Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf


মহামারী কোভিড-১৯'র প্রভাবে বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারার বাজারে মন্দা

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : মহামারী কোভিড-১৯'র প্রভাবে বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারার বাজারে মন্দা চলছে। জমছে না পেয়ারার বাজার। আগের মত পাইকার ও পর্যটক নাই পেয়ারার হাটে। দাম গতবারের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। গতবছর পেয়ারার মণ ছিল ৭/৮ শত টাকা কিন্তু এবার মত ৪/৫ শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি, বরিশালের বানারীপাড়ার ও ঝালকাঠির ৩৮ টি গ্রাম জুড়ে দক্ষিনাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পেয়ারা বাগান অবস্থিত। তাই দক্ষিণাঞ্চলের হাট-বাজার আর বাগান এলাকা জুড়ে পাকা পেয়ারার মৌ-মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পরেছে। পাইকার এবং পেয়ারা চাষিদের বেচা কেনার ধূম চলছে পেয়ারার মোকাম (হাট-বাজার) গুলোতে। 

এ পেয়ারা বাগানে প্রায় ৩৩ হাজার একর জমির উপর এ পেয়ারার রাজ্য। বাংলার আপেল খ্যাত পেয়ারার ভর মৌসুম শুরু হয়েছে।এশিয়ার বিখ্যাত এ পেয়ারাকে স্থানীয় ভাষায় গৈয়া কিংবা সবরী বলা হয়। তবে জাতীয় ভাবে এটি পেয়ারা নামে পরিচিত। 

আর পুষ্টিমানের দিক থেকে একটি পেয়ারা ৪ টি আপেলের সমতুল্য বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছে। তাই পেয়ারাকে ভালবেসে ‘বাংলার আপেল’ আবার কেউ ‘গরিবের আপেল’  হিসাবে গণ্য  করে। এখানে প্রতিবছর পেয়ারার মৌসুমে বিপুল পরিমানে সুস্বাদু পেয়ারা ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। বাংলার আপেল নামে খ্যাত এ পেয়ারা এখানে প্রচুর উৎপাদন হলেও সংরক্ষণের অভাবে চাষীদের লোকসানের মুখে পড়তে হয় প্রতিবছরই। কারন পেয়ারা দ্রুত পেকে যায়। 

তাই দ্রুত বিক্রি না করতে পারলে চাষিদেও পড়তে হয় লোকসানের মুখে।এ বছর পেয়ারায় দেখা দিয়েছে এনথ্রাকনোস নামক এক ধরনের ভাইরাস। যা স্থানীয়ভাবে ছিটপড়া রোগ বলে সনাক্ত করা হয়। এছাড়া বর্ষায়ও পেয়ারা সংগ্রহ ও বিক্রিতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় উৎপাদিত পেয়ারা বাগানেই নষ্ট হতে শুরু করেছে। সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ থাকলে মৌসুমী এ ফল পেয়ারা বছর জুড়ে ভোক্তাদের চাহিদা মিটিয়ে চাষীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হতো। কিন্তু দীর্ঘদিনেও উদ্যোক্তার অভাবে হিমাগারসহ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে না উঠায় এবংউৎপাদন খরচ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষীরা পেয়ারা চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে। আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্রের অর্ধেক এই আড়াই মাস জমে উঠে পেয়ারা বেচা-কেনা।পেয়ারা চাষ ও ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় গড়ে উঠেছে ২০ টিরও বেশি ছোট বড় ব্যবসা কেন্দ্র। 

মহামারী কোভিড-১৯'র প্রভাবে বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারার বাজারে মন্দা

স্থানীয়ভাবে বলা হয় পেয়ারার মোকাম। এ মোকাম গুলোর মধ্যে উল্লে¬খ যোগ্য হচ্ছে আটঘর, কুড়িয়ানা, ভিমরুলী, ডুমুরিয়া, শতদশকাঠি, বাউকাঠি। প্রতিদিন সকালে এসব মোকামে চাষিরা ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় সরাসরি বাগান থেকে পেয়ারা নিয়ে আসে পাইকারদের কাছে। তা কিনে ট্রলার যোগে নৌ পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। 

এ বছর ফাল্গুনে পেয়ারা গাছে ফুল ধরার পর অতিরিক্ত খড়ায় পানির অভাব দেখা দেয়ায় ফুল ঝড়ার পাশাপাশি অনেক গাছও মারা যায়। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পেয়ারা চাষিরা গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সার এবং মাটি দিতে পারেনি। কিন্তু তার পরেও এবার পেয়ারার ভাল ফলন হয়েছে। কেটে গেছে চাষিদের দু:শ্চিন্তা।ঝালকাঠির কাঁচাবালিয়া গ্রামের পেয়ারা চাষি জাহিদ মিয়া জানান, আমাদের ভাগ্য ভালো খড়ার কারণে ফলন ভালো না হওয়ার ভয় ছিলো। উপরওয়ালা সহায় থাকায় পেয়ারার ফলন এবার ভালই হয়েছে। 

এইবার মৌসুমের শুরুতেই ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে প্রতি মন পেয়ারা ৮শ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পেয়ারার দাম কমে গেছে। প্রতি মণ ২ শ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিবছর পেয়ারার মৌসূমে বিভিন্ন স্থান থেকে নৌ পথে পেয়ারা বাগানে আসে পর্যটকরা। পেয়ারা বাগানে এসে দেখে মুগ্ধ হয়ে এখান থেকে পেয়ারা কিনেও নিচ্ছেন পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য। বছরের পর বছর ধরে পেয়ারা উৎপাদিত এসব এলাকার চাষিদের একমাত্র সমস্যা হিমাগার ও সড়ক পথে যোগাযোগের যথোপযোগী ব্যবস্থা না থাকা।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠির জগদীশপুর গ্রামের পেয়ারা চাষি বিমল মিস্ত্রি জানান, প্রতি বছর হিমাগারের অভাবে এসব এলাকার কয়েক কোটি টাকার পেয়ারা নষ্ট হয়ে যায়। কারণ পেয়ারা পচনশীল ফল। তাই দ্রুত পেকে যাওয়ায় তা সংরক্ষণ করে রাখার কোন ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বরিশালের উৎপাদিত পেয়ারা সড়ক পথে নেয়ার কোন সঠিক ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত গড়ে উঠেনি। পেয়ারা চাষিরা জানিয়েছে, এ অঞ্চলের সাথে সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে পেয়ারা দ্রুত বাজারজাত করা যেত। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা হলে পেয়ারা চাষিদের বাগান থেকে সরাসরি ট্রাক যোগে প্রতি বছর মৌসুমের শুরুতেই ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পেয়ারা পৌঁছে দেয়া এবং পচন রোধ করা সম্ভব হত। 

আড়তদার লিটন হালদার বলেন, ভিমরুলী দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পেয়ারার মোকাম।  মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মন পেয়ারা বিক্রি হয়। তবে বাউকাঠি থেকে ভিমরুলী হয়ে কীর্তিপাশা পর্যন্ত সড়ক পথ হলে দ্রুত প্রতি দিনের পেয়ারা প্রতিদিন বিভিন্ন জেলায় পৌঁছানো সম্ভব হতো। ভিমরুলী মোকাম থেকে নৌ পথে খুলনা, ফেনী, ঢাকা, সিলেট, পটুয়াখালি, ভোলা, মাদারিপুর, নাটোর, বরিশাল হাজার হাজার মন পেয়ারা যাচ্ছে।কিন্তু সড়ক পথের যোগাযোগ থাকলে তাৎক্ষনিকভাবে এসব জেলায় পেয়ারা নেয়ার জন্য পাইকাররা চাষিদের আরো বেশি দাম দিয়ে পেয়ারা কিনত। পেয়ারা বাগান ঘুরে জানা গেছে, পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর, কুড়িয়ানা, আদমকাঠী, ধলহার, কঠুরাকাঠি, আন্দাকুল, জিন্দাকাঠি, ব্রাহ্মণকাঠি, আতা, জামুয়া, মাদ্রা, ঝালকাঠি, শশীদ, পূর্ব জলাবাড়ী,আদাবাড়ি ও জৌসার গ্রাম এবং ঝালকাঠি ও বরিশালের বানারীপাড়ার মোট ৩৬টি গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে পেয়ারার চাষাবাদ হয়। কয়েক হাজার পেয়ারা বাগানে হাজার হাজার চাষী এ পেয়ারা চাষাবাদ করে আসছে। আর পেয়ারার চাষাবাদ ও বিপণন ব্যবস্থার সাথে ওই সমস্ত এলাকার প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার শ্রমজীবী মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ব্রাক্ষ্মণকাঠি গ্রামের চাষী সুভাষ মজুমদার জানান, এ বছর পেয়ারায় ছিট পড়া রোগ পুনরায় দেখা দিয়েছে। ফলে পেয়ারা বড় হওয়ার আগেই ঝরে পড়ছে। 

পেয়ারা বাগান পরিচর্যাসহ শ্রম মজুরি বেশি হওয়ায় চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবু পূর্ব পুরুষদের এ পেশাকে আগলে রেখেছে চাষীরা।কুড়িয়ানার পেয়ারা চাষী বিশ্বজিত্ চৌধুরী জানান, সরকারি বা বেসরকারি  উদ্যোগে বড় সাইজের পেয়ারা প্রসেসিং করে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। 

কুড়িয়ানার পেয়ারা হাটে বিভিন্ন গ্রামের পেয়ারা চাষীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পেয়ারার ফলন কম কিন্তু উত্পাদন ব্যয় বেশি আবার দামও কম। অনাবৃষ্টির কারণে উৎ্পাদিত পেয়ারাগুলো আকারে কিছুটা ছোট এবং ফলও এসেছে বিলম্বে। 

হেক্টর প্রতি ৫ থেকে ৬ মে.টন উৎপাদিত পেয়ারা থেকে বছরে প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা আয় হয়। অপর পক্ষে স্থানীয় পর্যায়ে অপর এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরাও প্রতিদিন শত শত মণ পেয়ারা এখান থেকে লঞ্চ, ট্রলার ও  ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান দেয়। 

স্বরূপকাঠির উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিফাত সিকদার সাংবাদিকদের জানান, সংরক্ষণসহ কৃষি ভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠলে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হতো। যুগ যুগ ধরে পেয়ারা চাষাবাদ করে আসলেও উদ্যোক্তার অভাবে হিমাগারসহ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে না ওঠায়  দিন দিন চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে পেয়ারা চাষীরা।

চাষীরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অধিক ফলন এবং জীবন মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।


 

নওগাঁর রানীনগরে  ট্রাক্টর ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে  নিহত ১ 
সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর রানীনগরে  ট্রাক্টর ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহত তুহিন (২২) নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালীয়া গ্রামের সাহের আলীর ছেলে। গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলার আত্রাই উপজেলার বান্দাইখাড়া-নওগাঁ বিশ্বরোডের ধনপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ শহর থেকে যাত্রী নিয়ে আত্রাই উপজেলার বান্দাইখাড়ার জামালগঞ্জের মোড়ে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। অপরদিকে জামালগঞ্জের মোড় থেকে ধান বোঝাই করে ট্রাক্টরটি রানীনগরের দিকে আসছিল। পথের মধ্যে বান্দাইখাড়া-নওগাঁ বিশ্বরোডের মিরাটের ধনপাড়া এলাকায় ট্রাক্টর ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার যাত্রী তুহিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় অপর যাত্রী রাজু আহত হন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনার পর ট্রাক্টরচালক পালিয়ে গেছেন।

রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক্টরটি জব্দ এবং মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

 পুকুর থেকে মসজিদের মোয়াজ্জিনের লাশ উদ্ধার

নওগাঁয় পুকুরের পানিতে হাত পা বাঁধা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নওগাঁ সদর থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার চকচাঁপাই গ্রামের মেসার্স সীমানা ব্রিকস নামের এক ইটভাটার পাশের পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে নিহত ব্যক্তির নাম কুদ্দুস হোসেন (৫২)। তিনি উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের শিমবাচা গ্রামের মৃত মজিবর মন্ডলের ছেলে। কুদ্দুস হোসেন ছিলেন স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন। নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, নিহত ওই ব্যক্তির লাশটি পিছনে হাত বাধা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া তার ডান চোখের পাশে ধারালো কোন অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাঁকে মেরে ফেলে হাত পা বেঁধে লাশটি পুকুরে ফেলে দেয়। লাশটি উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নওগাঁয়  হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মসজিদের মুয়াজ্জিনের লাশ উদ্ধার

তৌফিক তাপস নওগাঁ :   নওগাঁ সদর উপজেলার সিংবাচা এলাকার একটি পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিংবাচা এলাকার মেসার্স সীমানা ব্রিকস নামের একটি ইটভাটার দক্ষিন পাশের একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ০৭ টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

নিহত ব্যক্তি উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের সিংবাচা গ্রামের মৃত মজি মণ্ডলের ছেলে কুদ্দুস হোসেন (৫৫)। তিনি স্থানীয় সিংবাচা দক্ষিন পাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে ছিলেন।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় শৈলগাছী ইউনিয়নে মাষ্টারের মোড় মোঃ আতাউর রহমান আতা এর চায়ের দোকানে চা খেয়ে মসজিদে আজান দেওয়ার উদ্দেশ্য বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় তার স্ত্রী তার ছোট ছেলেকে বললে, তার ছেলে ও প্রতিবেশি, স্বজনেরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও সন্ধান পাননি। পরে আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে সীমানা ব্রিকস ইটভাটায় কাজ করতে আসা শ্রমিকরা ইটভাটার দক্ষিন পাশের পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে স্বজনদের খবর দেন।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, নিহত ওই ব্যক্তির লাশটি হাত মোড়া (শরীরে পেছনে পাটের আশ দিয়ে বাঁধা) অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া তার মাথায় ও ডান চোখের পাশে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে হাত বেঁধে তার লাশটি পুকুরে ফেলে দেয়। লাশটি উদ্ধার করে নওগাঁ সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।

নওগাঁর মান্দায় ১ টি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, ১টি শুটারগানসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক

সালমান ফার্সী (সজল), নওগাঁ : নওগাঁর মান্দায় অভিযান চালিয়ে ১ টি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, ১টি শুটারগানসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী মিজান শেখকে (২২) আটক করেছে র‌্যাব। গত সোমবার (১২ জুলাই) রাতে উপজেলার কিত্তলী গ্রামের জ্যোতি কোল্ড স্টোরেজের পাশের্^ থেকে আটক করা হয়।


আটককৃত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার প্রসাদপুর বাগদোয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। 


র‌্যাব-৫ রাজশাহীর সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর সানরিয়া চৌধুরী জানান, সোমবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় মান্দা উপজেলার কিত্তলী গ্রামে জ্যোতি কোল্ড স্টোরেজের পাশের্^ অস্ত্র কেনাবেচা করা হবে। এমন তথ্যের ভিতিত্তে তিনিসহ কোম্পানী উপ-অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাত ৮ টার দিকে স্টোরেজের পাশের্^ থেকে মিজান শেখকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৬ টি গুলি, ১টি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। 


মেজর সানরিয়া চৌধুরী আরো জানান, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অজ্ঞাত স্থান থেকে সংগ্রহ করে বিক্রয়ের লক্ষে নিয়ে এনেছিল। সে দীর্ঘদিন থেকে অস্ত্র ক্রয় বিক্রয় করিয়া আসছিল বলে র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। ঘটনায় নওগাঁ জেলার মান্দা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  


নওগাঁর ধামইরহাটে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ

তৌফিক তাপস নওগাঁ : নওগাঁর ধামইরহাটের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিনামূল্যে অসহায় মানুষকে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়েছে। 

সোমবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের অন্তর্গত আড়ানগর কমিউনিটি ক্লিনিকে এ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশন বগুড়ার আয়োজনে ১৭০ জন অসহায় মানুষকে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়। লেঃ কর্ণেল ডা.তহমিনা আক্তারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম এ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। বাড়ীর দোড়গোড়ায় চিকিৎসাসেবা পেয়ে এলাকার অসহায় গরীব ও দুস্থ মানুষ বেশ উপকৃত হয়েছেন।


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget