Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 চলতি বছরের বন্যায় নওগাঁ’র পাঁচ উপজেলায়


আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁ জেলায় চলতি বছরের বন্যায় ৫ উপজেলায় ৩১৮ জন চাষির ৫৬৩টি পুকুর এবং দিঘী ভেসে গেছে। এর ফলে পুকুর ও দিঘীর মালিকদের ২৫ কোটি ৫ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহাম্মেদ জানিয়েছেন জেলায় ৩১৮ ব্যক্তির মালিকানাধীন ৩৭১ দশমিক ৩৭ হেক্টর জলাশয়ের আয়তন বিশিষ্ট এসব পুকুরের ২৪ কোটি ৫৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মুল্যের ১ হাজার ৬শ ৫৮ মেট্রিক টন মাছ, ৫০ লক্ষ ৪ হাজার টাকা মুল্যের ৩৩ লক্ষ ২ হাজার পোনা ভেসে গেছে। এ ছাড়াও ১ লক্ষ টাকা মুল্যের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।

সূত্রমতে সদর উপজেলায় ৭৯ জন মালিকের ১৩৪টি পুকুর দিঘী ভেসে গেছে। ৪৭ দশমিক ৮১ হেক্টর জলা বিশিষ্ট এসব পুকুর দিঘী থেকে ২ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা মুল্যের ১৭৫ দশমিক ৫১ মেট্রিক টন মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।  

মান্দা উপজেলায় ৫০ জন মালিকের মোট ৭০টি পুকুর দিঘী ভেসে গেছে। ১৪ হেক্টর জলা বিশিষ্ট এসব পুকুর দিঘী থেকে ৫১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা মুল্যের ৪২ দশমিক ৭০ মেট্রিকটন মাছ ভেসে গেছে।

রানীনগর উপজেলায় চলতি বছরের বন্যায় ২৯ ব্যক্তির মালিকানাধীন মোট ৩২টি পুকুর দিঘী বন্যার পানিতে ভেসে গেছ। মোট  ৬ দশমিক ৯৬ হেক্টর আয়তনের জলা বিশিষ্ট এসব পুকুর থেকে ১৫ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা মুল্যের ১৩ দশমিক ১২ মেট্রিকটন মাছ ভেসে গেছে।

আত্রাই উপজেলায় ১৪৬ ব্যক্তির মালিকানাধীন মোট ৩০৭টি পুকুর দিঘী ভেসে গেছে। এর ফলে ২৮৫ হেক্টর জলা বিশিষ্ট এসব পুকুর দিঘী থেকে ২১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা মুল্যের ১ হাজার ৪শ ১০ মেট্রিকটন মাছ এবং ৫০ লক্ষ টাকা মুল্যের ৩৩ লক্ষ পোনা ভেসে গেছে।

পোরশা উপজেলায় ১৪ ব্যক্তির মালিকানাধীন ২০টি পুকুর দিঘী ভেসে গেছে। এর ফলে ১৭ দশমিক ৬০ হেক্টর আয়তনের জলা বিশিষ্ট পুকুর দিঘী থেকে   ২৯ লক্ষ ২ হাজার টাকা মুল্যের ১৭ দশমিক ২০ মেট্রিকটন মাছ, ৪ হাজার টাকা মুল্যের ২ হাজার পোনা ভেসে গেছে এবং ১ লক্ষ টাকার অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

 

পাল্টে যাচ্ছে রাজশাহী নগর সড়কের যোগাযোগের চিত্র

মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাগমারা) রাজশাহীঃ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকার সড়ক উন্নয়নে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হতে যাচ্ছে। একযোগে মহানগরীর চারটি সড়ক ফোরলেনে উন্নীতকরণে কাজ করছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া সড়ক উন্নয়নে আরো কিছু প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে নগরীর সড়ক যোগাযোগের চিত্রই পাল্টে যাবে। এই কাজের নিয়মিত তদারকি করছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এতে সড়কের কাজের গতি ও মান দুটিই ঠিক থাকছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাসিক সূত্রে জানা গেছে, মহানগরীর রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক হতে মোহনপুর-রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ১৮৯ কোটি ৩৪ লাখৎ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির আওতায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের আলিফ লাম মীম ভাটার মোড় হতে ছোট বনগ্রাম, মেহেরচন্ডী, বুধপাড়া, মোহনপুর হয়ে চৌদ্দপায়া রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় নগরীর ২টি মহাসড়কের পূর্ব-পশ্চিমমুখি ৬.৭৯৩ কিলোমিটার ৪ লেন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়াও সড়কের দুই পাশে ফুটপাথ, রেলওয়ে ক্রসিং-এ ১টি ফ্লাইওভার, ১টি ব্রীজ, ৮টি কালভার্ট, মিডিয়ান ও ট্রাফিক কাঠামো ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় রাজশাহীর প্রথম ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। ২০২ দশমিক ৫০ মিটারের ফ্লাইওভার এবং ১২০ মিটার দৈর্ঘ্য এর র‌্যাম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩২ টাকা। স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্মিত সড়কটি আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। নির্মাণাধীন সংযোগ সড়কে চলাচল শুরু হলে মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানজট পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হবে। একই সাথে প্রকল্প এলাকায় আবাসনসহ আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে।

রাজশাহীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আলুপট্টি মোড় হতে তালাইমারী। দীর্ঘদিন যাবৎ এই সড়কের কাজ বন্ধ ছিল। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সড়কটির কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। ১৬৪ কোটি ১৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির আওতায় বর্তমান সড়কটির প্রশস্ত করে ৪ লেন সড়কে উন্নীতকরণ কাজ চলমান রয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের পর শুরু হয়েছে সড়কের নির্মাণ কাজ। প্রকল্পটির আওতায় সড়কের দুই পাশে ২.২০ মিটার চওড়া ফুটপাথ নির্মাণ ও আধুনিক সড়ক বাতি স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে সড়কটির দক্ষিণ পাশে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাথ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন কাজটি আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করতে চায় সিটি কর্পোরেশন। সড়কটি চালু হলে নগরীর যানজট পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে। দুর্ঘটনা কমে যাবে অনেকাংশেই।

মহানগরীর সাহেব বাজার, মনিচত্বর থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত সড়কটি সরু হওয়ায় তীব্র যানজট দেখা যায়। নগরবাসীকে এই যানজট থেকে মুক্তি দিতে এই সড়কটিও ফোরলেনে উন্নীত করছে সিটি কর্পোরেশন। রাজশাহী মহানগরের ৩০টি ওয়ার্ডে ক্ষতগ্রিস্ত সড়ক ও নর্দমাসমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মনিচত্বর থেকে সদর হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর, ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ ১০ হাজার ৮৪৮ টাকা। বতর্মানে প্রকল্পটির আওতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর ও ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। সীমানা প্রচীর ও ড্রেন নির্মাণ শেষে সড়ক ও ফুটপাত নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের কাজ আগামী ২০২১ সালের মার্চে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

রাজশাহীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বিলসিমলা রেলক্রসিং হতে কাশিয়াডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত সড়ক ফোরলেন উন্নীত হচ্ছে। ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সড়কটির কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। ২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই কাজটি দ্রুত গতিতেই এগিয়ে চলছে। প্রকল্পটির আওতায় ৩০ ফুট প্রশস্ত সড়কটি ৮০ ফুটে উন্নীত করা হবে। রাখা হয়েছে ড্রেন, ফুটপাত, ডিভাইডারসহ সাইকেল লেন। ৮০ ফুট সড়কের মাঝে ৪ ফুট চওড়া ডিভাইডার, উভয় পাশে ১০ ফুট চওড়া ফুটপাত এবং রাস্তার দক্ষিণপার্শ্বে ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি চওড়া বাই সাইকেল লেন রাখা হয়েছে। ড্রেন, ফুটপাত, বাইসাইকেল লেন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সড়কের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। সাথে চলছে আইল্যান্ডের নির্মাণ কাজ।

এই চারটি প্রকল্প ছাড়াও মহানগরীর উপশহর মোড় হতে সোনাদিঘী মোড় এবং মালোপাড়া মোড় হতে সাগরপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ১২৬ কোটি ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ উপশহর মোড় হতে দড়িখরবোনা, কাদিরগঞ্জ, মহিলা কলেজ, মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি হয়ে সোনাদীঘি মোড় এবং মালোপাড়া মোড় হতে রাণীবাজার মোড় হয়ে সাগরপাড়া বটতলা মোড় পর্যন্ত বর্তমান সড়কটি প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপশহর মোড় হতে দড়িখরবোনা ও রাণীবাজার হতে সাগরপাড়া মোড় পর্যন্ত সড়কটির প্রশস্তকরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা হওয়ায় উপশহর মোড় হতে রাণীবাজার মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রেক্ষিতে সকল মামলা নিষ্পত্তি করে উক্ত অংশে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ করা হচ্ছে।



 

বাগমারায় ভিক্ষুকে পিটিয়ে বাড়ি দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা

মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাগমারা) রাজশাহীঃ  রাজশাহীর বাগমারায় তাহেরপুর পৌরসভার সুলতানপুর মহল্লার ভিক্ষুক সুবেদা বেওয়া (৬০) ও তার মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা সোহাগী বেগমকে পিটিয়ে জখম করে বাড়ি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীরা। এলাকার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে আলী হোসেন (৪৫), মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে মামুনুর রশীদ মামুন, তার ছেলে তুফান আলী (২৬) ও একই এলাকার সোগাহী বেগমের পূর্বের স্বামী মৃত মুনতাজ আলী বখাটে ছেলে মাহাবুর রহমান (৪০)।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় বেপোয়ারা হয়ে উঠেছে তারা। সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ভিক্ষক সুবেদা বেওয়া ও তার মেয়ে সোহাগী বেগমকে তাদের বাড়িতে উঠতে দেয়নি। তাদের ভয়ে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।

তবে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, নির্যাতিতারা থানায় এসে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। এ নিয়ে থানায় এখনো কোন অভিযোগ হয়নি বলে জানান ওসি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত (১৪ আগস্ট) শুক্রবার সকালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রভাবশালীরা ভিক্ষুকের মেয়ে সোহাগী বেগমকে বেধরক মারপিট করে রক্তাক্ত জখমসহ শ্লীনতাহানি করে। সোহাগী বেগম নিজের জীবন ও ইজ্জত রক্ষা করতে পুকুরের পানিতে ঝাপ দিয়ে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। মেয়েকে মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে, ভিক্ষক সুবেদা বেগম বাড়ি থেকে কাপড় নিয়ে মেয়ের খোঁজে বের হন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়েকে পেয়ে কাপড় দিয়ে দুপুরে নিজ বাড়ি সুলতানপুর মহল্লায় ফিরে আসে।

ভিক্ষক সুবেদা বেগম বাড়িতে আসার সাথে সাথে অভিযুক্ত ব্যক্তিদ্বয় সংঘবদ্ধ হয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে দখলে নিয়ে নেয়। স্থানীয় লোকজন আহত রক্তাক্ত ভিক্ষক সুবেদা বেওয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। দুই দন চিকিৎসার পর জীবন বাঁচানোর জন্য হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্রে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে ভিক্ষক সুবেদা বেওয়া ও তার মেয়ে সোহাগী বেগমের অবস্থা আশংকাজনক বলে এলাকার লোকজন জানান।

ভিক্ষকের মেয়ে সোহাগী বেগমের অভিযোগ, হামলাকারীরা আমার বর্তমান স্বামীর বড় ভাই, ভাতিজা ও তালাক দেয়া স্বামী মাহাবুর রহমান। তারা আমার ও আমার মায়ের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ক্ষান্ত হয়নি। বর্তমান স্বামী মুনজুর রহমানকে বেধরক মারপিট করে বাড়িতে আটকে রেখেছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবী জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ভিক্ষুকের হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই তারা দাঙ্গা হাঙ্গামা ও হামলা চালিয়ে ক্ষতি সাধন করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া একান্ত দরকার বলে এলাকার লোকজন মনে করেন। তারা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হলে এবং ভিক্ষুককে তার বাড়িতে উঠিয়ে দিলে এলাকায় অপরাধের সংখ্যা হ্রাস পাবে।

নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মাঝে টিফিন ক্যারিয়ার ও বাই সাইকেল বিতরন


সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বার্ষিক তহবিল উন্নয়ন সহয়তা (এডিপি) এর আওতায় নওগাঁয় সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে টিফিন ক্যারিয়ার ও বাই সাইকেল বিতরন করা হয়েছে। আজ (২০ আগস্ট)বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা হলরুমে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন। এসময় সদর উজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে ১৫০টি টিফিন ক্যারিয়ার ও ৪৮টি বাই সাইকেল বিতরন করেন।

 

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা, পলাতক ছাত্রলীগ নেতা



পাবনার সুজানগরে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হোসেনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন প্রেমিকা মীম খাতুন। তবে প্রেমিক সোহাগ পলাতক রয়েছেন। সোহাগ হোসেন উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের বকুল মন্ডলের ছেলে।

জানা যায়, দুই বছর ধরে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগের সঙ্গে সাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান সরদারের মেয়ে ও সুজানগর মহিলা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী মীম খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরই জেরে সোমবার বিকেল থেকে প্রেমিক সোহাগ হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছেন প্রেমিকা মীম খাতুন।

মীম বলেন, সোহাগ বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে গিয়ে আমার মায়ের সামনে আমাকে নাকফুল পরিয়ে দিয়েছিল। এরপর থেকে আমাকে নিয়ে সোহাগ ওর একাধিক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতেও গেছে।

মীমের মা মমতা খাতুন বলেন, সোহাগ আমার মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাকফুল পরিয়ে দিয়েছিল। এরপর থেকে একাধিকবার সে আমার বাড়িতে এসেছে, বিয়ের কথা বললে সময় নিয়েছে। সে বলেছে মীমেরও বাবা নেই, আমারও বাবা নেই, সময় হলেই বিয়ে করব, আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। শুধু তাই না, সে কৌশলে মীমকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে গেছে। মীম বিয়ের জন্য চাপ দিলে সোহাগ বেশ কিছুদিন এড়িয়ে চলে এবং সব কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়।

মীম আরও জানান, সোহাগের বাড়িতে আসার পর সে আমার মোবাইল ফোন নিয়ে সবকিছু ডিলিট করে দিয়েছে। সোহাগ আমাকে বিয়ে না করলে ওর বাড়িতে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মঙ্গলবার রাতেই বিয়ে হয়ে যেত, কিন্তু মেয়ের কোনো অভিভাবক না থাকায় সম্ভব হয়নি। মেয়ের অভিভাবক এলেই বিয়ে দেয়া হবে। তবে প্রেমিক সোহাগ পলাতক রয়েছে।

সোহাগের মা জানান, সোহাগ বেড়াতে গিয়েছে। মেয়েটি বিয়ের দাবিতে আমার বাড়িতে এসেছে। ছেলে এলেই সবকিছু শুনে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ‍ৃ

 

ধোনির জন্য ‘বিদায়ী ম্যাচ’ আয়োজন করবে ভারত



স্পোর্টস ডেস্ক : ধোনির এমন আকস্মিক বিদায়ে রীতিমতো অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দেশের ক্রিকেটে যার এত বেশি অবদান, তাকে কোনো আয়োজন ছাড়াই সাদামাটাভাবে বিদায় জানানোটা ঠিক মেনে নিতে পারছে না ভারতের বোর্ড। তাই ধোনির জন্য একটি বিদায়ী ম্যাচ আয়োজনের কথা ভাবছে বিসিসিআই।

শনিবার সবাইকে চমকে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সফলতম অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও আপলোড করে সংক্ষেপে জানিয়ে দিয়েছেন, ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিট থেকে তিনি একজন সাবেক ক্রিকেটার।

ভারতভিত্তিক সংবাদসংস্থা ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসকে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসন আইপিএলের মৌসুমে ধোনির সঙ্গে তার বিদায়ী ম্যাচের বিষয়ে আলোচনা করবে বোর্ড। এরপর যা কিছু আয়োজনের পরিকল্পনা করা হবে।

সেই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এখন আমাদের কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই। আইপিএলের পর আমরা দেখব কী করা যায়। কারণ ধোনি এই দেশের জন্য অনেক দিয়েছে এবং সে সবধরনের সম্মান প্রাপ্য। আমরা সবসময়ই চেয়েছি ধোনির জন্য বিদায়ী ম্যাচ আয়োজন করতে। তবে ধোনি পুরোপুরি ভিন্ন ধরনের খেলোয়াড়। সে এমন এক সময় অবসরের ঘোষণা দিলো, যখন কেউ ভাবেওনি।’

তবে অবসরের সিদ্ধান্ত জানানোর পর ধোনির সঙ্গে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা হয়নি, ‘এখনও তেমন কথা হয়নি। তবে আমরা আইপিএলের সময় তার সঙ্গে অবশ্যই কথা বলবো। আমার মতে, সেটাই হবে যেকোনো কিছুর ব্যাপারে আলোচনার জন্য যথাযথ সময়। সে রাজি হোক বা না হোক, তার জন্য একটা সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। তাকে সংবর্ধনা দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের হবে।’

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget