Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf


ঝালকাঠিতে ফোন দিলেই সাংবাদিকরা পৌঁছে দিচ্ছে ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার


ইমাম বিমান, ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে করোনা আকান্ত্র হয়ে শ্বাষ কষ্টে ভুগছেন এমন রোগীর বাসা থেকে ফোন দিলেই বিনা খরচে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দিয়ে যাচ্ছে জেলার অন্যতম সাংবাদিক সংগঠন “ ঝালকাঠি মিডিয়া ফোরাম‌‌‌ ” সাংবাদিকরা।মুক্তমনের চিন্তা নিয়ে গড়ে ওঠা জেলার অন্যতম সাংবাদিক সংগঠন “ ঝালকাঠি মিডিয়া ফোরাম‌‌‌ ” এর মাধ্যমে দেশে কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাস সংক্রামনের শুরু থেকে জেলায় করোনা যোদ্ধা হিসেবে মাঠ পর্যায় কাজ করে আসছে সংগঠনের সদস্যরা। 

দেশের অধিকাংশ জেলায় ভারতীয় ডেল্টাপ্লাস ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পরলে অন্যান্য জেলার ন্যয় ঝালকাঠিতেও বৃদ্ধি পেতে থাকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। “ঝালকাঠি মিডিয়া ফোরাম‌‌‌” সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে নিজ জেলার মানুষদের পাশে থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে শ্বাষ কষ্টে ভুগছেন এমন মানুষদের বাঁচাতে। 

ঝালকাঠিতে ফোন দিলেই সাংবাদিকরা পৌঁছে দিচ্ছে ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার
সংগঠনের আদলে সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে  ওঠে ঝালকাঠি মিডিয়া ফোরাম সমাজ কল্যাণ সোসাইটি । আর এ সংগঠনের মাধ্যমে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাষ কষ্টে ভুগছেন এমন রোগীর বাসা থেকে ফোন পেলেই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে হাজির হচ্ছেন সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়াও জেলার সদর উপজেলা থেকে কয়েকটি ইউনিয়নের দূরত্ব বেশি হওয়ায় সংগঠনের সদস্যের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায় প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে আক্রান্তদের সেবা পৌছে দিতেও ফ্রি অক্সিজেন সেবা চালু করা হয়েছে। 

এ বিষয় জেলার অন্যতম সাংবাদিক সংগঠন ঝালকাঠি মিডিয়া ফোরাম’র সভাপতি সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন জানান, অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্রয় করতে কর্জ অর্থাৎ ধার-দেনা করে আমি এবং আমার সদস্যদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বা উপসর্গের বেশির ভাগ রুগী শ্বাসকষ্ট সহ নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন। বর্তমানে অনেক রুগী হাসপাতালে চিকিৎসা সহ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবা নিয়ে থাকেন। 

আবার বেশির ভাগ করোনা রুগীর হঠাৎ করে দেহে অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দিয়ে থাকে। কিছু মুহূর্তে বুঝে ওঠার আগেই অক্সিজেন সল্পতার কারণে রুগীর মৃত্যু হয়ে থাকে।এ সকল বিষয় মাথায় রেখে প্রাথমিক ভাবে আমাদের জেলার সদর উপজেলায় করোনা মহামারিতে যেন অক্সিজেনের অভাবে কারো মৃত্যু না হয় সেজন্য আমরা আমাদের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময় ফ্রি অক্সিজেন সেবা চালু করেছি।

আর এ সেবায় ঝালকাঠি মিডিয়া ফোরাম এর সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল কাদের খান, উপদেষ্টা মোঃ জামাল হোসেন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক রিয়াজ মোরশেদ, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক মোঃ আব্দুল রহমান সুমন, স্বেচ্ছাসেবক রিমা আক্তার আমার সকলের সহযোগিতায় গত ৭ জুলাই এই ফ্রী অক্সিজেন সেবা পরিচালনা শুরু করার পর থেকে কিছু সংখ্যক মানুষ অক্সিজেনের জন্য বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবার মাধ্যমে মনবতার সেবায় এগিয়ে এসেছেন।আমরা এখন পর্যন্ত ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীদের ফ্রি অক্সিজেন সেবা  দিতে পেরেছি।

 এবং ইউনিয়ন পর্যায় নবগ্রাম ইউনিয়ন থেকে সংগঠনের সদস্য মো: ইমাম হোসেন বিমান ও নবগ্রামের স্থানীয় ব্যবসায়ী মো: হাফিজুল ইসলাম রাজার মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে আক্রান্তদের সেবা পৌছে দিতেও ফ্রি অক্সিজেন সেবা চালু করা হয়েছে।আমাদের এ মানবিক কাজে সহযোগীতার জন্য যারা এগিয়ে এসেছেন আমি আমার সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পূর্বক সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। 

একই সাথে এই মহামারী মোকাবিলা করা কারো একার পক্ষে যেহুতু সম্ভব নয় সে ক্ষেত্রে আপনিও পারেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে একজন মানুষকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে।

প্রাণঘাতী করোনার প্রভাবে ভালো নেই নওগাঁর আত্রাইয়ের মৃৎশিল্পীরা


তৌফিক তাপস নওগাঁ : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রকোপ ঠেকাতে সারাদেশের ন্যায় নওগাঁর আত্রাইয়েও চলছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ভালো নেই নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মৃৎশিল্পের কারিগররা। পরিবার পরিজন নিয়ে অভাব অনটনের মাঝেই দিন কাটছে তাদের।

বিশ্বব্যাপী করোনার তান্ডব কোনোভাবেই থামছে না। প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকা। 

আত্রাই উপজেলার ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী দাঁড়িয়ে থাকা ভবানীপুর পালপাড়া যেন শিল্পীর তুলিতে আকাঁ একটি স্বর্ণালী ছবি। এ উপজেলার ভবানীপুর, রাইপুর, মিরাপুর, সাহেবগঞ্জ, বহলা, পাঁচুপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য কুটিরের নয়নাভিরাম মৃৎ শিল্পীদের বাসস্থান। যা সহজেই যে কারোর মনকে পুলকিত করে। আর এ করোনার প্রভাবে মৃৎশিল্প’র ঐতিহ্য আঁকড়ে থাকা পাল বংশের লোকদের টিকে থাকা যেন কঠিন হয়ে পড়েছে।

এক সময় এ গ্রামগুলিতে মৃৎশিল্প’র জৌলুস ছিল। এ শিল্পে জড়িয়ে ছিল এখানের শতাধিক পরিবার। হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার কষ্টে-শিষ্টে তাদের পূর্ব-পুরুষদের এ পেশা ধরে রেখেছেন। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে সম্পুর্ণরুপে বন্ধ হয়ে গেছে এ মাটির কাজ। তাই এই কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই হতাশা হয়ে পড়েছে।

এক সময় উপজেলার এসব গ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার পরিবারও প্রত্যক্ষভাবে এ শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। পালরা খোলা, হাড়ি, পাতিল, কলসি, ব্যাংক, পিঠা তৈরির ছাঁচ, পুতুলসহ ছোট-ছোট খেলনা ইত্যাদি সব জিনিসপত্র তৈরি করত। এখানকার তৈরি মৃৎশিল্পের অনেক সুনাম ও সুখ্যাতি থাকলেও এখন শুধুমাত্র দধির পাত্র ও পিঠার খোলা তৈরি করে কোন রকমের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এ অঞ্চলে খোলা পাত্রের কদর বেশী রয়েছে।

একটি খোলা তৈরিতে মাটি ও পোড়ানো বাবদ প্রায় ৫ টাকা খরচ হলেও তা বাজারে বিক্রি হয় ১০ টাকা। এর মধ্যেই রয়েছে শ্রম ও মাল বহনের খরচ। ফলে লাভের মুখ তারা দেখে না। অথচ ঐ একটি খোলা এক হাত ঘুরে বাজারে খুচরা ক্রেতা কিনছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। ফলে সহজেই অনুমেয় মূল মুনাফা চলে যাচ্ছে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের হাতে। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় মৃৎশিল্পীরা এ পেশার প্রতি হতাশ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান প্রজন্ম এ ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে।

মৃৎশিল্পের নিপুণ কারিগরেরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এখন অনেকটা অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেক পুরুষ এ পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় চলে গেছেন। মাটির তৈরি জিনিসপত্র আগের মত দামে বিক্রি করতে পারছে না। মাটির এ সকল পাত্রের চাহিদাও আগের মত নেই।

রাইপুর গ্রামের মৃৎশিল্পের কারিগর বিপ্লব কুমার পাল বলেন, ‘লাভ লসের হিসাব করি না। বাপ-দাদার কাজ ছাড়ি কি করি। করোনাভাইরাসের ফলে আমাদের পেশায় অনেক প্রভাব পড়েছে। ‘পূর্বপুরুষের পেশা বাঁচিয়ে রাখতে গিয়ে করোনায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের।

এ ব্যাপারে উপজেলার ভবানীপুর পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পী ধিরেন্দ্রনাথ পাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন মাটি সংগ্রহে অনেক খরচ করতে হয় তাদের। এ ছাড়াও জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে মিল না থাকায় প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হয় তাদের। তার মধ্যে আবার করোনার প্রভাব পড়েছে এখন কাজ কর্ম সব বন্ধ আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি।

এক কালের ঐতিহ্যের মাটির তৈরি বাসন, হাড়ি, পাতিল, কলসি, ব্যাংক, পিঠা তৈরির ছাঁচ, পুতুল এখন প্লাষ্টিকের দখলে। ফলে উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের জৌলুস আর নেই। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। ঐতিহ্যের কারণেই মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রাখা দরকার বলে মনে করেন উপজেলার সচেতন মহল।


 

লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় শঙ্কিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

অনলইন নিউজ ডেস্ক : আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করায় সারা দেশে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বুলেটিনে আশঙ্কার কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

তিনি বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই দিনের জন্য লকডাউনের যে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে, তাতে সারা দেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে চালু হওয়া গণপরিবহন, শপিংমল কোরবানির পশুর হাটে যদি স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা না হয়, তবে সংক্রমণের মাত্রা কমার কোনো সুযোগ থাকবে না।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা ৩০ শতাংশ রয়েছে জানিয়ে তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেন, কোরবানির পশুর হাটে মাস্কের ব্যবহার ১০০ ভাগ করা না গেলে সংক্রমণের মাত্রা আপ্রাণ চেষ্টা করেও কমানো যাবে না। তাই জনে জনে যেন স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অনুরোধ জানাই।

ঈদুল আজহার ছুটিতে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান এবং কক্সবাজারে ভ্রমণে না যেতে দেশবাসীকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

রোবেদ আমিন জানান, গত মে জুন মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২১৫ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিন জেলায় বছরের শুরু থেকে পাঁচ শতাধিক মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে ৪৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অনেক রোগীকে আইসিইউতে নিতে হচ্ছে বলে জানান রোবেদ আমিন।

করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গু নিয়ে সচেতন হতেও তিনি দেশবাসীকে অনুরোধ জানান।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫২জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৮৩ জন। নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৮ জনে। বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন হাজার ২৪৫ জন। নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন লাখ ৯৭ হাজার ৪১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৪৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ১৪ শতাংশ।


মহামারী কোভিড-১৯'র প্রভাবে বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারার বাজারে মন্দা

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : মহামারী কোভিড-১৯'র প্রভাবে বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারার বাজারে মন্দা চলছে। জমছে না পেয়ারার বাজার। আগের মত পাইকার ও পর্যটক নাই পেয়ারার হাটে। দাম গতবারের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। গতবছর পেয়ারার মণ ছিল ৭/৮ শত টাকা কিন্তু এবার মত ৪/৫ শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি, বরিশালের বানারীপাড়ার ও ঝালকাঠির ৩৮ টি গ্রাম জুড়ে দক্ষিনাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পেয়ারা বাগান অবস্থিত। তাই দক্ষিণাঞ্চলের হাট-বাজার আর বাগান এলাকা জুড়ে পাকা পেয়ারার মৌ-মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পরেছে। পাইকার এবং পেয়ারা চাষিদের বেচা কেনার ধূম চলছে পেয়ারার মোকাম (হাট-বাজার) গুলোতে। 

এ পেয়ারা বাগানে প্রায় ৩৩ হাজার একর জমির উপর এ পেয়ারার রাজ্য। বাংলার আপেল খ্যাত পেয়ারার ভর মৌসুম শুরু হয়েছে।এশিয়ার বিখ্যাত এ পেয়ারাকে স্থানীয় ভাষায় গৈয়া কিংবা সবরী বলা হয়। তবে জাতীয় ভাবে এটি পেয়ারা নামে পরিচিত। 

আর পুষ্টিমানের দিক থেকে একটি পেয়ারা ৪ টি আপেলের সমতুল্য বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছে। তাই পেয়ারাকে ভালবেসে ‘বাংলার আপেল’ আবার কেউ ‘গরিবের আপেল’  হিসাবে গণ্য  করে। এখানে প্রতিবছর পেয়ারার মৌসুমে বিপুল পরিমানে সুস্বাদু পেয়ারা ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। বাংলার আপেল নামে খ্যাত এ পেয়ারা এখানে প্রচুর উৎপাদন হলেও সংরক্ষণের অভাবে চাষীদের লোকসানের মুখে পড়তে হয় প্রতিবছরই। কারন পেয়ারা দ্রুত পেকে যায়। 

তাই দ্রুত বিক্রি না করতে পারলে চাষিদেও পড়তে হয় লোকসানের মুখে।এ বছর পেয়ারায় দেখা দিয়েছে এনথ্রাকনোস নামক এক ধরনের ভাইরাস। যা স্থানীয়ভাবে ছিটপড়া রোগ বলে সনাক্ত করা হয়। এছাড়া বর্ষায়ও পেয়ারা সংগ্রহ ও বিক্রিতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় উৎপাদিত পেয়ারা বাগানেই নষ্ট হতে শুরু করেছে। সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ থাকলে মৌসুমী এ ফল পেয়ারা বছর জুড়ে ভোক্তাদের চাহিদা মিটিয়ে চাষীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হতো। কিন্তু দীর্ঘদিনেও উদ্যোক্তার অভাবে হিমাগারসহ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে না উঠায় এবংউৎপাদন খরচ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষীরা পেয়ারা চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে। আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্রের অর্ধেক এই আড়াই মাস জমে উঠে পেয়ারা বেচা-কেনা।পেয়ারা চাষ ও ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় গড়ে উঠেছে ২০ টিরও বেশি ছোট বড় ব্যবসা কেন্দ্র। 

মহামারী কোভিড-১৯'র প্রভাবে বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারার বাজারে মন্দা

স্থানীয়ভাবে বলা হয় পেয়ারার মোকাম। এ মোকাম গুলোর মধ্যে উল্লে¬খ যোগ্য হচ্ছে আটঘর, কুড়িয়ানা, ভিমরুলী, ডুমুরিয়া, শতদশকাঠি, বাউকাঠি। প্রতিদিন সকালে এসব মোকামে চাষিরা ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় সরাসরি বাগান থেকে পেয়ারা নিয়ে আসে পাইকারদের কাছে। তা কিনে ট্রলার যোগে নৌ পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। 

এ বছর ফাল্গুনে পেয়ারা গাছে ফুল ধরার পর অতিরিক্ত খড়ায় পানির অভাব দেখা দেয়ায় ফুল ঝড়ার পাশাপাশি অনেক গাছও মারা যায়। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পেয়ারা চাষিরা গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সার এবং মাটি দিতে পারেনি। কিন্তু তার পরেও এবার পেয়ারার ভাল ফলন হয়েছে। কেটে গেছে চাষিদের দু:শ্চিন্তা।ঝালকাঠির কাঁচাবালিয়া গ্রামের পেয়ারা চাষি জাহিদ মিয়া জানান, আমাদের ভাগ্য ভালো খড়ার কারণে ফলন ভালো না হওয়ার ভয় ছিলো। উপরওয়ালা সহায় থাকায় পেয়ারার ফলন এবার ভালই হয়েছে। 

এইবার মৌসুমের শুরুতেই ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে প্রতি মন পেয়ারা ৮শ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পেয়ারার দাম কমে গেছে। প্রতি মণ ২ শ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিবছর পেয়ারার মৌসূমে বিভিন্ন স্থান থেকে নৌ পথে পেয়ারা বাগানে আসে পর্যটকরা। পেয়ারা বাগানে এসে দেখে মুগ্ধ হয়ে এখান থেকে পেয়ারা কিনেও নিচ্ছেন পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য। বছরের পর বছর ধরে পেয়ারা উৎপাদিত এসব এলাকার চাষিদের একমাত্র সমস্যা হিমাগার ও সড়ক পথে যোগাযোগের যথোপযোগী ব্যবস্থা না থাকা।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠির জগদীশপুর গ্রামের পেয়ারা চাষি বিমল মিস্ত্রি জানান, প্রতি বছর হিমাগারের অভাবে এসব এলাকার কয়েক কোটি টাকার পেয়ারা নষ্ট হয়ে যায়। কারণ পেয়ারা পচনশীল ফল। তাই দ্রুত পেকে যাওয়ায় তা সংরক্ষণ করে রাখার কোন ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বরিশালের উৎপাদিত পেয়ারা সড়ক পথে নেয়ার কোন সঠিক ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত গড়ে উঠেনি। পেয়ারা চাষিরা জানিয়েছে, এ অঞ্চলের সাথে সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে পেয়ারা দ্রুত বাজারজাত করা যেত। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা হলে পেয়ারা চাষিদের বাগান থেকে সরাসরি ট্রাক যোগে প্রতি বছর মৌসুমের শুরুতেই ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পেয়ারা পৌঁছে দেয়া এবং পচন রোধ করা সম্ভব হত। 

আড়তদার লিটন হালদার বলেন, ভিমরুলী দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পেয়ারার মোকাম।  মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মন পেয়ারা বিক্রি হয়। তবে বাউকাঠি থেকে ভিমরুলী হয়ে কীর্তিপাশা পর্যন্ত সড়ক পথ হলে দ্রুত প্রতি দিনের পেয়ারা প্রতিদিন বিভিন্ন জেলায় পৌঁছানো সম্ভব হতো। ভিমরুলী মোকাম থেকে নৌ পথে খুলনা, ফেনী, ঢাকা, সিলেট, পটুয়াখালি, ভোলা, মাদারিপুর, নাটোর, বরিশাল হাজার হাজার মন পেয়ারা যাচ্ছে।কিন্তু সড়ক পথের যোগাযোগ থাকলে তাৎক্ষনিকভাবে এসব জেলায় পেয়ারা নেয়ার জন্য পাইকাররা চাষিদের আরো বেশি দাম দিয়ে পেয়ারা কিনত। পেয়ারা বাগান ঘুরে জানা গেছে, পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর, কুড়িয়ানা, আদমকাঠী, ধলহার, কঠুরাকাঠি, আন্দাকুল, জিন্দাকাঠি, ব্রাহ্মণকাঠি, আতা, জামুয়া, মাদ্রা, ঝালকাঠি, শশীদ, পূর্ব জলাবাড়ী,আদাবাড়ি ও জৌসার গ্রাম এবং ঝালকাঠি ও বরিশালের বানারীপাড়ার মোট ৩৬টি গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে পেয়ারার চাষাবাদ হয়। কয়েক হাজার পেয়ারা বাগানে হাজার হাজার চাষী এ পেয়ারা চাষাবাদ করে আসছে। আর পেয়ারার চাষাবাদ ও বিপণন ব্যবস্থার সাথে ওই সমস্ত এলাকার প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার শ্রমজীবী মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ব্রাক্ষ্মণকাঠি গ্রামের চাষী সুভাষ মজুমদার জানান, এ বছর পেয়ারায় ছিট পড়া রোগ পুনরায় দেখা দিয়েছে। ফলে পেয়ারা বড় হওয়ার আগেই ঝরে পড়ছে। 

পেয়ারা বাগান পরিচর্যাসহ শ্রম মজুরি বেশি হওয়ায় চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবু পূর্ব পুরুষদের এ পেশাকে আগলে রেখেছে চাষীরা।কুড়িয়ানার পেয়ারা চাষী বিশ্বজিত্ চৌধুরী জানান, সরকারি বা বেসরকারি  উদ্যোগে বড় সাইজের পেয়ারা প্রসেসিং করে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। 

কুড়িয়ানার পেয়ারা হাটে বিভিন্ন গ্রামের পেয়ারা চাষীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পেয়ারার ফলন কম কিন্তু উত্পাদন ব্যয় বেশি আবার দামও কম। অনাবৃষ্টির কারণে উৎ্পাদিত পেয়ারাগুলো আকারে কিছুটা ছোট এবং ফলও এসেছে বিলম্বে। 

হেক্টর প্রতি ৫ থেকে ৬ মে.টন উৎপাদিত পেয়ারা থেকে বছরে প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা আয় হয়। অপর পক্ষে স্থানীয় পর্যায়ে অপর এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরাও প্রতিদিন শত শত মণ পেয়ারা এখান থেকে লঞ্চ, ট্রলার ও  ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান দেয়। 

স্বরূপকাঠির উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিফাত সিকদার সাংবাদিকদের জানান, সংরক্ষণসহ কৃষি ভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠলে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হতো। যুগ যুগ ধরে পেয়ারা চাষাবাদ করে আসলেও উদ্যোক্তার অভাবে হিমাগারসহ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে না ওঠায়  দিন দিন চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে পেয়ারা চাষীরা।

চাষীরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অধিক ফলন এবং জীবন মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget