Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

সিলেটে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে শ্রমিক নেতা নিহত

ছামির মাহমুদ,সিলেট:  সিলেট বিভাগীয় ট্যাঙ্ক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি. নং ২১৭৪) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপন (৪০) দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার বাবনা মোড়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। তিনি দক্ষিণ সুরমার খোজারখলা এলাকার মো. আবিল হোসেনের ছেলে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিক নেতারা। ঘটনার পরপরই অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত সোয়া ১০টার দিকে নগরের দক্ষিণ সুরমার বাবনা মোড়ে এলাকার ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রিপনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নেয়ার ১০-১৫ মিনিট পর তিনি মারা যান।

ওসমানীর মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক রিপনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।

sylhetএ ঘটনার প্রতিবাদে রাত ১১টায় দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এর আগে বাবনা পয়েন্টেও বিক্ষোভ করেন তারা।

এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজল জানান, দুর্বৃত্তরা শ্রমিক নেতা রিপনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে পাঠায় এবং ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইমসিন দলের সদস্যরা।

তিনি বলেন, আশপাশ এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে খুনিদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতারে একাধিক দল কাজ শুরু করেছে। খুনি যেই হোক চিহ্নিত করে, দ্রুত গ্রেফতার করে, আইনের আওতায় আনা হবে।


নিজের বানানো বাড়িতে ৩ বছর ধরে শিকলবন্দী ফুল মিয়া

এইচ এম কামাল,নেত্রকোনা : তিন বছর ধরে নিজ গৃহে শিকলবন্দী অবস্থায় আবদ্ধ ঘরে জীবন কাটাচ্ছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুরের ফুল মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধ। বিরিশিরি ইউনিয়নের পিপুলনারী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফুল মিয়াকে মাথায় সমস্যা আছে বলে তিন বছর ধরে ঘরের একটি নির্জন কক্ষে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের পিপুলনারী গ্রামে বৃদ্ধ ফুল মিয়াকে একটি নির্জন কক্ষে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

শিকলবন্দী ফুল মিয়া বলেন, আমি কোনো পাগল নই। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ। আমাকে শিকলবন্দী করে পাগল বানানোর নাটক করা হচ্ছে। আমাকে পাগল বানিয়ে ঘরবন্দী করে রেখেছে সুরুজ আলী, মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ আরও ৩-৪ জন। শিকলবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সাংবাদিকদের মাধ্যমে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন বৃদ্ধ ফুল মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৭ বছর আগে ফুল মিয়া মাটির নিচ থেকে (ধাতব জাতীয়) মূল্যবান একটি পাথর খুঁজে পান। সেটি ২০০৩ সালে চৈত্র মাসের শুরুর দিকে। পাথরটি তার স্ত্রীর কাছে দেন লুকিয়ে রাখতে। ফুল মিয়া ওই পাথরটি বিক্রি করতে পার্টির খোঁজে বের হন। পরে তিনি বাড়ি এসে স্ত্রীর কাছে পাথরটি চাইলে তখন তার স্ত্রী বলে পাথরটি সুরুজ মিয়া ও মাওলানা রফিকুল ভাইয়ের কাছে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এ কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে স্বামী ফুল মিয়া ঘরে থাকা বঁটি দিয়ে তার স্ত্রীর গলায় কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই স্ত্রী আমেনা খাতুন মারা যান।

২০০৩ সালের বৈশাখ মাসের ৬ তারিখ এ হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানান বৃদ্ধের ছেলে আবু হানিফা। খবর পেয়ে পুলিশ ফুল মিয়াকে গ্রেফতার করে। নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ১২ বছর ৫ মাস ১৭ দিন জেল খাটেন ফুল মিয়া। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে দীর্ঘদিন এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। পরে পাথর বিক্রি করে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকের সঙ্গে বলাবলি করলে ক্ষেপে যান সুরুজ মিয়া ও রফিকুল ইসলাম। এরই জের ধরে ফুল মিয়ার ছেলেদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বাবাকে শিকলবন্দী করে রাখার জন্য বলেন সুরুজ আলী ও রফিকুল ইসলাম। ফলে করে ঘরে বন্দী করে দুই পা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে ফুল মিয়ার।

শিকলবন্দী ফুল মিয়া আরও বলেন, মাওলানা রফিক ও সুরুজ আলীর এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরাইতো। এখন তারা শত কোটি টাকার মালিক। ওই ধাতব জাতীয় পাথর বিক্রি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তারা। আমার সন্তানদেরকে পোষ্য বানিয়ে তারা কৌশলে আমাকে পাগল বানিয়ে রেখেছে। আমি এই শিকলবন্দী জীবন থেকে মুক্তি চাই।


ফুল মিয়ার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার ছেলে আবু হানিফা জানান, বাবার মাথায় সমস্যা থাকায় ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। গত তিন বছর ধরে ঘরের খাটের সঙ্গে শিকল দিয়ে দুই পা বেঁধে রাখা হয়েছে। শিকল বাঁধা অবস্থায় ঘর থেকে বারান্দা পর্যন্ত চলাচল করতে পারেন। ওই নির্জন কক্ষের ভেতরেই পায়খানা-প্রসাব করেন তিনি। খাওয়া-দাওয়া ঘুমানো সবই চলে ঘরের ভেতরে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, ফুল মিয়া মূলত পাগল না। তাকে শিকলবন্দী করে রাখা হয়েছে। এটা অমানবিক ঘটনা। তাকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের লোকদের এগিয়ে আসা উচিত।

ফুল মিয়াকে শিকলবন্দী করে রাখার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে মোবাইলে জানতে চাইলে সুরুজ আলী সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।

অপর অভিযুক্ত মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, ফুল মিয়াকে শিকলবন্দী করে রাখার ব্যাপারে আমি জড়িত নই।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা খানম বলেন, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। শিকলবন্দী বৃদ্ধকে অচিরেই উদ্ধার করা হবে।

গাইবান্ধায় ফের বন্যা, বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

জাহিদ খন্দকার,গাইবান্ধা : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট ও যমুনা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি যে কোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

শনিবার (১১জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।

অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঘাঘট, কাটাখালী ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের বন্যার ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই গাইবান্ধায় আবার বন্যা দেখা দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত নিম্নাঞ্চল ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামের মানুষের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জেলার ১৩টি পয়েন্টে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতাও। এতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে নদী ভাঙন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী মজুত আছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।

উলেখ্য, গত সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় । ফলে গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। গত ৬ জুলাই বন্যার পানি বিপৎসীমার নিচে নামার তিনদিনের মাথায় আবার বন্যা দেখা দিয়েছে।

 ফুঁলে উঠেছে তিস্তা, ১৫ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৪৭ সেন্টিমিটার

জাহিদুল ইসলাম: টানা বৃষ্টি ও গজলডোবা থেকে পানি ছেড়ে দেয়ায় ফুঁসে উঠেছে তিস্তা নদী। শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল ৬টার পর হতে ১৫ ঘণ্টায় নদীর পানি ৪৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে রাত ৯টায় বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ৬০) ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অথচ এ দিন সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। সেই সঙ্গে ঢলের পানি দ্রুতগতিতে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে।

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি সর্বপ্রথম গত ২০ জুন বিপৎসীমার ওপরে ওঠে। যা পরের দিন ২১ জুন সকালে নেমে যায়। এর ছয়দিনের মাথায় ২৬ জুন তিস্তা নদীর পানি দ্বিতীয় দফায় পুনরায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২০ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে ২৮ জুন সকালে নেমে যায়।

এরপর তৃতীয় দফায় ৪ জুলাই সকালে তিস্তার পানি ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ওইদিন সন্ধ্যায় তা নেমে গিয়েছিল। এবার শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে উজানের পানি বেড়ে গেলে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে চলে আসে। তিন ঘণ্টা পর উজানের ঢল আরও ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে যায়। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় আরও বৃদ্ধি পায় ১৩ সেন্টিমিটার। ফলে তিস্তা ১২ ঘণ্টায় পানি ৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর (৫২ দশমিক ৮৮) দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রাত ৯টায় তা আবারও ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রচণ্ডভাবে উজানের ঢল ধেয়ে আসা অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে ওপারে দোমহনী হতে বাংলাদেশের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভারত কর্তৃপক্ষ তিস্তা নদীর অরক্ষিত এলাকায় লাল সংকেত জারি করেছে।


উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উজানে ভয়াবহতার কারণে ভারত লাল সংকেত জারি করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ অংশে হলুদ সংকেত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে লাল সংকেত দেয়া হবে। তিস্তা ব্যারাজের কর্মকর্তারা নজরদারিতে মাঠে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে উজানের ঢলে তিস্তায় চতুর্থ দফায় ভয়াবহ বন্যায় তিস্তা অববাহিকায় নতুন করে ১৫ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চরবেষ্টিত গ্রামের মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পূব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানীর ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, তিস্তা ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। ডিমলার কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ী,পূর্ব খড়িবাড়ী, পশ্চিম খড়িবাড়ী, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, বাইশ পুকুর, ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ী এলাকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানকার মানুষজন গরু ছাগল, জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদে সরে গেছেন। প্রায় ৫ হাজার পরিবার নতুন করে বন্যা কবলিত হয়েছে।

পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, পরিস্থিতি ভালো না। উজানের ঢল প্রচণ্ডভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এবার ভয়ংকর বন্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, দুপুরের পর থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে মানুষজনকে সরিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ডিমলা উপজেলায় তিস্তা এলাকায় সরকারিভাবে ছয়টি নৌকাসহ অসংখ্য নৌকা বন্যা কবলিত মানুষজনকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তিস্তা অববাহিকার চর ও গ্রামের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

তানভীর হাসান তানু : ঠাকুরগাঁওয়ে জমিতে আমন ধান রোপণের সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যুর হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই কৃষকের নাম আমিরুল ইসলাম (৪২)। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সোলটোহরি গ্রামের মৃত আমির উদ্দীনের ছেলে।

জানা যায়, আমিরুল তার বাড়ির পাশেই আমন ধান রোপণ করার জন্য জমিতে যান। বেলা সাড়ে ৩টার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে আমিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।


আমিনুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৫ নং দেবীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বজ্রপাতে আমিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


তানভীর হাসান তানু: ঠাকুরগাঁওয়ে জমিতে আমন ধান রোপণের সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যুর হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই কৃষকের নাম আমিরুল ইসলাম (৪২)। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সোলটোহরি গ্রামের মৃত আমির উদ্দীনের ছেলে।

জানা যায়, আমিরুল তার বাড়ির পাশেই আমন ধান রোপণ করার জন্য জমিতে যান। বেলা সাড়ে ৩টার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে আমিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

আমিনুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৫ নং দেবীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বজ্রপাতে আমিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget