![]() |
| প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আলম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন |
মো: সবুজ হোসেন, নওগাঁ: নওগাঁর রাণীনগরে গত মঙ্গলবার বিবাদমান জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর জখম মো.রহিদুল আলমের (৫০) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর ১৪ ফেব্রয়ারি আহত রহিদুল আলমের ছোট ছেলে মো: রবিন বাদী রাণীনগর থানায় ১২জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পর শুক্রবার রাতে পুলিশ মো: রিপন নামে ১জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও বাকী আসামীরা রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। বর্তমানে চরম আতংকের মধ্যে রয়েছেন রহিদুল আলমের পরিবার।
হামলায় আহত রহিদুল আলমের বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম দূর্জয় জানান, ওই জায়গাটি আমরা ২০বছর পূর্বে ক্রয় করে সেখানে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছিলাম।
হঠাৎ করে মঙ্গলবার সকালে শাজাহান ও আলমগীরের নেতৃত্বে বেশ কিছু লোকজন পুকুর অবৈধ ভাবে পাড় দখল করে ঘর নির্মান শুরু করে। এতে বাধা দিতে গেলে আমার বাবা এবং আমার ছোট ভাই রবিনকে পিটিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করে। বর্তমানে আমার ভাই রবিন কিছুটা সুস্থ হলেও আমার বাবার অবস্থা খুব খারাপের দিকে চাচ্ছে। ডাক্তার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন । আমরা এর সুস্থ বিচার চাই।
তিনি আরো বলেন, প্রথমে পুলিশ থানায় মামলা নিতে না চাইনি পরে মামলা নিলেও এখন পর্যন্ত একজনে আটক করেছে। বাকীরা ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছেন। আসামীদের পক্ষ থেকে নানা ভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকী দিয়ে যাচ্ছে যার কারনে আমরা বর্তমানে খুবই ভীতু অবস্থার মধ্যে আছি।
অন্যদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাণীনগর থানার এসআই মো: সেলিমুজ্জামান জানান, মামলা দায়েরের পর রিপন নামের একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর বাকী আসামীরা পলাতক রয়েছে। বাকী আসামীদের আটকের চেষ্টা অব্যহত আছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার ভাটকৈ বাজারের দক্ষিণে পার্শ্বে একটি পুকুর পাড়ে ওই গ্রামের শাহাজান আলী বাঁশের খুটি পুতে ঘর নির্মান শুরু করেন। এসময় রহিদুল আলম ও তার ছেলে মো: রবিন সেখানে গিয়ে তাদেরকে ঘর নির্মানে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের হামলায় রহিদুল আলম ও তার ছেলে মো. রবিন গুরুতর জখম হয়।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন