Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

সুস্থ হয়ে উঠছেন বচ্চন পরিবারের সবাই

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বচ্চন পরিবারের সবাই হাসপাতালে ভর্তি। তবে চিকিৎসা নিয়ে এখন একটু সুস্থ আছেন অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন ও আরাধ্য বচ্চন।

অমিতাভ ও অভিষেকের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত ১১ জুলাই নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এর একসপ্তাহ পরে ঐশ্বর্য ও আরাধ্যাকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে মা-মেয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।


হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, তারা প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন। সবাই চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তাদেরকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ঐশ্বরিয়ার একটু কাশি রয়েছে। তবে এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি। আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকত হবে।

করোনাভাইরাস শনাক্তের পর ভক্তদের সঙ্গে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ রাখছেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন।

গত শুক্রবার টুইট করে জানান, সুখের সময় হোক বা কঠিন সময়- আমার কাছের পরিজনরা, শুভাকাঙ্খীরা, আমার ভক্তরা সবসময়েই ভালোবাসা, স্নেহ এবং প্রার্থনায় ভরিয়ে দিয়েছে। হাসপাতালের এই প্রটোকল ও অনুশাসনের মধ্যে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।

ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মেসিবার্সার বিরুদ্ধে

অনেক আগেই মেসির সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছিলো কোচ সিসে সেতিয়েনের সঙ্গে। করোনা মহামারি শুরুর আগেই ন্যাপোলির সঙ্গে যখন ১-১ গোলে ড্র করেছিল বার্সা, তখনই মেসি সরাসরি বলেছিলেন, সেতিয়েনের অধীনে বার্সা কিছুই জিতবে না।

যদিও পরে মেসি ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলে দাবি করছেন এবং সেতিয়েনেও বলেছেন, এগুলো ‘মিস আন্ডারস্যান্ডিং’। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্য প্রমাণিত হলো। লিগের এক ম্যাচ হাতে রেখেই এবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। বরং, শেষ ম্যাচে ওসাসুনার কাছে হেরে রিয়ালকেই শিরোপাটা দিয়ে দিলো বার্সা।


করোনার পর ফুটবল মাঠে ফিরলেও আগের পারফরম্যান্স নিয়ে ফিরতে পারেনি বার্সা। টানা তিনটি ম্যাচ ড্র করা এবং সর্বশেষ ওসাসুনার কাছে হার, রীতিমত ক্ষুব্ধই করে তুলেছে দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে। তিনি সরাসরি দাবি করেছেন, বার্সা হচ্ছে একটি অধারাবাহিক এবং দুর্বল দল।

রিয়াল মাদ্রিদকে স্বীকৃতি দিয়ে মেসি বলছেন, ‘মাদ্রিদই এবারের শিরোপার দাবিদার। তারা ভালো খেলেছে।’ বিশেষ করে করোনার পর টানা ১০ ম্যাচ জিতে রিয়াল প্রমাণ করেছে, তারাই যোগ্য চ্যাম্পিয়ন।

নিজ দলের পারফরম্যান্সে যারপরনাই হতাশ মেসি। ক্ষুব্ধ কণ্ঠেই তিনি বলেন, ‘দলের খেলোয়াড়দের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে, যেন চেষ্টা করেও জেতা যায়নি। তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। আর প্রথমার্ধে ওরা (ওসাসুনা) আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে। অনেক দিন আগেই বলেছিলাম যে, এভাবে খেলতে থাকলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা খুব কঠিন। এমনকি নাপোলির বিরুদ্ধেও হেরে যাব আমরা।’

এমন পরিণতি কোনোমতেই চাননি মেসি। তিনি সোজাসুজি বলে দিয়েছেন, ‘এভাবে মৌসুম শেষ করতে চাইনি আমরা। তবে আমরা আগাগোড়া এমনই অগোছালো খেলেছি। খুব দুর্বল দেখিয়েছে দলকে। একই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে জেতার কোনো তাগিদই দেখিনি। অনেক পয়েন্ট নষ্ট করেছি আমরা। এই হারেই সেগুলো প্রতিফলিত। আমাদের নিজেদেরকেই সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখতে হবে। আমরা বার্সা। আমাদের জিততে হবে সবকিছুই। মাদ্রিদের দিকে তাকালে চলবে না। ওরা নিজেদের কাজটা করেছে; কিন্তু আমরা ওদের অনেক সাহায্যও করেছি।’


চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দিকেই নজর দিতে চান মেসি। তিনি বলেন, ‘এবার সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যা জিততে হলে আমাদের অনেক বদলাতে হবে। যদি এভাবেই খেলতে থাকি, তবে নাপোলির বিরুদ্ধেও হারতে হবে।’

 ইসরায়েলে আটক করেছে ৬৯ ফিলিস্তিনি নারী-শিশুকে

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে আটক করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের বন্দি বিষয়ক রিসার্চ সেন্টারের মুখপাত্র রিয়াদ আল-আশকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার পশ্চিম তীরে এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি নারীদের আটক করার সময় কোনো রকমের বাছবিচার করে না। এমনকি তারা বৃদ্ধা এবং অসুস্থ নারীদেরও ধরে নিয়ে যেতে দ্বিধা করে না।


আল-আশকার বলেন, ফিলিস্তিনি নারীরা যাতে কোনো ধরনের ইসরায়েলবিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রামে অংশ না নেন সেজন্য তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই নারীদের এভাবে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব।

এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট দেয়ার দায়েও ফিলিস্তিনি নারীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এই মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে ইসরায়েলের কারাগারে ৪১ ফিলিস্তিনি নারী বন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে এবং বাকি ১৬ জন বিনা বিচারে আটক আছেন।

আল-আশকার জানান, ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে বর্তমানে চার হাজার ৮শ ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন যাদের মধ্যে ১৭০ জন শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছেন।-পার্স ট্যুডে।

‘গ্রামের কৃষক দাম পায় না, ঢাকায় কম দামে সবজি পাই না’

ফজলুল হক শাওন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আজ শনিবার (১৮ জুলাই) সকালে বগুড়ার মহাস্থান বাজারে যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে তার চেয়ে ঢাকার বাজারে প্রায় চারগুণ বা তারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এই সময় উত্তরাঞ্চলে তরকারি সস্তা হলেও ঢাকার কোনো ব্যবসায়ী যাচ্ছেন না সেখানে। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে যে টাকা দিয়ে সবজি কেনেন তার চেয়ে বেশি লাগে গাড়ি ভাড়া।

গতকাল শুক্রবার মুগদা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, করলা ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ও খিরা ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স, ধুন্দল, ঝিঙা, কাঁকরোল ও চিচিংগা ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুরলতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০-৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০-২৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি এখন ১৬০ থেকে ২০০ টাকা।


বগুড়ার মহাস্থান বাজারের আড়তদার মুস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আজ শনিবার করলা প্রতিকেজি ১৫ টাকা, পটল ১৬ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, শসা ২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স, ধুন্দল, ঝিঙা, কাঁকরোল ও চিচিংগা ১৫ থেকে ২০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বরবটি ২০ টাকা, কচুরলতি ১০ থেকে ১৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ১২ থেকে ১৫ টাকা, লেবু ৬ টাকা থেকে ৮ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বগুড়ার ধুনটের সবজি বিক্রেতা হেলাল জানান, আজ শনিবার হাটের দিন। এই হাটে সকাল থেকে প্রচুর তরকারির আমদানি হয়েছে। বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে সবজির গাছ মারা যাচ্ছে। এ কারণে সবাই সবজি তুলে বাজারে নিয়ে আসছেন। কিন্তু বাজারে ঢাকার পাইকার নেই। এই বাজারে আজ পটল বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১২ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১২ টাকা, কাঁকরোল ১০ টাকা, চিচিংগা ১৫ টাকা, কচুরলতি (মোটা) ১০ টাকা, আর চিকন কচুরলতি (দেশি) ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হেলাল মাঝেমধ্যে ঢাকায় সবজি নিয়ে আসেন। ঢাকার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ধুনট বাজারে আজ যে চাল কুমড়া (জালি) ৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে ঢাকায় সেটা ৩০ টাকা, যে লাউ এখানে ১৫ টাকা, তা ঢাকায় ৬০ টাকা, কচুরলতি এখানে ১০ টাকা ঢাকায় সেটা ৫০ টাকায় বিক্রি হয়।

ধুনটে তরকারির দাম এত সস্তা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হেলাল বলেন, আগে এই হাটে ঢাকার যথেষ্ট পাইকার আসতো কিন্তু এখন আর পাইকার আসছে না। যে টাকা দিয়ে এক ট্রাক তরকারি কিনবে তার চেয়ে ট্রাক ভাড়া বেশি পড়ে। তাছাড়া পথের মধ্যে ট্রাকের নানা খরচে পোষায় না। তবে আলুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা এবং বগুড়ায় আলুর দাম একই। এখানেও প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।


হেলাল বলেন, আর দেড় সপ্তাহের মধ্যেই বন্যার কারণে বগুড়াতেও সবজির দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হবে।

মুগদা বাজারের সবজি বিক্রেতা শহীদ বলেন, গ্রামে-গঞ্জে সব জায়গায় এখন বন্যার পানি উঠে গেছে। অনেকের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সবজির দাম এখন একটু বেশি। গত এক দুই সপ্তাহ ধরেই সব ধরনের সবজি বাড়তি দামে বিক্রি করছি। কারণ আমাদের পাইকারিতে কিনতে হয় বেশি দামে।

মুগদা বাজারের সবজি ক্রেতা আবুল কালাম জাগো নিউজকে বলেন, সবজি কিনতে গেলেই ৬০ টাকা। দাম করা যায় না, সবার কাছে এক দর। মিডিয়ায় খবর আসে গ্রামের কৃষক সবজির মূল্য পায় না। আর আমরা বাজারে এসে কম দামে কোনো সবজি পাই না। তার মানে ঢাকায় এনেই দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তিন থেকে চারগুণ। আমাদের দেশে এই কারসাজি দেখার কেউ নেই। কথা বলেও লাভ নেই।

শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল, মুগদা, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে বেগুন, বরবটি, কাঁকরোল, করলা, মুলা, ঝিঙা, চিচিংগা, ধুন্দলসহ বেশিরভাগ সবজি কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সব স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখতে চায় বিএনপি

নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী দলের প্রতিটি কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী রাখার ওপর জোর দিয়েছে বিএনপি। ক্রমান্বয়ে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হওয়া বৈঠক চলে রাত সোয়া ৭টা পর্যন্ত। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবীর খান জানান, বৈঠকে করোনা পরিস্থিতিসহ আরো বেশ কয়েকটি ইস্যুতে শীর্ষ নেতারা আলোচনা করেছেন। শাহজাহান সিরাজ ও অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী দলের প্রতিটি কমিটিতে ৩৩ ভাগ নারী রাখার ওপর জোর দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ড্যাবের ন্যায় সংগঠনের সকল স্তরে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু যুক্ত ছিলেন।

 বাংলাদেশ আনসার বাহিনী করোনায় আক্রান্ত ৯০৭, সুস্থ ৪৮৮

করোনার সংকটময় মুহূর্তে বিভিন্ন হাসপাতালে এবং সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।

১৮ জুলাই পর্যন্ত এ বাহিনীতে ৯শ’ ছাড়িয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০৭ জনে। সারাদেশের তুলনায় রাজধানী ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।


আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাসসুম রেবিন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবিলার জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।

করোনাযুদ্ধে সম্মুখভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন প্রতিদিন বাড়ছে, তেমনি আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি সদস্য সুস্থ হয়ে, কর্মস্থলে যোগদান করে সেবামুখী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।

সর্বশেষ জানানো ২৪ ঘণ্টায় (১৮ জুলাই) নতুন করে এ বাহিনীতে আক্রান্ত হন ৪ জন। এ বাহিনীতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৯০৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন কর্মকর্তা ১৬ জন, ব্যাটালিয়ন আনসার ৩৩৫, মহিলা আনসার ৩, সাধারণ আনসার ৫১২, কর্মচারী ৬ জন, ভিডিপি সদস্য ১৫, বিশেষ আনসার ৪, উপজেলা প্রশিক্ষক ৭, উপজেলা প্রশিক্ষিকা ২, হিল আনসার ৪ এবং উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার ৩ জন।

এর মধ্যে ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৩০ জন। কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২২৫ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮৯ জন সদস্য।


করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ বাহিনীর এক কর্মকর্তাসহ ৫ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৪ কর্মকর্তাসহ ৪৮৮ জন সদস্য সুস্থ হয়েছেন, সুস্থতার হার প্রায় ৫৪ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন কর্মকর্তা ৪ জন, ব্যাটালিয়ন আনসার ১৩০, সাধারণ আনসার ৩৩৫, কর্মচারী ২, নারী আনসার ২, ভিডিপি সদস্য ৫, উপজেলা আনসার কমান্ডার ১, বিশেষ আনসার ৪, হিল আনসার ৪ এবং উপজেলা প্রশিক্ষক ১ জন।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত এ সমস্যার উত্তরণ না হয় ততদিন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মেনে জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাবেন এ বাহিনীর মাঠপর্যায়ের সদস্যরা।

পাশাপাশি করোনায় সব সদস্যকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসামগ্রীসহ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget