নিজেস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা নওগাঁর ডলফিন এনজিওর মালিক আব্দুর রাজ্জাক সহ ৬ জনকে যৌথ অভিযানে আটক করেছে র্যাব ৫ এবং র্যাব ১১। আজ রবিবার দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব ৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ৫ এর অধিনায়ক মুনিম ফেরদৌস বলেন, র্যাব ৫ এবং র্যাব ১১ এর চৌকস আভিজনিক দল নওগাঁয় গ্রাহকের সঞ্চয়ের প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ডলফিন এনজিওর ম্যালিক নওগাঁ সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন মন্ডল এর ছেলে মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক (৪৩) কে তার পাঁচজন সহযোগী সহ আটক করেন। তার অন্যান্য সহযোগী হলেন একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মোহাম্মদ রিপন (১৮) রজাকপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মন্ডলের ছেলে পিয়ার আলী ৪০ ইকরতারা গ্রামের মৃত লায়ের উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মোঃ আতোয়ার রহমান। রজাকপুর গ্রামের পিয়ার আলীর স্ত্রী শিল্পী বেগম ৩৫ এবং ফতেপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী সুমি বেগম ৩২।
র্যাব আরো জানায়, নওগাঁ জেলার সদর থানাধীন ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালে ডলফিন সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে প্রতি মাসে তার এনজিও তে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রায় বিশ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন। ডলফিন এনজিওতে এলাকার অনেকেই সঞ্চয়পত্র খোলার নামে অল্প অল্প করে বড় অংকের টাকা আমানত হিসেবে জমা করে। ডলফিন এনজিওর অফিসে গ্রাহকগণ জমানো টাকার মুনাফা প্রথম তিন মাস পেলেও পরবর্তীতে মুনাফা বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায় ডলফিন এনজিও।
র্যাব আরো বলেন, আব্দুর রাজ্জাক সহ তার বোন শিল্পী বেগম, স্ত্রী সুমি আক্তার ও মোহাম্মদ রিপন এনজিওর সভাপতি পিয়ার আলী, ম্যানেজার আতোয়ার রহমান আতা এবং ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ রিপন হোসেন এলাকার জনসাধারণের কাছ থেকে এক লাখ টাকায় ২ হাজার টাকা লাভ দেয়ার কথা বলে এনজিও তে ৩০০ জন এর বেশি গ্রাহককে সঞ্চয় রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন।

.jpg)
.jpg)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন