পনা করাও অসম্ভব। প্রতিদিন শুধু অসংখ্য নর-নারী নিহতই হচ্ছে না বরং প্রতিদিন সেখানে ধর্ষিত হচ্ছেন অসংখ্য নারী। মারাত্মক এ অবস্থায় নারীরা ধর্ষিত হওয়ার আগেই তা থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার ফাতোয়া খুঁজছে!

সিরিয়ার প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার মুহাম্মদ আল ইয়াকুবি টুইট করেন, যুদ্ধে নিয়োজিত সামরিক গ্রুপের ধর্ষণ থেকে রক্ষা করতে নিজ স্ত্রী-কন্যা-বোনদের হত্যা করার হুকুম জানতে চেয়েছেন এক ব্যক্তি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিরিয়ার আলেপ্পোর এক নারীর প্রকাশ পাওয়া বার্তা ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। সে নারী বলেন, ‘আমি এখনও জীবিত। এটা আমার সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য আমি জানি না। কারণ, এখানে কোনো নারীর বেঁচে থাকার অর্থই হলো কোনো না কোনো গ্যাং কর্তৃক নিশ্চিত ধর্ষিত হওয়া।’

ওই নারী বলেন, ‘আমি কারও কারুণা চাই না। আমার বোঝাপড়া একান্ত আমার নিজের। আমাকে আল্লাহর কাছে ন্যস্ত করুন। তিনিই আমার জন্য যথেষ্ট। আত্মহত্যার পর আমাকে যেন অযথা দোষারোপ করা না হয়- আমি শুধু এইটুকু চাই!’

কারণ বর্ণনা করে সে নারী আরও বলেন, ‘জাহান্নাম এখন আর ভয় পাই না। কারণ বেঁচে থাকাও কোনো অর্থে নরকীয় অবস্থার চেয়ে কিছু কম নয়। আমার বাবা-মা বেঁচে নেই। আমার মৃত্যুই বেঁচে যাওয়ার উপায়। বেঁচে থেকে পশু-প্রাণীদের আনন্দের বস্তুতে পরিণত হতে চাই না। আমি মানুষের সমালোচনার পরোয়া করি না। তারা আমার যা ইচ্ছা সমালোচনা করুক। তবু আমি হায়েনাদের স্পর্শমুক্ত পবিত্র মৃত্যু চাই।’

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার আলেপ্পো নতুন এক দোজখ। যেখানে কেউ ধর্ষণ ও নির্যাতনের আগুনে পুড়ছেন কেউবা পোড়ার অপেক্ষায়। তাই তো অসহায় নারী ও ভাই-বাবা কিংবা ছেলেদের জিজ্ঞাসা ধর্ষিতা হওয়ার থেকে আত্মহত্যা শ্রেয় নয় কি?

সৌদিতে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি গৃহকর্মী

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বাংলাদেশি গৃহকর্মীা। ওই তরুণী বর্তমানে দেশটির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিবারের সুখের আশায় গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সম্প্রতি সৌদি আরবে পাড়ি জমান ওই তরুণী।

দেশটিতে যাওয়ার ১০ দিনের মাথায় তার ওপর শুরু হয় পাশবিক নির্যাতন। তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়।পরে ওই কক্ষে তিনদিন ধর কয়েকজন বাংলাদেশি তাকে ধর্ষণ করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে রিয়াদের ছিমুছি হাসপাতালে রেখে যায় ধর্ষকরা।

সেখানে তিন মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মাঝে রোববার তাকে ছিমুছি হাসপাতাল থেকে ১৫০ মাইল দূরে তৌমির হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে ভাঙা গলায় একটু একটু কথা বলতে পারলেও বিছানা থেকে উঠে বসতে পারছেন না তিনি।

তৌমির হাসপাতালে কর্মরত এক বাংলাদেশি বলেন, ‘কীভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ধর্ষণের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তরুণীর’।

তিনি বলেন, ‘তরুণী গৃহকর্মী জানায়, সে যে অফিসের মাধ্যমে সৌদিতে এসেছিল সেখানকার বাংলাদেশিরাও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন। সে এতটুকু বলতে পারে তার ওপর কিছু লোক ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অজ্ঞান হয়ে গেলে আর কিছুই মনে নেই তার।’

এ ঘটনায় সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে অপরাধীদের বিচার সুনিশ্চিত করে তাকে দেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগীর পরিবার।

অতিথি পাখি রক্ষায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

ঝালকাঠি সদর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে সুগন্ধা, বিশখালী, গাবখান ও ধানসিঁড়ি নদী। এ চার নদীর মোহনার পশ্চিমদিকে গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন, দক্ষিণে পোনাবালিয়া ইউনিয়ন এবং উত্তর-পূর্ব কোণে ঝালকাঠি পৌর এলাকা। শীতকালের অতিথি পাখিরা আশ্রয় নিয়েছে বিশখালী নদীর পশ্চিম পাড়ে গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ভাটারাকান্দা ও পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দিয়াকূল গ্রামের বিশখালী নদী তীরবর্তী এলাকায়।

এসব অতিথি পাখিসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী বিভিন্ন জাতের পাখি রক্ষায় জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ৩টি স্পিড বোটে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ‘পাখি শিকারকে না বলি’ প্রচারাভিযানে অংশ নেয়। পাখি রক্ষায় বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত বাণী প্রচার, জেলার ৪ থানার অফিসার ইন-চার্জদের নম্বর সম্বলিত ফেস্টুন জনবহুল স্থানে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নৌপথ ও নদী তীরবর্তী বাজারসমূহে এ প্রচারাভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে জনসচেতনতা গড়তে এ অভিযান পরিচালনা করেন ব্যবসায়ী শামসুল হক মনু।

জানা যায়, প্রতিবছর শীতে দূর-দূরান্ত থেকে শীতের পাখিরা আসে আমাদের দেশে। ভ্রমণপিপাসু মানুষ পাখি দেখতে ভিড় করে বিভিন্ন জলাশয়ে। পাখিদের কলকাকলি প্রকৃতির শোভা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। আবাসিক ও অতিথি পাখি মিলে আমাদের দেশে প্রায় ৬৫০ প্রজাতির পাখি আছে। এরমধ্যে ৩৬০ প্রজাতি আবাসিক। বাকি ৩০০ প্রজাতি অতিথি পাখি। সব অতিথি পাখি শীতের সময় আসে না। ৩০০ প্রজাতির মধ্যে ২৯০টি শীত মৌসুমে আসে ও ১০টি প্রজাতি থেকে যায়।

 

অতিথি পাখি রক্ষায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
ব্যবসায়ী শামসুল হক মনু জানান, শীত এলেই এসব জলাশয়, নদীর তীরের নিরাপদ স্থানসহ বিভিন্ন হাওর, বাওড়, বিল ও পুকুর পাড়ে চোখে পড়ে নানা রংয়ের নাম জানা, অজানা পাখির। অথচ বেআইনিভাবে শিকার হচ্ছে এসব পাখি। অতিথি পাখি আমাদের বন্ধু, ঐতিহ্য, গর্ব ও প্রেরণা। পাখিগুলোকে অচেনা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমাদের বন্ধুসুলভ আচরণ করা দরকার। পাখিগুলো রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
তিনি আরও জানান, পাখি শিকার করা, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, ফসলে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ প্রভৃতি অতিথি পাখির প্রধান শত্রু। আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে। একশ্রেণির লোভী শিকারীর নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য দুর্লভ প্রজাতির অতিথি পাখি। জালের ফাঁদ পেতে, বিষটোপ এবং ছররা গুলি দিয়ে নির্বিচারে অতিথি পাখি শিকার চলছে প্রতিনিয়ত। কেউ শখের বশে আবার কেউ বাজারে বিক্রির জন্য অতিথি পাখিদের ধরে চলেছে।

ঝালকাঠি সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোসাম্মাৎ জেবুন্নেছা জানান, আশঙ্কাজনক হারে আমাদের দেশে শীতে পাখি আসার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আমরা অতিথি পাখি দেখতে গেলেই পাখির খুব কাছে যেতে চাই। ঢিল মেরে আতঙ্কিত করে পাখি ওড়ার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে চাইলে তা পাখির অবাধ বিচরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এছাড়াও নদীপথে লঞ্চ, স্টিমার, স্পিড বোট, ট্রলারের শব্দেও পাখির আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তাই আইন প্রয়োগে কঠোর হতে হবে। প্রশাসনের সঙ্গে আমাদেরও সহযোগিতা করতে হবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget