Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf


 
শেষ নেই ভোগান্তির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে


রুবেলুর রহমান, রাজবাড়ী : পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি থাকায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের দুটি সংযোগ সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকালে ঘাটে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

জানা গেছে, দৌলতদিয়া প্রান্তের ৬টি ফেরিঘাটের দুটি ঘাট গত বছরের বর্ষায় ভেঙে গেলে এক বছরেরও তা সচল করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বাকি ৪টি ঘাট সচল থাকলেও পদ্মার নদীর পানি বৃদ্ধিতে ৩ ও ৬ নম্বর ঘাট দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী ওঠা নামায় ব্যাঘাত ঘটছে। ৪ নম্বর ঘাটে ভিড়ছে মাত্র ১টি ফেরি ও ৫ নম্বর ঘাটের একটি পকেটে চলছে সংস্কার কাজ।

এদিকে ৩ ও ৬ নম্বর ঘাটের রাস্তার ভাঙন ঠেকাতে বালুর বস্তা ফেলার কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিকেলে ঘাট পরিস্থিতি দেখতে ফেরিঘাটগুলো পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলামসহ অনেকে।

এছাড়া পদ্মার তীব্র স্রোতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ব্যাহত হচ্ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল। ফলে প্রায় প্রতিদিনই দৌলতদিয়া প্রান্তে নদী পারের অপেক্ষায় থাকছে যানবাহনের সিরিয়াল। তবে কুরবানির ঈদ উপলক্ষে পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য যানবাহনকে সিরিয়ালে পারাপার হতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দৌলতদিয়া এলাকায় সব জায়গায় এখন পানি। ৩ নম্বর ফেরিঘাটের রাস্তার ওপর হাঁটুপানি রয়েছে। এর মধ্যেই যানবাহন ও যাত্রীরা আসা যাওয়া করছে। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। সকালেও গর্তে পড়েছে একটি মোটরসাইকেল। এছাড়া মাঝে মধ্যেই অটোরিকশা উল্টে যাচ্ছে।

৬ নম্বর ঘাটেরও প্রায় একই অবস্থা। আসলে দৌলতদিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ যৌথভাবে কাজ করে। কিন্তু তাদের মধ্যে সমন্ময়হীনতার অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।

তারা আরও জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রী নদী পারাপার হয় এবং ঈদের আগে ও পরে এর চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুন। করোনা ভাইরাসের কারণে এবার চাপ কিছুটা কম। তবে থেমে নেই আসা যাওয়া। যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহনের পাশাপাশি চাপ রয়েছে কোরবানির পশুবাহী ট্রাকের। একদিকে নদীর স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে ঘাট সমস্যা থাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই দ্রুত ঘাটের রাস্তা ও ফেরিঘাটের পল্টুন ঠিক করার দাবি জানান তারা।

বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধিতে দৌলতদিয়া প্রান্তের দুটি ফেরি ঘাটের সড়কে পানি উঠেছে। দুর্ঘটনা রোধে বিআইডব্লিউটিএ ওই রাস্তার পাশ দিয়ে বালুর বস্তা ফেলার কাজ করছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া সহকারী ঘাট ব্যাবস্থাপক মো. মাহবুব হোসেন বলেন, পদ্মার তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ৩ নম্বর ঘাটের সড়কে হাঁটু পানি। ফলে যানবাহন ফেরিতে ওঠা-নামায় সমস্যা হচ্ছে এবং ৬ নম্বর ঘাটের সড়কেও হালকা পানি উঠেছে। তবে এখন পারের অপেক্ষায় কোনো পশুবাহী ট্রাক সিরিয়ালে নেই। যাত্রীবাহী বাসসহ প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন সিরিয়ালে আছে। সময় বাড়লে চাপও বাড়ে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পশুবাহী ট্রাক আগে পার করছেন। বর্তমানে এরুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।

তিনি আরও বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়া রস্তা দ্রুত ঠিক না করতে পারলে দোষ হয় বিআইডব্লিউটিসির। কিন্তু এখানে কয়েকটি দফতর কাজ করে। বিআইডব্লিউটিসি শুধু ফেরির দায়িত্বে আছে। রাস্তা সংস্কার, ভাঙনরোধে কাজ করে অন্য দফতর।


  



প্রেমিকার বাড়ির লোকের পিটুনি খেয়ে হাসপাতালে প্রেমিক
আসিফ ইকবাল, মেহেরপুর : মেহেরপুরের মুজিবনগরের গোরিনগর গ্রামে প্রেমিকার স্বজনদের মারধরে গুরুতর জখম হয়েছেন তরিকুল ইসলাম নামে এক প্রেমিক। সোমবার সকালে শহরের পন্ডের ঘাট এলাকা থেকে তরিকুলকে তুলে নিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে দরজা বন্ধ করে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। পরে তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানের হস্থক্ষেপে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

তরিকুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে। সে পেশায় একজন দিনমজুর।

জানা যায়, তরিকুল বিবাহিত। তারপরও উপজেলার রামনগর গ্রামের প্রবাসী আজহারুল ইসলামের মেয়ে রেহেনা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় প্রেমিকার দাদা হাইবোতুল্লাহ বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে প্রেমিকা রেহেনা খাতুনের পক্ষের লোকজন তাকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে মেহেরপুরে নিয়ে আসে।

মেহেরপুর শহরের পন্ডের ঘাট এলাকা থেকে রেহেনা ও তরিকুলকে তুলে নিয়ে যান রেহেনার পরিবারের লোকজন। পরে একটি ঘরে হাত ও চোখ বেঁধে প্রেমিকার দাদা হাইবোতুল্লাহসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন বেধড়ক পেটাতে থাকেন। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে তরিকুলকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

তবে রেহেনার দাদা হাইবোতুল্লাহ বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না।

ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান জানান, আমার বাড়ির শ্রমিকের কাছ থেকে জানতে পারি তরিকুলকে কারা মারধর করেছে। তার অবস্থা গুরুতর। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। প্রেমঘটিত কারণে তরিকুলকে মারতে পারে বলে মনে হয়।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাসেম জানান, এখনও তরিকুল ইসলামের কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


ময়মনসিংহে করোনায় দৈনিক জাহানের সম্পাদক রেবেকা ইয়াসমিনের মৃত্যু

বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রকাশিত দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক জাহানের প্রকাশক ও সম্পাদক অধ্যাপিকা রেবেকা ইয়াসমিন (৬৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৭ জুলাই সোমবার দুপুর আড়াইটায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে এক পুত্র, ২কন্যা, অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মোহনগঞ্জ পৌর শহরে দৌলতপুরে রাতে জানাজা এবং পিতার পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয় বলে দৈনিক জাহান নির্বাহী সম্পাদক মোঃ আবদুল হাসেম জানান। অধ্যাপিকা রেবেকা ইয়াসমিন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ আল মবিন রোডস্থ বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও চিকিৎসক মরহুম ডাঃ বদর উদ্দিন আহমেদ এর কন্যা।

পারিবারিক সূত্র জানায়, অধ্যাপিকা রেবেকা ইয়াসমিনের স্টোক হলে গত ২৬ জুন চুরখাই কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিবি) ভর্তি করা হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। পরে তাকে গত ১৫ জুলাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত ১৮ জুলাই পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়। এরপর থেকে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

রেবেকা ইয়াসমিন নেত্রকোণা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলার দর্পণ পত্রিকারও প্রকাশক। এছাড়াও ময়মনসিংহ সংবাদপত্র শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি, ময়নসিংহ ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সর্বপ্রথম প্রকাশিত দৈনিক জাহান প্রকাশক ও সম্পাদক অধ্যাপিকা রেবেকা ইয়াসমিনের মৃত্যুতে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।


সাবান এবং পানি আমাদের হাত পরিষ্কার করার জন্য সর্বোত্তম উপায়। তবে সাবান-পানির ব্যবস্থা সব জায়গায় না-ও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা নির্ভর করি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উপর

সংক্রমণের ঝুঁকি রোধ করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা নিরন্তর সাবান এবং পানি আমাদের হাত পরিষ্কার করার জন্য সর্বোত্তম উপায়। তবে সাবান-পানির ব্যবস্থা সব জায়গায় না-ও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা নির্ভর করি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উপর। মারাত্মক সংক্রামক করোনাভাইরাস এড়াতে হাত সঠিকভাবে পরিষ্কার করা জরুরি। । এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার আমাদের হাতে কতটা সময় থাকে তা কি আপনি জানেন? বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার খুব খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হয় না। এমনটাই জানাচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

দুই মিনিট! হ্যাঁ, আপনি যে রাসায়নিক জীবাণুনাশকটি হাতে ঘষলেন, তা কেবল দুই মিনিটের জন্য আপনাকে জীবাণুমুক্ত রাখে।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার আপনাকে দীর্ঘায়িত সুরক্ষা দেয় না এবং দুই মিনিট পরে জীবাণুমুক্ত হতে চাইলে ফের ব্যবহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্যানিটাইজার কেবল তখনই দরকার হয় যখন আপনি বাইরে বের হবেন এবং আপনার হাত পরিষ্কার করার জন্য সাবান-পানি পাওয়া যাবে না। যাইহোক, হাত জীবাণুমুক্ত রাখার সর্বোত্তম উপায় হ'ল সাবান এবং পানিতে ধুয়ে ফেলা। সংক্রমণ এড়াতে, মুখ স্পর্শ করা উচিত নয় এবং হাত না ধুয়ে খাবার খাওয়া উচিত নয়।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এর মতে, কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত। জীবাণু মেরে ফেলার জন্য অন্তত ৩০ সেকেন্ড হাতের তালু ঘষতে হবে।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের সুবিধা কী?
সিডিসির হিসাবে, জরুরি পরিস্থিতিতে অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলো সাবান এবং পানির বিকল্প হতে পারে। তবে এটি একমাত্র উপায় হিসেবে বেছে নেয়া উচিত নয়। স্যানিটাইজার সমস্ত জীবাণু মারতে পারবে না। তবে এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকে জীবাণুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।

করণীয় কী : নিজেকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে, খাবার খাওয়ার আগে বা মুখ স্পর্শ করার আগে আপনার হাত সঠিকভাবে পরিষ্কার করুন। আপনি মিনিট দশেক আগে হাত স্যানিটাইজ করেছেন কি-না, তা বিবেচ্য নয়। এটা আবার করতে হবে।

যদি আপনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন তবে, হাতের সমস্ত জায়গায় ভালো করে ত্রিশ সেকেন্ড ধরে ঘষতে হবে।

তবে আপনার হাত জীবাণুমুক্ত রাখার সর্বোত্তম উপায় হলো সাবান এবং পানি ব্যবহার। আপনার হাত সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য ঘষুন। পানি দিয়ে ধোয়ার আগে আপনি এটি আঙ্গুলের মধ্যে, হাতের পিছনে এবং নখের নিচে ভালো করে ঘষে নিন।

১০৪ বছর বয়সী অভিনেত্রী অলিভিয়া আর নেই


বিনোদন ডেস্ক :  আর নেই। ১০৪ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী অলিভিয়া দে হাভিল্যান্ড। বার্ধক্যজনিত কারণে গত ২৬ জুলাই তার জীবনাবসান হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিবিসি জানায়, অলিভিয়া দে হাভিল্যান্ডের মুখপাত্র লিসা গোল্ডবার্গ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘দুইবার অস্কার জয় করা অভিনেত্রী এবং ‘গোন উইথ দ্য উইন্ড’র সর্বশেষ জীবিত তারকা ১০৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। প্যারিসে নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে তিনি প্রায় ৬০ বছর ধরে বসবাস করছিলেন।’

দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করে গেছেন অলিভিয়া। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন কিংবদন্তি হিসেবে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রায় ৫০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন অলিভিয়া দে হাভিল্যান্ড। দুইবার অস্কার জিতেছেন, পাঁচবার অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, হলিউডের ইতিহাসে মাইলফলক সিনেমা ‘গোন উইথ দ্য উইন্ড’। এটি ১৯৩৯ সালে মুক্তি পায়। এখানে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হন অভিনেত্রী অলিভিয়া দে হাভিল্যান্ড। এই সিনেমার জন্য তিনি অস্কারও জিতে নেন। অনেক আগেই সিনেমাটি সংশ্লিষ্ট অন্যরা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। তবে কালজয়ী সিনেমাটির জীবিত একমাত্র সাক্ষী ছিলেন অলিভিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও চলে গেলেন।

হলিউডের সোনালি যুগের এ অভিনেত্রীর মৃত্যুতে বিশ্ব চলচ্চিত্রেই শোক নেমে এসেছে। অনেক নামি দামি তারকা অভিনয়শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অলিভিয়াকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

করোনাজয়ী ফুটবলার সাত মিনিটে হ্যাটট্রিক
ম্যানইউ’র সাবেক বেলজিয়ান তারকা মারুয়ানে ফেলাইনির মাত্র সাত মিনিটের ঝড়েই করে ফেললেন হ্যাটট্রিক। তাতেই ধুমড়ে-মুচড়ে গেলো প্রতিপক্ষ। ৭৯ থেকে ৮৬ মিনিটে।

রোববার চিনা সুপার লিগে ফেলাইনির হ্যাটট্রিকে ভর করে দালিয়ান প্রো’কে ৩-২ গোলে হারাল শেনডং লুনেং। মজার ব্যাপার হল করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হওয়া বেলজিয়ান এই তারকা করোনা পরবর্তী লিগের প্রথম ম্যাচেই গড়লেন হ্যাটট্রিকের ঘটনা। তার চেয়েও আশ্চর্যের বিষয়, মাত্র সাত মিনিটের ব্যবধানে ফেলাইনির হ্যাটট্রিকের তিনটি গোলই এল হেড থেকে।

ফেলাইনির নাম শুনলেই ফুটবল ভক্তদের চোখে ভেসে ওঠে মাথাভর্তি চুলওয়ালা এক ফুটবলারের চেহারা। কিন্তু করোনাজয়ী ফুটবলার ফেলাইনির মাথা ভর্তি সেই চুল নেই এখন আর। তবে ওজন এতটাই কমিয়েছেন যে চোয়ালের হাঁড়গুলো গুনে দেখা যাবে।

সেই ফেলাইনি মাঠে ছিলেন দুর্দান্ত। সালোমোন রন্ডনের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল রাফায়েলে বেনিতেজের দল দালিয়ান প্রো। কিন্তু ৭৯ মিনিট, ৮৩ মিনিট এবং ৮৬ মিনিটে তিনটি সেটপিস থেকেই ফেলাইনির সুযোগ-সন্ধানী হেড জড়িয়ে যায় প্রতিপক্ষের জালে।

ডানপ্রান্ত থেকে করা মাত্র সাত মিনিটের ব্যবধানে তিনটি সেটপিস থেকে নিশানায় অব্যর্থ থাকলেন ম্যানইউর সাবেক খেলোয়াড়। যার মধ্যে দু’টি এসেছে কর্নার এবং একটি গোল এসেছে ফ্রি-কিক থেকে।

স্বাভাবিকভাবেই করোনা জয়ী ফেলাইনির এই কীর্তিতে কমবেশি হতবাক তার সতীর্থ থেকে প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলাররা। হ্যাটট্রিকের পর গ্যালারিতে উঠে দাঁড়িয়ে বেলজিয়ান ফুটবলারটিকে অভিবাদন জানান তার সতীর্থরা।

শানডং ৩-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে একটি গোল পরিশোধ করলেও জয় আটকায়নি ফেলাইনির দলের।

উল্লেখ্যঃ এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে চিনা সুপার লিগের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন ফেলাইনি। তিন সপ্তাহ চিনেরই স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরেন ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

শানডং লুনেং জানিয়েছিল, উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত হন ফেলাইনি। ম্যাচ জিতিয়ে রোববার ফেলাইনি বলেন, ‘গোল করা সবসময়ই একটা দারুণ অনুভূতি। ম্যাচ জিতে কার না ভালোলাগে? খেলাটা কঠিন ছিল তবে দুর্দান্ত লড়াই হয়েছে।’

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget