Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত সপ্তাহেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আফ্রিকায় করোনা আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে দেশটি। এমনকি করোনা সংক্রমণে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে ৫ম অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটিতে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আরও ১১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটিতে নতুন করে একদিনে আরও ১১ হাজার ২৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

ফলে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩৩। এক টুইট বার্তায় দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েলি খিজ জানিয়েছেন, দেশটিতে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণে ৬ হাজার ৭৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই রয়েছে ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরও অনেক পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে।

তবে গত কয়েক মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার সংক্রমণ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। তবে দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বাড়ছে।

ইতোমধ্যেই সেখানে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭ জন। বর্তমানে দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৭টি। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৫৩৯ জন।

ইতিহাসে প্রথম বারের মতো সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ

চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে স্বর্ণের দাম। তবে গত সপ্তাহ থেকে যেন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে ধাতুটির দাম। এতেই সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়ে গেল।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পোঁছে গেছে মূল্যবান এ ধাতুটি।

স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলতি বছরে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৪০০ ডলারের উপরে বা ২৬ শতাংশ। বছরের শুরুর দিকে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৫১৭ ডলার। সোমবার (২৭ জুলাই) আন্তর্জাতিক বাজারে লেনদেন শুরু হতেই তা এক হাজার ৯৩১ ডলার স্পর্শ করেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ হয় আউন্স হিসেবে। এক আউন্স স্বর্ণ ৩১ দশমিক ১০৩ গ্রামের সমান। এখন বিশ্ববাজারে এক আউন্স স্বর্ণ কিনতে এক হাজার ৯২০ ডলারের উপরে লাগছে। অতীতে কখনও এত দামে স্বর্ণ বিক্রি হয়নি।

এর আগে, কখনও এক আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৩১ ডলার স্পর্শ করেনি। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯২০ ডলারে উঠেছিল। এটাই এতদিন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ছিল।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৮০৮ ডলার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার তা বেড়ে এক হাজার ৮২০ ডলার স্পর্শ করে।

মঙ্গলবার তা আরও বেড়ে এক হাজার ৮৪২ ডলারে উঠে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার লেনদেনের এক পর্যায়ে এক হাজার ৮৬৫ ডলার পর্যন্ত উঠে স্বর্ণের দাম। এর মাধ্যমে ২০১১ সালের পর স্বর্ণের দাম আবারও এক হাজার ৮৫০ ডলার স্পর্শ করে।

স্বর্ণের দামের উল্লম্ফন চলে গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসেও। বৃহস্পতিবার দাম বেড়ে লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৯৫ ডলার পর্যন্ত পৌঁছে যায়। যদিও দিনের লেনদেন শেষে এক হাজার ৮৮৭ ডলারে থিতু হয়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবার দাম আরও বেড়ে এক হাজার ৯০১ ডলারে দাঁড়ায়।

সেখান থেকে চলতি সপ্তাহের লেনদেন শুরু হতেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৩১ ডলারে উঠে গেছে। আজ ইতোমধ্যেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩০ ডলার। এর মাধ্যমে সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মাসের ব্যবধানে ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়ল স্বর্ণের দাম।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের এমন দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে বাংলাদেশেও দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। গত শুক্রবার থেকে স্বর্ণের বাড়তি দাম কার্যকর হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে ৭২ হাজার ৭৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ৬৩৪ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৬০ হাজার ৮৮৬ টাকা। সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের দাম ৫০ হাজার ৫৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দাম আগে কখনও এত ছিল না।

এদিকে বাজুস যখন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৮৮৯ ডলার। অর্থাৎ বাজুসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসার পর ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩৪ ডলার বেড়ে গেছে।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার বিষয়ে সম্প্রতি ভেনাস জুয়েলার্সের কর্ণধার ও স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০১১ সাল ছাড়া স্বর্ণের এমন দাম বাড়ার প্রবণতা কখনও দেখা যায়নি। শেয়ারবাজারে মন্দার কারণে আন্তর্জাতিক গেম্বলাররা (জুয়াড়ি) স্বর্ণ কিনে মজুত করছেন। এ কারণে স্বর্ণের এমন দাম বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বর্ণের দাম বাড়লেও আমাদের বিক্রি নেই। আমাদের দেশে স্বর্ণালংকার বেশি ব্যবহার করেন মধ্যবিত্তরা। করোনার কারণে এই মধ্যবিত্ত এখন বড় সমস্যায় পড়েছেন। তাছাড়া বয়স্করা এখন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সবমিলিয়ে আমাদের বিক্রি শূন্যের কোঠায় নেমেছে।

আজ ৫০ তম জন্মদিন সজীব ওয়াজেদ জয়ের
আজ সোমবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লব। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে (২৭ জুলাই) জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন জয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।

সজীব ওয়াজেদ জয় প্রসঙ্গে রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার রোল মডেল। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অর্জিত হয়েছে অসামান্য সাফল্য, বেড়েছে সক্ষমতা। করোনা মহামারির এই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামাজিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখা তারই প্রমাণ। দেশের লাখ লাখ তরুণ এখন ঘরে বসে আয় করছে। প্রতিযোগিতা করছে গোটা বিশ্বের সাথে। এসব তরুণের মাঝে স্বপ্ন বুনে দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। মেধাবী এই তারুণ্যের হাত ধরেই বাংলাদেশ সমৃদ্ধির সোনালী সোপানে পৌঁছাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে তিনি ভারতে চলে যান। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে।

বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন তিনি। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।
লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।

বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়। বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থানরত সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। ইতোমধ্যে ‌‌‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি’ হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশ গঠনে তরুণদের মতামত, পরামর্শ শুনতে জয়ের ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ দুটি প্রোগ্রাম ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এছাড়া তিনি তরুণ উদ্যোক্তা ও তরুণ নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে তরুণদের বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলার’ সূচনা করেন।


ইসরাফিল আজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ইসরাফিল আলম আজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, সোমবার (২৭ জুলাই) সকাল সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ইসরাফিল আলম।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেশকিছু দিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করছিলেন সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে করোনা নেগেটিভ রিপোর্টও আসে তার। তবে শারীরিক অসুস্থতা বাড়ায় গত ৬ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষ কিছুটা সুস্থ হয়ে গত ১২ জুলাই তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। বাসায় আনার পরে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা বেড়ে গেলে ১৭ জুলাই আবারও স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ইসরাফিল আলমকে।

রাজশাহীর বাগমারায় পাউবোর বাঁধ ভেঙে দুটি বিলের ফসল হুমকির মুখে

 মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা, রাজশাহীঃ
  রাজশাহীর বাগমারায় গত এক সপ্তাহ ধরে কয়েক দফা ভারি বর্ষণ, বন্যার পানি বৃদ্ধি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে হাজার হাজার বিঘা জমির আমন-আউশ ধান, মরিচ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েক দিন আগে মান্দায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাগমারার বারানই ও ফর্কিন্নী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বাড়তিতে ফসলি জমির ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
    এদিকে উজানের পানির তোড়ে বাগমারা থানার সন্নিকটে সোনাবিলা পাউবো’র বাধেঁর স্লুইস গেটের পুরাতন ফলা ভেঙে ২টি বিলের ফসল হুমকির মুখে। শনিবার দিনভর এলাকার শত শত মানুষ ভাঙা গেটে বস্তা ফেলে পানি আটকাতে চেষ্টা করে ফল মিলেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ পাউবো’র অবহেলা ও উদাসীনতায় কোটি টাকা ব্যয়ের স্লুইজ গেটের দুরবস্থায় তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ভরে যায় উপজেলার সব নদী-নালা ও খাল-বিল। সেই সাথে কয়েক দিন আগে মান্দায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাগমারার বারানই ও ফর্কিন্নী নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় বাগমারার ৫টি ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা জমির আমন-আউশ ধান, মরিচ ও পানবরজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত অব্যাহত। এদিকে থানার নিকটে শনিবার সকাল হতে পাউবো’র বাধেঁর স্লুইস গেটের পুরাতন ফলা ভেঙে ২টি বিলে পানি ফসল হুমকির মুখে। শনিবার দিনভর এলাকার শত শত মানুষ ভাঙা গেটে বস্তা ফেলে পানি আটকাতে চেষ্টা করে ফল মিলেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ পাউবো’র অবহেলা ও উদাসীনতায় কোটি টাকা ব্যয়ের স্লুইজ গেটের দুরবস্থায় তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। বিলের ধারের বালানগর, মোহম্মাদপুর, বাগমারা, একডালা, শ্যামপুর, মাঝিগ্রাম, পোড়াকয়া গ্রামের অধিকাংশ লোকের বিলের ধারে দামি আবাদ পানবরজ রয়েছে। বিরের মধ্যে যে ভাবে পানি প্রবেশ করছে তাতে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। বালানগর গ্রামের আলতাফ হোসেন, দুলাল উদ্দিন, মজিবর রহমান, জালাল উদ্দিন, আব্দুল মতিনসহ অনেকে জানান, স্লুইস গেটের মুখ দিয়ে প্রবল বেগে বন্যার পানি প্রবেশ করায় সোনা বিলা ও  মোহম্মাদপুর-একডালা বিলের প্রায় দুই হাজার বিঘা জমির রোপা, আমন ও আউশ ধান, পাট, পটল, করলা এবং বেগুনসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হবার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বিলের ধারের পুকুরের চাষকৃত মাছও ভেসে যাবে বলে জানান তারা। এতে এলাকার কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
    গণিপুর ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের স্কুলশিক্ষক মোজাম্মের হক, কৃষক সামসুল হক, একডালা গ্রামের হাসান আলী জানান, অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে যখন উপজেলার সব নদী-নালা ও খাল-বিল পানিতে ভরে যায় ঠিক সেই মুহূর্তে পুরাতন স্লুইস গেটের ভাঙা ফলা মুখ খুলে যায়। এতে ওই মুখ দিয়ে প্রবল বেগে পানি নামায় সোনাবিলাসহ মোহম্মাদপুর-একডালা বিলে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। বালানগর গ্রামের আব্দুল মান্নান, সিদ্দুকুর রহমান, হেলাল উদ্দিনসহ অনেকে বলেন, একদিনে পানি প্রবেশ করে তাদেরসহ এলাকার বহু লোকের ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি বাড়তিতে বিলের ধারের অনেক ফসলের ক্ষতি হবে বলে তারা জানান। একইভাবে গ্রামের সাহেব আলী, ইসমাইল হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, অনাকাঙ্খিত বন্যার পানি প্রবেশে তার পানবরজে পানি ছুঁইছুঁই। এতে পানবরজে পানি প্রবেশ করলে তার ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।

ঝালকাঠির লেবু বিক্রি করে কোটিপতি ২২ গ্রামের চাষিরা
মো. আতিকুর রহমান, ঝালকাঠি : ভিটামিন-সিযুক্ত রসালো লেবুর ঘ্রাণে মাতোয়ারা ঝালকাঠির ২২টি গ্রাম। চলতি মৌসুমে জমে উঠেছে ঝালকাঠির ভিমরুলীর ভাসমান লেবুর হাট। প্রতিদিন এখানে লাখ লাখ লেবু বেচা-কেনা হচ্ছে। পাইকাররা নৌকা থেকে লেবু কিনে গাড়িতে করে বরিশাল আড়তে নিয়ে বিক্রি করছেন। অনেকে মালবাহী ট্রলার বা ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। ফরমালিন ও কেমিক্যালমুক্ত রসালো কাগজি লেবু সবার কাছেই প্রিয়।

ঝালকাঠির বাউকাঠি, শতদলকাঠি, ভিমরুলী, কাফুরকাঠি, আটঘর, গাভারামচন্দ্রপুর, পোষন্ডা, ডুমুরিয়া, খেজুরা, কির্ত্তীপাশা, মিরাকাঠিসহ ২২টি গ্রাম এখন লেবুর ঘ্রাণে মাতোয়ারা। প্রতিদিন এসব গ্রামের কৃষকরা গাছ থেকে লেবু সংগ্রহ করে নৌকায় ভিমরুলী বাজারে নিয়ে আসে। অপেক্ষমান পাইকাররা ট্রলারে বসেই লেবু কিনে রাখে।

চাষিরা জানান, গতবছর ১ পোন (৮০টি) লেবু ছিল আড়াইশ’ টাকা। এবার তা ৪শ’ টাকা। গ্রামের চাষিরা কাঁদি কেটে লেবু চাষ করছেন। একেকটি কাঁদি ১শ’ থেকে ১১০ হাত লম্বা এবং ৭-৮ হাত চওড়া হয়। প্রতিটি কাঁদিতে ২২টি গাছ লাগানো যায়। এরকম ১ বিঘার কাঁদিতে লেবু চাষ করতে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। ফল ধরার পরে লেবু বিক্রি করে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা পাওয়া যায়। সে হিসেবে লেবু বিক্রি করে প্রতিবছর কৃষকরা আয় করছে দেড় থেকে ৩ কোটি টাকা।

লেবু ব্যবসায়ী আ. রহমান জানান, পটুয়াখালী থেকে মালবাহী ট্রলার এলে সেই ট্রলারে পটুয়াখালী মোকামে পাঠানো হয়। সেখানের কাচামাল বিক্রেতাদের সাথে আগেই চুক্তি করা থাকে। কেনা দামের ওপর লাভ রেখে বিক্রি করা হয়।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget