Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বাড়িতে সবজি ও ফল চাষের সহজ উপায়

সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো ‘নিরাপদ খাদ্য’। বিশেষ করে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য অনেকটা বাঘের দুধের মতোই দুষ্প্রাপ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাল-ডাল, তরি-তরকারি, ফল-মূল, মাছ-মাংস, দুধ-ডিম, তেল-ঘি, লবণ-মসলাসহ বাজারের কোন খাদ্যই এখন ভেজাল বা দূষণমুক্ত নয়। বিশ্বাস করা কঠিন হয়, যদি কেউ দাবি করে তার খাদ্যে কোন ভেজাল নেই বা সম্পূর্ণ নিরাপদ। নিরুপায় মানুষ জেনেশুনে এ সমস্ত ভেজাল, দূষণযুক্ত খাদ্য চড়া দামে কিনে খাচ্ছে। পরিণামে নানা জটিল আর জীবন সংশয়ী অসুখে ভুগছে লাখ লাখ মানুষ। ঘরে ঘরে এখন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী। শিশুরা জন্ম নিচ্ছে বিকলাঙ্গ, প্রতিবন্ধী, জটিল রোগ নিয়ে। এমনকি এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে। ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মধ্যে জীবন কাটাচ্ছি আমরা এবং আরও ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এখনই যদি আমরা সচেতন না হই এবং দেশের জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করি, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের করুণ পরিণতির জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই দায়ি থাকবো।

দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিশেষত নারী ও শিশুরা নানা ধরনের অপুষ্টিতে ভুগছেন। বর্তমানে চলমান করোনা মহামারী মোকাবিলায় অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপর। এ জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শাক-সবজি ও ফল-মূল খাওয়া জরুরি। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতি ইঞ্চি জমি ফসল আবাদের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামগ্রিক বিবেচনায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত বসতভিটাভিত্তিক নিবিড় সবজি ও ফল চাষের প্রযুক্তি দেশের জনগণের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য জোগানে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। গ্রাম ও মফস্বল অঞ্চলের প্রতিটি বসতবাড়িতে এই প্রযুক্তি বা মডেলের ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়, তবে খুব সহজেই দেশের ৫০-৬০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি জোগান দেওয়া সম্ভব।

দেশের জনগণের বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ খাদ্য এবং তাদের পুষ্টি নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অনেক আগে থেকেই গবেষণা চালিয়ে আসছে এবং বেশ কিছু কার্যকর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। বারির সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বিজ্ঞানীরা ৮০’র দশকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুরস্থ ফার্মিং সিস্টেম গবেষণা এলাকায় প্রথম উদ্ভাবন করেন বসতবাড়ির আঙিনায় নিবিড় সবজি চাষের প্রযুক্তি ‘কালিকাপুর মডেল’। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বসতভিটায় সারা বছরব্যাপী সবজি উৎপাদন করা সম্ভব হয় এবং উৎপাদিত সবজি দিয়ে পারিবারিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি উদ্বৃত্ত সবজি আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশিদের উপহার দেওয়া ও বিক্রি করে বেশ কিছু বাড়তি আয় করা সম্ভব হয়। বসতবাড়ির বাগানে জৈব সার (যেমন গোবর, খামারজাত আবর্জনা, রান্নাঘরের উচ্ছিষ্টাংশ ইত্যাদি) বেশি ব্যবহার করা হয় বিধায় রাসায়নিক সার কম লাগে। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে বসতবাড়ির বাগানে রাসায়নিক কীট বা জীবাণুনাশক প্রয়োগ করা হয় না, তাই উৎপাদিত সবজি বিষমুক্ত এবং নিরাপদ। আর নিয়মিত বাগানের টাটকা সবজি খাওয়ার ফলে পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি চাহিদা সহজেই পূরণ হয় এবং সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।

প্রযুক্তিটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাধ্যমে প্রযুক্তিটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) প্রযুক্তিটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সম্প্রসারণ করে। তবে কৃষি পরিবেশ, বসতবাড়ির আকার-আকৃতি ও ব্যবহারের ভিন্নতা এবং এলাকাভেদে কৃষকের পছন্দের তারতম্যের কারণে কালিকাপুর মডেলটি সর্বত্র ব্যবহারে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাই পরবর্তীতে বারির সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে অবস্থিত ফার্মিং সিস্টেম গবেষণা এলাকায় নির্বাচিত কৃষকের বসতবাড়িতে গবেষণা চালিয়ে নিবিড় সবজি ও ফল চাষের আরও আধুনিক এবং অধিক উৎপাদনশীল কিছু মডেল উদ্ভাবন করেছেন। যেমন: পাবনা এলাকার জন্য ‘গয়েশপুর মডেল’, রংপুর এলাকার জন্য ‘রংপুর মডেল’, বরেন্দ্র এলাকার জন্য ‘বরেন্দ্র মডেল’, টাঙ্গাইল এলাকার জন্য ‘পালিমা মডেল’, সিলেট এলাকার জন্য ‘গোলাপগঞ্জ মডেল’, শেরপুর অঞ্চলের জন্য ‘কুসুমহাটি মডেল’, ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য ‘ঈশানগোপালপুর মডেল’, বৃহত্তর পটুয়াখালী ও বরিশাল এলাকার জন্য ‘লেবুখালী মডেল (অলবণাক্ত এলাকা) এবং কলাপাড়া মডেল (লবণাক্ত এলাকা)’, এবং নোয়াখালী এলাকার জন্য ‘আটকাপালিয়া মডেল’।

এ ক্ষেত্রে বসতবাড়ির সম্ভাব্য সব স্থানের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে যতটা বেশি সম্ভব সবজি (লালশাক, ডাঁটা শাক, পুঁই শাক, গীমা কলমি, পালং শাক, ধনিয়া শাক, কচু শাক ও কচু, টমেটো, বেগুন, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, শিম, বরবটি, লাউ, করলা, চালকুমড়া, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়শ, আলু ইত্যাদি), মসলা (বিলাতি ধনিয়া, পিঁয়াজ, মরিচ, আদা ও হলুদ ইত্যাদি) এবং ফল (আম, পেয়ারা, লেবু, কুল, লিচু, পেঁপে, আনারস ইত্যাদি) উৎপাদনের চেষ্টা করা হয়েছে এবং চমৎকার ফলাফল পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ সবজি, মসলা ও ফলের ক্ষেত্রে বারি উদ্ভাবিত জাত ব্যবহার করা হয়েছে। কয়েকটি মডেলের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো-
মডেল অনুযায়ী বসতভিটার রৌদ্রযুক্ত স্থানে ৪-৫টি বেড তৈরি করে, বাগানের ও বাড়ির চারপাশের বেড়ায়, মাচায়, আংশিক ছায়াযুক্ত স্থান, ভেজা বা স্যাঁতস্যাতে স্থানে, ঘরের পেছনের পরিত্যাক্ত স্থানে, অফলা বা বনজ বৃক্ষে এবং ঘরের চালে নির্দিষ্ট ফসল বিন্যাস অনুসরণ করে বছরে ১২ থেকে ২৪ ধরনের সবজি ক্রমান্বয়ে উৎপাদন করা যায়। ফলে একটি কৃষক পরিবার সারা বছর ধরে সবজি কম-বেশি সংগ্রহ করে তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এ ছাড়া উৎপাদিত মসলা ও ফল দিয়ে পরিবারের প্রয়োজন অনেকাংশে পূরণ করা যায়। গবেষণায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী কৃষক পরিবারের সদস্যরা গবেষণা শুরুর আগে এলাকাভেদে প্রতিদিন মাথাপিছু ৬৮-১১০ গ্রাম সবজি গ্রহণ করতো (বয়সভেদে একজন ব্যক্তির দৈনিক ৮৮-২২০ গ্রাম সবজি গ্রহণ করা দরকার)। মডেল অনুযায়ী সবজি আবাদ করার পর তাদের সবজি গ্রহণের পরিমাণ দাঁড়ায় মডেল ও এলাকাভেদে প্রতিদিন মাথাপিছু গড়ে ৮৮-২৩৬ গ্রাম।

উল্লেখ্য, যে সমস্ত কৃষকের বসতবাড়িতে এই গবেষণা কাজ পরিচালনা করা হয়েছিল দু’তিন বছর পর তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, তারা কিছু শাক-সবজি আবাদ করলেও মডেলগুলো আর হুবহু অনুসরণ করছেন না। কারণ হিসেবে তারা জানান, গবেষণার মাধ্যমে বসতবাড়িতে সারা বছরব্যাপী সবজি চাষের যে মডেল উদ্ভাবন করা হয়েছে তা খুবই কার্যকর এবং উত্তম কিন্তু যথাসময়ে বীজ ও সারের জোগান না থাকায় তারা মডেলগুলো অনুসরণ করতে পারছেন না। কেউ কেউ আবার সময় এবং জনবলের অভাবের কথাও বলেছেন। এখানে উল্লেখ্য, বসতবাড়িতে এসব ফসল চাষে নারী ও শিশুরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই যথাসময়ে প্রয়োজনীয় বীজ বা চারা ও সার তাদের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়া গেলে বসতবাড়িতে সবজি, মসলা ও ফল উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। গ্রামীণ বসতভিটাগুলোতে সুপরিকল্পিতভাবে শাক-সবজি, ফল-মূল ও মসলা উৎপাদন উৎসাহিত করার জন্য সরকার বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেন অথবা প্রতি বছর সরকার কৃষি খাতে যে ভর্তুকি প্রদান করেন, তার কিছু অংশ দিয়ে যথাসময়ে কৃষকের দোরগোড়ায় মানসম্পন্ন বীজ ও সারের জোগান নিশ্চিত করা যেতে পারে (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবং এর তত্ত্বাবধানে সুপ্রতিষ্ঠিত এনজিও সমূহের মাধ্যমে)। বসতবাড়িতে শাক-সবজি, ফল-মূল ও মসলা ইত্যাদি উৎপাদনের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বা কোন বেসরকারি সংস্থার প্রকল্প চলমান থাকলে সেখানে বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি (এলাকা উপযোগী মডেল) অন্তর্ভুক্ত ও যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। আর কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে সাহায্য করতে পারেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা, মাঠকর্মী এবং বারির বিজ্ঞানীরা।


বিশ্বের দ্রুততম কম্পিউটার তৈরি করলো জাপান

চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে শীর্ষে চলে এলো জাপান। জাপানের রিকেন রিসার্স ইনস্টিটিউট এবং ফুজিৎসু লিমিটেড বিশ্বের দ্রুততম কম্পিউটার তৈরি করেছে। এই কম্পিউটার চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুততর কম্পিউটারগুলোর চেয়েও দ্রুত।

এক সমীক্ষার বরাত দিয়ে টেকগ্যাপ জানিয়েছে, জাপানের ফুগাকু নামের এই সুপার কম্পিউটারকে প্রথম স্থান দেওয়া হয়েছে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনা সুপার কম্পিউটারগুলোর তুলনায় দ্রুততম বলে মনে করা হচ্ছে। এই কম্পিউটারে কম্প্যুটেশনাল সায়েন্সের রিকেন সেন্টারে ইনস্টল করা আছে।

এই সুপার কম্পিউটারটি ২০২১ সালের মধ্যে এর সব কার্যক্রম শুরু করবে। ড্রাগ পুনরুদ্ধার থেকে শুরু করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সমস্ত তথ্য দিতে পারে এই সুপার কম্পিউটারটি।

এই সুরক্ষা কম্পিউটারে দেড় লাখেরও বেশি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, এই কম্পিউটারের স্পিড, বিশ্বের অন্যান্য দ্রুত কম্পিউটারের তুলনায় ২.৮ গুণ বেশি।

সফ্টব্যাঙ্ক গ্রুপ কর্পোরেশন আর্মস লিমিটেডের টেকনোলজি ব্যবহার করে এই কম্পিউটারটি তৈরি করা হয়েছে। আর্মসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পারফরম্যান্সের নিরিখে এই কম্পিউটারটি ইন্টেল কর্পোরেশনের কম্পিউটারে টেক্কা দেবে। আর্ম প্রসেসরগুলো বিশ্বের বেশিরভাগ স্মার্টফোনে ব্যবহৃত হয়।

এদিকে অ্যাপল শিগগিরই তার ম্যাক কম্পিউটারগুলোতে এই প্রসেসর ব্যবহার করবে।


উল্লেখ্য, ৯ বছর পর চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে জাপান প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এর আগে ২০১১ সালে ফুজিৎসু’র “কে” কম্পিউটার প্রথম স্থান অর্জন করে।

করোনাভাইরাস যেভাবে আপনাকে স্বার্থপর করে তুলতে পারে

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারী এখন বিশ্বজুড়ে। সংক্রমণটি সারা বিশ্বেই মানুষের জীবনকে এক বিশাল হুমকির মুখে ফেলেছে। এটি আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বদলে দিয়ে অনেকটা কঠোর হতে বাধ্য করেছে বলা চলে। চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা দিনরাত চেষ্টা করছেন এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে। কিন্তু এখনও মেলেনি সমাধান। তাই নিজের প্রতি খেয়াল রাখা ও সচেতন থাকার বিকল্প নেই।

সামাজিক দূরত্ব, লকডাউন এবং কোয়ারেন্টাইন, ঘরে থেকে কাজ করা- এসব আমাদের আগের পৃথিবীকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। একান্তই জরুরি না হলে বাইরে বের হচ্ছেন না বেশিরভাগ মানুষ। ভবিষ্যত জীবনের সবকিছুই অনিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে, এবং এটি বিশ্বজুড়ে মানুষের মানসিক অবস্থাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। এমনটাই বলছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিকূলতার মাঝেও ইতিবাচক এবং আশাবাদী থাকার লড়াইয়ের ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মানসিকতায় একটি পরিবর্তন দেখা যায়।কারণ আমরা ধীরে ধীরে আমাদের প্রয়োজনকে প্রথমে রাখতে শুরু করি। অতএব, যদি আপনিও মনে করেন যে আপনি ধৈর্য ও সহানুভূতির খুব বেশি দেখাতে পারছেন না, তবে আপনি একা নন। আমাদের বেশিরভাগই এখন নানা দায়িত্ব, ঘরের কাজকর্ম নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।

হঠাৎ আসা তুমুল পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে আমরা সবাই এখন কম-বেশি ক্লান্ত। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে খুব কম লোকের শক্তি আছে অন্যদের কথাও ভাবার। প্রতিদিনের নানা নেতিবাচক খবর, চারদিক থেকে মানসিক নানা চাপে যথেষ্ট শক্তি বা মমতা না থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।


মহামারী চলাকালীন আপনি যদি আরও স্বার্থপর বোধ করে থাকেন তবে এর ফলে আপনি প্রচুর চাপের মুখোমুখি হতে পারেন। অবিশ্বাস্যরকম স্ট্রেসাল পরিস্থিতিতে আমাদের দেহটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাইট-অর-ফাইট মোডে চলে যায়, যার ফলে দীর্ঘকালীন তীব্র মানসিক অবসন্নতা দেখা দেয়।

আমাদের বুঝতে হবে, যেহেতু আমরা সবাই কঠিন পরিস্থিতিতে বেঁচে আছি এবং প্রতিদিন অভিনব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি, তাই যদি আপনার প্রথম অগ্রাধিকার নিজের যত্ন নেওয়া হয় তবে এটি স্বার্থপরতা নয়। চাপ এবং উদ্বেগের মধ্যে ডুবে না থাকলেই কেবল অন্যকে সাহায্য করার কথা ভাবা সম্ভব। কিন্তু অন্যের জন্য কিছু করতে না পারার ব্যর্থতাও অনেককে হতাশায় ডোবায়। এজন্য প্রথম পদক্ষেপটি হলো নিজের যত্ন নেয়া। সময়মতো ঘুমানো, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট নিজের জন্য সময় বের করা প্রয়োজন।

আপনি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য আপনার শরীর এবং মনকে সঠিক যোগান দিতে পারলে এরপর অন্যের জন্য চিন্তা করার সময় পাবেন। খুব বেশি চাপ নেবেন না, আপনার যতটুকু সামর্থ্য হয়, ঠিক ততটুকুই করুন। একটা ফোন কলে স্বজনদের খোঁজ নেয়াও কিন্তু এক ধরনের মানসিক সহায়তা। এভাবে ছোট ছোট সহায়তা আপনি করতেই পারেন। তাতে করে নিজেকে স্বার্থপর ভাবার নেতিবাচক মনোভাব দূর হবে।

যৌন হেনস্থার অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন জাস্টিন বিবার

খুব অল্প বয়সেই খ্যাতির চূঁড়া ছুঁয়ে ফেলেন মার্কিন পপ তারকা জাস্টিন বিবার। পেয়েছেন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডও। আজ ছিলো ক্যারিয়ারের শুরুতেই ‘বেবী’ গান দিয়ে জনপ্রিয়তা পান এই তারকা। এরপর ‘সরি’ ও ‘হোয়াট ডু ইউ মিন’র মতো আরো অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন।

গান ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘটনা দিয়েও আলোচনায় থাকেন এই গায়ক। অল্প বয়সেই জাস্টিন বিবার অগনিত মেয়ের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার তার মতই বিশ্বখ্যাত তারকা। সেলিনা গোমেজ এর নামটা এসে যায় সামনে। জাস্টিন বিবার ও সেলিনা গোমেজের প্রেম বিষয়ে সবার জানা।

এবার আর প্রেম নয়, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে জনপ্রিয় গায়ক জাস্টিন বিবারের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছেন, ২০১৪ সালে জাস্টিন বিবার নাকি এক মহিলার যৌন হেনস্থা করেছেন। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয় শোরগোল।

জাস্টিন বিবার ওই মহিলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সোশ্যাল হ্যান্ডেল টুইটারে একের পর এক পোস্ট দিয়ে করে ওই মহিলার সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

জাস্টিন বিবার জানান, অভিযোগ নিয়ে কখনও মুখ খুলতে চান না। কিন্তু যৌন হেনস্থার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। সেই কারণে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগকে তিনি কোনওভাবেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না। সেই কারণে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন বিবার।

‘শ্রীলঙ্কা অথবা আরব আমিরাতে হবে এশিয়া কাপ’

করোনাভাইরাসের কারণে এখনও অনিশ্চয়তার খড়গ ঝুলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ওপর। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে আদৌ হবে কি না কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ, তা জানা নেই কারওর। এরই মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানাল, আগামী সেপ্টেম্বরে যথাসময়েই হবে এশিয়া কাপ।

পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খানের মতে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা অথবা আরব আমিরাতে বসবে এশিয়া কাপের আসর। যার মানে দাঁড়ায় পাকিস্তান নিজ দেশে এশিয়া কাপ আয়োজনের আশা ছেড়েই দিয়েছে।

করাচিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসিম খান বলেছেন, ‘এশিয়া কাপ যথাসময়েই হবে। পাকিস্তান ক্রিকেট দল ইংল্যান্ড থেকে ফিরবে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ। এরপর আমরা সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে এশিয়া কাপ দেখতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো সময়ের সাথে সাথে সবার কাছে পরিষ্কার হবে। আমরা আশাবাদী কারণ শ্রীলঙ্কা করোনাভাইরাস খুব একটা ছড়ায়নি। তবে তারা যদি নাও পারে তাহলে আরব আমিরাত প্রস্তুত আছে।’

এশিয়া কাপের পরপরই নির্ধারিত হয়ে আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি। যদি সেটি না হয় তাহলে সেই সময়টাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর কথা ভাবছে পাকিস্তান। ঐ সময়ের মধ্যে পাকিস্তান সুপার লিগের বাকি থাকা ম্যাচগুলোও করে ফেলতে পারে তারা।

ওয়াসিম বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়েকে ঘরের মাঠে স্বাগত জানানোর পর নিউজিল্যান্ড সফরে যাবো। এরপর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। নভেম্বরে পিএসএলের ব্যাপারে ভাবছি আমরা।’

ব্রাজিলে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ৪০ হাজারের বেশি

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এতে বিপর্যস্ত হয়ে যায় চীন। পরে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সসহ ইউরোপের দেশগুলোতে বিপর্যয় চালায় করোনাভাইরাস। এখন করোনা তাণ্ডব চালাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে নতুন করে আরও ৪০ হাজার ১৩১ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। মহামারি শুরুর পর একদিনে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের ঘটনা। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৯ জন। আর মারা গেছে ৫২ হাজার ৭৭১ জন।

আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল। আর লাতিন আমেরিকায় তারা সবার ওপরে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে আগামী কয়েকদিনে করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফৌসি। তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু অঙ্গরাজ্যে করোনাভাইরাসের বিরক্তিকর উত্থান দেখছে জাতি। তবে সামনের দিনগুলোতে এ সংক্রমণ আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে-এক লাখ ২৩ হাজার ৪৭৩ জন। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ২৪ হাজার ১৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৬ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছে।

বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩২৬ জন। মারা গেছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮১৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫০ লাখ ৪১ হাজার ৮১৩ জন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget