Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

করোনায় পাল্টে গেল অটোরিকশার কাঠামো

আরাফাত হোসেন:  করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাগুরায় চার আসনের অটোরিকশা চালু করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে শেখ কামাল ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল আতিফ সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে লে. কর্নেল আতিফ সিদ্দিকী বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৫টি অটোরিকশার কাঠামো পরিবর্তন করে চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট রিকশায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। এতে করে অটোরিকশার যাত্রীরা আলাদাভাবে বসতে পারবেন ও স্বাস্থবিধি মেনে চলা সম্ভব হবে।

এমন কার্যক্রমের সুফল পাওয়া গেলে পর্যায়ক্রমে শহরের সকল অটোরিকশার আসন পূনর্বিন্যাস করা হবে বলেও জানান এই সেনা কর্মকর্তা।

জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চলমান ‘অপারেশন কোভিড সিল্ড’ এর আওতায় ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন এলাকায় করোনা প্রতিরোধে নিরলস কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

অটোরিকশার এমন কাঠামো পরিবর্তন করতে হার্ডবোর্ড দিয়ে চারটি পৃথক ভাগ করা হয়েছে। যার ফলে এক যাত্রী অপর যাত্রী থেকে আলাদাভাবে বসতে পারবেন। অটোরিকশার ফ্রেমটি চওড়া ২০-৩৭ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪ ইঞ্চি। অটোরিকশার এমন পরিবর্তনের জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ২২০০ টাকা।

নতুন এই গণপরিবহনটি মাগুরাবাসীর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত এবং করোনা মোকাবেলায় কার্যকর বলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

মোটরসাইকেল চালককে কুপিয়ে হত্যা

মাদারীপুরের রাজৈরে ইকবাল মোল্লা (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল চালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের শাখারপাড় মল্লিককান্দি নতুন সড়কের পাশের মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ইকবাল মোল্লা উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের উমারখালী গ্রামের সুন্দর আলী মোল্লার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইকবাল মোল্লা ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন এবং গ্রামপর্যায়ে সুদের কারবার করতেন। সোমবার (২২ জুন) বিকেল ৪টার দিকে ইকবাল তার মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। মঙ্গলবার সকালে পথচারীরা উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের শাখারপাড় নতুন সড়কের পাশে মাঠে ইকবালের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এছাড়াও সড়কের পাশ থেকে ইকবালের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

নিহত ইকবালের স্ত্রী মুর্শিদা বেগম বলেন,আমার স্বামী সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। মঙ্গলবার সকালে খবর পাই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান, নিহত ইকবালের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য কোপের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বেনাপোলে আমদানি শুরু হলেও ৩ মাস ধরে রফতানি বন্ধ

দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোল দিয়ে ভারতের সঙ্গে আড়াই মাস ধরে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুন থেকে ভারতীয় পণ্যের আমদানি শুরু হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে প্রায় তিন মাস বাংলাদেশের সঙ্গে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে ভারত। রফতানি বন্ধ থাকায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে দফায় দফায় বৈঠক করা হলেও সচল হয়নি রফতানি বাণিজ্য।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই রফতানি বাণিজ্য চালু হবে। স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ ট্রাকে ভারতে পণ্য রফতানি হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের বড় বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারত। দেশে স্থলপথে যে রফতানি বাণিজ্য হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতি বছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার মেট্রিক টন পণ্য ভারতে রফতানি হয়। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় ২২ মার্চ থেকে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুই পারে বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পণ্য নিয়ে আটকা পড়ে কয়েক হাজার ট্রাক।

ভারতে লকডাউন শিথিলে দফায় দফায় বৈঠকের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ৭ জুন ভারতীয় পণ্যের আমদানি শুরু হয়। তবে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি এখনও বন্ধ রয়েছে। রফতানি চালুর বিষয়ে ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয়রা এই মুহূর্তে রফতানি পণ্য নিতে চাইছেন না। দফায় দফায় বৈঠক করা হলেও সচল হয়নি রফতানি বাণিজ্য। এতে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীর বলছেন, দেশীয় পণ্য রফতানির বড় বাজার প্রতিবেশী দেশ ভারত। রফতানি বন্ধ থাকায় তাদের লোকসানের পাল্লা দিন দিন ভারি হচ্ছে। যেহেতু এ পথে আমদানি শুরু হয়েছে তাই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ফলপ্রসু আলোচনা হলে রফতানি বাণিজ্যও শুরু হবে।


রফতানি পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক চালকরা বলছেন, করোনার কারণে রফতানি বন্ধ থাকায় ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় এখানে কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে। রফতানি বাণিজ্য সচল হবে এমন প্রত্যাশায় তারা বন্দরে তিন মাস ধরে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু ভারত পণ্য নিচ্ছে না। এতে তাদের খাওয়া-দাওয়া ও থাকাসহ নানান ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, স্থানীয়ভাবে রফতানি বাণিজ্য সচলের বিষয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। তবে কবে কখন রফতানি পণ্য নিয়ে ট্রাক ভারতীয় বন্দরে প্রবেশ করবে তার কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নেই।

বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, তিন মাস এ পথে রফতানি বাণিজ্য বন্ধে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বৈঠকের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সফলতা আসছে না। যেহেতু আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে, তাই উভয় দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনা না করলে রফতানি বাণিজ্য চালু করা সম্ভব হবে না।

ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স সাব কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, এ বছর ১০ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য হওয়ার কথা। কিন্তু করোনায় তা থমকে দাঁড়িয়েছে। রফতানি বাণিজ্য সচলের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। করোনার মধ্যে বাণিজ্য সচল নিয়ে তারা একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) পাঠিয়েছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, যে প্রক্রিয়ায় আমদানি শুরু হয়েছে একই প্রক্রিয়ায় যেন রফতানি শুরু হয় সে বিষয়ে ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষকে আমরা বলেছি। স্বাস্থ্য বিধি মেনে রফতানি চালু করতে কোনো অসুবিধা দেখছি না। রফতানি বাণিজ্য সচলের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই আমদানির মত রফতানি বাণিজ্যও চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

মাটি খুঁড়ে বের করা হলো নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের লাশ

জু‌য়েল সাহা বিকাশ : ‌ভোলার বোরহানউদ্দিন উপ‌জেলায় মো. সুমন (২০) না‌মে এক ক‌লেজ ছাত্র‌কে হত্যা ক‌রে সুপা‌রি বাগা‌নে পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

নিহত সুমন উপ‌জেলার প‌ক্ষিয়া ইউনিয়‌নের ৭নং ওয়া‌র্ডের ম‌ফিজুল ইসলা‌মের ছে‌লে। তিনি বোরহানউদ্দিন আব্দুল জব্বার ক‌লে‌জের ডিগ্রী তৃতীয় ব‌র্ষের ছাত্র ছিলেন।

এ ঘটনায় সোমবার (২২ জুন) দুপুর ১২টার দি‌কে ওই এলাকা থে‌কে মো. মিঠু (২৫) না‌মে হত্যাকারী‌কে আটক ক‌রে‌ছে পুলিশ। আটক মিঠু একই এলাকার মো. না‌জি‌মের ছে‌লে।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, শ‌নিবার (২০ জুন) রাত ৮টা থে‌কে নি‌খোঁজ ছিলেন ক‌লেজ ছাত্র সুমন। রোববার (২১ জুন) তার মা মমতাজ বেগম বোরহানউদ্দিন থানায় এক‌টি সাধারণ ডায়রি ক‌রেন। এরপর তথ্য প্রযু‌ক্তি ব্যবহার ক‌রে নি‌খোঁজে সুম‌নের কল লি‌স্টে মিঠুর নম্বর পায় পুলিশ। সোমবার মিঠু‌কে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ কর‌লে সে সুম‌নের মৃত্যুর কথা জানায়। তার দেয়া তথ্য ম‌তে আমরা সোমবার দুপু‌রে ওই এলাকার এক‌টি সুপা‌রি বাগান থে‌কে সুম‌নের পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার ক‌রি।

‌ভোলা পু‌লিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, মিঠু‌কে জিজ্ঞাসাবা‌দে একের পর এক তথ্য দি‌চ্ছে। আমরা তা‌কে রিমা‌ন্ডে নি‌য়ে জিজ্ঞাসাবাদ কর‌ব। ত‌বে প্রাথ‌মিক জিজ্ঞাসাবা‌দে যে তথ্য পাওয়া যা‌চ্ছে তা মামলার তদন্তের স্বা‌র্থে প্রকাশ করা যা‌বে না।

লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন করোনায় আক্রান্ত

কাজল কায়েস : লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন আব্দুল গফফার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার (২২ জুন) রাত ১০টার দিকে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরএমও আনোয়ার হোসেন বলেন, সিভিল সার্জন আবদুল গফফার গত তিনদিন অসুস্থ ছিলেন৷ তাকে ঢাকার আনোয়ার খাঁন মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। ওই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৯১২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসক, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিসহ ৬০৮ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২৭৬ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ১১ জন মৃত ব্যক্তির নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ৩১৯ জন হাসপাতাল ও হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 কিট সংকটে ৫ দিন ধরে ফেনীতে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ

রাশেদুল হাসান: ২ জুন থেকেই শরীরে হালকা জ্বর ও কাশি দেখা দেয় ফেনী শহরের ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের। প্রথম চারদিন চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খান তিনি। এটাতে রোগ না সারলে ৬ জুন ফেনী জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসকের কাছ থেকে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়ে ওষুধ সেবন শুরু করেন। এরই মাঝে কাশি বেড়ে শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যাথা শুরু হয় তার। পরে ১২ জুন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন তিনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত নমুনার ফলাফল জানতে না পেরে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

উপসর্গ থেকে এ পর্যন্ত ২১ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ফলাফল জানতে না পেরে স্বজনদের মাঝেও হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কিছুটা সুস্থতা অনুভব করায় এখন ওই ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত হয়ে পড়েছেন। তাকে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে তার আশপাশের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও স্বজনরা।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বলছেন, ফেনীতে এখন নুরুজ্জামানের মতো রোগীর সংখ্যা অনেক রয়েছে। অনেকেই নমুনা দিয়ে ১০ থেকে ১৫ দিনেও ফলাফল পাচ্ছে না। নতুনভাবে উপসর্গে আক্রান্তরা নমুনা দিতে এসেও কিট সংকটের কারণে সিরিয়াল পাচ্ছে না। এরই মধ্যে প্রতিদিনই করোনা উপসর্গে ফেনীতে মানুষ মারা যাচ্ছে। রোগী শনাক্তে ধীরগতি ও আইসোলেশন নিশ্চিত করতে না পারায় ফেনীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ।

এদিকে ফেনীতে ৫ দিন ধরে কিট সংকটের কারণে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সংক্রমণ ঝুঁকিও বাড়ছে। পরীক্ষাগারে আটকে আছে আরও ১২৭৩ জনের সংগৃহিত নমুনা। এছাড়া সংক্রমণ ঠেকাতে ফেনীর ১০ এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হলেও কিছু কিছু এলাকায় তা মানা হচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তার মোড়ে বাঁশ লাগিয়ে পথ বন্ধ করা হলেও তদারকি না থাকায় স্থানীয়রা নিজের ইচ্ছে মতো ঘোরাফেরা করছেন।

জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সমন্বয়ক ডা. শরফুদ্দিন মাহমুদ জানান, ফেনীতে এখন করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ সীমায় রয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে নমুনা সংগ্রহের আবেদন। বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কিন্তু হঠাৎ কিট সংকটে রোগী শনাক্তকরণ কাজ থমকে গেছে। শনাক্ত না হওয়ায় রোগী নিজের অজান্তে তার সোসাইটিতে বিচরণ করে সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। গত ১৯ জুন থেকে কিট সংকটের কারণে ফেনীতে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ থাকায় সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বেড়েছে।

তিনি জানান, ১৬ এপ্রিল ফেনীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ফেনী থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশন্স ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হতো। কিন্তু সেখানে চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় জেলার নমুনা পরীক্ষার কারণে সব সময় জটলা লেগে থাকতো। ফলাফল পেতে ১০-১২ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যোত। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে করোনা নমুনা পাঠানোর জন্য বলা হয়। এ কলেজে রিপোর্ট পাওয়ার দীর্ঘসূত্রতা কমে এলেও হঠাৎ ২০ জুন থেকে কিট না থাকায় নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়।

অপরদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ফেনী থেকে এ পর্যন্ত করোনা উপসর্গে ভোগা ৪ হাজার ৫৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩২৭১ জনের ফলাফল এসেছে। যার মধ্যে ৬৫৩ জনের করোনা পজিটিভ। এখন পর্যন্ত পরীক্ষাগারে ১ হাজার ২৭৯ জনের নমুনা আটকে আছে। ফলাফল প্রাপ্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৩৫ জন। বর্তমানে হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি আছেন ৪৫ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে ১৩ জনকে। বাকি রোগীরা নিজ গৃহে আইসোলেশন করে স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে চিকিৎসাধীন।


ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, কিট সংকট থাকায় নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ থেকে নমুনা পাঠাতে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা শুক্রবার (১৯) থেকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রেখেছি। কিট পাওয়া গেলে পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা জানান, কিট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। অফিসিয়াল ও নন অফিসিয়ালভাবে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা চলছে। আশা করা যায় শিগগিরই কিটের ব্যবস্থা হবে।

নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ল্যাব ইনচার্জ ডা. ফজলে এলাহী জানান, প্রতিদিন ফেনী থেকে আসা ১৮০ থেকে ১৯০টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আমরা দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু গত কয়েকদিন কিট না থাকায় তাদের নমুনা পাঠাতে বারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের ল্যাবে ফেনীর ১২৭৯ জনের নমুনা পড়ে আছে। কিট পাওয়া গেলে আবারও কার্যক্রম চালু করা হবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget