Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 613 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 49 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 4 দিনাজপুর 4807 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3437 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2807 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 84 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

একই সঙ্গে ঘুরে আসুন হিমছড়ি ঝরনা ও ইনানী বিচ

আবু আফজাল সালেহ: ভোররাতে কক্সবাজারের কলাতলী পৌঁছলাম। ভোরে এসে নাস্তা সেরে নিলাম। এরপর কলাতলী বিচ থেকে সুগন্ধা বিচ গেলাম। এ বিচ দেখতে সুন্দর। ভোরের সূর্যের লাল আভা বড়ই চমৎকার। ৩০ টাকা (ঘণ্টাপ্রতি) করে চেয়ারে হেলান দিয়ে ঢেউ গুনতে ভালোই লাগে। সুগন্ধা বিচে সকাল কাটিয়ে মেরিন ড্রাইভ রোড ধরলাম। কলাতলীর ডলফিন মোড় থেকে সিএনজিযোগে পাথুরে সৈকত ইনানী যাব। মাঝে পড়বে হিমছড়ি ঝরনা। আসার পথে দেখব। পাহাড়ে উঠব। লতাপাতার ফাঁক গলিয়ে সমুদ্রের ঢেউ দেখব। এ চিন্তা করেই যাত্রা।

কিছুদূর যেতেই সাগরের গর্জন। উথালপাথাল ঢেউ। নীল জলরাশি। মেরিন ড্রাইভ রোডের এগুলোই সৌন্দর্য। একদিকে সুউচ্চ পাহাড়। অন্যদিকে ফেনিল নীলাভ সমুদ্র। দু’দিকের নান্দনিকতার বুক চিরে গেছে কালো পিচের এ রোড। সুপারি বাগান, জলরাশিতে সারি সারি নৌকা ও ট্রলার। ৭ কিলোমিটার যেতেই উথালপাথাল ঢেউ শুরু। হিমছড়ির কাছেই বড় বড় ঢেউ এসে আছাড় খাচ্ছে। বহুস্তর বিশিষ্ট সমুদ্রের ঢেউ মুগ্ধ করছে। দু’চোখ ভরে উপভোগ করছি। এর মধ্য দিয়েই ২৪ কিলোমিটার দূরের ইনানী সি বিচে পৌঁছে গেলাম। অসংখ্য ছোট ছোট পাথর-ঝিনুক বিছানো রয়েছে। আগের মতো অবশ্য বড় বড় পাথর নেই। দু’একটার দেখা মিলবে। মোটরবাইকে সমুদ্রতটে ঘুরতে দারুণ মজা! কাঁকড়া দেখা যাবে। ঝাউবনের কাছে যাওয়া যাবে।

ইনানী বিচে প্রচুর ডাব দেখলাম। ঝিনুক আর ছোট ছোট পাথর বিছানো। হঠাৎ হঠাৎ বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। সী বোটে খেলছে অনেকে। মাঝিরা মাছ ধরছে ট্রলার বা জাহাজে। বালুতটে মোটরবাইকে ঘোরাঘুরির দৃশ্য বড়ই চমৎকার! চারিদিকের বিশাল জলরাশি, ঢেউ আর গর্জন মনকে পুলকিত করে। বহুস্তর বিশিষ্ট নীল সমুদ্রের ঢেউ বিমোহিত করে। পর্যায়ক্রমে আছড়ে পড়া ঢেউ উপভোগ করার দারুণ অভিজ্ঞতা হলো।

কলাতলী থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে। ইনানী যাওয়ার পথে। অটো বা সিএনজি নিয়ে যাওয়া যাবে। ভাড়া ৩০ টাকা। সমুদ্র আছড়ে পড়ছে একদিকে। অন্যদিকে পাহাড়। এখানেই হিমছড়ি। ৩০ টাকার প্রবেশ ফি দিয়ে পাহাড়ে প্রবেশ করলাম। প্রথমে ঝরনা দেখলাম। এরপর রেলিং বেয়ে পাহাড়ে উঠলাম। পাহাড়ে উঠতে কষ্ট হয়। অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। টক জাতীয় খাবার কাজে দেবে। প্রচুর পানি পান করতে হয়। দু’টো ডাবের পানি পান করে পাহাড়ে উঠলাম। ইনানী থেকে আসার পথে হিমছড়ি থামলাম। লতা-পাতার ফাঁক গলে কী সুন্দর দৃশ্য! মাঝেমধ্যে সমুদ্রের গর্জন শুনে বিমোহিত হলাম। প্রচুর নারী-পুরুষ ও শিশুকে পাহাড়ে উঠতে দেখলাম।

ঢাকা বা যেকোনো প্রান্ত থেকে বাস বা ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম। এরপর বাসে কক্সবাজার। ঢাকা থেকে অনেক বাস সরাসরি কক্সবাজার যায়। এমন বেশকিছু এসি বা নন-এসি পরিবহন পাওয়া যাবে। শ্রেণিভেদে ভাড়া ১১০০ টাকা থেকে শুরু। এরপর কলাতলীর ডলফিন মোড় থেকে সিএনজিযোগে ২৩-২৪ কিলোমিটার দূরের ইনানী সী বিচ যাওয়া যাবে। লোকাল ভাড়া জনপ্রতি ৮০ টাকা। রিজার্ভ করলে ৪০০-৫০০ টাকা। রিজার্ভ করে টেকনাফও যাওয়া যাবে।

থাকা ও খাওয়ার জন্য কক্সবাজার বিখ্যাত। এটি পর্যটন নগরী। এখানে কম বাজেট থেকে শুরু করে উচ্চ বাজেটের আবাসিক ও খাবার ব্যবস্থা আছে। পিক সিজনে বা লম্বা ছুটিতে হোটেল বুকিং দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।


কক্সবাজার থেকে একটু দূরে হওয়ায় ইনানী তুলনামূলক নিরিবিলি। এখন অনেকেই যাচ্ছেন। আর মাঝে হিমছড়ি ঝরনা। হিমছড়ি পাহাড়ের চূড়া থেকে সমুদ্র দেখতে অপরূপই লাগে। মাঝ পাহাড়ের লতা-পাতার ফাঁক গলিয়ে সমুদ্র দর্শন দারুণ অনুভূতির জন্ম দেবে। কক্সবাজারে খরচ তুলনামূলক একটু বেশিই। আর সবক্ষেত্রে দাম-দর ঠিক করে নিলে খরচ অনেক কমে যাবে।

গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে পার্কিং খুঁজবেন যেভাবে

যানজটের এই শহরে পার্কিং খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর। অনেক সময় গন্তব্য থেকে অনেক দূরে গাড়ি পার্ক করতে হয়।

এছাড়াও অসুরক্ষিত জায়গায় পার্ক করার কারণে চিন্তা থেকেই যায়। আপনার পার্কিং খোঁজার সেই সমস্যা দূর করবে গুগল ম্যাপ।

জনপ্রিয় এই নেভিগেশন অ্যাপের নতুন ফিচার ব্যবহার করে কাছের কোন জায়গার পার্কিংয়ের জায়গা ফাঁকা রয়েছে দেখে নেওয়া যাবে।

দেখে নিন গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে পার্কিং খুঁজে পাবেন যেভাবে -

যা প্রয়োজন -

১. আপডেটেড গুগল ম্যাপ

২. স্মার্টফোনের লোকেশন সার্ভিস অন থাকতে হবে

৩. অ্যাকটিভ ইন্টারনেট কানেকশন

যেভাবে খুঁজবেন -

স্টেপ ১। স্মার্টফোনে গুগল ম্যাপ ওপেন করুন।

স্টেপ ২। যে জায়গায় পার্কিং খুঁজছেন গুগল ম্যাপে সেই জায়গা ওপেন করুন।

স্টেপ ৩। এবার নিচে স্মার্ট বাটন দেখতে পাবেন।

স্টেপ ৪। এখানে একটি P সংকেত দেখতে পাবেন। অর্থাৎ এই জায়গায় সহজে পার্কিং পাওয়া যাবে না।

নিজের ডেসটিনেশন দিয়ে গুগল ম্যাপে নেভিগেশন শুরু করলে ট্রাফিকের অবস্থা দেখে নেওয়া যাবে। একই জায়গায় নতুন P সংকেত চলে আসবে। অর্থাৎ সেই স্থানে পার্কিং পেতে সমস্যা হতে পারে।

শীতে ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখার ৫ উপায়

শীত এলে ত্বকের লাবণ্য গিয়ে তলানিতে ঠেকে। বছরের এই সময় ত্বকের যত্নে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যদি ভেবে থাকেন সকাল-বিকাল ময়েশ্চারাইজার লাগিয়েই দায়িত্ব সারবেন, তা হলে ভুল ভাবছেন। কারণ, শুধু ময়েশ্চারাইজার মাখলে কিন্তু লাভ হবে না, যদি না এই নিয়মগুলি মেনে চলেন। চলুন জেনে নেয়া যাক-

শীতে ঠান্ডা পানিতে সমস্যা হলে অতিরিক্ত গরম পানি নয়, হালকা গরম পানিতে মুখ ধোয়া বা গোসলের মতো কাজগুলো সারুন। গোসলের পরপরই মুখে-হাতে ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম লাগিয়ে মিনিটপাঁচেক মালিশ করতে ভুলবেন না যেন!

শীতে এমন ক্লিনজার কিনবেন যাতে ময়েশ্চারাইজার রয়েছে, তাতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে। আর যদি ব্রণের সমস্যা থাকে, তাহলে গ্লিসারিন রয়েছে, এমন প্রাসাধনী বেছে নিন। এই উপদানগুলো নানাভাবে ত্বকের খেয়াল রাখে। বিশেষ করে ত্বকের আর্দ্রতা যাতে কোনোভাবে কমে না যায়, সেদিকে তো খেয়াল রাখেই, সেইসঙ্গে ব্রণসহ নানা ত্বকের রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে।


শীতে রোদের তেজ খুব বেশি থাকে, যে কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বক দ্রুতই উজ্জ্বলতা হারায়। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে আপনারই ক্ষতি। তাই শীতেও বাইরে বের হওয়ার আগে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।


দিনে দুইবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে। একবার সকালে, আরেকবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। মুখ ধোয়ার পরে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগাতে হবে। সেইসঙ্গে মৌসুমী সবজি আর ফল যেমন বেশি করে খেতে হবে, তেমনই স্যুপ, সালাদ, ফলের রস এবং দুধ খেলেও উপকার মিলবে। যেসব ফলে পানির মাত্রা বেশি, সেসব ফলই বেশি খেতে হবে। তাতে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে, পুষ্টিকর উপাদানের চাহিদাও মিটবে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য তো বাড়বেই, পাশাপাশি শরীরও সুস্থ থাকবে।


শীতকাল জুড়ে যদি মুখে ভার্জিন নারিকেল তেল লাগিয়ে মালিশ করেন, তাহলে ত্বক নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকবে না। কারণ, এই তেলে রয়েছে য়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শুষ্ক ত্বকের সমস্যাকে দূরে রাখার পাশাপাশি ত্বকের বয়স কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

নওগাঁয় তিনদিন ব্যাপী ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড জুয়েলারী মেলা শুরু

আব্বাস আলী: নওগাঁয় প্রথম তিনদিন ব্যাপী ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড জুয়েলারী মেলা’ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের ঠিকানা কমিউনিটি সেন্টারে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ রফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, চেম্বার অব কর্মাসের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টুনু, জেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, থানা আওমালীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমআর মাহিন, আওয়ামীলীগ নেতা শাহপরান নয়ন, কামরুল হাসান চৌধূরী, ইমরান হোসেন, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এর ম্যানেজার রাকেশ মজুমদার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার সমির দেবনাথ, নাসির হোসেন, রেদওয়ান প্রমূখ।

ম্যানেজার রাকেশ মজুমদার বলেন, আমাদের পাশ^বর্তী জেলা বগুড়া ও রাজশাহীতে শোরুম আছে। নওগাঁবাসীর চাহিদার ভিত্তিত্বে ১৬-১৯ জানুয়ারী (তিনদিন) এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে দুই হাজার রকমের গোল্ড, ডায়মন্ড ও প্লাটিনামের পন্য থাকবে। পন্যগুলোর মূল্য সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু।

শুঁটকি নিয়ে ব্যাস্ত নওগাঁর ব্যবসায়ীরা

বাজারে মিলছে প্রচুর দেশি প্রজাতির মাছ। নদী-নালা, খাল-বিলের পানি কমতে থাকায় এসব মাছের দেখা মিলেছে। এসব মাছের ওপর নির্ভর করে প্রতি বছর এক শ্রেণির মানুষ জীবন-জীবিকার উৎস খুঁজে নেন। তারা এ মাছগুলো শুঁটকি করেন। শুঁটকি ব্যবসা করে সারা বছর পরিবারের খরচ জোগান দেন।

জানা গেছে, বছরের তিন থেকে চার মাস শুঁটকির মৌসুম। নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় অসংখ্য নদী-নালা, খাল-বিল রয়েছে। এসব বিলে প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যায়। শুঁটকি তৈরিতে বিশেষ করে পুঁটি, টাকি, খলিসা, গোছি, সইল মাছ ব্যবহার হয়।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা এসব মাছ শিকার করে হাট-বাজারে বিক্রি করেন। স্বল্প দামে শুঁটকি ব্যবসায়ীরা এসব মাছ কেনেন। নওগাঁ সদর, মান্দা, আত্রাই ও রানীনগর উপজেলায় শুঁটকি তৈরি করা হয়। জেলার প্রায় আড়াইশ মানুষ শুঁটকি ব্যবসা ও নিজেদের খাবারের জন্য শুঁটকির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এসব মাছ থেকে শুঁটকি তৈরি করছেন নুহু মন্ডল। তিনি উপজেলার ভারশো ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া হাটের পাশে শীব নদীর তীরে অস্থায়ীভাবে শুঁটকির খামার করেছেন। গত তিন বছর থেকে তিনি এখানে শুঁটকি তৈরি করে আসছেন।

তিনি এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর কাজি গ্রাম থেকে। এখানে ১০৬টি বাঁশের মাচায় শুঁটকি তৈরি করছেন তিনি। মাছ শুকানোর সময় যেন দুর্গন্ধে মানুষ বিব্রত না হয় সেজন্য এই স্থান নির্বাচন করেছেন নুহু মন্ডল। মৎস্যজীবীরা প্রকারভেদে ৯০-১২০ টাকা কেজি দরে খামারে মাছ দিয়ে যান। এছাড়া বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে মাছ সংগ্রহ করেন তিনি।


মাছগুলো সংগ্রহ করার পর প্রথমে বেছে নেয়া হয়। এরপর পরিষ্কার করে লবণ মেখে রোদে শুকানো হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এসব শুঁটকি উৎপাদন করতে সময় লাগে তিন-চার দিন। শুঁটকি তৈরি করে সারা বছরই মাছ সংরক্ষণ করা হয়।

 

শুঁটকি নিয়ে ব্যাস্ত নওগাঁর ব্যবসায়ীরা
এক কেজি পুঁটি মাছ থেকে আধা কেজি শুঁটকি উৎপাদন করা যায়। প্রতি কেজি শুঁটকি বিক্রি হয় ২০০-৩০০ টাকা। প্রতি সপ্তাহে এ খামার থেকে প্রায় ৫০-৬০ মণ বা তারচেয়ে কমবেশি শুঁটকি মাছ উৎপাদন হয়। এরপর নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, দিনাজুপর ও সৈয়দপুরের মেসার্স শেখ এন্টার প্রাইজ বা অন্যান্য আড়তে সরবরাহ করা হয়। তবে বিলের মাছের ওপর শুঁটকি মাছের ব্যবসা নির্ভও করে।

শুঁটকি ব্যবসায়ী নুহু মন্ডল বলেন, প্রায় ২০-২২ বছর থেকে শুঁটকির ব্যবসা করছি। যে বছর কাঁচা মাছের দাম কম থাকে সে বছর লাভ একটু বেশি হয়। তবে বেশ পরিশ্রম করতে হয় এ ব্যবসায়। শুঁটকি তৈরির পর নিজে মহাজনদের কাছে দিয়ে আসি। শুঁটকি মৌসুমে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়।

আত্রাই উপজেলার ভর-তেঁতুলিয়া গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী আব্দুস ছালাম বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে শুঁটকির চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন ভোরে আত্রাই বাজার থেকে মাছ কিনে পরিষ্কার করা হয়। এটা খুব কষ্টের কাজ। লাভ ভালো হলে সব কষ্ট লাঘব হয়। এবার বন্যা হওয়ায় শুঁটকি কেনা-বেচা করে ভালো লাভ থাকবে।

নওগাঁ জেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অমল কুমার রায় বলেন, গত বছর জেলায় প্রায় ৫৫ টন শুঁটকি উৎপাদন হয়েছিল। এবার খাল-বিলে ভালো মাছ রয়েছে। কাজেই এবার শুঁটকির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এখন বাজার ভালো থাকলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। জেলায় ২৫০ জন শুঁটকি ব্যবসায়ী ও সুফলভোগী রয়েছেন। শুঁটকি উৎপাদন ও প্রক্রিয়া জাতের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তাদের।

ঝালকাঠিতে চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিলন সহ ৬ জন আটক, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

ইমাম বিমান, ঝালকাঠি থেকে: ঝালকাঠিতে চাঁদাবাজি মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলন সহ ৬ জনকে গ্রেফতার সহ বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।

এ বিষয় ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, জেলা শহরের বিকনা এলাকার কামাল হোসেন হাওলাদার নামের এক ঠিকাদারের কাছে মাসিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদার দাবী করে আসছে ছাত্রলীগ নেতা মিলন। চাঁদার বিষয় ঠিকাদার কামাল স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জালানে মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি ঠিকাদার কামাল হোসেনকে মারধর করে। পরে কামাল হোসেন এ ঘটনায় মিলনসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করে। কামালের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৪ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা মিলনের বাসায় পুলিশ অভিযান করে মিলনসহ ৪ জনকে আটক করে। সেই সাথে গ্রেফতারের সময় সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতার  বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১টি দেশীয় ধারালো রামদা ও ৪টি পাইপ উদ্ধার করে। পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর ২জন আটক করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলন, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু,  মামুন খান, সাইফুল ইসলাম, পলাশ দাস ও মামুনুর রশিদ ওরফে কঠিন মামুন চাঁদাবাজি মামলায় এবং পুলিশের দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় হাদিসুর রহমান মিলন, তরিকুল ইসলাম অপু,  মামুন খান ও সাইফুল ইসলামকে আসামী করা হয়েছে। 

এছাড়াও মিলনের কাছে আরও অস্ত্র রয়েছে বলে পুলিশ ধারনা করছে। সে ব্যপারেও অভিযান চলানো হবে এবং চাঁদাবাজির মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামীকেও গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত আছে, বলে জানান সদর থানা ওসি মো. খলিলুর রহমান।


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget