Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁর আত্রাই এবং ছোট যমুনা নদীর বাঁধ ভেঙে ৩টি উপজেলার প্রায় ৫৩ গ্রামের প্রায় দুই লক্ষাধিক পানিবন্দি

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ  নওগাঁর আত্রাই এবং ছোট যমুনা নদীর বাঁধ ভেঙে প্রায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বুধবার (১৭ জুলাই) ভোর রাতের দিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর চকবালু (বনকুড়া) নামকস্থানে বাঁধ ভেঙে প্রায় ২২ টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ারপর শুক্রবার (১৯ জুলাই) ভোরে নওগাঁর রানীনগরে নান্দাইবাড়ী-মালঞ্চি নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর বেরি বাঁধ ভেঁঙ্গে ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৮ শত পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার লোক। মালঞ্চি গ্রামের  নওগাঁ-আত্রাই আঞ্চলিক সড়কের ২টি কালভার্টের নিচ দিয়ে প্রবল বেগে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। এতে আত্রাই, রানীনগর, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ফসলি জমির মাঠসহ বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সরেজমিন জানা গেছে, বাঁধ ভেঙ্গে নান্দাইবাড়ী-মালঞ্চি ও কৃষ্ণপুর গ্রামের বিস্তির্ণ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে বাড়িঘরসহ সবজি ক্ষেত। বন্যার পানিতে বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ৩টি গ্রামের মানুষ। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে আসবাবপত্র ও গবাদিপশু নিয়ে নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নিচ্ছে।
গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খাঁন হাসান বলেন, আমার এলাকার ছোট যমুনা নদীর নান্দাইবাড়ি, মালঞ্চি, কৃষ্ণপুর ও আত্রাই উপজেলার ফুলবাড়ি বেরিবাঁধটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে অভিভাবকহীন। ৪০ বছর ধরে কোন দপ্তর কোনদিন এই বাঁধটি সংস্কার করেনি। এমনকি এই বাঁধটিকে কোন দপ্তরই স্বীকার করে না যার কারণে সংস্কার ও উন্নয়নের কোন প্রকারের ছোঁয়া এই বাঁধে কখনো স্পর্শ করেনি। যার ফলশ্রুতিতে বাঁধটি দীর্ঘদিন যাবত চরম ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় ছিলো। আজ বাঁধটির মালঞ্চি এলাকার কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে। এতে করে নদীর তীরবর্তি কয়েকটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। শুধু বাড়ি-ঘরই নয় এই এলাকা পুকুর ও সবজির আবাদের জন্য বিখ্যাত। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই বন্যার কারণে এই এলাকা পুকুর ও শতাধিক হেক্টরের সবজির আবাদ পানিতে তলিয়ে যাবে। এছাড়াও নওগাঁ-আত্রাই সড়কের বেশকিছু জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেইসব ঝুঁকিপূর্ন স্থান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় স্থানীয়রা রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, ভেঁঙ্গে যাওয়া অংশে নদীর পানিতে তেমন গতি না থাকায় বন্যাকবলিত এলাকা ছাড়া অন্যান্য ফসলের তেমন উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্লাবিত ৩টি গ্রামের সবজির আবাদ ও পুকুর বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে বন্যা কবলিত এলাকায় সার্বক্ষণিক থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা ও ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করে তাদের জন্য সহায়তা হিসেবে ত্রান সামগ্রী বিতরন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এছাড়াও ভেঁঙ্গে যাওয়া অংশ বাঁধার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বাঁধটি পরিদর্শন করে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর চকবালু (বনকুড়া) নামকস্থানে বাঁধ ভেঙে প্রায় ২২ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) ভোর রাতের দিকে বাঁধ টি ভেঙে যায়। আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এই বাঁধ ভেঙ্গেছে বলে স্থানীয়রা ও প্রশাসন জানিয়েছেন।
উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি হয়ে গত মঙ্গলবার থেকেই নদীর পানি বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বুধবার ভোর রাতের দিকে বাঁধের ২০০ ফিট অংশ ভেঙে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যা থেকে আত্রাই নদীর ৩০ পয়েন্টে বাঁধে ফাটল দেখা দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের দেখা যায়নি। এর ফলে এই ভাঙ্গন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গভীর রাতে নদীর ডান তীরে মূল বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয়রা প্রায় ৪ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ফাটল অংশে বালুর বস্তা ও মাটি ফেলেও ভাঙ্গন রক্ষা করতে পারেননি। দ্রুতই নদীর পানি ঢুকে পড়ছে বসতি এলাকা ও ফসলের মাঠে।
এরই মধ্যে মান্দা উপজেলার বনকুড়া, চকবালু, ভরট্ট, শিবনগর, দাসপাড়া, শহরবাড়ি, করনোভা, পারশিমলা, মহলা কালুপাড়াসহ অন্তত ৫০ টি গ্রামের প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে আশেপাশের ফসলের মাঠ, আমন ধানের ফসল ও সবজি ক্ষেত। ক্রমেই নতুন নতুন গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। মান্দা ছাড়াও পাশের আত্রাই, রানীনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির শংকা করা হচ্ছে। সরকারী এপর্যন্ত ১০০টি পরিবারের মাঝে ১০কেজি করে চাল, ২কেজি করে চিনি ও মোমবাতি দেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে জানান বানভাসি মানুষরা।
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিসার গোলাম ফারুক বলেন, প্রাথমিক ভাবে ৮২৯ হেক্টর আউশ, ৬০ হেক্টর আমন এবং ৭৫০ হেক্টর শাকসবজি বন্যায় তলিয়ে গেছে। পানির চাপ বাড়তে থাকলে আরো নিমজ্জিত হবে।

নওগাঁয় সেপটিক ট্যাংকে নেমে এক যুবকের মৃত্যু, আহত ২

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় নির্মানাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকে গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।  শুক্রবার সকালে সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার পাহাড়গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন, পাহাড়পুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম মো. ভুট্টো (২৩)। আহতরা হলেন, নিহত ভুট্টোর বাবা গোলাম মোস্তফা (৫৫) ও জিয়া উদ্দিন (২৩)।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা আজহার আলী একটি নতুন ভবন নির্মাণ করছিলেন। ১৫-১৬ দিন আগে ভবনের সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাই করা হয়। সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বাঁশ ও কাঠের তক্তা খুলতে শুক্রবার সকালে সাড়ে ৮টার দিকে নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক আজহারের ছোট ভাই আশরাফুল নিচে নামে। নামার পরে তাঁর কোনো সাঁড়া-শব্দ না পেয়ে স্বজনেরা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের ডাকাডাকিতে প্রতিবেশি গোলাম মোস্তফার ছেলে ভুট্টো তাঁকে উদ্ধার করতে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে নামে। এক পর্যায়ে ভুট্টোও ট্যাংকের ভেতরে নেমে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁরও কোনো সাঁড়া-শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাঁদের উদ্ধার করতে ভুট্টোর বাবা গোলাম মোস্তফা ট্যাংকের ভেতরে নামলে তিনিও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কারও কোনো সাঁড়া-শব্দ না পেয়ে গ্রামের লোকজন সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ভেঙ্গে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করেন। তাঁদের উদ্ধার করে তৎক্ষণাৎ নওগাঁ সদর মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভুট্টোকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অসুস্থ গোলাম মোস্তফা ও আশরাফুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতলে স্থানান্তর করা হয়।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, অসচেতনতার কারনে নির্মাণাধীন সেপটিক টাংকের সার্টারিংয়ের বাঁশ ও কাঠ খুলতে গিয়ে একজনের মৃতু ও দুইজন গুরুতর অসুস্থ্য হয়েছেন। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

তরুণ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফেসবুক, ইউটিউ, গুগল ব্যবহার করে

নজরুল ইসলাম তোফা:: বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীতেই একটি আলোচিত বিষয় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার। এমন ব্যবহারে সফলতার দিক যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি ক্ষতির সম্মুখীনও হচ্ছে মানুষ। তরুণ প্রজন্মরা বাবা মাকে ধোঁকা দিয়ে ডুবে থাকছে নিজস্ব স্মার্টফোনের ফেসবুকে। স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়েই নির্জন স্থানে বা চায়ের দোকানে অথবা পছন্দ মতো কোনো পার্কের বসে স্মার্টফোনেই খেলছে গেমস বা ব্যবহার করছে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুক ও গুগল।
'ইউটিউব এবং গুগলে' আপত্তিকর ভিডিওতে তারা আসক্ত হয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎও নষ্ট করছে। আসলে বিনা প্রয়োজনে অজস্র তরুণ প্রজন্মরা সময় নষ্ট ও আপত্তিকর ভিডিও দেখেই এক ধরনের উগ্রতা সৃষ্টি করে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে লেখা পড়ার মারাত্মক ক্ষতির পাশাপাশি সামাজিক মূল্য বোধেরও অবক্ষয় ঘটছে বলা যায়। সৌখিনতা পূরণ করতে গিয়ে অভিভাবক যেন নিজ সন্তানদের হাতে অজান্তে তুলে দিচ্ছে স্মার্ট ফোন। কোমলমতি এই শিক্ষার্থীরা এমন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারেই হারিয়ে ফেলছে সৃৃৃজনশীলতা এবং বাড়ছে উগ্রতা। বলতেই হয় যে, সারা বিশ্বের মানুষদের মাঝে বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য ছড়িয়ে দিলেও তৈরী কৃত ব্যক্তির পরিবার এর ক্ষেত্রে এসবের ভূমিকাটা ছিলো একেবারেই উল্টো। তাদের উঠতি বয়সের সন্তান'রা কোনো ভাবেই যেন প্রযুক্তির সংস্পর্শে আসতে না পারে। সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করেছিল এই প্রযুক্তি বিশ্বের 'দুই দিকপাল'।২০১১ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া একটি বৃহৎ সাক্ষাৎকারে স্টিভ জবস বলে ছিল, তাঁর সন্তানদের জন্য আইপ্যাড ব্যবহারে একেবারেই নিষিদ্ধ।

শহরের ছেলে-মেয়েদের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে তরুণ প্রজন্মের বহু ছেলেমেয়েরাও এখন মোবাইল ফোনে ফেসবুুক, ইউটিউব ও গুগলে প্রবেশ করে খুব মজা করছে। তবে এই মজার মধ্যে তারা শুধু যে সীমাবদ্ধ থাকছে তা নয়। তারা রাতদিন নেটে গেমস খেলছে। বলা যায় যে, এ মজার আনন্দ গ্রামের চেয়ে শহরেই অনেক বেশী। এক পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে গ্রামের তরুণ প্রজন্মের ছেলেরা সন্ধ্যায়, অন্ধকার পরিবেশে একটি নির্জন স্থানে জটলা হয়ে খুুব পাশাপাশি বসে নিজস্ব মোবাইলে গেম খেলার পাশা পাশি ফেসবুুক, ইউটিউব বা গুগলে কু-রুচি পূর্ণ ভিডিও চিত্র দেখেই যেন আনন্দ উপভোগ করছে। জানা দরকার যে এই দেশের মানুষদের সুযোগ সুবিধা জন্যে এ সরকার ৯ কোটির বেশিই ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে। বর্তমান সরকারের তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের হিসাবে ফেসবুক ব্যবহার করছে প্রায় ৩ কোটি মানুষ। এমন
ইন্টারনেট সংযোগে সকল জনগণকে সচেতন করে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা তা অপব্যবহার করে 'চিন্তা চেতনার অবক্ষয়' যেন নিজ থেকেই সৃষ্টি করছে। এই বাংলাদেশের সচেতন কিংবা অসচেতন ফেসবুক ব্যবহারকারীর শতকরা তিরানব্বই ভাগের বয়সই হচ্ছে ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। সুুতরাং এ বিশাল জন গোষ্ঠী "ফেসবুকের সঙ্গে সম্পৃক্ত" হয়েই সামাজিক পরিবর্তন লক্ষ্য করাও যাচ্ছে। পক্ষান্তরে, এমন তরুণরা মিথ্যা গুজব এবং অপপ্রচার চালিয়ে অসচেতন জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। পড়া শোনাকে নষ্ট করে বিশাল এক তরুণ গোষ্ঠী ফেসবুকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে এবং রাজনৈতিক চেতনার নামেই যেন ছোট বড় গোষ্ঠী সৃষ্টি করে সহিংসতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

বাবা-মা তাদের সন্তানদেরকে ভালোবাসে, সন্তানের ছোট বড় সৌখিন চাহিদাও পুুরণ করে থাকে। কিন্তু-ছেলেমেয়েদেরকে যেন সখের মোবাইল ফোন কিনে দিয়ে অজান্তে ভবিষ্যত নষ্ট করছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই ব্যাপারে কোনো ধরনের বিকল্প পথে সুযোগ রয়েছে কি নেই তা জানা নেই। তবে এই ব্যাপারে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বি টি আর সি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বি টি আর সির কোনো সক্ষমতা নেই। তবে সরকার বা বিটিআরসি 'ফেসবুককে অনুরোধ' করতে পারে। ফেসবুক ব্যবসা করতে এই দেশে এসেছে। ফেসবুক কতৃৃপক্ষ বলেন যে ১৮ বছরের নিচের ছেলেমেয়েরা তাদের গ্রাহক। আবার ৬৫ বছরের সকল মানুষরাও একই ধরনের গ্রাহক। ফেসবুক কিন্তু সব অভিযোগ বিবেচনায় নিতে বাধ্য নয়। ফলে, প্রযুক্তিতে ভালোর চেয়ে দিনে দিনে খারাপের দিকেই যেন ঝুঁকে পড়ছে তরুণ প্রজন্ম। গবেষকদের এক সিদ্ধান্ত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন অতিমাত্রায় বিচরণের ফলে মাদকাসক্তির মতো খারাপ ফলাফল প্রকাশ পাচ্ছে।
অনৈতিক অবক্ষয় থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। কোমলমতী বহু ছেলে ও মেয়েদের আচার আচরণের পরিবর্তনও হচ্ছে। আবার এও দেখা যায় যে "হাতে মোবাইল পেয়ে" তারা ঠিক মতো বাসাতেই থাকতে চায় না। উড় উড় মন, লেখাপড়াতে মনযোগ দিতেই চায় না। পড়ার টেবিলে, ঘুমের ঘরে এমন কি খেতে বসেও ফোন চালাতে দেখা যায়। এক কথাতে আসি, যখনই তাদের দেখা যায়, ঠিক তখনই তাদের হাতে ফোন নামক যন্ত্রটি থাকা চাই। বয়ঃসন্ধি কালে পৌঁছার আগে ছেলে মেয়েরা যেন বহু নোংরা কাজে লিপ্ত হচ্ছে। মোবাইলে আসক্ত হয়েও তারাই প্রকাশ্য দিবালোকে অন্যদের মারপিট, খুন, গুম কিংবা ধর্ষণ করছে।

তরুণ প্রজন্মের সব ছেলেমেয়েরা তাদের মোবাইলে গেমের পাশা পাশি ইন্টারনেটেও অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছে সেহেতু তাদের মস্তিষ্কেও নাকি রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটছে। এ আসক্তিতে তাদের মধ্যে হতাশা এবং উদ্বেগও সৃষ্টি হচ্ছে। এই বিষয়ের প্রতি অবজ্ঞা না করে তাদের প্রতি কঠিন দৃষ্ট দিতে হবে। সুতরাং-গ্রাম হোক আর শহরই হোক না কেন, বাবা মা এবং তাদের বড়দের উচিৎ ঘরে-বাহিরে তারা কি করছে। রাত্রি বেলা না ঘুমিয়ে গেম খেলছে কিনা। লেখাপড়া শেষ করে রাত ১০টায় ঘুমিয়ে পড়ত যারা তারা রাত ১২টা বা এক টাতেও ঘুমাতে যায় না। ঘুমানোর ঘরে বালিশের নিচেই রাখে ফোন। সারাক্ষণই ফোন আর ফোন। গবেষকদের গবেষণায় জানা যায় যে, ঘুমের আগেই মোবাইলের 'ডিসপ্লের আলোক রশ্মি' ঘুমের হরমোনকে নাকি অনেক বাধা সৃষ্টি করে থাকে৷ তাই মা বাবাদের প্রতি গবেষকদের পরামর্শ হলো:- ঘুমের আগে যদি সন্তানকে এই ধরনের প্রযুক্তির সংস্পর্শে আসতে দেওয়া হয় তা হলে খুব ক্ষতি হবে। অবশ্যই সন্তানদেরকে 'অহেতুক অথবা অকারণে' এ ধরনের ইলেকট্রোনিক্স যন্ত্র ব্যবহারে বাধা দেওয়া প্রয়োজন। ঘুম না হলে অসুস্থভাবে বেড়ে ওঠা সকল কমলমতি তরুণ তরুণীদের বহু ক্ষতি হয়। পরিপূর্ণ ঘুম না হলে যে তাদের অমূল্য সম্পদ 'স্মৃতি শক্তির স্বাভাবিকতা' বিনষ্ট হবে। সুতরাং সঠিক সময়েই যথাযত কাজের সমন্বয়েই সন্তানদের গড়ে তোলা দরকার।

জানা যায় যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৩ বছরের নিচে "ফেসবুক আইডি" খুলতে পারবে না। কিন্তু এই চোতুর ছেলে মেয়েরা বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের ভোটার আইডি দিয়ে 'মোবাইল সিম' ক্রয় করে নিজ বয়স বাড়িয়ে ফেসবুক আইডিও খুলে ফেলছে। '১৮ বছর' বয়সের নিচে ৬৫ ভাগ ছেলেমেয়েরা ফেসবুক ব্যবহার করছে। ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ সব 'মুঠোফোন বা ইলেকট্রোনিক্স' যন্ত্রের মতো- বহু বদঅভ্যাসকেই চিহ্নিত করে তাকে পরিহার করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার চাইলে ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় ব্রাউজার তৈরি করে সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অবশ্যই বিটিআরসি ইচ্ছা করলে এ ফেসবুকের ওপরে বয়স ভেরিফিকেশন করতে পারে। এই দেশের সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করে ভবিষ্যত প্রজন্মকেই ভালো জায়গায় পৌঁছাতে হবে। সুতরাং বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে 'চীনের মতো ব্রাউজার' তৈরি করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলেই মনে করছেন আইসিটি বিশেষজ্ঞরা। এই ব্যাপারে আমাদের দেশে তেমন কোনও গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেই বলেই জানান আইসিটি বিশেষজ্ঞরা। আরও বলেন যে:- ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব-সহ বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি আসার আগে সেটি সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দেয়া হচ্ছে না তরুণদের। ভারত রাষ্ট্রের 'তথ্য ডিজিটাল নিরাপত্তা' নিশ্চিত করণেই সরকারি অফিসে বসে 'কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনে' সোশ্যাল মিডিয়ার- ফেসবুক, টুইটার ও হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । পাশাপাশি তারা গুগল ড্রাইভ ও ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহারও সীমিত করা হয়েছে। ভারত জুড়েই সাইবার অপরাধ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতেই যেন তাদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশের সরকার চাইলে ভারতের মতো এদেশেও আইন করে 'সমাজ কিংবা কালচার' রক্ষায় ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব কিংবা টিকটকের মতো অনেক কিছুকেই নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

আলিম পরীক্ষার ফলাফলে মাদ্রাসা বোর্ডের শীর্ষ স্থান অর্জনে এবারও ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষা ২০১৯ এর প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি বছরের ন্যয় ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসা এবারও আলিম পরীক্ষার ফলাফলে সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে । 

১৭ জুলাই দেশের মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষাবোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আধীনে  ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছরও শীর্ষ স্থান অধিকারী এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০৬ জন অংশগ্রহণ করে ২০৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন সেই সাথে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯১ জন।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান দখলকারী এ প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ জানান, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা আযিযুর রহমান নেছারাবাদী কায়েদ সাহেব হুজুর ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন।
সাড়ে ৫ হাজার ছাত্রের পদচারণায় মুখরিত এ মাদরাসাটি দাখিল, আলিম, ফাজিল, কামিল (হাদিস, তাফসীর, ফিকহ ও আদব) পরীক্ষার ফলাফলে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে দেশের শীর্ষ স্থান অর্জনকারী অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তাই আজ মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আমিরুল মুছলিহীন মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি অরাজনৈতিক শিক্ষাঙ্গন, সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এ সন্তোষজনক ফলাফল লাভ করা সম্ভব হয়েছে বলে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

ঝালকাঠির নলছিটিতে দরিদ্রদের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে দরিদ্রদের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করলেন  ঝালকাঠি-২ আসনের সাংসদ, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য আলহাজ আমির হোসেন আমু। 

১৭জুলাই বুধবার বিকেলে নলছিটি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাহী অফিসার রুম্পা সিকদার'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন । অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি দরিদ্রের মাঝে টিন ও চেক প্রদান করেন। এ সময় তিনি দরিদ্র ৫৯ পরিবারের মাঝে ৬৩ বান ঢেউটিন ও ৩ হাজার টাকার চেক বিতরণ সহ তার নিজ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১৫ জনের মাঝে ৯৭ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। 

অনুষ্ঠানে একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ বদরুল আমীনের সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মোহাম্মদ শাহ আলম, সহ সভাপতি ও নলছিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তসলিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ ।

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় একাধিক মাদক মালার আসামী রাব্বী সহ আটক ২, ১০পিস ইয়াবা, নগদ অর্থ ও মটর সাইকেল জব্দ

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে একাধিক মাদক মামলার আসামী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাব্বী ও তার সহযোগী আটক। ১৭জুলাই বিকেলে উপজেলার উত্তর আউড়া গ্রামের রাস্তায় অবস্থান করে মাদক বিক্রির সময় তাদেরকে আটক করা হয়। 

এ বিষয় কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মো: এনামুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার উত্তর আউড়া এলাকায় মাদক বিক্রর সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), সঙ্গীয় অফিসার  সহ ফোর্সেদের নিয়ে উপজেলার উত্তর আউড়া এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় উত্তর আউরা সাকিনস্থ সড়কে
অবস্থান করে ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় কালে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মাদক মামলার আসামী গোলাম রাব্বী সৈকত আকন (২০) ও তার সহযোগী আজিম হোসেন (১৯) আটক করি। আটকের পর তাদের দেহ তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে ১০পিস ইয়াবা, নগদ ১৮ হাজার টাকা ও তাদের মাদক ব্যবসায় ব্যবহারিত মটর সাইকেল উদ্ধার করি। 

আটককৃত গোলাম রাব্বী সৈকত আকন (২০) উত্তর আউড়া গ্রামের শাহ জালাল আকন ছেলে অপরদিকে সহযোগী আজিম হোসেন (১৯) একই গ্রামের হারুনের ছেলে বলে জানতে পারি। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget