Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

এবার উত্তরাঞ্চল থেকে গরু আসবে ট্রেনে

ডেস্ক নিউজ : এবার ঢাকায় কোরবানির পশু আনতে 'ক্যাটল সার্ভিস' নামে ট্রেন পরিচালনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে নামানো হবে সেইসব গরু। ঢাকায় হাট শুরু হলেই প্রতিদিন চলবে ৬টি করে ট্রেন। গরু প্রতি খরচ পড়বে ৫০০ টাকা করে।
এবারও উত্তরাঞ্চল থেকে গরু আসবে ট্রেনে, কম খরচে

সড়ক পথে যানজটসহ নানা ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু আসে ঢাকায়। কম খরচ আর নিরাপদে পশু পরিবহনের কথা চিন্তা করে গত বছর থেকে ‘ক্যাটল সার্ভিস’ নামে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
গত বছর শুধু মাত্র পশু পরিবহরেন সুযোগ ছিল ময়মনসিংহ আর জামালপুর অঞ্চলের। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চলও। গত বছর দু'টি ট্রেন চললেও এবার চলবে ছয়টি ট্রেন। ঢাকায় কোরবানির হাট শুরুর দিন থেকেই ক্যাটল সার্ভিস চলবে জানিয়ে মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এরইমধ্যে ব্যবসায়ী ও খামারিদের সঙ্গে শুরু হয়েছে আলোচনা।
মন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে ব্যাপারী ও খামারিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। সবার সঙ্গেই আমাদের লোকজন যোগাযোগ করছেন।  
স্থান স্বল্পতার কারণে এবার কমলাপুর নয় গরু নামানো হবে তেজগাঁও রেলস্টেশনে। ঢাকায় আনতে গরু প্রতি খরচ পড়বে ৫০০ টাকা।

মন্ত্রী আরও বলেন, এসব পশু আনতে খরচ খুবই কম। চাহিদার ওপর নির্ভর করে যে কয়টা ট্রেন আমাদের দরকার হবে সেই কয়টা ট্রেন দেওয়া হবে।  
নিরাপদে পশু পরিবহনে নিয়োজিত থাকবে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আর এনবি ও রেলওয়ে পুলিশ।

কোপার ফাইনালের পরিসংখ্যানে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে এগিয়ে যে দল


খেলাধুলা ডেস্ক : কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল ১৯২১ সালে। সেই আসরে ব্রাজিলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিক আর্জেন্টিনা। এরপর চার বছর পর আবারও এই আসরের ফাইনালে দেখা হয় দুই প্রতিদ্বন্দী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার।

কিন্তু সেবারও প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি ব্রাজিলের। সেলেসাওদের হারিয়ে আসরে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।

তৃতীয়বারের মতো ১৯৩৭ সালে আরও একটি ফাইনালের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। এবারও জয়ের দেখা পায়নি দলটি। সেই ম্যাচে ব্রাজিলকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে আসরে ৫ম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায় আর্জেন্টিনা। ১৯৩৭ সালের পর ১৯৪৫ ও ৪৬ সালে পরপর দু'বার এই দুই দলের দেখা হয় ফাইনালের লড়াইয়ে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তিন ফাইনাল হারের পর ৪র্থ ও ৫ম ফাইনালেও জয়ের দেখা পায়নি ব্রাজিল। এখানেই শেষ নয়, কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে জয় পেতে ব্রাজিলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে লম্বা সময়। সেসময় ফাইনালে আর্জেন্টিনা জুজু যেনো কোনোভাবেই কাটছিল না ব্রাজিলের।

পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত কোপা আমেরিকার ফাইনাল মঞ্চে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দেখা হয়েছে দশবার। যেখানে আর্জেন্টিনা জিতেছে ৮ বার ব্রাজিল জয় পেয়েছে ২ বার। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের থেকে অনেক এগিয়ে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কোপার ফাইনালে ব্রাজিলের প্রথম জয় ২০০৪ সালে। পেরুর মাটিতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ৪১তম আসরে সেবার আর্জেন্টিনাকে পেন্টালিতে হারিয়ে ৭ম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জুলিও সিজার-ফ্যাবিয়ানোর ব্রাজিল। তিন বছর পর কোপার ৪২তম আসরের ফাইনালে আবারও সেই আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। ভেনেজুয়েলার মাটিতে অনুষ্ঠিত সেই ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেলেসাওরা।

কোপা আমেরিকার ফাইনালের লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও শেষ দু'বারের ফাইনালের দেখায় ব্রাজিলই জয় পেয়েছে। আর্জেন্টিনা সবশেষ কোপা আমেরিকার ফাইনালে জয় পেয়েছে ১৯৯৩ সালে। অন্যদিকে ব্রাজিল কোপার সবশেষ আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন।

কোপা আমেরিকায় সবচেয়ে সফল দল উরুগুয়ে। এ পর্যন্ত ১৫ বার কাপ নিয়েছে দলটি। এরপরেই রয়েছে আর্জেন্টিনা। মর্যাদাপূর্ণ এই আসরে ১৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ব্রাজিল রয়েছে তালিকার তিন নম্বরে। তাদের দখলে রয়েছে ৯টি আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সাফল্য।

আবারও কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনালের সম্ভাবনা

কোপা আমেরিকার ৪৭তম আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্রাজিলে। ইতিমেধ্যই চলতি এই আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই শেষ হয়েছে। গ্রুপ পর্ব ও কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই শেষে সেমিফাইনালের টিকেট পেয়েছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পেরু ও কলম্বিয়া। ইতিমধ্যে সেমিফাইনালের দুই ম্যাচে কে কার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সেই লাইনআপও চূড়ান্ত।

টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামবে ব্রাজিল। তাদের প্রতিপক্ষ পেরু। ম্যাচটি হবে রিও ডি জেনেইরোর নিল্টন সান্তোস স্টেডিয়ামে। অপরদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

চলতি কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ফাইনালের মঞ্চে যাওয়ার জন্য দুই দলকেই এখন জিততে হবে কেবল একটি ম্যাচ। সেমিফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা উভয়ই জয়ের মুখ দেখলে ১১তম বারের মতো কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। বিশ্ব ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ এই আসরে চীর প্রতিদ্বন্দী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফাইনাল লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছে ফুটবল প্রেমীরা। ফাইনালে মেসি-নেইমারের দেখা হচ্ছে কিনা সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৭ জুলাই পর্যন্ত। কারণ সেদিনই শেষ হবে কোপা আমেরিকার চার দলের সেমিফাইনালের লড়াই। 

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘লজ্জা-শরম’ বলতে কিছু নেই
ফাইল ছবি
ডেস্ক রিপট : স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘লজ্জা-শরম’ বলতে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল (০৩ জুলাই) জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্লজ্জ! সংসদে তার বিরুদ্ধে তার দলের লোকেরা কথা বলছেন, বিরোধী দলের কয়েকজন কথা বলেছেন, সারা দেশের মানুষ কথা বলছেন। তাদের মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি যখন প্রমাণিত হয়েছে, দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে যখন তিনি চিত্রিত হয়েছেন, ছবি তোলা হয়েছে এগ্রিমেন্ট সই করার সময়ে।’


‘তারপরেও তিনি পদত্যাগ করছেন না এবং লজ্জা-শরম কোনো জিনিস আছে বলে মনে হয় না। দুর্ভাগ্য আমাদের যে এ রকম একটা ভয়ংকর গণবিরোধী সরকার যারা আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধবংস করে দিচ্ছে। তারা এখনো সরকারে আছেন বহাল তবিয়তে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার চরম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এই করোনাভাইরাসে যখন মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে, আপনি দেখুন তখন স্বাস্থ্যখাতে কীভাবে দুর্নীতি চলছে। আমরা প্রথম থেকে বলছিলাম জেলার হাসপাতালগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হোক, অক্সিজেন সরবারহের ব্যবস্থা করা হোক, ওষুধের ব্যবস্থা করা হোক। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শতকরা ৫২টি হাসপাতালে কোনো আইসিইউ বেড নেই। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, একটা জেলা হাসপাতালে পর্যন্ত কোনো অক্সিজেন সরবারহের ব্যবস্থা নেই।’

গণমাধ্যমের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে এতটুকু সরকারের সমালোচনা করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে চরম নির্যাতন করা হচ্ছে। আমি দেখলাম, গত ৬ মাসে ১৫০ জনের মতো সাংবাদিককে তাদের শুধুমাত্র সত্য কথা লেখার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে।’

‘আজকে এই জাতিকে বাঁচানোর জন্য, তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কখনোই কোনো আন্দোলন সফল হয় না যদি আমরা ত্যাগ স্বীকার না করতে পারি। আমি অনুরোধ জানাবো, তরুণদের এখনই জেগে উঠতে হবে, এই ঘোরতর অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে।’


‘এক সময়ের নাম করা সাংবাদিকরা যারা এখন ‘‘উচ্ছিষ্টভোগী’’ হয়েছেন তারা জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন সম্পর্কে নানারকম অপপ্রচার করে কলাম লিখছেন যা সত্য নয় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেই লেখাগুলোর বিরুদ্ধে আপনাদের জবাব দিতে হবে, সেগুলোর বিরুদ্ধে পত্রিকায় আপনাদের লেখা দিতে হবে। কিছুদিন আগে আবদুল গাফফার চৌধুরী যে সমস্ত লেখা লিখছেন আপনারা আমাদের মতাদর্শের যারা একজনও কিন্তু প্রতিবাদ করে কলাম লিখছেন না। অন্তত যে কথাগুলো তার সত্য নয়, সেগুলো তো আপনাদের বলতে হবে, লিখতে হবে, জনগণকে জানাতে হবে সত্যটা।’

জাতীয়তাবাদী দল সমর্থিত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ‘মহান স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী: গণমাধ্যমের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আবদুল হাই শিকদার, বাকের হোসাইন, বাসির জামাল, রাশেদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মোরসালিন নোমানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

 



ডেস্ক রিপোট : অক্সিজেনের উৎপাদন ও সরবরাহে নেই কোনো সংকট বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।


তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অক্সিজেনের চাহিদা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেলে সে চাহিদা পূরণ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

রোববার (৪ জুলাই) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিন বক্তব্যকালে ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

অক্সিজেনের সংকটে হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। তদন্ত ফলাফল হাতে পেলে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ সত্যি কিনা তা বলা যাবে।

তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পুনঃআহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা প্রতিমুহূর্তে অক্সিজেন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অক্সিজেন মজুত রাখছেন।


এ মুহূর্তে সংকট না থাকলে রোগীর সংখ্যা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেলে চাহিদা পূরণ করা কঠিন চালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ানোর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।

ঝালকাঠিতে ভ্রাম্যমান আদালতে পঁয়ত্রিশ সহাস্রাধিক টাকা জরিমানা আদায়

 ইমাম বিমান ঝালকাঠি : সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সারা দেশের ন্যয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সরকারি বিধি নিষেধ অমান্যকারিদের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ৩৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের তৃতীয়দিন শনিবার সকাল থেকে জেলাশহর সহ সদর উপজেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক, হাট-বাজার, দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা শহরের মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেও শহরে লোকজন কারণে অকারণে রাস্তায় বের হচ্ছেন। 

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছবির হোসেন, আরিফুজ্জামান ও অং সিং মারমার নেতৃত্বে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ও সদর উপজেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নে চেকপোস্ট বসিয়ে এ জরিমানা করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি না মানা, মাস্ক না পরা এবং অকারণে বাসা থেকে বের হওয়া সহ সরকারি বিধি অমান্য করার অপরাধে ৮১ জনকে ৩৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেছে ।

এছাড়াও সকাল থেকে সেনাবাহিনীরও একটি টিম শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী করে। অকারনে রাস্তায় বের হওয়া মানুষকে ফিরিয়ে দেয় তারা। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব, পুলিশ ও আনছার বাহিনী জেলার বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে। মোবাইল কোর্টের সাথে স্কাউট ও গালস সহযোগীতা করে।


রাজশাহী বাগমারায় চলছে কঠোর লকডাউন

মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা, রাজশাহী :  রাজশাহীর বাগমারায় দ্বিতীয় দিন চলছে কঠিন লকডাউন। লকডাউনের কারনে পাল্টে গেছে বাগমারা উপজেলার চিত্র। রাস্তাঘাট ফাঁকা, নেই কোন যানবাহন। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বদায় টহল জোরদার করেছে। ভারী কোন যানবাহনকে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়নি। পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও লকডাউনে তাদের দায়ীত্ব পালনে অনড়। হাটবাজার গুলো ঔষুধ ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট গুলো বন্ধ দেখা গেছে।

প্রথম দিনের লকডাউনটি ঢিলেঢালা থাকলেও দ্বিতীয় দিনে তার কঠিন ভাবে রুপ নেয়। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের কঠিন ভাবে দায়ীত্ব পালন করতে দেখা গেছে। মূল রাস্তার মোড়, হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে তাদের কঠিন ভাবে দায়ীত্ব পালন করতে দেখা যায়।

কঠিন লকডাউন পালনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার সর্বত্রই মাইকিংসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশপাশি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরকে কঠিন ভাবে দায়ীত্ব পালন করে আসছে। উপজেলার হাটবাজার গুলোতে কাঁচামালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে ক্রেতাদের নিদিষ্ট সময় বেঁধে দিচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে।

কঠিন লকডাউনের পর থেকে রাস্তায় কোন ভারী যানবাহন চলতে দেখা যায় নি। তবে কাঁচামাল বহনের জন্য হাটবাজার গুলোতে দুই একটি ট্রাক ও লরি লক্ষ করা গেছে। লকডাউনে রাস্তায় কোন সাধারন মানুষকে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। বিনা প্রয়োজনে বাড়ি বাহিরে যেতে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এলাকার জনসাধারনকে সচেতন করা হচ্ছে।

কঠিন লকডাউনের কারনে মানুষের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। সব চাইতে বেশী দুশ্চিন্তিায় পড়েছে এলাকার গরুর খামারীরা। হাটবাজার গুলো উন্মুক্ত না হলে তারা তাদের পোষা গরু গুলো নিয়ে বিপাকে পড়বে বলে ধারনা করছেন। এলাকার গরুর খামারীরা জানান, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে তারা তাদের খামারের গরু গুলো বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। লকডাউন দীর্ঘদিন থাকলে তারা গরু নিয়ে বিপাকে পড়বেন বলে ধারনা করছেন।

কঠিন লকডাউনের কারনে এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর লাভি শ্বাস উঠেছে। দিন আনে দিন খাই, এমন মানুষ গুলো ব্যাপক সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। কঠিন লকডাউনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনা প্রয়োজনে কোন মানুষকে বাড়ির বাহিরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। উপজেলার সকল এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া সকল দোকান পাঠ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

করোনা সংক্রম বৃদ্ধির কারনে এমন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফ আহম্মেদ। তিনি বলেন, দেশের দুর্যোগ মূহুর্তেই এলাকার সকল মানুষকে ধর্য্য ধারনের মাধ্যমে মোকাবিলা করার জন্য এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মানুষ। তারা মনে করেন, বাগমারায় করোনা উপসর্গের প্রার্দুভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্ধশত মানুষ মারা গেলেও সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার কোন হিসেব নেই। শত শত মানুষ আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১০ জনের তালিকা রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফ আহম্মেদ বলেন, আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর জন্যই সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা সবাই মিলে সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিলে দেশ, জাতী ও দেশের মানুষ ভাল থাকবে বলে তিনি মনে করেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget