Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁ ৬ আসনে উপনির্বাচনে কে পাচ্ছেন নৌকার মনোনয়ননওগাঁ ৬ আসনে উপনির্বাচনে কে পাচ্ছেন নৌকার মনোনয়ন

প্রতিনিধি নওগাঁ : নওগাঁ জেলার রানীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ সংসদীয় আসন। গত ২৭ জুলাই এ আসনের এমপি ইসরাফিল আলম মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। ইতোমধ্যে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে।

অপরদিকে বিএনপি কেন্দ্র থেকে সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে কে পাচ্ছেন নৌকা প্রতীক তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

জানা গেছে, ১৯৯১ ও ৯৬ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুর রহমান। ২০০১ ও ২০০৬ সালে পুনরায় আলমগীর কবীর বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মরহুম ইসরাফিল আলম। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষের দিকে আলমগীর কবির এলডিপিতে যোগ দেন। একই বছরে এলডিপি থেকে পদত্যাগ করেন।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন ইসরাফিল আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরের ছোট ভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরকে পরাজিত করে ফের বিজয়ী হন ইসরাফিল আলম। মূলত এ আসনটি চারবার বিএনপির অধীনে থাকলেও ২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে।

এক সময় এ দুই উপজেলা জঙ্গি এলাকা হিসেবে পরিচিত থাকলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অনেকটায় নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনের সময় কোনোধরনের প্রাণহানি চান না এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতনরা।

জানা গেছে, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন হেলাল ও নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়া মরহুম ইসরাফিল আলমের স্ত্রী সুলতানা পারভিন বিউটির নামও শোনা যাচ্ছে।


রানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, ‘আমি শতভাগ আশাবাদী মনোনয়ন পাব এবং বিজয়ী হব। রানীনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের মূল বলতেই আমরা’। অপর এক প্রশ্নে বলেন, নির্বাচনের মধ্যে কোনোধরনের অপ্রীতিকর বা সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি মনে করেন।

নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন, ‘যদি তৃণমূলের অবস্থান বিবেচনা করে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে আমি আশাবাদী। এ দুই উপজেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পরিকল্পনা আছে’।

তিনি বলেন, ‘করোনার মধ্যে দুই উপজেলার ১২শ জনকে খাদ্য সহায়তা, মাস্ক প্রায় ১৪ হাজার এবং সচেতনতামূলক ১০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। গত ঈদুল ফিতরে প্রায় ৩ লাখ টাকার শাড়ি-লুঙ্গি দেয়া হয়েছে। এছাড়া গত ১০-১২ বছর ধরে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে কাজ করছি’।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী বলেন, ‘গত নির্বাচনের সময় এ আসনের দুই উপজেলায় ব্যাপক জনসমাগম করেছিলাম। এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়েছি। যার প্রতিফল এখন হচ্ছে। জনগন আমাকে ভালোবাসে তার বহিঃপ্রকাশ এখন বুঝতে পারছি। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দেবেন’।

নওগাঁ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। কেন্দ্র যদি মনে করে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে হবে তাহলে আমরা অংশ নেব। এরপর প্রার্থী যাচাই-বাছাই করা হবে। আর যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে তো প্রার্থী যাচাইয়ের কোনো প্রশ্নই আসে না’।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইসরাফিল আলম। ১৯৬৬ সালে রানীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঝিনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সংসদে তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। ওই কমিটির পাশাপাশি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।


ঘুরে আসুন ঢাকার সারিঘাট

ঢাকার যাত্রাবাড়ী বা তার আশপাশে যারা আছেন; তারা ঘুরে আসতে পারেন সারিঘাট থেকে। ঢাকা শহরের যান্ত্রিকতা থেকে সরে কিছুটা প্রাকৃতিক ছোঁয়ার জন্য জায়গাটি মন্দ নয়। সবুজে ঘেরা পরিবেশ আর সাথে নৌকা ভ্রমণ। এখানকার সবুজ শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ যে কারো ভালো লাগবে। হারিয়ে যাবেন গ্রামবাংলার চিরচেনা প্রকৃতির মাঝে। যে কেউ সময় করে আসতে পারেন, ভালো লাগবে।


ঢাকার যেকোনো জায়গা থেকে প্রথমে যাত্রাবাড়ী যাবেন। সেখান থেকে জুরাইন রেলগেট বাস বা লেগুনায়। ভাড়া ১০-১৫ টাকা। জুরাইন রেলগেট থেকে পোস্তগোলা ব্রিজের ওপারে যাবেন। ভাড়া ১০-১৫ টাকা। নামার পর পোস্তগোলা ব্রিজের ঢালেই অটোরিকশা অথবা সিএনজি পাবেন। সারিঘাট যেতে ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১০ টাকা।

যদি চার-পাঁচজনের টিম হয়, তাহলে সরাসরি সিএনজি ভাড়া নিতে পারেন সারিঘাট পর্যন্ত। ভাড়া পড়বে ১২০-১৮০ টাকা। যদি জুরাইন থেকে সিএনজি ভাড়া করেন, তাহলে ১০০-১২০ টাকা। অবশ্যই দামাদামি করে নেবেন। ঢাকা শহরের যেকোনো জায়গা থেকে জুরাইন রেলগেট। জুরাইন রেলগেট থেকে সরাসরি রিজার্ভ সিএনজিতে সারিঘাট গেলে ভালো হয়।

সবুজ প্রকৃতিতে কিছুটা সময় কাটালে ভালো লাগবে। কেউ চাইলে কায়াকিং এবং নৌকা ভ্রমণও করতে পারেন। চাইলে গোসলও করতে পারেন, পানি খুবই পরিষ্কার। কায়াকিং ৭৫ টাকা জনপ্রতি ৩০ মিনিটের জন্য। নৌকা ভ্রমণ ১০০-১৫০ টাকা। তবে ওঠার আগে দরদাম করে নেয়াই ভালো।

কায়াকিং হচ্ছে ভ্রমণ করার জন্য একধরনের ছোট নৌকা, যা বৈঠা বা লগি ব্যবহার করে চালানো যায়। হালকা কিন্তু ব্যাল্যান্সড নৌকায় কায়াক ক্লাবের নিজস্ব লাইফ জ্যাকেট পরে উঠলে আপনার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে বৈঠা। ব্যস! এবার আপনি নিজেই মাঝি! ইচ্ছেমতো ঘুরতে পারবেন পানি দেখতে দেখতে। কায়াকিং চালাতে বেগ পেতে হয় না একেবারেই। কেবল নৌকা ডানে ও বামে নেওয়ার কৌশল রপ্ত করলেই নির্ভেজাল আনন্দে ঘুরতে পারবেন।

তবে সাঁতার না জানলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরে নিয়েন। এর জন্য কোনো অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে না। তাছাড়া এখন যেহেতু করোনার সময়। তাই সবারই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত-
* কায়াকিং শুরুর আগে এবং শেষে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে নেবেন।
* বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অতিরিক্ত লোক সমাগম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
* শুক্রবার বিকেল ছাড়া অন্য যেকোনো দিন আসার চেষ্টা করতে পারেন।

শুক্রবার অনেক মানুষের সমাগম হয়। শুক্রবার না যাওয়াই ভালো। মনে রাখবেন, চিপস ও বিরিয়ানির প্যাকেট বা খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। সচেতনতা শুরু হোক নিজের থেকেই। হ্যাপি ট্রাভেলিং। সময় পেলে এখনই ঘুরে আসুন।

সিম্ফনির নিয়ে এলো নতুন স্মার্টফোন

সিম্ফনি এবার দেশের বাজারে নিয়ে এলো নতুন স্মার্টফোন “সিম্ফনি জেড২৮”। এতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আছে লেটেস্ট আনড্রয়েড ১০.০।

২০:৯ অ্যাসপেক্ট রেশিও’র এই হ্যান্ডসেটটিতে আছে ৬.৫২ ইঞ্চির ২.৫ডি ইনসেল ভি নচ ডিসপ্লে যার রেজ্যুলেশন এইচডি প্লাস বা ৭২০*১৬০০।


১.৮ গিগাহার্জ এর পাওয়ারফুল এবং পাওয়ার ইফিসিয়েন্ট অক্টাকোর প্রসেসর ও মিডিয়াটেক এর প্রিমিয়াম কোয়ালিটির চিপসেট হ্যালিও এ২৫ এর সাথে আছে ৩ জিবি ডিডিআর-৪ র‌্যাম এবং ৩২ জিবি রম যা মেমোরি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যাবে ১২৮ জিবি পর্যন্ত।

জিপিউ হিসেবে আছে আইএমজি পাওয়ার ভিআর জিই৮৩২০ যার স্পিড ৬০০ মেগাহার্জ এর ফলে হাই রেঞ্জের গেম গুলো খেলা যাবে স্বাচ্ছন্দে। আর ৪০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার নন রিমুভেবল লি-পলিমার ব্যাটারি দিচ্ছে অনায়াসে দিন পার করার নিশ্চয়তা। ৪০০০ মিলি এ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি হলেও কিন্তু এই স্মার্টফোনটি অনেক স্লিম।

সুন্দর ছবি তোলার জন্য এই স্মার্টফোনটির ব্যাক সাইডে আছে তিনটি ক্যামেরা। ১৩ মেগাপিক্সেল এর প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে ২ মেগাপিক্সেল এর ডেপথ সেন্সর এবং ৫ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল আর ফ্রন্টে সামনে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল এর ফ্রন্ট ক্যামেরা।

ক্যামেরা ফিচারের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ফিচার গুলো হলো- এআই, আল্ট্রা ভিউইং ওয়াইড এ্যাংগেল, পোর্ট্রেইট, ওয়াটারমার্ক, ইমোজি, নাইট মোড, এ্যান্টি-ফ্লিকার, ফেস বিউটি, ডিসপ্লে ফ্ল্যাশ, গুগল লেন্স, টাইম ল্যাপ্স, স্লো-মো, প্রফেশনাল, অটো এইচডি আর এবং টাচ শট।


ট্রু এআই ফটোগ্রাফিতে পাওয়া যাবে আরো কিছু স্পেশাল মোড ফুড, প্ল্যান্ট, ব্লু স্কাই, নাইট সিন, ক্যারেক্টার্স, বিল্ডিং, সান রাইজ এবং সান সেট, ফ্লাওয়ার্স, স্নো, ফায়ারওয়ার্কস, এ্যানিমেল, আইডি কার্ড এবং পোট্রেইট।

স্মার্টফোনটিতে মাল্টিফাংশন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেন্সর আছে যেমন জি সেন্সর, লাইট সেন্সর এবং প্রক্সিমিটি সেন্সর।

এছাড়াও আছে ডেডিকেটেড গুগল এ্যাসিসটেন্স বাটন যাতে এক প্রেসে সেকেন্ডে ওপেন হবে লিমিটলেস গুগল সার্চ! এছাড়াও ভয়েস কমান্ড এ অটো এ্যাপ ওপেন সহ এ্যাপয়েন্টম্যান্ট সেট, ম্যাপ সার্চ, আল্যার্ম অথবা রিমাইন্ডার সেটআপ।

আরো অনেক স্পেশাল ফিচার এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ফিচারগুলো হলো ফেস আনলক, ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং, স্মার্ট কন্ট্রোল, প্যারেন্টাল লক, ওয়ান হ্যান্ড মোড, নাইট মোড, বেড টাইম মোড, লিফট টু ওয়েক আপ, কাস্টমাইজেবল নটিফিকেশন লাইট, স্মার্ট এ্যাকশন, স্মার্ট জেশচার এবং অলওয়েজ অন ডিসপ্লে। সিম্ফনির এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনটি ক্যারিবিয়ান ব্লু এবং ক্যারিবিয়ান রেড কালারে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৮ হাজার ৯৯০ টাকায়।

নারী লোভী ভন্ড সাধুর গল্প নিয়ে শিমুল সরকারের ইদের শর্টফিল্ম কামসাধন


নজরুল ইসলাম তোফা: আমাদের সমাজে মজিদ পীরেরা আজও বহমান স্রোতের ধারায় টিকে আছে। মাঝে মাঝে একটু আধটু রুপ পাল্টায় শুধু। কখনও ধর্ম, কখনও পীরের ছদ্মবেশ, কখনওবা সন্নাসব্রত পালনের নামে কামনা, লালসার জাল বিস্তার করে। এমনই গল্পের ছোট সিনেমা 'কামসাধন' লকডাউনের বন্দী জীবনে তৈরি করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা শিমুল সরকার। 

গল্পে দুটি অংশ দেখানো হয়েছে। ছদ্মবেশে নারীভোগী এক ভন্ড সন্নাসীর পাশাপাশি আমাদের সমাজে বখে যাওয়া টিন এজ ছেলেদের ধর্ষণ প্রবৃত্তি। মাত্র ৪ টি চরিত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে কামসাধনের গল্প। চলচ্চিত্রের  প্রধান চরিত্র সাধু। এই চরিত্র নির্মাণের জন্য তিন বছর ধরে চুল দাঁড়ি কাটেননি অভিনেতা মঞ্চকর্মী নজরুল ইসলাম তোফা। তিনি বলেন নাট্যকার শিমুল সরকার সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই আমার নাট্যগুরু।

দেশের অনেক বড় বড় তারকাদের না নিয়ে আমাকে নিয়ে যখন তিনি এমন একটা স্বপ্নের চরিত্র নির্মাণের ভাবনা ভাবেন তখন তার জন্য যে কোনো ত্যাগ আমার জন্য ফরজ হয়ে যায় আসলে। অন্য তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবী পান্ডে, সিয়াম আহমেদ খাঁ ও টিপু সুলতান। দেবী পান্ডের জন্য এই কাজটি প্রথম। কলেজ পড়ুয়া দেবী মঞ্চে, স্কুল কলেজে টুকটাক কাজ করলেও ক্যামেরার সামনে প্রথম দাঁড়ালেন শিমুল সরকারের মাধ্যমে। 

নির্মাতা শিমুল সরকার জানান তোফা ভাইকে কথা দিয়েছিলাম এই গল্পটা তাকে নিয়ে করবো। গল্প ভাবনাটাও তারই ছিল। চিত্রনাট্য করেছি আমি। এবারের কাজটা গল্পের প্রথম পার্ট এবং বলা যায় এক্সপেরিমেন্টাল কাজ। ২য় ধাপে এর ব্যপ্তি হবে দীর্ঘ। রাজশাহীর বাঘা এবং পুঠিয়াতে চিত্রধারন শেষে এখন সম্পাদনার কাজ চলছে। আগামী কোরবানির ইদের দিন রাত ৯ টা থেকে অনলাইন ইউটিউব চ্যানেল লাভ টিভিতে কামসাধন দেখা যাবে বলে পরিচালক নিশ্চিত করেছেন।

লেখকঃ  নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

স্টার জলসার সিরিয়াল দেখতে গিয়ে কিশোরীর ধর্ষণ


জাহিদ খন্দকার, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। এখন সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় মামলা হলে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম সরকারকে (২৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলাম সরকার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের খোদাবক্স গ্রামের আব্দুল লতিফ সরকারের ছেলে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দরিদ্র পরিবারের সন্তান ওই স্কুলছাত্রী প্রতিবেশী শহিদুল ইসলামের বাড়িতে টিভি দেখতে যেত। স্টার জলসার সিরিয়াল দেখতে দেখতে অনেক রাত হয়ে গেলে সেই সুযোগ কাজে লাগায় শহিদুল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শহিদুল তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা চাপা রাখতে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ও দেখায় শহিদুল ইসলাম। কিছুদিন পরে ওই স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়।

সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রোববার (২৬ জুলাই) থানায় মামলা করেন। পরে শহিদুল ইসলাম সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।


রাজশাহীতে শতকরা ৩০ জনের নমুনা পজিটিভ

ফেরদৌস সিদ্দিকী, রাজশাহী : রাজশাহীতে কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এক সপ্তাহ ধরে বিভাগে করোনা সংক্রমণে সবার ওপরে রাজশাহী জেলা। যদিও জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন করোনা নিয়ন্ত্রণে আলাদাভাবে কাজ করছে। কিন্তু সেই কাজের প্রতিফলন নেই বাস্তবে।

সোমবার শুধু রাজশাহী জেলায় ১১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন একজন। একই দিন বিভাগে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২১৮ জনের। আর মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

রাজশাহী জেলায় এ পর্যন্ত দুই হাজার ৮৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ২২ জনই রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার। বাকি ৬৫৪ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

রাজশাহীতে এ পর্যন্ত ২৩ জনের প্রাণ নিয়েছে করোনা। সংক্রমণের দিক দিয়ে বিভাগে করোনার হটস্পট বগুড়ার পরপরই রাজশাহী জেলার অবস্থান। করোনার রেড জোনে থাকলেও এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্থানীয়দের। যে যার মতো বাইরে চলাফেরা করছেন। খোলা রয়েছে সব ধরনের হাট-বাজার ও বাণিজ্যকেন্দ্র। গণপরিবহণ চলছে স্বাভাবিক। রাজশাহীর বাইরে থেকেও যাওয়া-আসা করছেন লোকজন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ নেই কারও। এর ফলও মিলছে করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যানে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, এক সপ্তাহ ধরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। আমরা যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছি তার প্রায় ৩০ শতাংশের করোনা ধরা পড়ছে।

এক সপ্তাহ আগেও এই হার ছিল ২০-২৫ শতাংশ। যদিও করোনায় জেলায় মৃত্যুহার এখনও এক শতাংশ। রাজশাহী নগরীতে সংক্রমণ ও মৃত্যু এমনকি সুস্থ হওয়ার হার উপজেলাগুলোর চেয়ে বেশি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেলার নয় উপজেলার চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি রাজশাহী নগর এলাকায়। করোনা নিয়ন্ত্রণে নগরীতে তৎপরতাও বেশি। কিন্তু সেই তৎপরতাও ভেস্তে যাচ্ছে জনগণের অসচেতনতায়। ফলে সংক্রমণ না কমে দিন দিন বেড়েই
চলেছে।

নগরজুড়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সিটি করেপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। এই পরিস্থিতিতে করণীয় জানতে যোগাযোগ করা হয় সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগমের সঙ্গে।

সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি বলেন, এখন মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব। কিন্তু পরে দফায় দফায় চেষ্টা করেও তার আর সাড়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে ১৯ জুলাই নগরীর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজশাহীর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সভায় জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।

ওই সভায় নাগরিকদের মাস্ক পরতে আরও বেশি উৎসাহিত করা, মার্কেট ও বাজার ব্যবস্থাপনা, কোরবানির পশুর হাটের ব্যবস্থাপনা, আগাম ও অনলাইনে পশু ক্রয়ে উৎসাহ প্রদানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহ প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে
আলোচনা হয়। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও করোনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

রাজশাহীতে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, শুরু থেকে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতন করে আসছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু মানুষজন সচেতন না হওয়ায় করোনা নিয়ন্ত্রণ কাজে আসছে না। ফলে এক সপ্তাহ ধরে সচেতনতার পাশাপাশি জরিমানাও করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সকাল-বিকেল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আরও কঠোর হবে জেলা প্রশাসন।

সোমবার নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় রাজশাহীর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাড়তি নজরদারি রাখতে হবে। মানুষকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করতে হবে। কোরবানির পশু জবাই করার সময় এ কাজে নিয়োজিতদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget