নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ : নওগাঁর পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মাদ তারিকুল ইসলামের সরাসরি নির্দেশনায় এবং পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি সক্রিয় ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সান্তাহার রেলওয়ে জংশন সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) এক কর্মকর্তার পরিবারকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আজ
বৃহস্পতিবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মোঃ ফজলে রাব্বী তার স্ত্রী মোছাঃ পলি খাতুন এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা থেকে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চড়ে শ্বশুরবাড়ি আত্রাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ভোর আনুমানিক ৪:৫০ মিনিটে তারা সান্তাহার স্টেশনে পৌঁছান।
সেখান থেকে একটি সিএনজিযোগে আত্রাইয়ের বান্দাইখাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে সান্তাহার স্টেশনের সন্নিকটে 'আম্মাজান হোটেল' এলাকায় তিন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। ছিনতাইকারীরা ব্যাগ ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ফজলে রাব্বী ও তার স্ত্রী বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্বৃত্তরা তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে এবং মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কারসহ ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর ১৭ ডিসেম্বর নওগাঁ থানায় দণ্ডবিধির ৩৯৪ ধারায় মামলা (মামলা নং ৩৫) রুজু করা হয়। সংবাদ পাওয়ার পরপরই পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মাদ তারিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে নওগাঁ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এক যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। এই অভিযানে নওগাঁ ও বগুড়া জেলা ডিবি এবং আদমদীঘি থানা পুলিশ অংশ নেয়।
অভিযানে ছিনতাইকারী চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- মোঃ রাব্বি ইসলাম জিসান (৩০) এবং মেহেদী ওরফে পাপ্পু (২৮)
গ্রেপ্তারকৃত জিসানের কাছ থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কারের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই নির্দিষ্ট ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে, তবে পুলিশ জানিয়েছে তারা সান্তাহার রেল জংশন এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। এছাড়া ঘটনার সময় যাত্রীবহনকারী সিএনজিটি জব্দ করা হয়েছে এবং চালক মতিউর রহমান (৪৩) এর ভূমিকা সন্দেহজনক হওয়ায় তাকেও আটক করা হয়েছে।
নওগাঁ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এই চক্রের সাথে জড়িত অন্য সদস্যদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত আছে। এলাকায় অপরাধ দমনে পুলিশি তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন