Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিএসআরএম গ্রুপ অফ কোম্পানির হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানেলা প্রদান

সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিএসআরএম গ্রুপ অফ কোম্পানির পক্ষ থেকে ২ টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানেলা প্রদান করা হয়েছে। আজ রবিবার (০৮ আগষ্ট) বিকেলে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাব সেন্টারে এ সব সরমজাম প্রদান করা হয়।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ মো: আব্দুল বারী, সিভিল সার্জন ডা: মো: এ বি এম আবু হানিফ এবং বিএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জোনাল সেলস হেড উত্তরবঙ্গ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বগুড়া রিজিওনাল সেলস ইনচার্জ ফেরদৌস মোহাম্মদ সদরুল হক চৌধুরী ও টিম মেম্বার মোঃ রাকিব হাসান প্রমূখ।

নওগাঁর মান্দায় দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ২

আতাউর শাহ্, নওগাঁ : নওগাঁর মান্দায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন,দক্ষিণ মৈনম গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৫৬) এবং হাবিবুর রহমানের ছেলে হেলাল হোসেন (৩২) ।

ওসি তদন্ত মেহেদি মাসুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের শরিরমোড়ে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় একটি দোকানঘর থেকে বেশ কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র সামুরাই,হাসুয়া, সুলফি এবং ফালা উদ্ধার করা হয়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছিলো।

এব্যাপারে জানতে চাইলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দোকানঘর থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

সারাদেশের ন্যায় নওগাঁতেও শুরু হয়েছে গণটিকা দান কর্মসূচি

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : কারও মধ্যে বিরূপ কোন প্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় সারাদেশের ন্যায় নওগাঁতেও শুরু হয়েছে গণটিকা দান কর্মসূচি।

শনিবার( ০৭ আগষ্ট) সকাল ৯টা থেকে জেলার ১১টি উপজেলার ৯৯টি ইউনিয়নে ও ৩টি পৌরসভায় মোট ১১৩টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে একদিনের জন্য এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলার ১১টি উপজেলার ৯৯টি ইউনিয়ন, নওগাঁ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড, ধামইরহাট পৌরসভার ৩টি কেন্দ্র ও নজিপুর পৌরসভার দুইটি কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৭০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে এই কর্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, ২৫ বছর ও তদুর্ধ্ব ও পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী, নারী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী, দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই গণটিকাদান কার্যক্রম চলছে। প্রচুর মানুষ টিকা নিতে আসছে। আমরা মনে করি, এই গণটিকাদান কর্মসূচি মানুষের মধ্যে একটা উৎসাহ-উদ্দীপনার তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের এলেও তারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। কারণ ভোটার আইডি কার্ড দেখে স্পট রেজিস্ট্রেশন করিয়ে তারপর টিকা দেওয়া হচ্ছে।

এসময় তিনি টিকা নেয়ার পর টিকাকেন্দ্রে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে বলেন। এছাড়া টিকা নেয়ার পরও জরুরি কাজে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বলে জানান।

এসব কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিবন্ধন পাওয়া ব্যক্তিরা প্রথম ডোজ টিকা নিতে পারবেন।

আত্রাইয়ে পুলিশের অভিযানে ইয়াবা সহ ৯জন আটক

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁর আত্রাইয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৮ পিস ইয়াবা ও ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ ৯ জনকে আটক করেছে আত্রাই থানা পুলিশ।বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত থেকে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪৪), মোঃ সারোয়ার আলম ওরফে সোহাগ (৩০), মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩২), মোঃ সোহেল রানা (২৮), মোঃ রহমত আলী (৫৫), মোঃ আব্দুল হান্নান (৪২), মোঃ হেলাল উদ্দিন (৩১), মোঃ সাজু (৩২), শ্রী বিমল পাল (৫০)। তাদের সকলের বাড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।

আত্রাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, আত্রাই থানা পুলিশের বিশেষ একটি টহল দল অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮ পিস ইয়াবা ও ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ ৯ জনকে করা হয়।

তিনি আরো বলেন, আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাক্ষুসে সাংবাদিক নিপাত যাক;  গণমাধ্যম মুক্তি পাক   -----বিএম‌এস‌এফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৃতি তার রীতিতে অটল। আজ নয়তো কাল। সাংবাদিকতা অঙ্গনে আবার রাক্ষুসে সাংবাদিক! এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। সারাদেশে রাক্ষুসে সাংবাদিকের কমবেশী অস্তিত্ব রয়েছে। এটাকে সমুলে বিনাশ করা উচিত, নয়তো এরা ছোটবড় সাংবাদিকদের গিলে ফেলবে। দেশের রাক্ষুসে সাংবাদিক নিপাত যাক; গণমাধ্যম মুক্তি পাক। দেশে প্রতিনিয়ত রাক্ষুসে সাংবাদিকের ঈন্ধনে পেশাদার সাংবাদিকরা ঝুঁকিতে রয়েছেন। এমন সব রাক্ষুসে সাংবাদিকদের ঈন্ধণে ওসি প্রদীপের দ্বারা ৬টি মামলার শিকার হয়েছিলেন কক্সবাজারের সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফা। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দৈনিক সংবাদের কামাল হোসেনকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছিল। সেখানেও বিএমএসএফের প্রতিনিধিদল সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে রাক্ষুসে সাংবাদিকের ঈন্ধনের বিষয়টি পরিস্কার হয়ে ওঠে। একই এলাকায় যুগান্তরের ষ্টাফ রিপোর্টার হাবিব সারওয়ার আজাদকে ইয়াবা নাটকে ফাঁসানোর অপচেষ্টার পেছনেও ছিলো রাক্ষুসে সাংবাদিকদের সরাসরি হস্তক্ষেপ।  

গাজীপুরের এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি আবুবকর সিদ্দিকের ওপর হামলার পেছনে ছিলো সেখানকার একদল রাক্ষুসে সাংবাদিকের ঈন্ধণ। কুমিল্লার মুরাদনগরে সমকালের প্রতিনিধি শরীফ চৌধুরীকে প্রকাশ্যে নিজ ঘর থেকে টেনে হিচড়ে উঠানে নামিয়ে জবাই করতে উদ্যত হয়েছিলো চেয়ারম্যান গ্রুপ। শরীফের মুক্তিযোদ্ধা পিতা-মাতা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত, লাঞ্ছিত করে। এমনকি তাকে ডাকাতি, হত্যা মামলারও আসামী করা হয়েছিলো। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে সাংবাদিক নির্যাতন ঘটনার কারণ গবেষণা করতে গিয়ে পেছনে ঈন্ধনদাতা হিসেবে রাক্ষুসে সাংবাদিকের যোগসাজসের অগনিত  প্রমান মিলেছে।

এমনি এক ঘটনার অনুসন্ধানে ঝালকাঠিতে মিলেছে চোখ কপালে ওঠারমত চিত্র। সম্প্রতি ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস সিকদারের নামে আইসিটি এ্যাক্টে মামলা করেছে এক রাজনৈতিক দলের নেতা। মামলা দায়েরের পরে তাকে প্রেসক্লাবের পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এমন সময় তার বিপদে সহকর্মীরা অধিকাংশই পাশে নেই। অনেকেই তাকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার রয়েছে। এদের সকলেই আককাস সিকদারের দ্বারা হামলা, হামলা, লাঞ্ছিত কিংবা হয়রাণী অথবা চাকরীচ্যুতির শিকার। 

কে এই আককাস সিকদার! জনশ্রুতি রয়েছে চা দোকানী থেকে পত্রিকার হকার পরবর্তী বিএনপির ছাত্রদল থেকে টপকিয়ে এলডিপি নেতা এবং তৎপরবর্তী আইনজীবি এই আককাস সিকদার। হয়তোবা তিনি ভাবতেন ক্ষমতা চিরস্থায়ী। তার সহকর্মীদের অধিকাংশের দাবী আক্কাস সিকদার কোন সংবাদের ঘটনা ঘটলেই নানারকম ফন্দি-ফিকির চালিয়ে থাকতেন।  হয়তো উকিল বেশে, নয়তো সাংবাদিক কখনো প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি পদ ব্যবহার করে টার্গেট করা সাংবাদিকের পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলের কার্যালয়ে নামে বেনামে নানা কল্পিত অভিযোগ পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মিকে চাকুরিচ্যুত করার পাঁয়তারা চালাতেন। কিংবা ওই সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিপক্ষের লোকজন দ্বারা বিনা পয়সায় মামলা ঠুকে দিয়েছেন। এছাড়াও আক্কাস সিকদারের অনুমতি ছাড়া কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির নিউজও নাকি করা যেত না। নিউজ করতে গেলেই  ভুক্তভোগী সাজিয়ে থানায় কিংবা আদালতে দায়ের করাতেন। 

প্রেসক্লাব সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে তিনি এসব হয়রানির নেপথ্যের প্রকাশ্যে ইন্ধন দিতেন। বাদ পড়েনি জুনিয়র-সিনিয়র কেউ। তার সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ায় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ পর্যন্ত হারাতেও হয়েছে। যমুনা টিভি, একুশে টিভি সহ কমপক্ষে দেড়ডজন সাংবাদিকের নামে মামলার তিনি নেপথ্য ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিককে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুলিয়া দিয়েছেন বহুবার। সমকালের জিয়াউল হাসান পলাশ ও যমুনা টিভির দুলাল সাহাকে এক ঠিকাদারের মিথ্যা মামলায় নিজে উকিল সেজে মামলা দায়েরে সহযোগিতা করে হাজত খাটিয়ে ছেড়েছেন। একুশে টিভি ও যায়যায়দিনের তৎকালীন জেলা প্রতিনিধি আজমীর হোসেন তালুকদারকে স্বস্ত্রীক শিশু সন্তানসহ হাজত খাটাতে প্রকাশ্যে ঈন্ধন দিয়েছেন ওই আক্কাস সিকদার। পরবর্তীতে বৈশাখি টেলিভিশনের শফিউল আজম টুটুলকে হয়রাণী, দিনকালের ওমর ফারুক, ভোরের অঙ্গীকারের এমদাদুল হক স্বপন, আমাদের সময়ের এসএম রাজ্জাক পিন্টু, বাংলা টিভির নজরুল ইসলাম, দৈনিক দক্ষিনাঞ্চলের এইচএম মিজানুর রহমান, নলছিটির মনিরুজ্জামান মনির, যায়যায়দিনের কাঠালিয়া প্রতিনিধি এইচএম বাদল ও সাংবাদিক রাজীব তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা এবং মোহনা টিভির রুহুল আমিন রুবেল, আজকের পরিবর্তনের রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু ও সাংবাদিক বশির আহমেদ খলিফাকে লোক মারফত ডেকে এনে রাস্তায় লোক জড়ো করে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত এবং লাঞ্ছিত করে ভিডিও তার ফেসবুকে ছেড়ে মানহানি ঘটায়। এবং প্রতিপক্ষ দাঁড় করিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করালেও পুলিশ চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। 

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে হামলাকারীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বশির আহমেদ  ঢাকার সাইবার আদালতে মামলা করলে দীর্ঘ তদন্ত শেষে আক্কাস এবং তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে বরিশাল পিবিআই চার্জশীট দাখিল করেছে। 

এদিকে হামলা কালে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ফোন ও টাকা কড়ি উদ্ধারে শীঘ্রই আদালতে মামলা দায়ের হচ্ছে বলে জানাগেছে। এখন সেই প্রভাবশালী আক্কাস সিকদার নিজেই ফেসবুকে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ও সেতু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করার অভিযোগের মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এখন তার পাশে নেই সহকর্মীরা। এটা কি প্রকৃতির শাস্তি? এভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা/উপজেলায় রাক্ষুসে সাংবাদিক রয়েছেন। তাদেরকে চিহ্নিত করে সাংবাদিকতা অঙ্গন থেকে ঝেড়ে ফেলা উচিত; নয়তো আপনি ঝুঁকিমুক্ত সাংবাদিকতা করতে পারবেন না। বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে বলে রাখতে চাই; আমি কখনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কলম ধরিনা। তবে 'রাক্ষুসে সাংবাদিককে ছাড় দেইনা'। আপনার এলাকায় এরুপ রাক্ষুসে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জনমত তৈরী করুন। 

লেখক: আহমেদ আবু জাফর,সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, কেন্দ্রীয়


বেনাপোলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে জন্ম নেওয়ায় শিশুর নাম শেখ মুজিব


মো. রাসেল ইসলাম,বেনাপোল :  শেখ হাসিনার উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাবেন  শুনেই কৃতজ্ঞতা স্বিকারে  সন্তান সম্ভবা নারী  মনে বাসনা করেন ছেলে হলে শেখ মুজিব আর মেয়ে হলে শেখ হাসিনা নাম রাখবেন। 

তাই উপহারের ঘরে জন্ম নেয়া ছেলের নাম রেখেছেন ‘শেখ মুজিবুর রহমান।

কথা বলছিলাম যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্টথানাধীন বালুন্ডা গ্রামের হাফিজা বেগমের কথা।

জানা যায়, বেনাপোলের পাটবাড়ি গ্রামের ছেলে আসাদুল হকের বছর ১৭ আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় পাশের গ্রাম বালুন্ডার আবু তাহেরের মেয়ে হাফিজা খাতুনের সঙ্গে। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে কয়েক বছর ধরে ঘরজামাই ছিলেন আসাদুল। এরই মধ্যে একে একে জন্ম হয় তিন সন্তান।

সম্প্রতি পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার হাদিউজ্জামানের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পান আসাদুল। উপহারের ঘরে গত জুন মাসের শেষ দিকে উঠেই ২১ দিন পর ছেলেসন্তান জন্ম দেন তার স্ত্রী হাফিজা বেগম। ভূমিহীন এ পরিবারটি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে মনের আনন্দে নবজাতক সন্তানের নাম রাখেন শেখ মুজিবুর রহমান।

শার্শা উপজেলায় মোট ১২৭টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে বালুন্ডা গ্রামে ১০ জন উপকারভোগী পেয়েছেন ১০টি ঘর। এ প্রকল্পের ঘরগুলোতে রান্নাঘর, গোসলখানা, টয়লেট, বিদ্যুতের ব্যবস্থা এবং জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বরাদ্দ একটি আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ। যেটা পেয়ে খুশি এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষগুলো।

হাফিজা খাতুন বলেন, আগে অন্যের জমিতে থাকতাম। যে ঘরে থাকতাম তা একটু বৃষ্টি হলেই কাদা হয়ে যেত, ঝড়ের সময় আশঙ্কায় থাকতাম এই বুঝি ঘরটা উড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জমিসহ পাকাঘরে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই খুশি হয়ে তার বাবার নামেই আমার ছেলের নাম রেখেছি শেখ মুজিবুর রহমান।

বালুন্ডা আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্যান্য উপকারভোগী তানজিলা  ও সাবিনা  বলেন, ‘আমরা ঘর আর শেখ মুজিবুরকে (নবজাতক) পেয়ে অনেক খুশি।

উপকারভোগী আব্দুর সাত্তার বলেন, চার ছেলেমেয়ে নিয়ে জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। কোনোদিন ভাবিনি পাকা ঘরে শোব। হাসিনা আমাদের ঘর দেছে। কারেন (বিদ্যুৎ) আচে, টিউকল (নলকূপ) আচে, রান্নাঘর আছে সব আচে। আমি হাসিনার জন্যি নামাচ (নামাজ) পড়ি দোয়া করি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যেভাবে ঘরগুলো নির্মাণ করার নির্দেশনা দিয়েছে নকশা ঠিক রেখে আমরা সেভাবেই করেছি।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা বলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক স্যার এখানে একদিন এসেছিলেন। তিনিই  আবিষ্কার করেছেন বালুন্ডা আশ্রয়ণ প্রকল্পের একজন উপকারভোগী আছেন, যিনি এখানে আসার পরে তার একটি সন্তান হয়েছে। তিনি ওই সন্তানের নাম রেখেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। শিশুটির নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা হচ্ছেও বলে জানান তিনি।

এদিকে নবজাতককে বঙ্গবন্ধুর নামে নাম রাখায় তাকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন প্রতিবেশিরা। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরাও পাঠক সমাজে বিষয়টি তুলে ধরতে প্রতিবেদন করছেন। 


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget