Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

সাংবাদিকদের ওপর হামলা,মামলা এবং নির্যাতনের ঘটনায় বিএমএসএফের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ

ডেস্ক রিপোর্ট,  ঢাকা :  বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিগত নয় বছরে বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন, হয়রানি, হামলা, মামলার ঘটনাসমূহ নিয়ে বিএমএসএফ এর তথ্য, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্ববহ একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে সাংবাদিক নির্যাতন রোধকল্পে করনীয় সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি ৫ দফা সুপারিশমালাও সংযুক্ত রয়েছে।

১৫ জুলাই বিকেল ৫ টায় বিএমএসএফ এর সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেন এবং আজ ১৬ জুলাই তা গণমাধ্যমে পাঠান।

প্রতিবেদনে বিগত ৯ বছরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা,মামলা এবং নির্যাতনের ঘটনার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বিগত বছর ছাড়াও চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছয় মাসে শুধু সংবাদ প্রকাশের কারণেই সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আইসিটি এ্যাক্টে ১৫২ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে এবং একই সময়ে হামলাসহ নানা অমানবিকতায় আরো ১৭৩ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৭০টি মামলার মধ্যে ৭২টি মামলাই হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। ইদানিংকালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ কর্তৃক মামলা করার প্রবণতা অত্যধিক ভাবে বেড়েছে। ওই বছর আহত হন ২৯৬ জন সাংবাদিক।

প্রতিবেদনটিতে দাবী করা হয়,২০২০ সালে ১৬০০ সাংবাদিক চাকুরি হারিয়েছেন। অপরদিকে; পেশার অনিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা অনিশ্চিত থাকা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষাকল্পে মেধাবী সাড়ে চারশ’ সাংবাদিক স্বেচ্ছায় পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। তারা কেউ ভিন্ন পেশায় মনোনিবেশ করেছেন, কেউবা ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কোনভাবেই তারা আর সাংবাদিকতায় ফিরে আসতে রাজি নন। এটা এই পেশার জন্য কতোটা উদ্বেগজনক, কতোটা কষ্টের তা বোধকরি ব্যাখ্যারও প্রয়োজন পড়ে না। ধারাবাহিক নির্যাতনের কারণেও কেউ কেউ সাংবাদিকতা ছেড়ে দিচ্ছেন। কেউ বলছেন আর নিউজ করবেন না। কেউবা ঝুঁকির আশঙ্কায় অপরাধে জড়িতদের নাম পরিচয় বাদ দিয়ে ও প্রকৃত সত্য ঘটনা এড়িয়ে দায়সারা গোছের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। 

এক বছরেই নির্যাতিত ২৪৭ সাংবাদিক

২০২০ সালে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৯৬ জন সাংবাদিক। আর এতে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন। মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর দেওয়া আরেক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘করোনাকালেও মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করে দমন-পীড়ন বেড়েছে। বিশেষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতার বৃদ্ধি পেয়েছে। আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের তথ্য মতে ২০২০ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৭২টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়েছে।

দেশের ১৬টি স্থান সাংবাদিকদের জন্য ভয়ঙ্কর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এতে বলা হয়,

দেশের ৯ জেলার ১৬টি পয়েন্ট সাংবাদিকদের জন্য ‘ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠেছে। এসব স্থানে দফায় দফায় সাংবাদিক নীপিড়ন, নির্যাতন, মামলা হয়রানি এমনকি হত্যাকান্ডও ঘটেছে। বিপজ্জনক স্থানসমূহে ক্ষমতাসীন দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, চিহ্নিত অপরাধী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমনকি বিরোধী দলের নেতা কর্মিরাও সাংবাদিকদের উপর হামলা চালাতে দ্বিধা করছেন না। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দলীয় চরম কোন্দলে জর্জরিত নেতারা সাংবাদিকদেরও পক্ষে বিপক্ষে ঠেলে দেন এবং পরস্পর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত করেন। সারাদেশেই কমবেশি সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা ঘটলেও সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে হুমকিপূর্ণ এলাকাগুলো হচ্ছে, পাবনা, জামালপুর, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ঢাকার সাভার ও ধামরাই, গাজীপুর সদর ও টঙ্গী, নারায়নগঞ্জের সদর, সোনারগাঁও ও রুপগঞ্জ, ঝালকাঠি জেলার সদর ও রাজাপুর। এছাড়া খোদ রাজধানীতেও উত্তরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী এলাকা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণকালে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

বিএমএসএফ এর তথ্য, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের কর্তৃক প্রণীত গবেষণা প্রতিবেদনের বিষয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহমত পোষন করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

পর্যবেক্ষন প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করেছেন বিএমএসএফের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈদুর রহমান রিমন ও তথ্য, গবেষনা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের সম্পাদক আবুল হাসান বেলাল। প্রতিবেদনটি সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে বলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আশা করেন।


পশুর দাম নিয়ে আতঙ্ক নওগাঁর ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে

তৌফিক তাপস নওগাঁ : ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে শিথিল করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। এদিকে করোনাকালীন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলায় পশুর হাটগুলো পরিচালিত হচ্ছে। তবে এবার ঈদে দাম না পাওয়া নিয়ে আতঙ্ক কাজ করছে খামারিদের মাঝে।

বিগত বছরগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতারা পশুর হাটে গিয়ে সাধ্যের মধ্যে পছন্দ করে পশু কিনতেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে পশুর হাটের চিত্র পাল্টে গেছে। দীর্ঘ সময় হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা অপেক্ষা না করে দ্রুত পশু কিনেছেন। বিক্রেতারা ভাবছেন, ক্রেতা ফিরে গেলে হয়তো আর আসবেন না। আবার ক্রেতারা ভাবছেন, কিছু টাকা বেশি দিয়ে হলেও পশু কিনে নিবেন।

বুধবার (১৪ জুলাই) জেলার রানীনগরের সবচেয়ে বড় হাট আবাদপুকুরে গিয়ে দেখা যায়, কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য মাইকিং, প্রবেশমুখে মাস্ক বিতরণ ও মোড়ে মোড়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছে।

উপজেলার কালিগ্রামের গরু বিক্রেতা ওহেদুল ইসলাম বলেন, ‘গো-খাদ্যের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। এবার গরু লালনপালন করতে খরচ বেশি পড়েছে। ফলে গরুর দাম বেশি নাহলে লোকসান গুনতে হবে। হাটে বেশি সময় অপেক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপরও গরু বিক্রি করতে পেরে খুশি। তবে পশুর দাম নিয়ে খামারিদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে।’

দামুয়া গ্রামের গরু ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘একটি ষাঁড় এক লাখ টাকায় কিনেছি। কয়েকটি গরু দেখেছি। দামের সঙ্গে সাধ্যের সামঞ্জস্য হচ্ছিলো না। মনে হচ্ছিলো, গরু কিনে হাট থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে বাঁচি। বাজারও চড়া মনে হচ্ছে।’

নওগাঁ শহরের চকদেব জনকল্যাণ মহল্লার সুখবার্তা ডেইরি ফার্মের মালিক সেলিম রেজা ডালিম বলেন, ‘কুরবানি উপলক্ষে ছয়টি ষাঁড় প্রস্তুত করেছিলাম। বিধিনিষেধে পশুর হাট বন্ধ থাকায় গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ব্যবসায়ীরা বাড়ি থেকে গরু কিনে নিয়ে গেছে এবং দামও ভাল পেয়েছি।’

পশুর দাম নিয়ে আতঙ্ক নওগাঁর ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে

এদিকে ধামইরহাট উপজেলার জাহানপুর গ্রামের আলহাজ আব্দুল করিম বলেন, ‘খামারে বিভিন্ন জাতের ১০টি গরু রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে এরইমধ্যে শাহীওয়াল জাতের একটি ষাঁড় বিক্রি করার উপযোগী করেছেন। এর উচ্চতা পাঁচ ফুট, লম্বায় প্রায় ৮২ ইঞ্চি ও ওজন প্রায় ১৫ মণ। নাম দিয়েছেন টাইগার। এর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে ১৫ কেজি খুদের ভাত, আটা, ভুসি ও সবুজ ঘাস। ষাঁড়টির দাম রেখেছেন পাঁচ লাখ টাকা। করোনাকালীন সময়ে পশুর হাটের ঝামেলা এড়াতে ষাঁড়টি তিনি বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চান।’

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জেলার ১১টি উপজেলায় ৩১ হাজার ৩৪০টি খামারে পশুপালন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯৮ হাজার ৮৮৩টি ষাঁড়, ৩২ হাজার ৪২৯টি বলদ, ৩৬ হাজার ১১৫টি গাভী ও ৬ হাজার ৯৬০টি মহিষ রয়েছে। এছাড়া ছাগল রয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৩৭টি, ভেড়া ২৫ হাজার ৬৫১টি ও অন্যান্য রয়েছে ৪২৪টি।

নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হেলাল উদ্দিন খাঁন বলেন, প্রাকৃতিকভাবে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের জন্য খামারিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করার জন্য খামারিদের সচেতন করা হয়েছে। এ বছর জেলায় ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪৯১টি কোরবানির পশুপালন করা হয়েছে। যেখানে জেলায় চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ পশুগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে পশু ক্রয়-বিক্রয় নামের অনলাইন ভিত্তিক একটি মোবাইল মার্কেটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই অ্যাপে জেলার বিভিন্ন খামারিদের ঠিকানা, পশুর ছবি, ওজন ও মূল্যসহ ইত্যাদি উল্লেখ করে পোস্ট দেয়া হচ্ছে। এতে ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

 

পরিস্থিতির উন্নতি হলে নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা

শিক্ষা ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এসএসসি ও সমমান এবং ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা, দীপু মনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন  শিক্ষামন্ত্রী।পরিস্থিতি অনুকূল হলে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়ে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী জেএসসি-জেডিসি-এসএসসির ভিত্তিতে এবং অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে এসএসসি-এইচএসসির মূল্যায়ন করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সব বিষয়ের পরীক্ষা নিতে চাই না। সিলেক্টিভ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে ৩টি বিষয়ের উপর পরীক্ষা হবে। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও প্রণয়ন করা হবে। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে। বাকি আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ন হবে এসএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষার বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে।

 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন সদ্য সাবেক হওয়া সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম

অনলাইন ডেস্ক : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদ্য সাবেক হওয়া সদস্য (সিনিয়র সচিব) . শামসুল আলম। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক এই বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন। রবিবার (১৮ জুলাই) প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে . শামসুল আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে জিইডিতে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেটি আমি সূচারুভাবে পালন করেছি। এখন যে বিশ্বাস আস্থা রেখে নতুন দায়িত্ব দিচ্ছেন সেটিও যথাযথভাবে পালন করবো ইনশাআল্লাহ। আমার প্রধান কাজ হবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বৃদ্ধি করা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, শামসুল আলমকে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। রোববার বঙ্গভবনে তার শপথ এবং ওইদিনই দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।

বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন এম. . মান্নান। মন্ত্রিসভায় এখন ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। নতুন একজন যুক্ত হলে প্রতিমন্ত্রী হবেন ২০ জন।

. শামসুল আলম এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অর্থনীতি স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তি হন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে এমএসসি, ১৯৮৩ সালে ব্যাংককের থাম্মাসাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ অর্থনীতি এবং ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসেল আপন টাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন।

কর্ম জীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানির হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডের ভাগিনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট ইকনোমিকস স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন।

. আলম জাতিসংঘের খাদ্য কৃষি সংস্থায় ২০০২ সালের মার্চ থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ণকালীন চাকরিরত ছিলেন। ইউএনডিপি বাংলাদেশে ১৪ মাস সিনিয়র স্কেলে পূর্ণকালীন জাতীয় কনসালটেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

৩৫ বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা শেষে শামসুল আলম ২০০৯ সালের জুলাই পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। সবশেষ গত ৩০ জুন তার মেয়াদ শেষ হয়।

এদিকে অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার শামসুল আলমকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে। এর আগে ২০১৮ সালে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডিউলিং তাকেইকোনমিক অব ইনফ্লুয়েন্স অ্যাওয়ার্ড দেয়।

এছাড়া কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে দক্ষতা অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি ২০১৮ সালে শামসুল আলমকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। তার গবেষণা, পাঠ্যপুস্তকসহ অর্থনীতি বিষয়ক প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১২টি।

. শামসুল আলমের হাত ধরে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পরিকল্পনা। যেগুলো এখন চলমান। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে তার হাত ধরে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে দ্বিতীয় দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (২০০৯-১১) সংশোধন পুনর্বিন্যাস করেদিনবদলের পদক্ষেপ ২০১১ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। রূপকল্প ২০২১-এর আলোকে বাংলাদেশের প্রথম পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১) তৈরি করে জিইডি।

ছাড়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র, সামাজিক সুরক্ষা কৌশলপত্র প্রণীত হয়েছে তার সময়ে। বর্তমানে ১০০ বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শেষের পথে। এগুলোর বাইরে তার দায়িত্ব পালনকালে এমডিজি অর্জন বিষয়ক ১৫টি গ্রন্থ, তার তত্ত্বাবধান সম্পাদনায় ৬৩টি মূল্যায়ন প্রতিবেদন, অধ্যয়ন গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

 
নওগাঁয় যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মিলাদ ও স্মরণসভা
নওগাঁ প্রতিনিধি: যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুল রুহের মাগফিরাত কামনায় নওগাঁয় কোরানখানী, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও স্মরণসভা অনষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর  নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নে মকিমপুুর সিদ্দিকিয়া দারুল উলুুম হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার আয়োজনে সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার সেকেন্দার আলী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ী ও কার্ভাড ভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রওশন জালাল, প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোঃ আবু হাসনাত গুলু ও সুবিদ আলী, বাংলাদেশ রেলওয়ে সাবেক ট্রেন পরিচালক নজরুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ইমরান হোসাইন, সহকারি শিক্ষক হাফেজ আব্দুর রহমান, যমুনা টিভির প্রতিনিধি শফিক ছোটন, সাংবাদিক আব্বাস আলী ও সিয়াম শাহরিয়ার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মরহুমের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরে রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনষ্ঠিত হয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বছরের ১৩ জুলাই মারা যান নুরুল ইসলাম বাবুল। তিনি ১৯৪৬ সালে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৭৪ সালে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল, রাসায়নিক, চামড়া, ইলেকট্রনিক্স, বেভারেজ, টয়লেট্রিজ, নির্মাণ ও আবাসন খাতে ছড়িয়ে আছে এ গ্রুপের ব্যবসা। যেখানে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

আত্রাই কেন্দ্রীয় সরকারি কবরস্থানে দাফন হলো তৃতীয় লিঙ্গের ববিতার,  লাশ নিতে রাজি নয় কেউ


তৌফিক তাপস, নওগাঁ : ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শেষে মৃত্যুর ৪০ ঘণ্টা পর তৃতীয় লিঙ্গের ববিতার ঠাঁই হলো আত্রাই কেন্দ্রীয় সরকারি কবরস্থানে। তার আত্মীয়-স্বজন লাশ নিতে রাজি না হওয়ায় এবং তার গ্রামের কবরস্থানে দাফন করতে রাজি না হওয়ায় প্রশাসনের সহায়তায় তাকে আত্রাই কেন্দ্রীয় সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আত্রাই রেল কলোনিতে প্রায় ১৬ বছর ধরে বসবাস করতো নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামের মৃত আকালার তৃতীয় লিঙ্গের নারী ববিতা (৪০)। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজ শয়ন-ঘরে সে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেলে সংবাদ পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে আত্রাই থানা পুলিশ। এদিকে লাশ উদ্ধারের পর থেকে তার দাফন নিয়ে বিপাকে পড়ে পুলিশ। রেল কলোনি সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া কবরস্থানের সভাপতি জানিয়ে দেন তাকে সেখানে দাফন করতে দেয়া হবে না। তার আত্মীয়-স্বজনও লাশ নিতে রাজি নয়।

আত্মহত্যার ৪০ ঘণ্টা পর তার লাশ ময়নাতদন্তের পর স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক  মোঃ আক্কাস আলী প্রামানিক,  ছাত্রলীগের সভাপতি মাহদী মসনদ স্বরুপ ও উপজেলা ছাত্রলীগের  নেতা-কর্মীদের ব্যবস্থাপনায় বুধবার (১৪ জুলাই) বাদ আছর জানাজা শেষে আত্রাই উপজেলা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহদী মসনদ স্বরুপ বলেন, তার কোনো ওয়ারিশ নেই তাই নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ববোধ মনে করেই আমরা তার লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছি।

আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ববিতার বাবা, মা, ভাই-বোন কেউ জীবিত নেই। তার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনও লাশ নিতে রাজি নয়। বাধ্য হয়ে সরকারি কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার আত্মহত্যার ব্যাপারে আত্রাই থানায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget