Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

সিরাজগঞ্জে গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় মালিক

 ইউসুফ দেওয়ান রাজু, সিরাজগঞ্জ: দেখতে কালো আর পাহাড়ের মতো উঁচু হওয়ায় ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘কালো পাহাড়’। মালিক একেএম শরিফুল ইসলাম সোহেল শখ করেই ষাঁড়টির এই নাম দিয়েছেন। শরিফুল ইসলাম ওরফে সোহেল মাস্টার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের নূরুন্নাহার সামাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রস জাতের ষাঁড়টির বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। কিন্তু ওজন প্রায় ৪০ মণ। পাহাড়ের মতো ষাঁড়টি দেখতে সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ প্রতিদিন ভিড় করছেন সোহেল মাস্টারের বাড়িতে। অনেকে যাচ্ছেন সোহেল মাস্টারের গরু লালন পালনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজে খামার করতে।

কালো পাহাড়কে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বড় করে তোলার জন্য যা কিছু দরকার তাই করেছেন সোহেল। বিফলে যায়নি তার ও তার পরিবারের পরিশ্রম। ষাঁড়টির ওজন এখন ৪০ মণ।

সোহেল বলেন, ষাঁড়টি এত ভারী যে পশুর হাটে তোলা দুষ্কর। করোনা সংকটের কারণে বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। এরই মধ্যে ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। বাড়িতে ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও আশানুরূপ দাম উঠছে না। ফলে নানা চিন্তায় রয়েছি।

তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই গরুর খামারের প্রতি তার প্রবল ইচ্ছা ছিল। সেই ইচ্ছা থেকেই খামারটি গড়ে তোলা। খামারে বর্তমানে ১০টি দুগ্ধবতি গাভীসহ তিনটি ষাঁড় রয়েছে। যার একটি কালো পাহাড়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টি তিনি লালন পালন করেছেন। লালন পালনে তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সহযোগিতার পাশাপশি প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকতাসহ মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পশু চিকিৎসকও সবসময় খোঁজখবর নিয়েছেন।

সন্তানের মতো লালন পালন করে বড় করে তোলা ৪০ মণ ওজনের কালো পাহাড় ৩৭ থেকে ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা করলেও বন্যা ও করোনার প্রভাবে এখন এর বিক্রি নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মালিক সোহেল।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আকতারুজ্জামান জানান, শাহজাদপুরের সাতবাড়িয়ার প্রায় ৪০ মণ ওজনের ষাঁড়টি দেখতে সুন্দর। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে আগামীতে উদ্যোক্তা বাড়বে। ফলে বেকারত্ব দূর হবে।

তিনি বলেন, পশুর রাজধানী খ্যাত সিরাজগঞ্জ জেলায় খামারিদের উৎসাহিত করতে বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হয়। ফলে পশু পালনে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। এতে দেশে মাংসের চাহিদা পূরণ হয়ে বিদেশে রফতানি করা যাবে। এজন্য প্রাণিসম্পদ, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সমন্বয়ে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


৯ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

আরিফ উর রহমান টগর, টাঙ্গাইল: ৯ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ে ঢাকা থেকে টিম এসে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সত্যতা নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ের স্টেশন মাস্টার মনির আহমেদ বলেন, ঢাকা থেকে টিম এসে ৯ ঘণ্টা পর সকাল ৮টার দিকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের বগিগুলো লাইনে তোলে। এরপর সকাল ৯টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। প্রথমে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এরপর নীল সাগর ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেস চলাচলের মাধ্যমে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ।

এবার হাওরে বন্যার্তদের পাশে ঢাবির সৈকত

মোসাইদ রাহাত, সুনামগঞ্জ : টানা ১২১ দিন ঢাকায় নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষকে খাবার বিতরণ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত এবার কাজ করছেন হাওরাঞ্চল তথা সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের জন্য। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০টি পরিবারকে খাবার দিচ্ছেন তিনি।
জানা যায়, করোনাভাইরাস শুরুর পর থেকে ঢাকার ছিন্নমূল, অসহায় ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের টানা ১২১ দিন খাবারের ব্যবস্থা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নেতা। তিনি সেখানে ১০০ দিন দুইবেলার খাবার ও ২১দিন একবেলার খাবারের ব্যবস্থা করার পর তার ২০ সদস্যের একটি টিম নিয়ে সুনামগঞ্জের বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গেল বুধবার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের সোনাপুর বেদে পল্লীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সেখানে স্থানীয় সোনাপুর বেদে পল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করে তাদের মুখে দু’বেলা খাবার তুলে দিচ্ছেন প্রথম দিন থেকেই। বর্তমানে তার দলের ২ জন সদস্য অসুস্থ হয়ে ঢাকায় ফিরে গেলেও ১৮ জন নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন এ কার্যক্রম।

এদিকে বন্যায় দু’বেলা খাবার পেয়ে খুশি বেদে পল্লীর পানিবন্দি মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতা তানভীর হাসান সৈকত তাদের পাশে দাঁড়ানোয় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষজন।

সোনাপুর বেদে পল্লী এলাকার বাসিন্দা ফরিদ আহমদ বলেন, বড় ভাই আমাদের জন্য যে কষ্ট করছেন তা এর আগে কেউ করেনি। তিনি নিয়ম করে দু’বেলা আমাদের খাওন দিতেছেন। বন্যার পানি ঘরের ভিতর থাকায় চিন্তায় ছিলাম ছেলে-মেয়েরে খাবার কই থকি দিমু। উপরওয়ালাই আমাদের জন্য এই ভাইকে পাঠিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত জানান, বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বেদে পল্লী সোনাপুরে তিন দিন ধরে দুই বেলা খাবার দিচ্ছি আমরা। প্রতিদিন ১৫০ পরিবারকে খাবার দেয়া হচ্ছে। এসব পরিবারে ৪ থেকে ৫ জন সদস্য আছেন। আমরা চেষ্টা করছি ওই এলাকার সবার মধ্যেই খাবার পৌছে দিতে।
তিনি বলেন, আমরা বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে সুনামগঞ্জেই প্রথম কাজ শুরু করেছি। পরে যাব জামালপুর জেলায়। সেখানে সহায়তা শেষে অন্য দুর্গত জেলায় সহায়তা শুরু করব। বাংলাদেশের প্রতিটি বন্যা দুর্গত এলাকায় যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমাদের।

তিনি আরও বলেন, বন্যা কবলিতদের কাছে খাবারের সংকট এখন বড় হয়ে উঠেছে। আমরা তাদের নিকট খাবার পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। শুধু খাবারের চাহিদা নয়, অন্যান্য চাহিদা মেটানোরও চেষ্টা করবো। তবে এর জন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে কাজ করে যাব।


দুর্যোগ মোকাবিলা, অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকা একইসঙ্গে চলবে : স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, বিশ্বসেরা রাষ্ট্রনায়ক, পরম ধৈর্যশীল সিনিয়র পলিটিশিয়ান, প্রাজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবিলা, অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকা একইসঙ্গে ঘুরবে।

তিনি বলেন, গত ১১ বছরে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান অনেক উন্নত হয়েছে। করোনার বৈশ্বিক ধাক্কা সমগ্র বিশ্বের ন্যায় আমাদেরও গতিরোধ করেছিল। এই ভয়াল প্রতিবন্ধকতার নিকট পরাভূত হয়ে থেমে থাকলে দেশ ও জাতি বহুদূর পেছনে ধাবিত হবে। সে কারণেই প্রাজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাদের করোনা, বন্যা, আম্ফানসহ সকল দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকার গতিময়তা অব্যাহত রাখতে সকল সুস্থ নাগরিকের ভূমিকা পালন একান্ত আবশ্যক।

রোববার (২৬ জুলাই) নিজ নির্বাচনী এলাকা জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, কালাই উপজেলায় মোসলেমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও কাথাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন হুইপ স্বপন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া, কালাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মণ্ডল, দুই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের, ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ মোল্লা, ক্ষেতলাল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল ইসলাম বুলু, কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাতুল ইসলাম কাজল, দুলাল মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত সপ্তাহে হুইপ স্বপন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে গুন্ডুম্বা মাদরাসা, ইসমাইলপুর মাদরাসা, খোসবদন মাদরাসা ইটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়, রায়কালি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপীনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জামালগঞ্জ, সবদুল পাড়া, রামশালা, শিয়ালা, হরিপুর-চাঁপাগাছী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন।

ভ্যানে ধাক্কা দিয়ে দু’জনের প্রাণ নিলো মাইক্রোবাস

জাহিদ খন্দকার, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মহেশপুর এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দু’জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পলাশবাড়ী উপজেলার মহেশপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার আজমপুর গ্রামের ভ্যানচালক শাফি মিয়া (৩০), জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার জানিপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে নাহিদ (৬)। ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন সঙ্গে থাকা শিশুটির দাদি মমতা বেগম।

স্থানীয়রা জানান, পলাশবাড়ী থেকে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান মহেশপুর এলাকায় পৌঁছালে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রবাস সামনে থেকে এটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানে থাকা এক শিশুসহ দু’জন নিহত হন। আহত হন আরও একজন।

পলাশবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসিবুর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।

চারদিকে বন্যার পানি, মাঝে উঁচু ঢিবিতে আশ্রয়

নাজমুল হোসাইন, কুড়িগ্রাম: চারদিকে পানি থৈ থৈ করছে। দুচোখ যে দিকে যায় শুধু পানি আর পানি। এই পানির মধ্যে সবুজ সমারোহের দেখা মিললেও মাটির খোঁজ পাওয়া দুষ্কর। নদীতে দুলতে দুলতে যাত্রীবাহী কিছু ডিঙি নৌকা ছুটে চলছে। অন্যদিকে পাল তোলা নৌকার চলার দৃশ্য যে কারোর মনকে নাড়া দেবে। এসব দৃশ্যের মাঝে হঠাৎ চোখ পড়ল ছোট্ট একটি ঢিবির দিকে।

বন্যার পানি থেকে মাত্র হাত দুয়েক উঁচু ঢিবিতে কয়েকটি টিনের একটি চাল। ঘেরা রয়েছে বস্তা আর ভাঙাচোড়া বাঁশের কাবারির বেড়া দিয়ে। এখানে মানুষ থাকাটা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হবে। কিন্তু হঠাৎ বড় সিলভারের পাতিল নিয়ে এক বুক পানি ডিঙ্গিয়ে ভেজা শরীরে এক নারীকে ঢিবির দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। একটু এগিয়ে গিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। পাতিলে কী? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নারীর উত্তর- ‘খাবার পানি।’ কথা শুনেই চোখ কপালে উঠে গেল!

কোথা থেকে এই পানি নিয়ে আসলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নারীর সাদামাটা উত্তর- ‘বাহে মেলা দূর থেকে আনা নাগে।’ কৌতূহল নিয়ে ঢিবির দিকে এগিয়ে যেতেই ঘরের দৃশ্য দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। যেন বানের পানিতে একঘরে হয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে একটি পরিবারকে। বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা-কষ্ট এবং মানবেতর জীবন সব যেন একত্রিত হয়ে ভর করছে পরিবারটির ওপর। মাত্র ১২-১৫ ফুটের দৈর্ঘ্যের একটি টিনের চালের ঘরে এক মাস যাবৎ দিন কাটছে পরিবারের সাতজনের। এই চালের এক কোণে রয়েছে একটি গরু থাকার ব্যবস্থা।

বাঁশের টংয়ের ওপর স্বামী, সন্তান, নাতি, মেয়ে, জামাইসহ মানবেতর জীবন কাটছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের রহিমা বেগমের।

রহিমা বেগম জানান, তার স্বামী খোরশেদ একজন কৃষক। বছর চারেক আগে বোর্ডের হাটে নদী ভাঙনে বসতভিটে সব হারিয়েছেন। এখন অন্যের দেয়া জায়গায় কোনো রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। নিচু জায়গা হওয়ায় বানের পানিতে ঘরবাড়িতে কোমর পানি। আশপাশে কোনো উঁচু জায়গা না থাকায় ধরলা নদীর তীর ঘেঁষা একটি উঁচু ঢিবিতেই আশ্রয় নিয়েছেন। এক মাস ধরে এমন কষ্টে দিন কাটলেও আজও কোনো সাহায্য পাওয়া দূরে থাক চেয়ারম্যান-মেম্বার কেউ খোঁজ নেয়নি। এক বেলা কোনো রকমে রান্না করে তাই দিয়ে দিন পার করেন। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী এবং জামাই বেকার দিন কাটলেও কোনো রকম সংসার চলত। কিন্তু বন্যা আসায় সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন নদীতে মাছ ধরে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে সবার।

তিনি বলেন, এই ছোট্ট চালার মধ্যে সাতজন মানুষ আর একটি গরু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। নদী দিয়ে নৌকা গেলে কিংবা বাতাস উঠলে ভয়ে জেগে রাত পার করতে হয়। কখন যেন নদীতে ঢিবিটা ভেঙে সবাই ভেসে যাই। বৃষ্টি এলে এই কষ্ট আরও দ্বিগুণ হয়। নিজেদের খাবার জুটুক বা নাই জুটুক বিপাকে পড়তে হয়েছে দেড় বছরের নাতি আর গরুর খাদ্যের সঙ্কট নিয়ে। প্রাকৃতিক কাজ নদীতেই সারছেন তারা। সাপ কিংবা ঢিবি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা সব কিছু তুচ্ছ করে জীবন বাঁচানোর সংগ্রামে যুদ্ধ করতে হচ্ছে এই পরিবারটি।

পাঁচগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, বন্যায় তার ইউনিয়েনের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাসভাসিদের জন্য যে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা অপতুল।

তিনি বলেন, বন্যার সময় অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চায় না। কষ্ট করে হলেও তারা বাড়িতে থাকার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ বাড়ির আশপাশে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়।

এদিকে শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে ওই পরিবারের দুর্দশার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক কর্মকর্তা পরিবারটিকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে।


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget