Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বাবা-মার সঙ্গে নদীতে গিয়ে ডুবে গেল শিশু


রেজাউল করিম রেজা,নাটোর : নাটোরের বড়াইগ্রামে বড়াল নদীতে পড়ে সারোয়ার হোসেন (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বড়াইগ্রাম পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সারোয়ার ওই গ্রামের মজর আলীর ছেলে।

স্থানীয় কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম জানান, সকালে মজর আলী ও তার স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে বাড়ির পাশে বড়াল নদীতে পাটের আঁশ ছড়াতে যান। সবার অগোচরে শিশুটি পানিতে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক দিলিপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

বাগমারার ভবানিগঞ্জ পৌরসভার চানপাড়া "হেলিপ্যাড মাঠটি",নির্মাণ সামগ্রীর দখলে

মোঃ সাইফুল ইসলাম,বাগমারা(রাজশাহী) : রাজশাহী ভবানীগঞ্জ পৌরসভার আওতাধীন ৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত চাঁনপাড়া “হেলিপ্যাড মাঠটি” আমাদের সবার কাছেই অধিক পরিচিত।আজ এ মাঠটি বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী দারা দখল হয়ে যাচ্ছে।

গোডাউন মোড় সংলগ্ন এ মাঠটি দীর্ঘদিন ধরেই ভবানীগঞ্জ পৌরসভা ও এর আশেপাশের সকল শ্রেণী- পেশার মানুষের কাছে ক্রীড়া, শরীরচর্চা ও বিনোদনের একমাত্র কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ এ মাঠটি শিশু -কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের কাছে মেধা ও মননশীলতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে আজ ঐতিহ্যবাহী এ মাঠটি তার নিজস্ব স্বকীয়তা হারাতে বসেছে যা চিত্রগুলোতে দৃশ্যমান। গত দুই-তিন বছর ধরে মাঠের চারপাশে বহুতল বিশিষ্ট ভবন গড়ে উঠার দরুন নির্মাণসামগ্রীর সকল কাঁচামাল মাঠটিকে গ্রাস করে নিয়েছে। বর্তমানে মাঠের প্রায় ৭০-৮০% জায়গা ইট,বালি,খোয়া ও অন্যান্য জিনিসপত্রে দখলকৃত।

এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে মাঠটির একপাশ থেকে অন্য পাশে হেঁটে যাবার রাস্তা খুঁজে পেতে বেগ পেতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

এ রকম অবস্থায় এ অঞ্চলের শিশু-কিশোর ও তরুণ প্রজন্ম ক্রীড়া,শরীরচর্চা ও মেধাবৃত্তি থেকে বেরিয়ে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, মাদকাসক্ত ও নানান সামাজিক অসংগতিতে জড়িয়ে পড়ছে যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক।

তাই ৬ নং ওয়ার্ড, ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় বসবাসরত এলাকাবাসীর আকুল আবেদন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে,বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে এ এলাকার শিশু-কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে মাঠটিকে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।




যশোরের শার্শায় মাছের ঘেরে র‌্যাবের অভিযান গাঁজা সহ গ্রেফতার-১



মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল : যশোরের শার্শায় মাছের ঘের থেকে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা সহ মোঃ সাগর হোসেন(২৪) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব সদস্যরা। গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ী সাগর ধান্যখোলা গ্রামের শাহাজুল ইসলাম এর ছেলে।

মঙ্গলবার(১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এর নেতৃতে একটি অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে শার্শা থানাধীন জেলে পাড়া সাকিনস্থ মোস্তফার মাছের ঘেরের পাশ থেকে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।

যশোর র‌্যাব-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার লেঃ এম সারোয়ার হুসাইন(এক্স)বিএন আমাদের প্রতিনিধিকে গ্রেফতার আসামী সহ মাদক উদ্ধার এর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন ধৃত আসামী ও জব্দকৃত আলামত সহ যশোর জেলার শার্শা থানায় হস্তান্তর এবং ২০১৮ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর সারনী ক্রমিক ১৯ (ক) ধারায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নওগাঁয় জেলাজুড়ে বেসিন নির্মাণ সুবিধা পাচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ


সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁয় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জেলা জুড়ে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে সর্বস্তরের মানুষের হাত ধোয়া নিশ্চিত করতে জেলার মূল পয়েন্টগুলো বেসিন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ থেকে শুর করে সব শ্রেণির মানুষ তাদের চলার পথে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বেসিন ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে দিন মজুর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ তাদের চলার পথে এবং কাজের ফাঁকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বেসিনগুলো ব্যাবহার করছেন।
নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার কলেজ, সরকারি কার্যালয়সহ ব্যস্ততম মোড়গুলাতে এসকল বেসিন নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে সর্বস্তরের মানুষ হাত ধোয়ার সুযোগ পায়। বেসিনগুলো স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে করে ভবিষ্যতেও এটি ব্যবহার করা যায়। বেসিন নির্মাণের পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে হাত পরিষ্কার করার জন্য সাবান সরবরাহ করা হয় নওগাঁ জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
নওগাঁয় শহরের চলার পথে এমন সুবিধা পেয়ে সবাই খুশি। সুবিধাভোগীরা জানান, বেসিন নির্মাণে সাধারণ শ্রমিক ও দিন মজুরদের আসলেই খুব উপকার হয়েছে। তারা হাত এবং মুখ ধোয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে করে তারা একদিকে জীবাণুমুক্ত থাকছেন অপরদিকে নিজদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখায় কাজের মধ্যে ভরসা খুঁজে পেয়েছেন।
নওগাঁ জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা প্রতিরোধ পরিকল্পনা অনুযায়ী সর্বপ্রথম সকলের হাত পরিষ্কার রাখার জন্য নির্মাণ করা। করোনাভাইরাস হাতের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে বলে সর্বস্তরের মানুষের হাত ধোয়া খুব জরুরি। ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জেলাজুড়ে সর্বস্তরের মানুষের হাত পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা স্বরূপ এই  প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নওগাঁ জেলার ১১টা উপজেলা জুড়ে ৪৩টি স্থানে ৪৩টি হাত ধোয়ার বেসিন ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি ভাবে হাত পরিষ্কার করার সাবানের বরাদ্দ থাকায় প্রতিদিন এখানে সাবান দেয়া হয়। এর ফলে মানুষ এখানে উপকার পাচ্ছেন। এছাড়া পরিষ্কার থাকায় তাদের মনোবল পরিবর্তনে ব্যাপক সহায়তা আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী।
জেলায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলার সর্বস্তরের মানুষ। তাদের দাবি হাত ধোঁয়ার বেসিনগুলো সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগী হওয়ায় এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচর্যার মাধ্যমে তা মানুষের মাঝে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলতে সহায়তা করবে।

 

নওগাঁয় অবৈধ ও নিষিদ্ধ সূতি জাল দিয়ে মাছ নিধন প্রদক্ষেপ নেই প্রশাসনের

প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের বিভিন্ন খালের মুখের ৩টি স্লুইস গেইটে অবৈধ ও নিষিদ্ধ সূতির জাল দিয়ে চলছে মাছ নিধন। দীর্ঘদিন যাবত এই মাছ নিধন চললেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের উল্লেখ্যযোগ কোন ঐভ’মিকা গ্রহণ না করায় হতাশা প্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবীরা। এছাড়াও উপজেলার ঐতিহ্যবাহি রক্তদহ খালের বিভিন্ন স্থানসহ অন্যান্য খালের উপর দীর্ঘদিন যাবত এই অবৈধ ও নিষিদ্ধ সূতি জাল দিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে যে, উপজেলার মিরাট ইউনিয়নটি হচ্ছে বিল ও খাল অধ্যূষিত এলাকা। বিল মুনছুর, বিল চৌরসহ কয়েকটি বড় বড় বিল এবং শ্রীমতখালী, কাটাধর ও বড়ধর নামের কয়েকটি খালও অবস্থিত এই ইউনিয়নে। এই সব বিল ও খালের পানি নিষ্কাশনের জন্য মিরাট রাস্তার ৩টি স্থানে স্থাপন করা হয়েছে স্লুইস গেইট। প্রতি বর্ষা মৌসুমেই এই ৩টি ¯ুøইস গেইটে অবৈধ ও নিষিদ্ধ সূতির জাল দিয়ে মাছ নিধন করে আসছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আর ক্ষতির মুখে পড়েছে বিলের আশেপাশে বসবাসরত কয়েকশত মৎস্যজীবীরা। ১নং স্লইস গেইটের ১টি সূতি জাল নিয়ন্ত্রন করছে আতাইকুলা গ্রামের মৃত-ছুবুল্লাহর ছেলে মওদুত, ২নং গেইটের ৩টি সূতি জাল নিয়ন্ত্রন করছে আতাইকুলা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে আতিকুল, মামুন, কুদ্দুস এবং ৩নং স্লুইস গেইটের ৩টি সূতি জাল নিয়ন্ত্রন করছে ধনপাড়া গ্রামের রুবেল, ফরিদ, ফজলুসহ অনেকেই। এছাড়াও এই সব ব্যক্তিদের পেছনে আওয়ামীলীগের স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মানুষের ইন্ধন রয়েছে বলে জানা গেছে। এই সূতির জাল দিয়ে মাছ ধরার কারণে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন খালে মাছ পাচ্ছে না। এছাড়াও এই সূতির জাল এমন একটি জাল যে জাল দিয়ে ছোট-বড় কোন মাছই বের হতে পারে না। যার কারণে অনেক প্রজাতির মাছ আজ বিলীন হওয়ার পথে। স্থানীয়দের দাবী প্রভাবশালী গুটি কয়েক মানুষ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গেইটের সূতিজাল নিয়ন্ত্রন করে আসছে দীর্ঘদিন। এদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এই সব অবৈধ কর্মকান্ড তারা চালিয়েই যাবে।
সূতি জাল নিয়ন্ত্রনকারী মামুনসহ অনেকেই জানান প্রতি বছরই আমরা এই জাল দিয়ে মাছ ধরে থাকি। আমরা গরীব মানুষ। কাজ-কর্ম নেই তাই এই জাল দিয়ে মাছ ধরি। এটা সবাই জানে। অনেকের মন যোগার করেই এই জাল ফেলতে হয়।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শিল্পী রায় বলেন খবর পেয়ে আমি একবার গিয়ে সূতি জাল তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তিতে তারা আবার জাল পেতেছে। বিষয়টি আমি নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি অনুমতি দিলেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর সকালে জাল তুলে দিয়ে আসলে বিকেলে আবার তারা জাল পানিতে নামিয়ে দেয়। তাই এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন আমি বিষয়টি জেনেছি। অতিদ্রুত সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। 

বিয়ে পাগল মেম্বার, ৭০ বছর বয়সে নবম বিয়ে


রবিউল হাসান,লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ওরফে হবি (৭০) এ পর্যন্ত নয়টি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে নিজের ছেলের বান্ধবীকেও বিয়ে করেছেন তিনি।

সাবেক এই মেম্বারের দাবি, শখের বসে নয় বরং ঝগড়া আর বউয়ের অসুস্থতায় বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। একের পর এক বিয়ে করায় বিয়ে পাগল হবি মেম্বার নামে পেয়েছেন পরিচিত।

জানা গেছে, আটজন স্ত্রীর মধ্যে জমি-জমা বিক্রি করে ইতোমধ্যে তিনজনকে ডিভোর্স দিয়েছেন হবি মেম্বার। একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে আরেক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বাধ্য হয়ে বিয়ে ঠেকাতে পাটগ্রাম থানা ও লালমনিরহাট পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রথম স্ত্রী রহিমা বেগম।

রহিমা বেগম বলেন, ৪০ বছর আগে আমাকে বিয়ে করেছেন হবি। এরপর আমার মতের বিরুদ্ধে একের পর এক আটটি বিয়ে করেছেন। তিনি একজন লম্পট, নারীকে ভাগিয়ে এনে অন্যের সংসার নষ্ট করে মজা পায়। বর্তমানে আমার ছেলে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে, নাতি-নাতনি রয়েছে। এ অবস্থায় অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে আবার বিয়ে করতে চাচ্ছেন হবি মেম্বার। তার জন্য গ্রামে মুখ দেখাতে পারি না।

হাবিবুর রহমানের ছেলে ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা বিয়ে পাগল। তিনি আমার বান্ধবীকে পর্যন্ত বিয়ে করেছেন। তিনি বুড়ো বয়সেও বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছেন। তার কারণে আমাদের মেয়ে, ভাতিজি ও ভাগ্নিদের বিয়ের প্রস্তাব আসলে খারাপ মন্তব্য করে মানুষ।

স্থানীয় আমের আলী বলেন, বিয়ে পাগল হাবিবুর রহমান হবি এলাকার মেয়েদের দেখলে বিয়ের জন্য পাগল হয়ে যান। বিয়ে করতে না চাইলে তাকে ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা কুমুর উদ্দিনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, তিনি কাউকে তোয়াক্কা না করে এলাকায় একের পর এক অপকর্ম করছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বললে মামলায় জড়িয়ে বিপদে ফেলেন।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরষিদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তোবারক হোসেন বলেন, বৃদ্ধ বয়সেও বিভিন্ন নারীর দিকে খারাপ নজর দেন হাবিবুর রহমান হবি। এতে সমাজে অনেকে তাকে ও তার পরিবারের লোকজনদের আর মেনে নিচ্ছেন না। সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাত বলেন, হাবিবুর রহমান হবি একজন নারীলোভী ব্যক্তি। শেষ বয়সেও তিনি একের পর অপকর্ম করছেন। তার বর্তমানে পাঁচ স্ত্রী থাকার পরও অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান হবি বলেন, আমি নবম বিয়ে অনেক আগেই করেছি। ছেলেরা আমার সম্পদ দখল করতে আমার প্রতি অন্যায়-অত্যাচার করছে। আমি এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেছি।

পাটগ্রাম থানা পুলিশের ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে এমন অভিযোগ বহু বিবাহের আদালতে করতে হবে।
 

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget