Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 

নওগাঁয় উপকারভোগীদের মাঝে খাদ্য সহয়তা প্রদান ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার

নওগাঁ  প্রতিনিধি: নওগাঁয় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প এর নির্মিত গৃহ পরিদর্শন এবং সেখানে পুনর্বাসিত গরিবদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: হুমায়ুন কবীর। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক গৃহহীনদের প্রদত্ত সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের আবাদপুর এ নির্মিত গৃহগুলি পরিদর্শনে এসে আজ শনিবার তিনি ওই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। নওগাঁ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ। পরে তিনি আশ্রয়নে নির্মিত গৃহ গুলি পরিদর্শন এবং সেখানে বসবাসরত জনগণের সাথে তাদের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে কথা বলেন।



নওগাঁর পোরশায় ট্রাকের চাপায় নিহত-২
সালমান ফার্সী (সজল), নওগাঁ : নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার সরাইগাছি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহাদত হোসেন (১৭) সাপাহার উপজেলার কৈকুড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে ও সোহাগ হোসেন (২২) সাপাহার উপজেলার রামরায়পুর গ্রামের মামুত আলীর ছেলে।
জানা গেছে, সন্ধ্যায় দিকে শাহাদাত ও সোহাগ নিজ এলাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আড্ডার দিকে যাচ্ছিলেন। ঘটনার সময় বিপরীতদিক থেকে আসা ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে সোহাগ ঘটনাস্থালেই মারা যান। গুরুত্বর আহত অবস্থায় শাহাদাতকে পোরশা উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনারপর ট্রাকটি ফেলে চালক ও তার সহকারিরা পালিয়ে যান।
পোরশা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আজম খাঁন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান। ট্রাকটি ফেলে চালক ও সহকারিরা পালিয়ে গেলেও ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
 

সাপাহার প্রেস ক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি সম্রাট সম্পাদক প্রদীপ সাহা


তৌফিক তাপস নওগাঁ : নওগাঁর সাপাহার প্রেস ক্লাবের  কমিটির সভাপতি জুলফিকার আলী সম্রাট, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সাহা সহ ৯সদস্য বিশিষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হযেছে।

শনিবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১ টায় সাপাহার প্রেস ক্লাবের ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে ।

এতে দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জুলফিকার আলী সম্রাটকে সভাপতি,দৈনিক খোলাকাগজ ও ভোরের দর্পণ পত্রিকার সাপাহার উপজেলা প্রতিনিধি প্রদীপ সাহাকে সাধারণ সম্পাদক,দৈনিক নয়াদিগন্তের সাপাহার উপজেলা প্রতিনিধি  ছাদেক উদ্দীনকে সহ-সভাপতি, দৈনিক সংবাদ ও ভোরের পাতা পত্রিকার সাপাহার উপজেলা প্রতিনিধি নয়ন বাবুকে সহ সম্পাদক,দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকার সাপাহার প্রতিনিধি শরিফ তালুকদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক, ইব্রাহিম খলিলকে দপ্তর সম্পাদক, দৈনিক রাজশাহী এর সাপাহার প্রতিনিধি নিলুফা ইয়াসমিন কণাকে অর্থ সম্পাদক, খবর পত্র ও ডেইলি দি নিউ ন্যাশন পত্রিকার সাপাহার উপজেলা প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম ও দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার সাপাহার প্রতিনিধি মফিজ উদ্দীনকে কার্যনির্বাহী সদস্য নিযুক্ত করে ৯ সদস্যর কার্যনির্বাহী কমিটি গটন করা হয়েছে।

সাপাহার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সদস্যরা হলেন দৈনিক করতোয়া ও কালের কন্ঠ পত্রিকার সাপাহার প্রতিনিধি তছলিম উদ্দীন, দৈনিক আজকালের খবর ও ৭১ টিভি সাপাহার সংবাদদাতা গোলাপ খন্দকার,ভোরের ডাক পত্রিকার সাপাহার উপজেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম মানিক,দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার সাপাহার উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন, মনোয়ারুল ইসলাম,দছির উদ্দীন।

 

পাকিস্তানের মাটিতে চীনা নাগরিকদের উপর বারবার হামলা! কাকতালীয় নাকি জটিল ভূ রাজনীতি

অনলাইন ডেস্ক : চীন কর্তৃক পাকিস্তানে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকিস্তানের মাটিতে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় প্রকল্প " চীন - পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর " সংক্ষেপে যা সিপিইসি নামে পরিচিত। করিডরটি চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কাশগড় ( জিনজিয়াং তথা পূর্ব তুর্কিস্তানের রাজধানী ) থেকে শুরু হয়ে পুরা পাকিস্তানকে লম্বভাবে ছেদ করে বেলুচিস্তানের গোয়াদর বন্দরে ( বন্দরটি আরব সাগরের তীরে অবস্থিত) গিয়ে শেষ হবে।

সিপিইসি প্রকল্পটি অন্য দশটি সাধারণ বৈদেশিক বিনিয়োগের মতো নয়। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে পারলে এই অঞ্চলের সামগ্রিক ভূ রাজনীতি নতুন করে মোড় নিবে। আর এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় বেনিফিট পাবে চীন ও পাকিস্তান! স্বাভাবিকভাবেই এই দুই দেশের প্রতিপক্ষ দেশগুলোর জন্য এই সিপিইসি প্রকল্পটি স্বস্তিদায়ক হিসেবে বিবেচিত হবে না!

১…

সিপিইসি প্রকল্পে চীনের লাভ কি?

চীন তার বৈদেশিক বাণিজ্যের উল্লেখযোগ্য অংশ সম্পাদন করে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সাথে। বর্তমানে এই দুই অঞ্চলে গমন করতে হলে চীনকে পাড়ি দিতে হয় দক্ষিণ চীন সাগর - মালাক্কা প্রণালী - বঙ্গোপসাগরে - ভারত মহাসাগরের বিশাল এক পথ। 

বর্তমানে চীনের রাজধানী বেইজিং থেকে পারস্য উপসাগরে ( সমুদ্রপথে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রবেশপথ ) প্রবেশ করতে পাড়ি দিতে হয় প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার পথ। অপরদিকে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে সিপিইসি করিডর দিয়ে বেইজিং থেকে পারস্য উপসাগরে যেতে পাড়ি দিতে হবে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটার পথ। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক পথ কমে যাবে সিপিইসি করিডর বাস্তবায়িত হলে।

চীনের বেশিরভাগ শিল্পায়ন হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোতে। বেইজিং, সাংহাই সহ সব উন্নত চীনা শহরগুলো দেশটির পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। দেশটির পশ্চিম প্রান্ত থেকে সমুদ্রপথ দূরে হওয়ায় তেমন শিল্প গড়ে উঠেনি। 

কিন্তু সিপিইসি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কাশগড় থেকে পারস্য উপসাগরে যেতে পাড়ি দিতে হবে মাত্র আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ। বর্তমানে কাশগড় থেকে বেইজিং এর দূরত্ব প্রায় চার হাজার কিলোমিটার। আর এদিকে সিপিইসির মাধ্যমে বেইজিং - কাশগড় পথের তুলনায় কাশগড় - মধ্যপ্রাচ্যের দূরত্ব কম হবে। অর্থাৎ বলা যায়, সিপিইসির মাধ্যমে কম সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় প্রবেশের রুট পাওয়ায় চীনের পশ্চিমাঞ্চলে শিল্প ও বাণিজ্য ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।

শুধুমাত্র বাণিজ্যিক রুটের দূরত্ব কমার মধ্য দিয়ে এই প্রকল্প থেকে চীন লাভবান হবে ব্যাপারটা এমন না। চীনের বাণিজ্য রুটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিপিইসি প্রকল্প। কারণ সিপিইসি বাস্তবায়িত হলে চীনকে আর মালাক্কা প্রণালী পাড়ি দিতে হবে না। বর্তমানে এই প্রণালি ঘিরে দক্ষিণ চীন সাগরের ভূ রাজনীতি উত্তপ্ত। দক্ষিণ চীন সাগরের সমুদ্রসীমা নিয়ে চীনের সাথে প্রতিবেশী ভিয়েতনাম, মালেশিয়া, ব্রুনাই, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়ার বিরোধ ক্রমে বাড়ছে। সাগরের রাজনীতিতে চীন বিরোধী এই দেশগুলোর সাথে যোগ দিতে এক পায়ে খাঁড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের বিখ্যাত নৌবহরসমূহ।

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বিরোধে থাকার কারণে চীন আশংকা করছে যেকোনো নাজুক পরিস্থিতিতে এই প্রণালি বন্ধ করে চীনকে বেকায়দায় ফেলতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই মালাক্কা প্রণালীর বিকল্প রুট হিসেবে চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুট হলো সিপিইসি তথা " চীন - পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর "। 

২…

সিপিইসি প্রকল্পে পাকিস্তানের লাভ কি?

পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সিপিইসি প্রকল্পকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে দেশটির সরকার ও সেনাবাহিনী। 

সিপিইসি বাস্তবায়িত হলে চীন, আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়া থেকে অসংখ্য যাত্রী এবং পণ্য পাকিস্তানের উপর দিয়ে পাড়ি দিবে। আর এর বিনিময়ে একটা সময় পর থেকে পাকিস্তান পাবে প্রচুর বাণিজ্য শুল্ক। 

সিপিইসি প্রকল্পটি পাকিস্তানী কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাবে। এই অঞ্চলটিকে ভারত নিজেদের ভূখন্ড বলে দাবি করে থাকে। এরকম ভূখণ্ডে চীনা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিঃসন্দেহে পাকিস্তানী কাশ্মীরের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ( পাকিস্তানের দৃষ্টিকোণ থেকে ) পাবে এবং অঞ্চলটির উপর ভারত সহজে আর চোখ ফেলতে পারবে না।

সিপিইসি প্রকল্পের অংশ হিসেবে আজাদ কাশ্মীরে অনেকগুলো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে চীন। বিদ্যুৎ সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তানের জন্য এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বিরাট আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে প্রভাব বজায় রাখতে চাচ্ছে। সিপিইসি প্রকল্পের মাধ্যমে ল্যান্ডলকড কান্ট্রি আফগানিস্তান সহজেই সমুদ্রে এক্সেস পাবে। এতে করে আফগানিস্তানে বৃদ্ধি পাবে পাকিস্তানি প্রভাব।

মধ্য এশিয়ার পাঁচটি " স্তান " রাষ্ট্র তথা কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান সিপিইসি প্রকল্পের মাধ্যমে সমুদ্র পথে সহজে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকাতে যাতায়াতের এবং বাণিজ্যিের এক্সেস পাবে। এতে দেশগুলোর উপর প্রভাব বৃদ্ধি পাবে পাকিস্তানের। 

৩…

সিপিইসি প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোন দেশগুলো?

ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূ রাজনৈতিক প্রভাব এই প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

চিরশত্রু পাকিস্তানকে চেপে ধরে রাখতে ভারতের জন্য আফগানিস্তান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মধ্য এশিয়ার "স্তান" রাষ্ট্রগুলোর বিশাল বাজার ধরতে আগ্রহী ভারত। কিন্তু সিপিইসি বাস্তবায়িত হলে আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার " স্তান " রাষ্ট্রগুলো তাদের বাণিজ্য সুবিধার জন্য আরো বেশি পাকিস্তানমুখী হবে। 

আর তাই ভারত সরকার কর্তৃক সিপিইসির বিকল্প হিসেবে ভারত - ইরান ( চাবাহার বন্দর) - আফগানিস্তান ( কাবুল) - মধ্য এশিয়ার মধ্য দিয়ে নতুন বাণিজ্য রুট চালু করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু ভৌগোলিক কারণে সিপিইসিকে টেক্কা দিতে যথেষ্ট সক্ষম ছিলো না ভারতের এই প্রকল্পটি। আর তাই শুরুতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও ইরান তার চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের কাজ ভারত থেকে নিয়ে চীনকে দিয়ে দিছে। ফলে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারতের বাণিজ্য রুটের প্রকল্পটি।

নতুন বাণিজ্য রুট তৈরি করতে ব্যর্থ ভারত নিশ্চয়ই খুশি হবে না চীন - পাকিস্তানের সিপিইসি রুটের বাস্তবায়ন হওয়া দেখে।

সিপিইসি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে আজাদ কাশ্মীরের উপর দিয়ে। অঞ্চলটির উপর নিজেদের দাবি এখনো ছাড়েনি ভারত। ফলে চীন কর্তৃক নির্মিত এই প্রকল্পকে নিজেদের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হিসেবে বিবেচনা করতে হচ্ছে ভারতকে।

ভারতের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সিপিইসি প্রকল্প নিয়ে অনেকটা শঙ্কিত। কেননা এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের বাণিজ্য ও রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বৃদ্ধি পাবে। মালাক্কা প্রণালী দিয়ে চীনকে আটকানোর থ্রেট আর দিতে পারবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব অনেকটা শেষ হয়ে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। 

৪…

পাকিস্তানের মাটিতে সিপিইসি প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত চীনা ইন্ঞিনিয়ারদের উপর বারবার হামলা হচ্ছে। এই হামলা নিছক কাকতালীয় নাকি সিপিইসি প্রকল্পে বাঁধা দানের উদ্দেশ্য করা হচ্ছে তা নিয়ে গভীর চিন্তিত চীন ও পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। 

ভূ - রাজনৈতিক নানা মারপ্যাঁচে সিপিইসি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যে চীন ও পাকিস্তানকে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে তা বুঝাই যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় এই পথ পাড়ি দিতে দেশ দুইটি সক্ষম হয় কিনা! নাকি চীন ও পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো প্রকল্পটি ভন্ডুল করতে সক্ষম হয় কিনা!

গজারিয়ায় ও.সি রইছ উদ্দিনের মসজিদ ভিত্তিক পুলিশিং কার্যক্রম


মো: শাকিল প্রধান, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় ভবেরচর ইউনিয়নের ভবেরচর গ্রামে ঢালী বাড়ী জামে মসজিদে চলমান করোনা ও ঈদে স্বাস্থ্য বিধি, মাদক, কিশোর গ্যাং, পুলিশি সেবা নিয়ে মত বিনিময় সভা করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ।

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রইচ উদ্দিন বলেন গজারিয়া থানা পুলিশ প্রতি শুক্রবারই গজারিয়া উপজেলাধীন বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করছেন। সেই সাথে স্থানীয় মসজিদের মুসল্লিদের পুলিশিং কার্য্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করছেন। স্বাস্থ্যবিধি, মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, চাঁদাবাজ, বাল্য বিবাহ সহ সকল অপরাধের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতার অনুরোধ ও আহবানের মাধ্যমে পুলিশি সেবা সমূহ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করেন। 

তাঁর'ই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৬ জুলাই) ভবেরচরের ঢালী বাড়ী জামে মসজিদে নামাজ আদায় ও মুসল্লিদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রইছ উদ্দিন ও ভবেরচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃসাহিদ মো: লিটন। অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে সহজেই পুলিশিং সেবা নেওয়া বিষয়ে আলোচনা করেন ভবেরচর ইউ.পি চেয়ারম্যান লিটন।

কোভিড-১৯ আসলে ব্যাকটেরিয়া

অনলাইন ডেস্ক : সিঙ্গাপুর বিশ্বের প্রথম দেশ,  যারা  কোভিড-১৯ লাশের ময়নাতদন্ত করতে সক্ষম হয়েছে।  তদন্তের পরে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ ভাইরাস হিসেবে বিদ্যমান নয়, বরং এটি একটি ব্যাকটিরিয়াম যা বিকিরণের সংস্পর্শে এসে রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটাচ্ছে। 

কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের  শিরায়  রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ওই ব্যক্তির পক্ষে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, কারণ  মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড  এবং ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না, ফলে মানুষ মারা যায় দ্রুত। শ্বাসযন্ত্রের শক্তির ঘাটতির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা হু-এর প্রটোকল  মানেননি  এবং মৃত কোভিড-১৯ রোগীর ময়নাতদন্ত করেছেন। 

চিকিৎসকরা হাত-পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশগুলোর  ব্যবচ্ছেদ করার পরে দেখেছেন, রক্তনালীগুলোতে একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে, যার জেরে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।  

এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক  কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার প্রটোকল পরিবর্তন করেছে এবং পজেটিভ  রোগীদের অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ দিতে শুরু করেছে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা কোভিড রোগীদের ১০০ মিলিগ্রাম  ইম্রোমাক ওষুধ দেয়া শুরু করেন। ফলস্বরূপ, রোগীরা সুস্থ এবং তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে শুরু করে। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক একদিনে ১৪ হাজারেরও বেশি রোগীকে সারিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।

বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পরে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা ব্যাখ্যা করেছেন, কোভিড-১৯  ধরা পড়লে তাই  রক্তনালীগুলোর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধা আটকাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং এসপিরিনের মতো অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট নিতে হবে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভেন্টিলেটর এবং আইসিইউ দরকার পড়বে  না। এই চিকিৎসা পদ্ধতি  ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুরে প্রকাশিত হয়েছে। চীন এটি আগে থেকেই  জানে, কিন্তু তারা  কখনো এই খবর প্রকাশ করেনি।

 সূত্র: সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রক

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget