Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বাঁধ ভেঙ্গে হাজারো লোক ঘর ছাড়া নওগাঁয় নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত

তন্ময় ভৌমিক: কয়েক দিনের একটানা প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিপদসীমার উপরদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নওগাঁর আত্রাই নদ ও ছোট যমুনাসহ প্রায় সবকটি নদীর পানি। ফলে পানি বন্দি হওয়ায় হাজারো পরিবার নিজ বসত বাড়ি থেকে বাঁধ ও উঁচু সাথে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই বৃহস্পতিবার সকালে রান্না করতে না পারায় শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করেছেন। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষজন গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।
নওগাঁর মান্দা উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদের পানি জোতবাজার পয়েন্টে এখন বিপদসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার ও আত্রায়ে প্রায় ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মান্দায় ৫টি আত্রাই ৪টি ও রাণীনগরে ১ স্থানে বাঁধ ভেঙে হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শতশত পরিবার মান্দা ও আত্রাইয়ের বাঁধ ও উঁচু স্থানে বাড়ির আসবাপত্র নিয়ে অবস্থান করছে।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মান্দা ও আত্রাইয়ে বন্যাদুগর্ত প্রায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে বিকেলে খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বন্যার কবলে পড়ে আত্রাই নদ ও রাণী(ফকিরনি) নদীর উভয় তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৫০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে এ দুই নদীর উভয় তীরের ৫টি বেড়িবাঁধ ও জোকাহাট দাসপাড়া পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে মান্দা-আত্রাই আঞ্চলিক সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দুর্গত এলাকার মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। এসব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বাধতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকরা প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভাঙ্গনকৃত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ জোকাহাট দাসপাড়া, বেড়িবাঁধগুলো হচ্ছে পার-নুরুল্লাবাদ মন্ডলপাড়া, চকরামপুর, কয়লাবাড়ি ও বাইবুল্যা।
বুধবার এসব বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ধান, পাট ও সবজির ক্ষেত। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। এর মধ্যে ২০১৭ সালের বন্যায় চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর আর মেরামত করা হয়নি। এতে করে নদীর পানি বাড়ার ফলে এসব ভাঙন স্থান দিয়ে পানি ঢুকে দুই গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
এদিকে পানির প্রবল চাপে আত্রাই ও রানীনগর নদীর উভয় তীরের বনকুড়া, দক্ষিণ চকবালু, জোকাহাট, চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ি, শহরবাড়ি ভাঙ্গীপাড়া, নুরুল্লাবাদ নিখিরাপাড়া, করাতিপাড়া, জোতবাজার, বাগাতিপাড়া, পশ্চিম নুরুল্লাবাদ, শামুকখোল, আত্রাই ও রাণীনগরে ৫০টি পয়েন্ট চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দিনরাত কাজ করছেন স্থানীয়রা। বাঁধে রাতে বসানো হয়েছে পাহারা।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আত্রাই নদীর ডান তীরে পারনুরুলন্ডা বাদ থেকে মিঠাপুর পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাত্র এক ফুট নিচে পানি অবস্থান করছে। কোথাও কোথাও মূল বাঁধ টপকে পানি পার হচ্ছে। বালুর বস্তা ফেলে পানি ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার কাজ চলছে। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫শ’ পরিবারের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে, আত্রাইয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়কের জাতআমরুল নামক স্থানের সড়ক, পাঁচুপুর পালপাড়া সংলগ্ন বেঁড়িবাঁধ, আত্রাই-সিংড়া সড়কের বৈঠাখালী বেড়িবাঁধ, ভরতেঁতুলিয়া ও মধুগুড়নই গ্রামে বেড়ি বাঁধ ভেঙে নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শিবপুর গ্রামের অর্ধেকাংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় ৭ হাজার পরিবার। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে পানিবন্দী প্রায় ১ হাজার ৮০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার সব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। আত্রাই-নওগাঁ সড়কের সদুপুর নামক স্থানে সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং আত্রাই-পোড়াখালী সড়কের উপর হাঁটু পরিমাণ হয়েছে ফলে এ সড়ক দিয়ে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে এসব সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আত্রাই-নওগাঁ, আত্রাই-কালীগঞ্জ এবং আত্রাই-সিংড়া সড়কে ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আত্রাই উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নভেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, পানিবন্দী প্রায় ১ হাজার ৮০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার চিড়া, মুড়ি, গুড়, খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে আত্রাই-সিংড়া এবং আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার লোকজন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে এসব রুটে চলাচলকারী সিএনজি, অটোচার্জার ও রিক্সা ভ্যান চলকরা চরম বিপাকে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাউছার হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে উপজেলার কয়েক স্থানের বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ২ হাজার ৫৭ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে কৃষক অনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানাউল ইসলাম জানান, আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দী পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে এবং এ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন যেসব স্থানের সড়কগুলো ঝুঁকিপূর্ণ তা রক্ষায় জোর চেষ্টা চলছে।




নওগাঁর রাণীনগরে পৃথক অভিযানে গাঁজাসহ বৃদ্ধ আটক ॥ মটরসাইকেল উদ্ধার

রাণীনগর (নওগাঁ): নওগাঁর রাণীনগরে পৃথক অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ আব্দুস ছাত্তার (৬০) নামের এক বৃদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া গাঁজাসহ পরিত্যাক্ত অবস্থায় একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। আটক ছাত্তার উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। আটককৃত ছাত্তারকে  বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাণীনগর থানার ওসি মো. জহুরুল হক জানান, গত মঙ্গলবার দিনগত রাত অনুমান ১১টা নাগাদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার একডালা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩২ গ্রাম গাঁজাসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া একই দিন বিকেলে উপজেলার সরকাটিয়া এলাকা থেকে আব্দুস ছাত্তার (৬০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক ছাত্তারকে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নওগাঁর রাণীনগরে ঝুঁকিপূর্ন বেরিবাঁধ ভেঙ্গে পানিতে প্লাবিত কয়েকটি গ্রাম ॥ ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাঝ

রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা: নওগাঁর রাণীনগরে ছোট যমুনা নদীর নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর ঝুঁকিপূর্ন বেরিবাঁধটি ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। পানিতে প্লাবিত হয়ে নষ্ট হওয়ার পথে আউশ ও আমন ধানের বীজতলা। এছাড়াও পানিতে প্লাবিত হয়েছে কিছু সবজির ক্ষেত। গত মঙ্গলবার বাঁধটি ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করছে।
নওগাঁর রাণীনগরে ঝুঁকিপূর্ন বেরিবাঁধ ভেঙ্গে পানিতে প্লাবিত কয়েকটি গ্রাম ॥ ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাঝ

গোনা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খাঁন হাসান জানান, আশির দশকে স্থানীয়রা চলাচলের জন্য ছোট যমুনা নদীর তীরের পাশ দিয়ে নির্মাণ করেন নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর গ্রামীণ রাস্তাটি। কালের আর্বতে নদীর ভাঙ্গনে সেই রাস্তাটি ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে নদীর বেরিবাঁধে পরিণত হয়। কিন্তু বছরের পর বছর রাস্তা নামক সেই বেরিবাঁধটিকে সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় পরিণত হয়। তাই বর্ষা মৌসুমে ছোট যমুনা নদীতে পানি এলেই নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় দুই উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষকে। গত বছরও এই বেরিবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। পানিতে ভেসে যায় শতাধিক পুকুরের মাছ, নষ্ট হয় রাস্তা-ঘাট ও সবজির ক্ষেত। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানিতে ভাসছে মানুষ। প্রতিবছরই বাঁধ ভাঙ্গার পর পরিদর্শন করতে এসে সরকারের উর্দ্ধতন কর্তাব্যক্তিরা বস্তা ভরা আশ্বাস দিয়ে যায় আর নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই ভেঙ্গে যায় বাঁধটি। বছরের পর বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বাঁধটির সংস্কার কাজের জন্য ধর্না দিয়েও আজ পর্যন্ত কোন ফল হয়নি। চলতি বছর বাঁধের ঝুঁকিপূর্ন ১৫০ফিট অংশ মেরামত করার জন্য অর্থ এলেও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জোড়াতালি দেওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করতে না পারায় আবার বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে ভাসছে নান্দাইবাড়ি,কৃষ্ণপুর, মালঞ্চিসহ কয়েকটি গ্রাম। জানি না এই বেরিবাঁধের ভাগ্যে কি আছে? ভাগ্যে কি আছে এই অঞ্চলের মানুষদের। বর্তমানে এই বেরিবাঁধটি রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষদের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। কবে সরকারের নেক নজর বাঁধটির উপর পড়বে আর স্থায়ী ভাবে মেরামত করা হবে এই অভিভাবকহীন নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর বেরিবাঁধটি সে দিনের অপেক্ষায় হাজার হাজার মানুষ।

উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন যে দপ্তরের বাঁধ তার কোন চিন্তা নেই আর যত দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি আমাদের। বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করলেই অপূরনীয় ক্ষতি হয় কৃষি বিভাগের। দিন-রাত বন্যাকবলিত এলাকায় পরিশ্রম করতে হয় কৃষি বিভাগের লোকদের। কিন্তু যদি একবার স্থায়ী ভাবে এই ঝুঁকিপূর্ণ বেরিবাঁধটি সংস্কার কিংবা মেরামত করা হয় তাহলে এই অঞ্চলের মানুষদের দু:খ যেমন চিরবিদায় নেয় তেমনি ভাবে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় কৃষক, মৎস্যচাষীসহ হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই নদীর পানি নেমে যাওয়ায় উপজেলার কিছু নিম্মাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় কিছুটা ক্ষতি হতে পারে ধানের বীজতলা আর কিছু সবজির ক্ষেত। এছাড়া কৃষিতে তেমন কোন ক্ষতি হবে না কারণ মাঠে বর্তমান সময়ে উল্লেখ্যযোগ্য কোন ফসল নেই। তারপরও আমরা নতুন করে উ”ু জমিতে বীজতলা স্থাপন করছি। তাই বন্যার পানি স্থায়ী হলেও আউশ কিংবা আমন ধানের চারার কোন সংকট পড়বে না।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শিল্পী রায় বলেন বন্যার পানি প্রবেশ করে যেসব পুকুর ভেসে গেছে তাদের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করবো। আর বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যচাষীদের চ’ড়ান্ত তালিকা করে উপড়মহলে পাঠাবো। যদি কোন সরকারি অনুদান আসে তাহলে তা ক্ষতিগ্রস্থ্য মৎস্যচাষীদের মাঝে বিতরন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন এই বেরিবাঁধটির সংস্কার করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তাদের অবহেলার কারণে প্রতিবছরই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই বাঁধটি ভেঙ্গে প্লাবিত হচ্ছে দুই উপজেলার শতাধিক গ্রাম। আর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন মানুষরা। তবে ইতিমধ্যেই এবার ভেঙ্গে যাওয়া অংশটিকে মেরামত করে পানি প্রবেশ বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

নওগাঁয় ৬ কেজি গাজা ও ফেন্সিডিল সহ আটক ৩

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় প্রথক প্রথক স্থানে ৬ কেজী গাজা ও ৭০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোড়রাতে বদলগাছী উপজেলার মথুরপুর গ্রামের আবুল হোসেন এর ছেলে রাসেল হোসেন(২৫) এবং বেলাল হোসেন এর ছেলে সাজু (২৫) ও ধামরহাট উপজেলার জাহানপুর গ্রামের আবু তাহের এর ছেলে মামুনকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীদের নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নন মিয়া বিপিএম নির্দেশনায় প্রেস ব্রিফিং করে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আসামীদের জেল হাজতে প্রেরন করেন।

নওগাঁয় বাণিজ্যিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে অধিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন কচু ও কচুর লতির চাষ ॥ রপ্তানি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে

আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ): নওগাঁর রাণীনগরে চলতি মৌসুমে কচু চাষে সফলতা পেয়েছেন উপজেলার অনেক কৃষক। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-আইরনসহ অন্যান্য পুষ্টিগুন সম্পন্ন সর্বাধিক পরিচিত সবজি হচ্ছে কচু। কচু মূলত গরীবের সবজি হিসেবে বেশি পরিচিত। মুখি কচু চাষে কোনো ঝুঁকি না থাকায় উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অধিক লাভজনক কচু ও কচুর লতি চাষ। মুখি কচু চাষে উৎপাদন খরচ খুব কম হওয়ায় লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।

 
নওগাঁয় বাণিজ্যিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে অধিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন কচু ও কচুর লতির চাষ ॥ রপ্তানি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে
কৃষি অফিস সূত্রে জানা, বর্তমানে উপজেলার প্রায় ৮হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে কচুর চাষ হচ্ছে। মুখিকচু হিসেবে পরিচিত স্থানীয়ভাবে লতিরাজ জাতের কচু অনেকের কাছেই জনপ্রিয় সবজি হয়ে উঠেছে। ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধি ও ভালো বাজারমূল্য পাওয়ায় উপেজলার বির্স্তীণ এলাকাসহ এ অঞ্চলের কচু চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় উপযুক্ত ভূমি, অনুকূল আবহাওয়া ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় সার্বিক সহযোগিতায় কচুর চাষ ভালো হয়েছে। শ্রমিক যতœ ও চাষাবাদে স্বল্প ব্যয় হওয়ায় অনেক কৃষক কচু ও কচুর লতির চাষকে বাণিজ্যিক ভাবে গ্রহণ করেছেন। কম উৎপাদন খরচ ও ভালো মুনাফার কারণে উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মুখিকচু চাষ। উপজেলায় সাদা ও লাল রঙ্গের কচুসহ বিভিন্ন জাতের কচুর চাষ করছেন কৃষক। প্রায় সব জাতের কচুই পানিমগ্ন এলাকায় ও লতিরাজ কচু কিছুটা উচু জমিতে ভালো হয়। ধান চাষের চেয়ে প্রায় ৫গুন বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কচু চাষে খুব অল্প পরিচর্যা করতে হয়। তাই এর চাষে ঝুঁকিও অনেক কম। এছাড়া ঝড়ে হেলে পড়া কিংবা শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির কোন আশঙ্কা নেই। কচু গাছের বহুমুখি ব্যবহার হয়। প্রথমতো কচুর পাতা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়, কচুর শক্ত শরীর ও কচুর লতি পুষ্টিকর তরকারি হিসেবে এবং কচুর গাছ থেকে মূল বা চারা হিসেবেও বিক্রি করা যায়। তাই একজন কৃষক অনায়াসে এক বিঘা জমিতে কচুর আবাদ থেকে প্রতি মৌসুমে প্রায় ১লাখ টাকা লাভ করতে পারেন কোন ঝুঁকি ছাড়াই। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে কচুকন্দ ও কচুর লতি ৪০-৪৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং আগামীতে এই দাম আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যান্য সবজির চেয়ে কচুর স্বাদ ও পুষ্টিগুন বেশি থাকায় এর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। এতে কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। গরু, ছাগল কচু খায় না এবং তা দেখাশোনার জন্য বাড়তি কোনো শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। মুখি কচু চাষে কোনো ঝুঁকি নেই। কৃষক জমিতে মুখি কচু রোপন করে তুলনা মূলক কম সময়ে অথ্যাৎ ৪৫দিনের মধ্যে বিক্রি করতে পারেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকরা রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব (গবর) সার করছেন। জানুয়ারী মাসের প্রথমার্ধে লতিরাজ জাতের কচু পাওয়া যায়। এই কচু চাষ মধ্য এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে মধ্য ডিসেম্বর ৮মাস পর্যন্ত চলে। প্রতি বিঘা জমি হতে ৮০ থেকে ১শত মণ পর্যন্ত কচু উৎপাদন হয়।

 
উপজেলার নগর ব্রিজ এলাকার কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন ঝামেলা কম ও কম খরচে কচুতে আমি চলতি মৌসুমে অনেক লাভ করেছি যা অন্য কোন ফসল থেকে সম্ভব নয়। তাই আগামীতে আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে দ্বিগুন জমিতে কচু চাষ করবো। আমরা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের কাছেও কচু, কচুর লতি ও মূল (চারা) বিক্রি করছি। এতে করে লাভ অনেকটাই বেশি পাচ্ছি। বাজারজাতের বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন বর্তমানে উপজেলার কৃষকরা অধিক লাভজনক কচু চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কচু পরিবেশ বান্ধব, বিষমুক্ত ও পুষ্টির শস্য। কৃষি বিভাগ আগ্রহী কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল কচুর চারা সরবরাহ করাসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এছাড়াও কচু চাষে জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায়। কৃষকরা কচু চাষের পর ওই জমিতে অন্যান্য ফসলও চাষ করতে পারবেন। তবে দিন দিন বাজারে অধিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন কচুর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াই এর চাষের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি অফিস কচু চাষে আগ্রহী কৃষকদের অধিক ফলনশীল কচুর চারা সরবরাহ করা থেকে শুরু করে সার্বিক সহোযিগতা দিয়ে আসছে।

নওগাঁর রাণীনগরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জীবানুনাশক ট্যানেলের উদ্বোধন

নওগাঁর রাণীনগরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ৩টি জীবানুনাশক ট্যানেলের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাণীনগর থানা প্রাঙ্গনে এই ট্যানেলের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ১লাখ ৭৩হাজার টাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গন, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন ও রাণীনগর থানা প্রাঙ্গনে এই ৩টি জীবানুনাশক ট্যানেল নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের নির্দেশনায় ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রকৌশলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই ট্যানেল নির্মাণ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন, উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা, রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি আসাদুজ্জামান পিন্টু প্রমুখ। ১নং খট্টেশ্বর রাণীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি আসাদুজ্জামান পিন্টু বলেন উপজেলার এই ৩টি প্রাঙ্গন খুবই গুরুত্বপূর্ন। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে শত শত মানুষকে এই ৩টি স্থানে বিভিন্ন জরুরী কাজে আসতে হয়। সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের সার্বিক নির্দেশনায় ও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই ৩টি জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে জীবানুনাশক ট্যানেল নির্মাণ করা হলো যাতে করে সাধারন মানুষরা কাজ শেষ করে এই সব স্থান থেকে করোনা ভাইরাসের জীবানু থেকে নিজেকে মুক্ত করে বাড়ি ফিরতে পারেন। করোনা ভাইরাসের এই সংকটময় সময়ে আগামীতেও আমাদের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget