Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ৩৬ জন গ্রেফতার

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ,ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে আবারও ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।

গত এক সপ্তাহে মহেশপুর সীমান্তের বাঘাডাঙ্গা এবং শ্যামকুড় এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় নারী-পুরুষসহ নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সীমান্তপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সময় ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়; এনআরসি নিয়ে আতঙ্কের মুখে গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে চলে এসেছিল এই ২৭ জন। অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে তাদেরকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


বিজিবি জানায়, শুক্রবার (১০ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সময় ১০ জনকে, বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় নয়জনকে, মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সময় ১৪ জনকে এবং শনিবার (০৪ জুলাই) তিনজনকে গ্রেফতার করে বিজিবি।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ ৫৮ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল কামরুল আহসান বলেন, ভারত থেকে যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন হয়তো তারা করোনার কারণে দীর্ঘদিন আটকা পড়ে এখন অবৈধপথে দেশে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। কয়েক মাস আগে যারা ভারতের এনআরসির কারণে বাংলাদেশে এসেছেন তারা আবার ভারতে ফেলে আসা ঘরবাড়িতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা হয়তো ভাবছেন ভারত-চীন সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এনআরসির প্রভাব কমে গেছে। তাই তারা বাংলাদেশ থেকে এখন আবার ফিরে যেতে চাচ্ছেন। যদি পরিবেশ খারাপ হয় তাহলে আবার ফিরে আসবেন- এমন চিন্তা তাদের। তবে সব ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা সতর্ক রয়েছি।

এদিকে, ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এবং যারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসছে তাদের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন মহেশপুর সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে আতঙ্কের মুখে গত বছরের নভেম্বর, ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ৩৬৩ জন ভারতীয়কে আটক করেছিল বিজিবি।


মাস্ক পরতে দেখা গেল ট্রাম্পকে

বর্তমান বিশ্বে এখন এক আতঙ্কের নাম করোনারভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কারণে মহামারি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শুরু থেকেই লোকজনকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু এতদিন পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের কথা কানেই তোলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম থেকেই তাকে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। অবশেষে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে তাকে মুখে মাস্ক পরতে দেখা গেছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেখানে তিনি আহত সৈনিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

মাস্ক পরে হোয়াইট থেকে বের হওয়ার সময় তিনি বলেন, আমি বরাবরই মাস্কের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমার মতে, সেটার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় এবং স্থান রয়েছে।

এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন যে, তিনি মাস্ক পরবেন না। মাস্ক পড়ার জন্য ডেমোক্রেট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে নিয়ে তিনি ব্যাঙ্গও করেছেন।

তবে শনিবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি যখন আপনি হাসপাতালে থাকবেন, বিশেষ করে এরকম নির্দিষ্ট অংশে, যখন আপনার অনেক সৈনিক এবং মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে, যাদের কেউ কেউ মাত্রই অপারেশন টেবিল থেকে ফিরেছেন, তখন মাস্ক পড়া খুব ভালো একটা ব্যাপার।

গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, আমি পুরোপুরি মাস্কের পক্ষে।

তিনি আরও বলেন, মাস্ক পরলে তাকে দেখতে অনেকটা লন রেঞ্জারের মতো লাগে। লোন রেঞ্জার হচ্ছেন আমেরিকান কল্পকাহিনীর একজন নায়ক, যিনি তার আদিবাসী আমেরিকান বন্ধু টোনটোর সঙ্গে মিলে পশ্চিম আমেরিকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন।

তবে গত এপ্রিলে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করার জন্য সবাইকে জনসম্মুখে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছিল তখন ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, তিনি সেটা করবেন না।

তিনি বলছিলেন যে, আমি এটা করবো বলে মনে হয় না। মুখে মাস্ক পরে আমি প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, রাজা, রানিদের স্বাগত জানাচ্ছি- এমনটা দেখা যাবে বলে আমি মনে করি না।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু খবরে বলা হয়েছে, জনসম্মুখে মাস্ক পরার জন্য বারবার তাকে অনুরোধ করেছেন তার সহকারীরা। সর্বশেষ দেশটির লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।


রফতানিমুখী শিল্পে কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিসিআইয়ের
রফতানিমুখী শিল্পের জন্য উৎসে কর কমিয়ে ০.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ।

শনিবার (১১ জুলাই) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এ প্রস্তাব করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ডিসিসিআই থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ, যেখানে দেশের অর্থনীতির ২০টি খাতের বর্তমান অবস্থা ও খাতগুলোর উন্নয়নে সুপারিশ উপস্থাপন করেন। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘চলমান কোভিড মহামারি পরিস্থিতিতে জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে অনেক কঠোর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।’

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ‘কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সরকারের যথাযথ নীতি সহায়তা ও প্রণোদনার সঠিক ব্যবহার একান্ত অপরিহার্য।’ রফতানিমুখী শিল্পের জন্য উৎসে কর কমিয়ে ০.২৫ শতাংশ করারও প্রস্তাব করেন তিনি।

চীন থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও কৌশল এখনই নেয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন শামস মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘গত অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ শতাংশ কম রফতানি অর্জিত হয়েছে।’ ডিসিসিআই’র সভাপতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি ফিরে পাওয়া, অশুল্ক বাধাসমূহ দূরীকরণ ও সম্ভাবনাময় অংশীদারদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ওপর জোরারোপ করেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ হতে ০.২৫ শতাংশে নামিয়ে আনলে এ খাতে রফতানি আরও বৃদ্ধি পাবে।’ চামড়া খাতের উন্নয়নে তিনি দ্রুত সিইটিপি স্থাপন ও ট্যানারি মালিকদের স্বল্পসুদে ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করেন। এছাড়াও কোভিড-১৯ এর কারণে এমএসএমই খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং ব্যাংকগুলো হতে তারা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ সুবিধা পাচেছ না, এ অবস্থা উত্তরণে স্বল্প সুদে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ও রিফাইন্যান্সিং স্কিম আরও বেশি হারে বাস্তবায়নে তিনি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডিসিসিআই’র প্রাক্তন সভাপতি হোসেন খালেদ, বিল্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি আবুল কাসেম খান এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম অংশগ্রহণ করেন।

ড. মাশরুর রিয়াজ কোভিড-১৯-এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি মোকাবিলায় টিকে থাকা, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর ফলে বৈশ্বিক চাহিদা ও সাপ্লাই দুটোই উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।’ তিনি অর্থনীতির এ অবস্থা উত্তরণে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।

এছাড়াও তিনি করপোরেট কর, টার্নওভার কর প্রভৃতি কমানোর প্রস্তাব করেন এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট নীতিমালাসমূহের সংষ্কার ও বন্ড মার্কেট আরও কার্যকরের ওপর জোরারোপ করেন।

হোসেন খালেদ বলেন, ‘ব্যাংক খাত থেকে সরকারের বেশিমাত্রায় ঋণ নেয়ার প্রবণতা বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহকে কমিয়ে দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিল্পখাত বর্তমানে কর্মসংস্থানের সুযোগ ধরে রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এবং এ অবস্থা মোকাবিলায় ব্যাংক ও বেসরকারি খাতকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

তিনি পুঁজিবাজারের ওপর সকলের আস্থা বাড়ানোর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান এবং পরিবেশ সুরক্ষায় আরও বেশি হারে ‘সবুজ প্রকল্প’ গ্রহণের আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি ইলেকট্রিক্যাল ভিহাইক্যালের আরও ব্যবহার বাড়ানোর জন্য নীতি সহায়তা প্রদানের ওপর জোরারোপ করেন।

আবুল কাসেম খান বলেন, ‘ভুয়া কোভিড সনদ নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়ার ফলে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং এ পরিস্থিতি যেন আর বাড়তে না পারে সেজন্য সরকারকে আরও সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোরারোপ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর জন্য আমাদের অবশ্যই সহায়ক করা কাঠামা থাকতে হবে, যা কি না এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে উদাহরণ তৈরি করবে।’

তিনি সরকার ঘোষিত প্রণোদনার প্যাকেজ থেকে বিশেষ করে এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা যেন ঋণ সহায়তা পেতে পারেন, সে বিষয়ে সরকারকে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

আসিফ ইব্রাহীম বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি ও পুঁজিবাজারের অনুপাত মাত্র ১১.১ শতাংশ, যা তুলনামূলকভাবে এশিয়া ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে অনেক কম।’ তিনি দেশের বন্ড মার্কেট আরও কার্যকর করার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পসমূহে অর্থায়ন নিশ্চিতকল্পে সেগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার প্রস্তাব করেন।

আসিফ ইব্রাহীম বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে ভালো আইপিও-এর যথেষ্ট অভাব রয়েছে, তিনি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন বিএসইসি, ডিএসই এবং সিএসই-এর কঠোর নজরদারিও প্রস্তাব করেন।

ঝড়-বৃষ্টির আভাস দেশের অর্ধেক অঞ্চলের

দেশে মৌসুমী বায়ুর সক্রিয় প্রভাব রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের ২০ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। সেসব অঞ্চলের নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রোববার (১২ জুলাই) সকাল ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

টাঙ্গাইলে নৌকা বানানোর ধোম পরেছে

আরিফ উর রহমান টগর,টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় পানি বাড়ার সাথে সাথে নৌকা তৈরি আর বেচাকেনার ধুম পড়েছে। এ ছাড়াও চলছে পুরাতন নৌকা মেরামতের কাজ। নৌকা তৈরির কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নৌকা বিক্রি করে কারিগর পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এ সময় নৌকাই একমাত্র ভরসা। পানিবন্দি মানুষের মাঝে বেড়েছে নৌকার চাহিদা। চরাঞ্চলের বাসিন্দারা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামসহ হাট-বাজারে যাতায়াত করছে। নৌকা দিয়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত হুগড়া, কাকুয়া, কাতুলী ও মাহমুদনগর ইউনিয়নের জেলেরা।



নৌকা তৈরির কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। কেউ করাত দিয়ে কাঠ কাটায় ব্যস্ত। কেউ হাতুড়ি দিয়ে নৌকায় পেরেক বা গজাল লাগাচ্ছে। আবার কেউ ব্যস্ত তৈরি নৌকা বিক্রির কাজে। ওমরপুর এলাকার নৌকার কারিগর আ. সামাদ বলেন, ‘বর্ষাকালে বাড়ে নৌকার চাহিদা। যে কারণে এ সময়ে ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এবার আগাম বন্যা হওয়ায় চাহিদা আরও বেড়ে গেছে।’


ষাটোর্ধ্ব কারিগর মজিদ মিয়া বলেন, ‘এটি বংশগত পেশা। দীর্ঘদিন যাবৎ এ পেশায় লিপ্ত আছি। বর্ষা মৌসুমে নৌকা নির্মাণ করেই চলে সংসার। এ কাজ করে দৈনিক গড়ে হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন হচ্ছে। নৌকা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত।’


নৌকা কিনতে আসা মো. লাল মিয়া বলেন, ‘বাড়ির চারপাশে পানি। বাজার থেকে শুরু করে সব সময় প্রয়োজন হচ্ছে নৌকা। সবার যাতায়াতের জন্য নৌকা কিনতে এসেছি।’ তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে হারেজ আলী বলেন, ‘৪ হাজার টাকায় মাঝারি সাইজের নৌকা কিনলাম। মানুষ পারাপার করে কিছু টাকা উপার্জন করা যাবে।’


সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় বেশ কয়েকটি নৌকা তৈরির কারখানা আছে। বর্ষা মৌসুমে বেচাকেনা ভালো হলে তাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হবে। এর নির্মাণ শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা তাদের সহায়তা দিয়েছি। আবারও তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।’

 গাড়িচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী তরুণ-তরুণী নিহত

কামরুজ্জামান আল রিয়াদ, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় গাড়িচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী তরুণ-তরুণী নিহত হয়েছেন। তারা সিলেট থেকে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিলেন। শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নোয়াপাড়া কররা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ইমন আহমেদ (২৬) ও জান্নাত আক্তার (২৫)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক জানান, সিলেট থেকে ঢাকামুখী মোটরসাইকেলটিকে অজ্ঞাত কোনো গাড়ি পেছন দিক থেকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জান্নাত। আহত অবস্থায় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইমনকেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

ওসি আরও জানান, সিলেট থেকে মোটরসাইকেলযোগে নারায়ণগঞ্জে ফিরছিলেন ওই দুইজন। তাদের সম্পূর্ণ পরিচয় এবং পালিয়ে যাওয়া গাড়ি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget